সাহাবীদের রচিত প্রাচীন হাদীসগ্রন্থ গুলির নামসমূহ

প্রিয় পাঠকগণআমরা বেশীরভাগ মানুষই জানি হাদীস রাসূল (দ:)ওনার উফাতের প্রায় শতাব্দী পর হাদীস রচনা শুরু হয় যা ইহুদীদের চক্রান্ত ও … Read More

হাতে লিখিত বা হস্তে লিখিত হাদীস গ্রন্থের পান্ডুলিপির সংখ্যা

হাতে লিখিত বা হস্তেলিখিত হাদীস গ্রন্থের পান্ডুলিপির সংখ্যা সম্মানীত পাঠকগণ আমরা একটু পেছনের সোনালী দিনগুলির দিকে ফিরেগেলাম যেমন ২১৯ হিজরী ৩১৩ হিজরীথেকে ৭৭২ হিজরীপর্যন্ত এসময় ছিলনাবর্তমান সময়ের মত মুদ্রণ যন্ত্র কিন্তু তখনকার সময় আসমানী ইলমের উপর যতধরনের গবেষণা অধ্যাপনা সমকালীন সমস্যার সমাধান শিক্ষাদান করেছেন তারা সকলেই সবকিছু হাতে লিখে রাখতবিভিন্ন কাগজে বা বেগের থলে বা চামড়াড় থলে ইত্যাদিতে মোটকথা বলতে গেলেতারা এই ইলমেসাগরের যত কিছুইকরতো তা বেশীরভাগ লিখার জন্যনিজেদের হাতকেই ব্যবহার করেছেন যাকে সংক্ষেপে বলা হয় হন্তলিখিত পান্ডুলিপি যা আমাদের জন্য এক ইলমেসাগরের ভান্ডার বলে পরিচিত.আমাদের এই পূর্বপুরুষগণ যে আমাদের জন্যএত কষ্ট করে হাতে লিখে এই ইলমের সাগরকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তা পৃথিবীর অন্যকোন ধর্মে এত তথ্য আছে বলে পাওয়া য়ায় না একমাত্র ইসলাম ধর্মের উপর এত কিতাবআদী রচিত হয়েছে.কিন্তু আফসোসের বিষয় হলোআমরা বর্তমান মুসলিম সমাজ মাত্র সিহাহসিত্তাহ নামক ১০ থেকে ১৫টি গ্রন্থ সহিত আমরা পরিচিত বা আমাদের দেশেরযারা আলেমগণ আছেনতারা ও এগুলিসম্পর্কে আমাদেরকে জানান না বা জানাতে আগ্রহী ও নন.আর আমার কথা কি বলব আমি কোন আলেম নই আমি অনেকদিন যাবতএটার উপর গবেষণা করে এবং অ্যমেরিকাতে বসবাসরত আমার এক ভাইয়ের সহযোগীতায় এই কিতাব গুলি হাতেপেয়েছি তাই আমি অধম আপনাদের সামনেযাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজ হাতে লিখা হাদীসশাস্ত্রের পান্ডুলিপি গুলির সাথে আপনাদের পরিচয়করিয়ে দিতে চাচ্ছি যা বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে..এই পান্ডুলিপির সংখ্যা ২৭ টি পাওয়া য়ায় আরোঅধিক হতে পারে.হাদীস শাস্তের হাতেলিখিত ২৭ টি পান্ডুলিপি গুলি নিম্নরুপ…. ০১.সহীহ ইবন হিব্বান :-হাফিয আবু হাতিম মুহাম্মদ ইবন হিব্বান আল-বাস্তী (মৃত-৩৫৪ হি:) ০২.সহীহ ইবন খুযাইমা :- হাফিয ইমাম আবু বক্করমুহাম্মদ ইবন ইসহাকইবন খুযাইমী নিশাপূরী (মৃত:৩১১ হি:) ০৩.সহীহ আবু আউয়ানা :- হাফিজ আবু আউয়ানা ইয়াকুব ইবন ইসহাক ইবন ইবরাহিম ইন ইয়াযীদ আল   ইসফারাইনী নিশাপূরী (মৃত:৩১৬ হি:) ০৪.আস সাহীহুল মুনতাকা :- হাফিয আবু আলী সাঈদইবন উসমান ইবন সাঈদ ইবনূস সাকানবাগদাদী (মৃত:৩৫৩ হি:) ০৫.সহীহ ইসমাঈলী :- হাফিযইমাম আবু বকর ইবন আহীম ইবন ইসমাঈল জুরজানী (মৃত ৩৭১ হি:) ০৬.আল মুস্তাখারাজ আল মুসলিম :-হাফিয আবু আউয়ানা ইয়াকুব ইবন ইসহাক. ০৭.আল মুস্তাখরাজ লি ইবন মানদাহ :- হাফিযআবুল কাসিম আবদুররহমান ইবন মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক ইবন মানদাহ (মৃত:৪৭০ হি:) ০৮.আল-মুস্তাখরাজ :-আবু নুআইম আহমাদ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আহমাদইসফাহানী (মৃত:৪৩০ হি:) ০৯.মুসনাদে ইবন আবী উসামা :-ইমাম আল হারিস ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু উসামাআবু মুহাম্মদ তাইমী বাগদাদী (মৃত:২৮২ হি:) ১০.মুসনাদে ইবন আবী আমর :-হাফিজ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া ইবন আবু আমর আল মাদানী আদ দারাওয়ারদী (মৃত:২৪৩ হি:) ১১.মুসনাদে তায়ালিসী :- ইমাম সূলাইমান ইবন দাউদইবন জারুদ অর্থাত আবু দাউদ আত তায়ালিসী আল বাসরী(মুত:২০৪ হি:) ১২.মুসনাদে আবু আউয়ানা … Read More

