উমর (রা:)ইসলাম গ্রহণের ঘটনা নিয়ে জালীয়াতী করেছেন আহলে হাদীস শায়ক আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…  (প্রসঙ্গ উমর(রা:)ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি নাকি মিথ্যা বানোয়াট বলে বক্তব্য প্রদান করেছেন আহলেহাদীসের শায়খ তার জবাবে এই পোষ্ট) বিশ্ব মুসলিম আজ বৃটিশগুপ্তচর আব্দুল ওহাবনজদীর বংশধরদের কাছে জিম্মি তারা যেমনসাধারণ মুসলিমকে ইসলামের দোহাই দিয়ে জিম্মি করে রেখেছে ঠিক তেমনিতারা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সময়েইসলামে বিভিন্ন ধরনেরফ্যাতনা ছড়াচ্ছে যা বর্তমান সাধারণ মুসলিমদের জন্য খুবই ভয়াভহ.বর্তমান যুব সমাজতাদের লেকচার দেখেদিন দিন পূর্ববর্তী ফকিহগণ ইমামগণ এমনকিসাহাবীদের প্রতি অনীহাহয়ে পড়ছে যার ফলে সাধারণ মুসলিম তাদের চক্রান্তের শিকার হয়ে ইসলামের সঠিকপথ থেকে সড়ে গিয়ে জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছে.তারাসরলপ্রাণ মুসলিমদেরকে সহীহ হাদীসের কথা বলে হাদীসের নামে জালীয়াতী করে মানুষের ঈমানকে ধবংস করছে তেমনিএকটি ঈমান বিদ্বেষী বক্তব্য প্রদান করেছেন আহলে বর্তমান সুপরিচিত শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ উনারএই বক্তব্যর ভিডিও লিংক দিয়েছি আপনারা দেখতে পারবেন আশা করি ওনি এই বক্তব্য বলেছেন হযরতউমর (রা:)যখন ইসলাম গ্রহণ করেনতখন একটি ঘটনাসংঘটিত হয়েছিলো সেই ঘঠনা বূখারী শরীফসহ অসংখ্য সহীহসনদে হাদীসে এবং সীরাত গ্রন্থগুলিতে বর্ণিত হয়েছে কিন্তু আফসোসের বিষয় সেই শায়খএই ঘটনাটিকে ভিত্তিহীন এবং কিচ্ছা কাহীনী বলে সম্বোধণ করেছেন যা রাসূল (দ:)ওনারপ্রাণ প্রিয় সাহাবী হযরত উমর (রা:)প্রতি এক মিথ্যাচার যা মুসলিম বাসীরজন্য এক ফ্যাতনা তৈরী করেছে আমি অধম বূখারী শরীফসহ আরো সহীহকয়েকটি রেওয়াত এ বর্ণনা করব এখানেআপনারাই বিচার করবেনআশা করি….উমর(রা:)ইসলামের গ্রহণের ঘটনাটির হাদীস…. উমর (রা:) মুহাম্মদ (সা) কে হত্যার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। পথিমধ্যে তার বন্ধু নাইম বিন আবদুল্লাহর সাথে দেখাহয়। নাইম গোপনেমুসলিম হয়েছিলেন তবে উমর তা জানতেন না। উমর তাকেবলেন যে তিনিমুহাম্মদ (সা) কে হত্যার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। এসময়উমর তার বোন ও ভগ্নিপতির ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে জানতেপারেন।