জরুরী ভিত্তিক পোষ্ট দ্রুত শেয়ার করে রক্ষাকরুন আহলে হাদীসের এই ফ্যাতনা থেকে…..! (বিতর নামাযে দুয়াকুনুতের পর ২ হাত তোলা সূন্নাতে সাহাবা) সম্মানীত পাঠকগণ আজ আমরাফ্যাতনার যুগে বসবাসকরছি কারণ আমাদের পূর্ববর্তী ইমামগণ যে ভাবে আমাদের নামাযশিক্ষা থেকে শুরুকরে যাবতীয় ইসলামধর্মের নিয়ম কানুনশিখিয়েছেন সেগুলি এখনকার আহলে হাদীস দলটিরকাছে বেশীরভাগ আমলগুলোই বেদাতে পরিণত হয়েছে যেমন: ফরজ নামাযের পর দুআ করা বেদাত,তারাবী নামায ২০ রাকাত বেদাত,বিতরনামায ৩ রাকাতবেদাত,নামাযে একবাররফইয়াদিন করা বেদাতইত্যাদি ইত্যাদি,বর্তমানে তারা ফ্যাতনা হিসেবে নতুন বেদাত বের করেছে আর সেটাহলো বিতর নামাযে ২ রাকাতের পর দুয়া কুনুত পরে আমরা যে ২ হাত তুলে তাকবীর দেই এটা নাকিবেদাত।আসলে এই আমলটিকি বেদাত তা পর্যালোচনা করব হাদীসের ভিত্তিতে এই প্রসঙ্গে এত হাদীস বর্ণনা করা আছে যে তা যদি আমি লিখি ২০ থেকে৩০ পৃ: আমাকেলিখতে হবে তাই আমি খুব সংক্ষেপে লিখার চেষ্ট করব…হাদীসটি নিম্নরুপ….. # আসওয়াদ (র:)হযরতআব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা:)থেকে বর্ণনা করেন যে,তিনিবিতরের শেষ রাকাতে রুকুর আগে দুআ কুনুত পড়তেন তারপরদু হাত তুলতেন।ইমাম বুখারী (র:)তার জুযউ রাফইল ইয়াদান শীর্ষক পূস্তিকায় ২৮ পৃ: এটি বর্ণনা করেন এবং বলেনএটি সহীহ। # আবু উসমান (র:)থেকে বর্ণিত যে,হযরত উমর (রা:)কুনুতে তার দু হাত উত্তোলন করতেন এটিও ইমাম বূখারী তার জুযউ রাফইলইয়াদান শীর্ষক পূস্তিকায় এটি বর্ণনা করেনএবং বলেন এটিকেসহীহ সাবাস্ত্য করেছেন। তার থেকেই বিশুদ্ধ সূত্রে বর্নিত আছে যে,তিনি বলেনউমর (রা:)লোকদের ইমামত করতেন।তিনি রুকুরপূর্বে আমাদের নিয়েকুনুত পড়তেন।তিনি তার দু হাত এত উচু করতেন যে,তার হাতের করভাগদেখা যেত এবং তার বাহুদয় বের হয়ে যেত এটিওইমাম বুখারী তার উক্ত পুস্তিকায় বর্ণনা করেছেন। এই ২টি হাদীস ছাড়াআরো অনেক হাদীসবর্ণনা করা আছে যা যুক্ত করেনিপোষ্ট বড় হওয়ারকারণে। উপরের ২টি হাদীস দ্বারা দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে গেল যে বিতরের নামাযে দুয়াকুনুতের পর হাত তুলা যায়েয। :-হাত তুলা প্রসঙ্গ :-কুনুতে হাত তুলা প্রসঙ্গ বেদাত এর একটিহাদীস পাওয়া যায় যেটি ইবনে উমার(রা:)থেকে বণিতএখন প্রশ্ন যিনিনিজেই হাত তুলেছেন আবার নিজেই এটাকেবেদাত বলেছেন এটা কি করে হয় আসূণ দেখি ইবনেউমার (রা:)কেন বা কি কারণেহাত তুলাকে বেদাতবলে অ্যাখ্যয়িত করেছেন হাদীসটি নিম্নরুপ:.. # হযরত ইবনে উমার (রা:) বলেছেন যে,তোমরা কি ভেবে দেখছসালাতে হাত তুলারব্যপারটি,আল্লাহর কসম এটি বেদাত। রাসূল(দ:)এর বেশীউচু করতেন না এই বলে তিনি হাত তুললেন।উক্ত হাদীসটি হাসান পর্যায়ের। : হাদীসটির ব্যখ্যা:- এর অর্থ এই নয় যে কুনুতের জন্যআদৌ হাত তুলাবেদাত।কেননা এর পরে তিনি বলেছেন রাসূল(দ:) কখনও এর বেশী হাত তুলেননি। এই বলে নিজেই স্বীয় হাত কাধ বরাবর তুলেদেখিয়েছেন।যা প্রমাণ করে কুনুতের পর এক পর্যায়ে হাত তুলাসূন্নাত।তাই আমি অধম উক্ত হাদীস গ্রন্থের এবং এই হাদীসগুলির পর্যালোচনা থেকে প্রমান করলাম যে বিতরের নামাযে কুনুতের পর হাত তোলা রাসূল(দ:)ওনার নিজ এবং সাহাবীগণের আমল।যেটি সূন্নতী আমল হিসেবগ্রহণযোগ্য।কিন্তু আফসোস আমারআহলে হাদীস ভাইদের প্রতি যারা রাসূল(দ:)ওনার এই আমলকে বেদাত বলে ফতোয়া দিচ্ছে এবং সাধারণ মুসলিম ভাইদের মধ্যে ফ্যতনা ছড়াচ্ছে।তাই আমি সকল পাঠকদের বলব এই পোষ্টি খুব দ্রুত শেয়ারকরে সকল ভাইদের আহলে হাদীস নামকফ্যাতনা থেকে রক্ষাপেতে সহায়তা করুন..আল্লাহ আমিন…প্রচারে..মোখলেছিয়া সূন্নী খানকাশরীফ