রাসূল (দ:)ওনার যুগ থেকেই হাদীস লিখন শুরু

সম্মানীত পাঠকগণ আমরা এই নতুন দিন গুলি থেকে একেবারে রাসূল (দ:)ওনারসেই সোনালী দিন গুলিতে ফিরে গেলামযখন ওনার উপর একটু একটু করে বিভিন্ন অবস্থায় লাওহোমাহফুজে সংরক্ষিত কোরান মাজীদ নাযিল হয়েছিল.ঠিক তখনকার সময় বিভিন্ন সাহাবীগণ একজন  ২জন ৫জন সাত জন ১০জন১২জন এরকম করে তারা ইসলাম ধর্মের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ঠিক তখন রাসূল(দ:)ওনার উপর ও কোরান মাযিদএকটু একটু করে নাযিল হচ্ছিল কিন্তু ইসলাম ধর্ম একেবারে নতুন হওয়ায় কুরআনহাদীসের সাথে তাদেরকোন পূর্ব পরিচয়ছিলনা যার ফলে তারা যখন রাসূল(দ:)ওনার কাছ থেকে কোন কিছুশুনতেন কেউ মুখস্থ করতেন কেউ আবারলিখে রাখতে চেষ্টা করতেন এটা ছিল প্রাথমিক অবস্থায়.তবে এই লিখে রাখার ব্যপারটি কেউ রাসূল(দ:)অনুমতি নিয়েলিখতেন আবার কেউ তাদের ব্যক্তিগত উদ্যেগে লিখেরাখতেন.কিন্তু সেই প্রাথমিক কালে লিখেরাখার পদ্ধতি টি তেমন উন্নতি সাধনহয়নি.কারণ রাসূল(দ:)যখন কোনকিছু বলতেন তখন সেটার সাথে কোরান ও হাদীস দুটোই মিশ্রণ ভাবে বলতেনবা পৃথক পৃথকবলতেন এতে অনেকসাহাবায়ে কেরাম তার(দ:)ঐ বক্তব্য অনুযায়ী কোরান ও হাদীস মিশ্রণ করে লিখে রাখতেন কারণতখনকার সময় কোনটা কোরানের বা কোনটা রাসূল (দ:)ওনারহাদীস সেটা বুঝাখুবই কঠিন ব্যপার ছিলো আবার এখন একটি ব্যপারে কোরানের আয়াত নাযিল হয়েছেআবার পরোক্ষেন সেটা রহিত হয়ে গিয়েছে এগুলি সাহাবায়ে কেরামদের প্রাথমিক অবস্থায় বুঝে উঠা কষ্ট্যসাধ্য ছিলো যার ফলে অনেকেই কোরান ও হাদীস দুটোএকসাথে মিশ্রণ করে লিখে ফেলতেন.কিন্তু এই কোরান ও হাদীস এ দুটিরমিশ্রণ পদ্ধতির এ লেখন রীতী নি:সন্দেহে ঝুকিপূর্ণ ছিলো.এর ফলে কোরান ও হাদীস অবিমিশ্রিত সন্দেহ গ্রন্থ হওযারআশংকা ছিলো এবং এই কোরান হলোলাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কোরানের হুবুহ না আছে তার কোনকমতি বর্তমান কোরানের সাথে এর মধ্যেকোন শব্দ কম বা বেশী করারঅনুমতি দেওয়া হয়নি.তাই রাসূল (দ:)সাহাবায়ে কেরামের এই প্রাথমিক অবস্থা ও তাদের কোরান ও হাদীস দুটো মিশ্রণ পদ্ধতির লিখন দেখেসাময়িকভাবে কুরআন ব্যতীত অন্যকিছু লিখতে নিষেধকরেন যার ফল শ্রুতিতে এই নিষেধাজ্ঞার উপর কয়েকটি হাদীসলিপিবদ্ধ হয় হাদীসগুলি নিম্নরুপ :- ০১.