[১৪] এ সংবাদে রাগান্বিত হয়ে উমর তার বোনেরবাড়ির দিকে যাত্রা করেন। বাইরে থেকেতিনি কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনতে পান। এসময় খাব্বাব বিন আরাত তাদের সুরাতাহা বিষয়ে পাঠ দিচ্ছিলেন। [১৫] উমর ঘরে প্রবেশ করলেতারা পান্ডুলিপিটি লুকিয়ে ফেলেন। কিন্তু উমর তাদেরজিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে একপর্যায়ে তাদের উপর হাত তোলেন। এরপরবোনের বক্তব্যে তার মনে পরিবর্তন আসলে তিনি স্নেহপূর্ণভাবে পান্ডুলিপিটি দেখতে চান। কিন্তু তার বোন তাকে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসলকরতে বলেন এবং বলেন যে এরপরইতিনি তা দেখতেপারবেন।[১৬] উমর গোসল করে পবিত্র হয়ে সুরা তাহারআয়াতগুলো পাঠ করেন। এতে তার মন ইসলামের দিকে ধাবিতহয়। এরপর তিনিমুহাম্মদ (সা) এর কাছে গিয়ে ইসলামগ্রহণ করেন। পাঠকগণ হাদীসের ঘটনাটি অনেক দীর্ঘহওয়ায় আমি আমারমত করে সংক্ষেপে প্রকাশ করলাম তবে মূল ভাবটি ঠিক রাখতে আশাকরি ভুল করিনি তারপরে ও যদি ভূল হয়ে যায় ক্ষমার চোখেদেখবেন.এই ঘটনাটির আরো দলিল পেশ করলাম আপনার চাইলেআমি এগুলির ছবি দিতে বাধ্য আছি আপনাদের কাছে দলিলগুলো–বুখারী শরীফ-হামেদীয়া প্রকাশনী-৫ম খন্ড-১২৯-১৩০ পৃ:.সীরাত ইবনেহিশাম-ইসলামিক ফা:-১মখন্ড-৩০৩-৩০৫ পৃ:.ইসলামের ইতিহাস-ইসলামিক ফা:-১মখন্ড-১০৫ পৃ:.সীরাতে মোস্তফা-ইসলামিক ফা:-১মখন্ড-২২৬ পৃ:..প্রিয় পাঠকগণ আপনারাই এই দলিলগুলো দেখে এই পোষ্টি টি শেয়ার করে আহলেহাদীস নামক এই ভন্ড শায়খের মুখোশ উন্মোচন করেন..প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকাশরীফ।

উমর (রা:)ইসলাম গ্রহণের ঘটনা নিয়ে জালীয়াতী করেছেন আহলে হাদীস শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ :-

আহলে হাদিসের ধোঁকাবাজির জবাব : ওমর (রা) এর ইসলাম গ্রহনের কাহিনী নাকি ভুয়া?  (প্রসঙ্গ উমর (রা:)ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি নাকি মিথ্যা … Read More

হাত উঠানো ও হাত বাধার পদ্ধতি-পর্ব-১

হাত উঠানো ও হাত বাধার পদ্ধতি মুফতি লুৎফুর রহমান কাসিমী তাকবীরেতাহরীমার সময় হাত উঠানোর পদ্ধতি হাদিস-১  إذا صلى كبر ورفع يديه তিনি (সঃ) যখন নামাজ পড়তেন, তখন তাকবীর দিতেন এবং হাত উঠাতেন…. বুখারী-৭৩৭ হাদিস-২ كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا قام إلى الصلاة استقبل القبلة ورفع يديه وقال الله أكبر তিনি (স) যখন নামাযে দাড়াতেন তখন কিব্লামুখী হয়ে হাত উঠাতেন এবং আল্লাহ আকবর বলতেন। সুনান ইবনু মাজাহ- ৮০৩ হাদিস-৩ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِإِذَا افْتَتَحَ الصَّلاةَ তিনি (স) যখন নামাজ শুরু করতেন তখন কাধ পর্যন্ত দু’হাত উঠাতেন…… বুখারী-৭৩৫ হাদিস-৪ قام إلى الصلاة رفع يديه حتى كانتا بحيال منكبيهوحاذى بإبهاميه أذنيه ثم كبر তিনি (স)যখন নামাজ পড়তেন তখন হাত দু’টি  কাঁদের উপরে উঠাতেন এবং বদ্ধাংগুলি কান পর্যন্ত পোছাতেন.. আবু দাউদ-৬২১ হাদিস-৫ … Read More

