মাযারে গমন ও নবী – ওলীদের কাছে দোয়া চাওয়া বৈধ বিসমিলাল্লাহিররাহ মানির রাহিম।নবী (আঃ) ওআউলিয়ায়ে কেরাম (রা:) দের যিয়ারতের জন্যতাঁদের মাযার শরীফেগমন করা এবংতাঁদের নিকট দোয়াচাওয়া বৈধ, এবংইহা দোয়া কবুলহওয়ার জন্য একটিউত্তম পন্থা। নবী (আঃ) ওআউলিয়ায়ে কেরামগণও আল্লাহর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কারো জন্যদোয়া এবং সাহায্য করারক্ষমতা রাখেন। ””””””””””” ””””””””””” ”””””””নিম্নে বর্ণিত দলীলসমূহের মাধ্যমে প্রমানদেওয়া হলো।””””””””’ ”””””””” ”””””””””””””(০১) মেশকাত শরীফের১৫৪নং পৃষ্ঠায় “যিয়ারাতুল কুবরা” অধ্যায়ে রাসূলে পাক(দঃ) এ্ররশাদ করেন- অর্থাৎ হযরতআব্দুল্লাহ ইবনে মাসুউদ(রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বর্ণনাকরেন রাসূলে পাক(দঃ) ইরশাদ করেছেন”আমি তোমাদেরকে প্রাথমিক যুগেকবর যিয়ারত করতেনিষেধ করতাম।এখন তোমরাকবর যিয়ারত করোকেননা যিয়ারতের দ্বারাদুনিয়ার প্রতি মোহকাটবে এবং পরকালের কথাস্মরণ আসবে। ————–++++————-+++++(০২) অন্য একটিহাদীসের মাধ্যমে জানাযায় হযরত ওমরফারুক (রাঃ) খেলাফতের জামানায় দুর্ভিক্ষ দেখাদিলে হযরত বেলালইবনে হারেস (রাঃ) রাসূলে করিম (দঃ) এর রওজা মোবারকে উপস্থিত হয়েতাঁর নিকট এভাবেদোয়া করছিলেন ইয়ারাসূলাল্লাহ (দঃ) আপনিনিজ উম্মতের জন্যবৃষ্টি প্রার্থনা করুন। ইমাম বায়হাকী (রাঃ) তাঁর কিতাবে বর্ণনাকরেন-অর্থাৎঃ হযরতওমর ফারুক (রাঃ) এর খেলাফত কালেযখন জনগন দুর্ভিক্ষে পতিতহলো তখন হযরতবেলাল বিন হারেছ(রাঃ) (তিনি রাসূলাপাক (দ:) এরএকজন অন্যতম সাহাবীছিলেন) রাসূল পাক(দঃ) এর রওযামোবারকের নিকট গেলেন এবং রাসূলে পাক(দঃ) কে সম্বোধন করেবললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (দঃ) আপনি আপনার উম্মতের জন্যবৃষ্টির প্রার্থনা করুন, কেননা তারা (অনাবৃষ্টির কারনে) ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অতঃপর রাসূেল করীম(দঃ) স্বপ্নের মাধ্যমে তাঁরনিকট আগমন করলেনএবং এ বলেসংবাদ দিলেন “নিশ্চয়ই তাদেরউপর বৃষ্টি বর্ষিতহবে।” এবং তাইহয়েছিল।(আলহাকায়েকুল ইসলামিয়্যাহ, পৃঃনং- ২৪)—————+++++—————- (০৩) ইমাম শাফেয়ী(রাঃ) সুদূর ফিলিস্তিন থেকেসফর করে বাগদাদশরীফে এসে ইমামআবু হানীফা (রাঃ) এর মাজার শরীফেজিয়ারত করতেন এবংবরকত লাভ করতেন। অর্থাৎ আমি(আমি শাফেয়ী) বরকতলাভের উদ্দেশ্যে ইমামআবু হানিফা (রাঃ) এর মাযারে আগমনকরে থাকি। যদিকোন বিষয়ের সমাধানপ্রয়োজন হতো, তখনআমি দুরাকাত নফলনামায পড়ে, তাঁরমাযারে গিয়ে খোদারকাছে (তাঁর উসিলাধরে) প্রার্থনা তরতাম।সাথে সাথে আমারসে মকসুদ পূর্ণহয়ে যেতো।(ফতোয়ায়ে শামীর মোকাদ্দামা, পৃষ্টানং- ১৪৯) (০৪) ইমাম শাফেয়ী(রাঃ) আওলাদে রাসূল(দঃ) ইমাম মুসাকাজেম (রাঃ) এরমাযার সম্পর্কে বলেন-অর্থাৎ- হযরতমুসা কাজেম (রাঃ) এর মাযার দোয়াকবুল হওয়ার জন্যপরীক্ষিত অব্যর্থ ঔষধ।অর্থাৎ হযরতমুসা কাজেম (রাঃ) এর মাযারে গিয়েকোন দোয়া করাহলে ঐ দোয়াবিফলে যায় না।বরংআল্লাহর দরবারে গৃহীতহয়।(মেশকাত শরীফের ১৫৪নংপৃষ্ঠার ২নং টিকা) (০৫) আল্লামা মোল্লাআলী ক্বারী (রাঃ) রচিত “নুজহাতুল খাতিরিল ফাতিরফি তরজুমাতে সাইয়্যিদী আশশরীফ আব্দুল কাদির” নামক গ্রন্থে হযরতগাউছে পাক (রাঃ) এর মশহুর উক্তিবর্ণনা করেন।উক্তিটি নিম্নরুপ। অর্থাঃ বড়পীড় আব্দুলকাদের জিলালী (রাঃ) বলেন- ” যে ব্যক্তি চিন্তাভাবনায় পড়ে আমারনিকট (রুহানী) সাহায্য প্রার্থনা করেতার চিন্তা ওপেরেশানী দুর হবে। … Read More