রাসূল (দ:)আমাদীগকে কুরআন ব্যতিত অন্যকিছুই না লিখতেআদেশ দেন-সূত্র-উমদাতুল কারী-শরহেবূখারী. ০২.আমরা প্রিয়নবীর কাছে যা শুনতাম তা লিখে রাখতাম একদাতিনি আমাদের কাছে  আসলেন এবং বললেন তোমরা এগুলিকি লিখছো,আমারাউত্তর দিলাম,আপনারনিকট যা শুনিতাই লিখে রাখি,তিনি বললেন,আল্লাহর কিতাবের সাথে মিশ্রীত করে আরেক কিতাবতৈরী করছো.এরুপলিখা ত্যাগ করো.তখন সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম বলেন আমরামিশ্রিতভাবে যা লিখেছিলাম সবগুলো একত্রে করে একটি মাঠে নিয়েএগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলি-সুত্র-মুসনাদে ইমাম আহমদ,মাজমাউয খাওয়ায়িদ. ০৩.আমরা রাসূল (দ:)এর নিকট লেখারব্যাপারে অনুমতি প্রার্থনা করলাম তখন তিনিআমাদের অনুমতি দেন নি-সূত্র-উমদাতুল কারী-শরহে বূখারী.এই কতিপয় হাদীস গুলিরউপর ভিত্তিকরে বর্থমানে আমরাবলে থাকি রাসূল(দ:)ওনার ওফাতের শতাব্দী পর হাদীসলিখন শুরু হয় এটা আমাদের ভুল ধারনা. প্রিয় পাঠকগণ উপরোক্ত বক্তব্য থেকেবুঝা যায় রাসূল(দ:)কেন হাদীসলিখে রাখতে নিষেধকরেছিলেন কারণগুলি আমি আবার লিখলাম :- ১.সে সময়টি মধ্যেসাহাবীরা এক নতুনকোরান ও হাদীসশুনতেন রাসূল (দ:)ওনার পাক জবানথেকে ২.সেই কোরানের আয়াত কখন প্রযোয্য কখন প্রযোয্য না সেটাতখন সাহাবী তেমনবুঝতেন না ৩.আর তখন মানুষধীরে ধীরে ইসলামের দিক অগ্রসর হচ্ছিলেন ৪.আর এ সময় কোরানের অনেক আয়াতরহিত অবস্থায় ছিলো ৫.তকন সমস্ত কোরান একেবারেই নাযিল হয়নিযার ফলে নতুননুতন সম্যস্য সম্পর্কে ফায়সালা দেওয়া যেতনা ৬.কোরান একটু একটুকরে নাযিল হতোআর একটু একটুকরে হুকুম জারিহতো. ৭.আর তখনকার সাহাবীরা সবচেয়ে ঝুকিপূর্ন যে কাজটি করত তা হলো তারা কোরান ও হাদীস দুটোই একসাথে বা মিশ্রীতভাবে লিখে রাখত আর এটাই ছিলো মূল কারণ. পাঠকগণ ৭ নং পয়েন্টি অন্তরে গেথে নিন বেশিরভাগ এই কারনটির কারণেরাসূল (দ:)তখনকার আমলে সাময়িক অবস্থার জন্য বা কিছুদিনের জন্য হাদীস লিখেরাখতে নিষেধ করেনঅন্যদিকে তা মূখস্থ করতে এবং প্রচার করতে আদেশ দেস.কিন্তু রাসূল (দ:)সাহাবায়ে কেরামকে সর্বোচ্চো সাবধানতা অবলম্বন করতেনির্দেশ দেন তারাযেন কোন ক্রমেই কুরানের সহিত হাদীসের মি্শ্রন না ঘটায়তা ও বর্ণনা করেন সেই উদ্দেশ্য রাসূল (দ:)একটিহাদীস বর্ণনা করেনহাদীসটি নিম্নরুপ :- ১.