হাত উঠানো ও হাত বাধার পদ্ধতি-পর্ব-2

হাত কোথায় রাখবেন? ১। নাভীর নিচে ২। নাভীর উপরে ৩। বুকের উপর (দুর্বল) নাভীর নীচে হাত বাধার দলিল হাদিস-১ عن علي رضي الله عنه قال  إن من السنة في الصلاة وضعَ الكَفِّ على الكف تحت السُّرَّة নিশ্চয় নামাজের মধ্যে সুন্নাত হল নাভির নীচে কব্জির উপর কব্জি রাখা।  আবু দাউদ-১/২০, দারকুতনী-১০৭, বায়হাকী-২/৩১, আহমাদ; ফিমাসাইল ইবনু আব্দুল্লাহ-১/১১০ হাদিস-২ عن علي رضي الله عنه قال من سنة الصلوت وضع اليمين علي الشمال تحت السرة নামাজের মধ্যে সুন্নাত হল নাভির নীচে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা।  মুসনাদ আহমাদ ১/১১০, দা্নকুত্নী-১/২৮৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী-২/৩১, মুছান্নাফ ইবনু আবি শায়বাহ-১/৩৯১ হাদিস-৩ عن وايل بن حجر عن ابيه قال رايت النبي صلي الله عليه وسلم وضع يمينه علي شماله في الصلوت تحت سرته ওয়াইল ইবনু হুজর  (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; আমি দেখেছি মহানবী (স) নামাজের মধ্যে নাভীর নীচে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখলেন।   মুছান্নাফ ইবনু আবি শায়বাহ-৩৯৫৯ ১ম/২৯০পষ্টা এই হাদিসের সকল বর্ণনাকারী ‘সিকাহ’-বিশস্ত। ১। তিরমিজী শরিফের ভাষ্যকার আবুত তায়্যিব সিন্দি (র) বলেছেন, এই হাদিস ‘সনদ’ ও মতনের দিক দিয়ে ছহীহ। তাই এ হাদিস দলিল হিসেবে অবশ্যি গ্রহণযোগ্য। ২। শায়খ আবিদ সিন্দি (র) … Read More

নামাযে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখা বিদয়াত

নামাযে নব আবিষ্কৃত বিদয়াতের উৎপত্তির কারণ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ড. বকর আবু যায়েদ লিখেছেন, “ নামাযের অধিকাংশ নব আবিষ্কৃত মাসআলার ক্ষেত্রে কিছু মানুষ যে ভ্রান্ত বুঝের স্বীকার হয়েছে এর মৌলিক কারণ হলো, হাদীসের বুঝ অর্জনে বাড়াবাড়ি, প্রসিদ্ধ ও প্রচলিত অর্থ, আরবী ভাষার গ্রহণযোগ্য ব্যবহার ও মূলনীতি, হাদীসের মূলনীতি ও ফিকহের মূলনীতির প্রতি দৃষ্টি না দেয়া। দলিল প্রদানে সুস্থ ধারার ব্যত্যয় এবং গ্রহণযোগ্য পদ্ধতির থেকে দূরে সরে যাওয়ার ভয়ংকর পরিণতি হলো এসব নতুন আবিষ্কৃত বিদয়াতসমূহ। সেই সাথে নামাযের ধীরস্থির ও ভারসাম্যপূর্ণ প্রচলিত সুন্নাহ থেকে বিমুখ থাকা, ফিকহের কিতাবসমূহ থেকে দূরে থাকা এবং ইমামগণের মতবিরোধ সম্পর্ক অনবহিত থাকার একটি মারাত্মক পরিণতি হলো নামাযের শরীয়তের বিধি-বিধানে এসব বিদয়াতের সৃষ্টি। অথচ ফিকহের কিতাব ও ইমামগণের মতবিরোধ সম্পর্কে অবগত হলে সে কুরআন ও হাদীস থেকে মাসআলা আহরণের উৎস, পদ্ধতি ও সুস্থ ধারা সম্পর্কে সচেতন থাকার কারণে এসব বিদয়াত থেকে দূরে থাকতো”** প্রথম বিদয়াত: নামাযে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখানামাযে নতুন সৃষ্ট একটি বিদয়াত হলো পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাড়ানো। চৌদ্দ শ’ বছরের ইতিহাসে তথাকথিত আহলে হাদীসদের পূর্বে কেউ এই মাসআলার উপর আমল করেনি। চার মাজহাবের একটি মাজহাবেও এই মাসআলা গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে আহলে হাদীস ও তথাকথিত আলবানী পন্থী কিছু সালাফী এই বিদয়াত চালু করেছে। রাসূল স. এর সুন্নতের সাথে এর বিন্দুমাত্র কোন সম্পর্ক নেই। বর্তমানে আহলে হাদীসদের আমল থেকে দেখা যায়, তারা সম্পূর্ণ নামাযে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাড়ায় না, বরং পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির সাথে অপরের বৃদ্ধাঙ্গুল মিলিযে দাড়ায়। এভাবে বৃদ্ধাঙ্গুল মিলিয়ে দাড়াবার কথা ইসলাম শরীয়তের কোথাও নেই। এটি আহলে হাদীসদের মনগড়া একটি আবিষ্কার।আমরা প্রথমে এবিষয়ে সালাফী আলেমসহ বিখ্যাত আলেমদের ফতোয়া উল্লেখ করবো। এরপর হাদীস, খোলাফায়ে রাশেদীন ও সালাফে-সালেহীনের আমলের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখা সম্পর্কে বিখ্যাত আলেমগণের বক্তব্য: ২. ইবনে উসাইমিনের বক্তব্য:================সালাফী শায়খ সালেহ আল-উসাইমিনকে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে রাখা সম্পর্কে প্রশ্ন হয—“ কাতার সোজা করার ক্ষেত্রে সঠিক কোনটি? পায়ের আঙ্গুলের অগ্রভাগের মাধ্যমে কাতার সোজা করতে হবে, না কি গোড়ালীর সাথে গোড়ালী মিলাতে হবে? পাশের মুসল্লীর পায়ের সাথে পা মিলানো কি সুন্নত?”শায়খ ইবনে উসাইমিন এর উত্তরে লিখেছেন,“الصحيح أنّ المعتمد في تسوية الصف ، محاذاة الكعبين بعضهما بعضا ، لا رؤوس الأصابع ، و ذلك … Read More

(আদম ও হাওয়ার গন্ধম খাওয়ার রহস্য প্রসঙ্গ)