হযরত আবু সাঈদ(রা:)থেকে বর্ণিত আমার কোন কথা তোমরা লিখো না,যে ব্যক্তি কুরানব্যতিত আমার নিকটথেকে অন্য কিছুলিখেছে সে যেন তা মুছে ফেলে.তবে আমার কথা বা আমার সম্পর্কীয় কথা তোমরা মৌখিকবর্ণনা কর.তাতেকোন দোষ নেই,মূল কথা হলোআমার বাণীগুলোর মধ্যেও যেন অবিমিশ্রিত নিখুত সত্যতা বজায় থাকে,যেন কোন প্রকার মিথ্যার প্রশ্রয় দেওয়ানা হয়.কারণযে আমার সম্পর্কে কোন মিথ্যা কথা বলবে সে যেন জাহান্নামকে নিজের ঠিকনাবানিয়ে দিবে-সুত্র-সহীহ মুসলিম.প্রিয়পাঠকগণ আশাকরি অধমেরএটুকু লিখাতেই বুঝতেপেরেছেন কেন রাসূল(দ:)হাদীস লিখতেনিষেধ করেছেন সাময়িক অবস্থার জন্য. হাদীস লিখে রাখতে আদেশ:-ইতিপূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি কেন রাসূল(দ:)সাময়িক কালেরজন্য ইসলামের সূচনাপর্বে সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে হাদীস লিখে রাখতেনিষেধ করেছিলেন.কিছু কাল বা দিন অতিবাহীত হওয়ার পর রাসূল (দ:)যখন নিজেই দেখলেন ওনারসকল সাহাবীগণ সেই ঝুকি থেকে মুক্তহয়েছেন তখন রাসূল(দ:)নিজেই হাদীসলিখতে অনুমতি সহ উতসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে নির্দেশ দেন.এ প্রসঙ্গে কতিপয় হাদীস প্রেরণ করলাম :- ০১.আবু হুরায়রা (রা:)বলেন,আনসারদের জনৈক ব্যক্তি প্রিয়নবীর মজলিসে যাতায়াত করতেন.তিনিপ্রিয়নবীর কথা বার্তা শুনতেন তার ভালইলাগতো কিন্তু তিনিতা মুখস্থ করতেপারতেন না.কাজেইতিনি প্রিয় নবীর  কাছে থেকেএ সমস্যাটি জানিয়ে বলেন আমি আপনারকোন কথা বার্তা মনে রাখতে পারিনা,তখন রাসূল(দ:)বলেন তুমিডান হাতের সাহায্য নাও এ কথা বলে রাসূল (দ:)নিজের হাত তাকেলিখে রাখার ইশারাকরে দেখিয়েছেন-সূত্র-জামি তিরমিযী:আবুয়াবুল ইলম. ০২.আব্দুল্লাহ ইবন আমর(রা:)থেকে বর্নিত নবী (দ:)বলেছেন ইলমে হাদীসকে আবদ্ধকরে রাখ.আমি বললাম এটা আবদ্ধকরার অর্থ কি তিনি বললেন এর অর্থ হলো ইলমেহাদীসকে লিখে রাখো-সূত্র-মুস্তাদরাকে হাকিম:কিতাবুল ইলম. ০৩.সহীহ বূখারীতে বর্নিত আছে যে,বনু লাইসের লোকেরা খোজায়া গোত্রের একজনকে হত্যাকরে,এই হত্যার বিনিময়ে খোয়ায়া গোত্রের রোকজন মক্কা বিজয়ের বছর বুন লাইসের একজনকে হত্যা করে,এ প্রসঙ্গে নবী (দ:)একটি খুতবাপ্রদা করেন.উপস্তিত লোকদের মধ্যে আবু শাহ নামক এক সাহাবী খুতবাটি লিখেদেওয়ার জন্য আবদেনকরলে প্রিয়নবী (দ:)আবু শাহকে এ খুতবা লিখে দিতেনির্দেশ দেন-সূত্র-সহীহ বূখারী. … Read More