আসসলামু আলাইকুমশরু করছি পরমকরুণাময় অসীম দয়ালুআল্লাহ সুবাহানু তাআলাও তার পেয়ারেহাবীব আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদপেশ করে এবংআমার দয়াল মোখলেছ সাইএর সরণে…(আদম ও হাওয়ারগন্ধম খাওয়ার রহস্যপ্রসঙ্গ)যিনি আমাদের আদিপিতা মাতা তাদেরনিয়ে একটি প্রচলিক ধারনাআছে..সেটি হলগন্ধম ফল খাওয়ারকারণে নাকি তারাদুজন বেহেশত থেকেবিতারিত হয়েছিলেন..এটারসঠিক প্রসঙ্গটি আপনাদের সামনেতুলে ধরার চেষ্ঠাকরব ভুল হলেমাফ করবেন..আরকেউ না বুঝেঅযতা বক বককরবেন না কারনএখানে অনেক রহস্যময় বিষয়আছে যা প্রকাশকরা সমীচীন নয়বলে পূর্বেকার অনেকেইতা প্রকাশ করেননি..যারা প্রকাশকরেছেন তাদের কিছুলেখা নিয়ে আমিএখানে লিখলাম…তবেআমি মনে করিআমার ক্ষুদ্র ধারণাথেকে এবং আমারমোর্শেদের এক ভক্তেরকাছে থেকে ব্যাপারটি নিশ্চিত হলামএবং এখানে লিখলামএবার মুল কথায়আসা যাক আসলেকি এটা ফলছিল নাকি অন্যকিছু…গন্ধম ফার্সি শব্দ। পবিত্র কুরআনও হাদীস শরীফেগন্ধম শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি। বরং পবিত্রকুরআনে ‘শাজারাত’ শব্দব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ বৃক্ষ। প্রচলিত ধারণামতে, আদমও হওয়া গন্ধমখাওয়ার অপরাধে বেহেশতহতে বিতাড়িত হয়েছিলেনপবিত্র কুরআনে এরশাদহয়েছে-অর্থ-“অতঃপর তাদেরলজ্জাস্থান, যা গোপনরাখা হয়েছিল, তাপ্রকাশ করার জন্য; শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিলএবং বলল- পাছেতোমরা উভয়ে ফেরেশতা হয়েযাও কিংবা তোমরাস্থায়ী (বাসিন্দা) হও, এ জন্যই তোমাদের প্রতিপালক এইবৃক্ষ সম্বন্ধে নিষেধকরেছেন” (সূরা- আরাফ, আয়াত- ২০) ।অন্যত্র আল্লাহ্ এরশাদকরেন-অর্থ-“এভাবে যেতাদেরকে প্রবঞ্চিত করল, তৎপর যখনতারা সে বৃক্ষফলের আস্বাদ গ্রহণকরল, তখন তাদেরলজ্জাস্থান তাদের নিকটপ্রকাশ হয়ে পড়লএবং তারা উদ্যানপত্র দ্বারানিজেদেরকে আবৃত করতেলাগল, তখন তাদেরপ্রতিপালক তাদের সম্বোধন করেবললেন, আমি কিতোমাদের এ বৃক্ষসম্বন্ধে সাবধান করিনিএবং শয়তান যেতোমাদের প্রকাশ্য শত্রুআমি কি তাতোমাদেরকে বলিনি?” (সূরা- আরাফ, আয়াত- ২২) ।অন্যত্র এরশাদ হয়েছে-অর্থ-“হে বনীআদম ! শয়তান যেনতোমাদেরকে কিছুতেই প্রলোভিত নাকরে, যেভাবে তোমাদের পিতা-মাতাকে জান্নাত হতেসে বহিষ্কৃত করেছিল, তাদেরকে তাদের লজ্জাস্থান দেখাবার জন্যবিবস্র করেছিল, সেনিজে এবং তারদল তোমাদেরকে এমনভাবে দেখেযে, তোমরা তাদেরকে দেখতেনা পাও, যারাবিশ্বাস করে না- আমি শয়তানকে তাদেরঅবিভাবক বানিয়ে দিয়েছি” (সূরা- আরাফ, আয়াত- ২৭) ।পুর্বেকার তাফসীরকারখগণ এইতাদের সম্মানার্থে এবংসাধারনরা যেন ভুলনা বুঝে সেজন্য এ ব্যাপারটি সরাসরাপ্রকাশষ করেন নিইঙ্গিতেন মাধ্যমে বুঝিয়েছন..কিন্তুকিছু নবীন তাফসীরকারকগণ নিষিদ্ধ গাছের’ফল’ অর্থ হযরতহাওয়া বিবির বিকাশোম্মুখ যৌবনচিহ্ন বলে প্রকাশকরেছেন । তাদেরমতে ‘ফল ভক্ষন’ বলতে উভয়ের দাম্পত্য সম্পর্কে এবং’বেহেশতি বসন খুলেগিয়ে লজ্জিত হওয়ার’ অর্থ-ঐ ফলভক্ষণের পরে উভয়েরমনের অনাবিল পবিত্রতা বিলুপ্ত হওয়াএবং তজ্জন্য লজ্জাঅনুভব করা ।ইতিপূর্বে মনের ঐঅনাবিল পবিত্র ভাবেরজন্যই তারা বস্রহীন নগ্নঅবস্থায়ও কোনরূপ লজ্জাবা সংকোচ অনুভবকরেনি । কিন্তুঐ ঘটনার পরেলজ্জা অনুভব হয়েছিলবলে তারা বৃক্ষপত্রে স্বস্ব লজ্জাস্থান আচ্ছাদন করেছিলেন ।শয়তানের প্ররোচনাকে এরাযৌবন-সুলভ কামপ্রবৃত্তির উত্তেজনা ওউন্মাদনা বলে ব্যাখ্যা করেছেন। উক্ত তাফসীরকারকদের এইচিন্তাধারা অত্যন্ত চমৎকার বটে, কিন্তু যদিও কোনকোন তাফসীরকারক এমত স্বীকার করেননা । (তাফসীরে কুরআনুল হাকীম)পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ আদমকেলক্ষ্য করে বলেছেন- ঐ গাছের নিকটবর্তী হইওনা তবে তোমরাঅত্যাচারীদের মধ্যে গণ্যহবে । অনেকতাফসীরকারক এটাকে ফলদারবৃক্ষ বলেছেন ।অলী-আল্লাহ্গণের মতেঐ ফলদার বৃক্ষইহলেন হযরত হাওয়া(আঃ) । কেননাতিনি ছিলেন নারী। আর নারীগণই ফলদারবৃক্ষের ন্যায় সন্তানপ্রসব করে থাকেন।আল্লাহ্ প্রাপ্ত সাধকঅলী-আল্লাহ্গণ আদমও হওয়ার গন্ধমখাওয়া সম্পর্কে পবিত্রকুরআন ও হাদীসের জাহেরীঅর্থের পাশাপাশি তাঁদেরসাধনালব্ধ জ্ঞান থেকেবাতেনী ব্যাখ্যা দিতেগিয়ে বলেন, ‘শাজারাতুন’ থেকেসেজরা অর্থাৎ বংশবৃদ্ধির ক্রমধারাকে বুঝানোহয়েছে । সাজারাতুন অর্থগন্ধম নয়, ফলদারবৃক্ষ, যার দ্বারাবিবি হওয়াকে বুঝায়। আদমকে বিবিহাওয়ার কাছে যেতেএ জন্য নিষেধকরা হয়েছিল যে, তারা উভয়ে একত্রিত হয়েদাম্পত্য মিলনে জড়িয়েপড়লে বংশ বিস্তার শুরুহবে, যা বেহেশতে সমীচীননয় ।পবিত্র কুরআনেআদম ও হাওয়াসম্পর্কিত যে কয়টিআয়াত নাজিল হয়েছেতাতে কোথাও শয়তানের প্ররোচনায় তাদেরলজ্জাস্থান প্রকাশ হওয়ারকথা, কোথাও তাদেরলজ্জাস্থান দেখাবার জন্যবিবস্র করা, আবারকোথাও বৃক্ষ ফলেরআস্বাদ গ্রহণ করায়তাদের লজ্জাস্থান তাদেরনিকট প্রকাশ হয়েপড়লো এবং তারাউদ্যানপত্র দ্বারা নিজেদেরকে আবৃতকরতে লাগলো বলাহয়েছে । আল্লাহ্র এবাণী থেকেই সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয়যে, গন্ধম বলতেকোন ফল নয়, উহা ছিল আদমও হাওয়ার দাম্পত্য মিলন। কারণ, ফলভক্ষণ করতে লজ্জাস্থানকে উন্মোচন করতেহয় না ।পবিত্র কুরআন ওহাদীস শরীফের উপরোক্ত আলোচনাথেকে পরিশেষে বলাযায় যে, গন্ধমকোন ফল নয়উহা আদম ওহওয়ার দাম্পত্য মিলন, যা বেহেশতে তাঁদেরজন্য নিষিদ্ধ ছিল। কারণ, বেহেশতে বংশবিস্তার সমীচিন নয়।এ কারণেই তাঁদেরকে দুনিয়াতে প্রেরণকরা হয়েছে, যাদুনিয়ার জন্য প্রযোজ্য ।পরিশেষে এটিকুই বলতেচাই যা জেনেচেন তানিজের কাছেই রাখবেনযার তার কাছেপ্রকাশ করা ঠিকহবেনা বলে আমিমনে করি এটাআপনাদের কাছে আমারঅনূরোধ–সবাইকে যেনআল্লাহ সিরাতাল মুস্তাকীমে চলারতৌফিক দান করেন-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সুন্নীখানকা শরীফ

কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ক্বালবী যিকিরের গুরুত্ব

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…  (প্রসঙ্গ কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ক্বালবী যিকিরের গুরুত্ব) আমরা সকলেই জানি সবাইআমরা মানুষ তারপরে ও কেন আমাদের কে মানুষ হতে বলা হয়েছে এর মানেকি তাহলে আমরাকি এখন ও মানুষ হতে পারিনি…কোরান হাদীস এবং ইজমাকিয়াসের আলোকে দেখাযায় আসলে আমরানামধারী মানুষ সত্যিকারে আমরা এখনো মানুষহতে পারিনি.তাই আল্লাহ সুবাহানু তাআলা আমাদেরকে সঠিক মানূষকরার জন্য যুগেযুগে নবী রাসূলথেকে শুরু করে বহু ওলী আওলিয়াদের পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহকে ডাকার জন্য সাথেসাথে অনেক নিয়মকানুন বা পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন যাতেকরে আমরা সদা সর্বদায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে স্মরন করতেপারি.তেমনি একটিকর্ম পদ্ধতি নিয়েআমি অধম আপনাদের সামনে কোরান হাদীসও ইজমা কিয়াসের আলোকে আলোচনা করব.আর সেই পদ্ধতিটির বা কর্মের নাম হলো যিকির…..মুলতঅন্তর পরিশুদ্ধ করা এবং হুজুরী ক্বালব জারী করার একমাত্র উপায় হচ্ছে আপন ক্বালবে সদা সর্বদা শ্বাস প্রস্বাসের সহিত যিকির যারি করা.আর সেই ক্বালবের স্থান হলো আপনারবাম স্তনের ২ আঙ্গুল নিচে.যদি ক্বালবে আল্লাহর যিকিরবা হুজারী ক্বালব অর্জন করা যায় তাহলেই কেবল নামামরোযা সহ সকল ইবাদত শুদ্ধ এখলাছের সহিত আদায় করা সম্ভব হবে আর এজন্যই সকলের ক্বালবে যিকির যারী করাকেফরজ বলেছেন.পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে এরশাদকরেন-(সাবধান আল্লাহপাক এর যিকির দ্বারাই ক্বালব বা অন্তরপরিশুদ্ধ হয়)উক্তআয়াত শরীফের ব্যখ্যায় হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে-(সরদারে আলম রাসূল (সা:)বলেনপ্রত্যেক জিনিস পরিস্কার করার যন্ত্র রয়েছেআর ক্বালব পরিস্কার করার যন্ত্র হলোআল্লাহ পাক এর যিকির যারী করা আপন ক্বালবের মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাসের সহিত-সূত্র-বায়হাকী-মেশকাত-মেরকাত-লুময়াত-প্রমুখ গ্রন্থ).সেই পরিপ্রেক্ষীতে ইমাম-মুজতাহিদগণ ও ওলি আওলিয়াগণ কোরান হাদীসের দৃষ্টিতে ইজতিহাদ করে যিকির কে দু ভাগে ভাগ করেছেন (১)যাহেরী বা মৌখিক যিকির (২)বাতেনী বা ক্বালবী যিকির যা মুখেনা করে শুধুঅন্তরে বা ক্বালবের মাধ্যমে করতে হয়. যাহেরী বা মৌখিক যিকির-এই যিকির গুলোহচ্ছে কোরান তেলাওয়াত,দোয়া দুরুদ,ওয়াজনছীহত, ইত্যাদি.