তোমরা আমার কবরকে ঈদে পরিণত করো না এ হাদীসটির সঠিক ব্যাখ্যা

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…  (তোমরা আমারকবরকে ঈদে পরিণতকরো না এর সঠিক ব্যাখ্যা) আমরা আজ চরম ফ্যাতনার যুগে বসবাস করছিমুসলিম উম্মার আলেমউলামা থেকে শুরুকরে সাধারণ মুসলিমসহ অনেকেই এই ফ্যাতনা ফ্যাসাদের জড়িয়ে যাচ্ছে দিন দিন মানুষসত্য থেকে দুড়েসড়ে যাচ্ছে যার ফলে ইসলামের সত্যরবাণী গুলো যুগেযুগে ডেকে পড়ছেকিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার এই সত্য উতঘাটনের জন্য কাউকে না কাউকেবেচে নিয়ে থাকেনঠিক তেমনি আল্লাহ একজনকে বেচে নিয়েছেন যার নাম ইতিহাসের পাতায় পাতায় বিদ্যমান শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী (র:).আজকে আমি তারইরচিত কিতাব থেকেদলিল দিব উপরেরহাদীসটির… হাদীসটি:-তোমরা আমার কবরকেঈদে পরিণত করোনা :-এই হাদীসটির ব্যখ্যায় মুহাদ্দিস হাফিয বিশারদ মুনযিরি (র:)বলেছেন যে,এ হাদীসের উদ্দেশ্য হচ্ছে,অধিকভাবে যিয়ারত করার জন্যউতসাহিত করা.কেননাহাদীসের অর্থ হচ্ছে,তোমরা আমার কবরকেঈদের মতো বছরেশুধু ২ একবারযিয়ারত করে ক্ষান্ত হয়ো না বরং যত বেশী সম্ভবযিয়ারত করো.যেমনঅন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে,তোমরা তোমাদের ঘড়কে কবর বানিয়ো না এই হাদীসটর অর্থ হচ্ছে, তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে ইবাদতবিহীন অবস্থায় থেকোনা.যেমন,মুরদাগণ কবরের মধ্যে ইবাদতবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকে.বরং ঘড়ের মধ্যেসর্বদা নামায বন্দেগিতে মশগুল থাকবে.উপরোক্ত হাদীসের আরেকটি ব্যখ্যা হচ্ছে,তোমরা আমারকবর যিয়ারতের জন্য ঈদের মতো কোনসময় নির্ধারিত করো না.এইভাবে যে ঈদের মতো বছরেহয়তো ২ একবারযিয়ারত করলে ব্যাস, বরং মনে রাখবেবছরের সবসময়ই যিয়ারতের সময় অথবা এই হাদীসের মধ্যে কবরকেঈদের সাথে এই উদ্দেশ্যেই তুলনা হয়েছেযে,ঈদের সময় তোমরা যে রকম আনন্দ উল্লাসে মেতেউঠো যিয়ারতের সময় তদ্রুপ উতসবে মেতেউঠো না বরং দুরুদ ও সালামের মধ্যেই যিয়ারতকে সীমাব্ধ রাখো.সম্মানিত পাঠকগণ এই হলো উপরোক্ত হাদীসটির ব্যখ্যা এই হাদীস দ্বারা অনেকই রাসূল (দ:)ওনার রওযা যিয়ারত করতে বাধা প্রদান করেন আশাকরি এই হাদীস দ্বারা বাধাপ্রদান মুখ্য উদ্দেশ্য নয় বরং বছরেদু বার সীমাবদ্ধতা যেন নায় হয় এবং আনন্দ উল্লাস যেন না হয় সেদিকে ইংগিত করা হয়েছে.তাই সকলেরকাছে আবেদন যে কোন হাদীস দেখেইফতোয়া দেওয়া শুরুকরবেন না কারণহাদীসের ব্যখ্যা ছাড়াহাদীস ব্যখ্যা করা মানে নিজের পায়েনিজেই কোরাল মারাতাই আবার ও বলছি সাবধান হউন.আল্লাহ আমিন.প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকাশরীফ।

রাসূল (দ:)ওনার রওযা শরীফ যিয়ারতের ফযিলত সম্পর্কে হাদীস

আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও … Read More

কবর জিয়ারত সম্পর্কেঃ

জিহাদে শহীদগণের কবর জিয়ারত প্রসংগেঃইব্রাহিম বিন মুহাম্মদ (রা) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বছরের প্রারম্ভে ওহুদ যুদ্ধে শহীদদের সমাধি … Read More

লা-মাযহাবীদের শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী স্বরুপ উন্মোচনঃ

♦ উক্ত ভাইদের মূলত “বুখারী শরীফ মানি” এই দাবিতেই সোচ্চার দেখা যায় বেশি।(যদিও কতটুুুকু মানেন তা গোড়ায় হাত দিলেই বুঝায় … Read More

মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নাম শুনে বৃদ্ধা আংগুল বা শাহাদাত আংগুলিতে চুম্বন করাঃ

হাদীস নং-১‘‘হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বাহ (রা) বলেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল অত্যন্ত পাপী, যে ২০০ বছর পর্যন্ত আল্লাহর নাফরমানী … Read More