আল্লাহর যিকির এ জন্যইকরতে হয় যাতেকরে শয়তানের ওয়াসাওয়াসা থেকে নিজেকে যত দুরে রাখাযায় ততই ভাল.উক্ত যিকির গুলিযে কোন স্থানেই করা যায় যে কোন সময় তবে এই জাহেরী বা মৌখিক যিকির করে নিজের নফস কে শয়তানের ওয়াস ওয়াসাথেকে বেচে থাকাকস্মিন কালেও সম্ভবনা তাই অবশ্যই ক্বালবী যিকির করতেহবে তার কারণক্বালবী যিকির সার্বক্ষনিক করতে হয় কোনসময় নির্ধারণ নয়. এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বর্ণিত আছে-সকাল সন্ধা স্বীয়অন্তরে সবিনয়ে,সভয়ে,অনুচ্চ আওয়াজে তোমার রবের যিকির কর.আর এ ব্যপারে তুমি গাফেলদের অর্ন্তভুক্ত হয়োনা-সূরা আরাফ-২০৫ নং আয়াত.উক্ত আয়াতের মধ্যে২টি দিক বর্ননা করা আছে আমি শুধু মাত্র যিকিরের ব্যপারটি নিয়ে আলোচনা করলাম যেমন-উক্তআয়াতের যিকির দ্বারা ক্বালবী যিকির ও সার্বক্ষণিক পাছ আন ফাস বা শ্বাসপ্রশ্বাসের সহিত যিকিরকরাকে বুঝানো হয়েছেযেমন আপনি শ্বাসযখন নিবেন তখন বলবেন আল্লাহ এবং শ্বাস যখন ছাড়বেন তখন বলবেন হু (আল্লাহু.আর যিকিরসদা সর্বদায় দিনেরাতে হাটা চলা বসা অবস্থায় সব সময় করতে হয় আবার অনেকেই এই আয়াতে সকাল সন্ধাযিকির করার কথা উল্লেখ করেছেন কারণএর উদ্দেশ্য হলো দায়েমী বা সাধ্যঅনুযায়ী যিকিরে নিজেকে মশগুল রাখারনামই হলো ক্বালবী যিকির. অপর এক আয়াতে আছে-হে ঈমানদারগণ তোমরা অধিকমাত্রায় আল্লাহপাকের যিকির কর আর সকালসন্ধা তাসবীহ পাঠ কর-সূরা আহযাব-৪১-৪২ নং আয়াত.উক্ত আয়াতের তাফসীরে ইবনে আব্বাস (রা:)বলেছেন প্রত্যেক ইবাদতের কিছু সময় এবং সীমা নির্ধারিত করা আছে কিন্তু যিকিরের জন্য কোননির্ধারিত সময় বা সীমা নির্ধারন বা অপরাগতার কোন অজর ও গ্রহণযোগ্য নয়.এই আয়াতের তাফসীরে রুহুল বয়ানের বর্ণিত আছে-অধিক পরিমানে আল্লাহর যিকির কর এর দ্বারা দিবারাত্রি সর্ব সময় সর্ব রীতুতে পানিও স্থলে মাঠেপর্বতে স্বদেশে প্রবাসে সুস্থতায় অসুস্থতায় প্রকাশ্যে গোপনে দন্ডায়মান উপবেশনে শয়নেঅর্থাথ প্রতি অবস্থায় বা দায়েমীভাবে আল্লাহপাকের স্মরণে আপন ক্বালবে ক্বালবী যিকির যারী করতেহবে আর এটাইহলো কোরান  হাদীস এ ইজমাকিয়াসের সর্বশেষ রায় এখান থেকে গাফেলহলে জীবনকে বিফলের মালা নিয়ে মৃত্যুকে বরণ করে অপারেযেতে হবে. তাই আমি অধম সবাইকে বলছি আসূণআমরা সবাই তরকীতের কামেলে মোকাম্মেল ওলীর নিকট বায়াত হয়ে আপন ক্বালবের মধ্যে ক্বালবী যিকির যারী-আল্লাহ হাফেজ-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকাশরীফ