★শুধুমাত্র সুনামগঞ্জের ওহাবীরা ই নয়, সারাদেশের ওহাবীরাই আল্লামা হোসাইনী হুজুর ক্বিবলার বিরোধীতা করে, অপপ্রচার চালায়, হুমকি দেয়। এগুলো অস্বাভাবিক কোন বিষয় নয়★

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

★শুধুমাত্র সুনামগঞ্জের ওহাবীরা ই নয়, সারাদেশের ওহাবীরাই আল্লামা হোসাইনী হুজুর ক্বিবলার বিরোধীতা করে, অপপ্রচার চালায়, হুমকি দেয়। এগুলো অস্বাভাবিক কোন বিষয় নয়★

এদের কাছ থেকে এর চাইতে ভালো কিছু আশা করা যায় না। এটি হুজুর ক্বিবলার সুন্নীয়াত প্রতিষ্ঠার আশা জাগানিয়া প্রতিক্রিয়াও বটে।

কেননা, #একজন সিংহের হুংকারে লাখো শেয়ালের দলের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ঠিক তেমনি সুন্নীয়াতের সিংহ পুরুষ আল্লামা হোসাইনী হুজুর ক্বিবলার ঈমানী বজ্রকন্ঠের হুংকারে ওহাবী বদ-মাযহাবীদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

ইয়াজীদের দল মওলায়ে পাক ইমামে আলী মক্বাম সাইয়্যিদুনা ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহর বিরোধীতা করেছে, তিনিকে নির্মম ভাবে শহীদ করে দিয়েছে, তাই আজ যদি সেই ইয়াজীদের উত্তরসূরী ওহাবী,লা মাযহাবী, নামধারী সুন্নী আওলাদে রাছুল, আলে হোসাইন আল্লামা হোসাইনী হুজুর ক্বিবলার বিরোধীতা করে উনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এটা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয় ই বটে। কেননা,এজীদি-ওহাবীবাদের জন্ম ই হয়েছে মুনাফিক্বি, অপপ্রচার, জঙ্গিবাদ এর দ্বারা।

ওহাবীরা হুজুর ক্বিবলার বিরোধীতা করে, তার পেছনে যথেষ্ট কারন বিদ্যমান। নিম্নে কয়েকটি কারন বর্ননা করা হলোঃ

১: হুজুর ক্বিবলা এলাকায় বাতিল আক্বিদার স্বরুপ উন্মোচন করে সুন্নী আক্বিদা প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছেন। তাই ওহাবী বাতিল আক্বিদা ধ্বংসের মুখে পড়ছে।

২: তিনি এলাকার সাধারন জনতাকে ওহাবী বাতিল আক্বিদা আর সুন্নী হক্ব আক্বিদা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ফলে ওহাবীদের এতোদিনের কুচক্রি মতবাদ ধুলিস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে।

৩: হুজুর ক্বিবলা এলাকার ছোট – বড়

সকল কেন্দ্রে নবীজ্বির শান-আযমতের আলোচনা করছেন, এতে করে সাধারন মানুষের অন্তর ইশকে রাছুল এ পূর্ন হচ্ছে। ফলে, ওহাবীরা বয়কট হচ্ছে সাধারন জন সাধারন হতে।

৪: হুজুর ক্বিবলা এলাকায় ঘরে ঘরে সুন্নী মাহফিল করার ডাক দিয়েছেন, ফলে ওহাবীরা পড়ে যাচ্ছে চরম বেকায়দায়।

৫: হুজুর ক্বিবলা বাৎসরিক শোহাদায়ে কারবালা মাহিফল করে, আহলে বাইতের শান, মুনাফিক্ব কুফাবাসীর চরিত্র আর কাফির ইয়াজীদ-ওহাবী গোষ্ঠীর আসল রুপ প্রকাশ করে দিচ্ছেন। ফলে, ওহাবীদের অন্তরে ক্যান্সার দেখা দিয়েছে।

৬ঃ হুজুর ক্বিবলা বাৎসরিক ঈদে মীলাদুন্নাবী মাহফিল ও পবিত্র জশনে জুলুছ করে যাচ্ছেন। মাহফিলে আলোচনা হচ্ছে নবীজ্বি নূর, হাজির-নাজির, গায়েবের খবরদাতা, হাজির-নাজির, জিন্দানাবী, হায়াতুন্নাবী সহ মৌলিক সুন্নী আক্বিদার। জুলুসে চলসে নারায়ে রিসালাত — ইয়া রাছুল্লাল্লাহ স্লোগানের উত্তাল তরঙ্গ!

ফলে ওহাবী গোষ্ঠীর অন্তরে পঁচন ধরে গেছে।

৭ঃ প্রতি চাঁদে দরবার শরীফে পবিত্র গিয়ারভী শরীফ উদযাপিত হয়, হুজুর গাউছে পাকের বেলায়তি শান-শওকত সহ ওলী আল্লাহ গনের শান ও আযমত এর আলোচনায় মুখরিত হয় পরিবেশ। ফলে, ধীরে ধীরে পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে ওহাবীদের।

৮ঃ হুজুর ক্বিবলা নিজ উদ্যোগে,অনেক ক্ষেত্রে নিজ খরচে সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ সারাদেশের উদভ্রান্ত ছেলেদের আ’লীম গড়ার লক্ষে পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের নামকরা সুন্নী মাদ্রাসা গুলোতে। ফলে, এতোদিনের খালি মাঠে গোল দেয়া ওহাবীরা এখন তাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

৯ঃ হুজুর ক্বিবলা এলাকায় হক্ব বাতিলের পার্থক্য চিহ্নিত করে দেয়ায়, এলাকার ধান,চাল, চামড়া,যাকাত,ফিতরার টাকা ওহাবীদের পেটে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে, ওহাবীরা তাদের পেট নিয়ে দুঃখে পড়েছে।

১০ঃ গোটা সিলেট বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার খারেজী মাদ্রাসা দ্বারা অধ্যুষিত ওহাবীদের কেল্লা খ্যাত সুনামগঞ্জ। হুজুর ক্বিবলা এই জেলার ই প্রত্যন্ত এক অজপাড়া গাঁ কালাগুজায় প্রতিষ্ঠা করেছেন সুন্নীয়াতের বৃহত্তর মারক্বাজ গাউছিয়া হোসাইনীয়া দরবার শরীফ, যাতে করে পুরো বিভাগের যেকোন সুন্নী ব্যাক্তির দলিল-আদিল্লা কিংবা বাহাস-মুনাজারার আশার উজ্জ্বল প্রদীপ আল্লামা হোসাইনী হুজুর ক্বিবলা। ফলশ্রুতিতে তাদের বদ আক্বিদার অস্তিত্ব এখন চরম সংকটাপন্ন।

১১ঃ বিশাল জমি জুড়ে বৃহত্তর সুন্নী মাদ্রাসা, মসজিদ,পাঠাগার,কবরস্থান এতিমখানা সহ সুন্নীদের যাবতীয় প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে হুজুর ক্বিবলা নিজ রক্তঝড়া শ্রমে অর্জিত অর্থে ক্রয় করেছেন বিস্তীর্ণ জমি। দেশের অন্যতম আ’লীম বানানোর কারখানা গড়াই হুজুর ক্বিবলার প্রধান লক্ষ।

ফলে,পুরো সুনামগঞ্জ জেলা সহ সারাদেশের ওহাবীরা এখন ভাদ্র মাসের কুকুরের মতো মরিয়া হয়ে উঠেছে হুজুর ক্বিবলার বিরুদ্ধে অপবাদ,অপপ্রচার চালিয়ে তিনির পথরুদ্ধ করতে। তাদের বদ আক্বিদা প্রতিষ্ঠার কুচক্র আজ মাথা তুলে দাড়াতে পারছে না সুন্নীয়াতের সিংহ পুরুষ আল্লামা হোসাইনী হুজুর ক্বিবলার বজ্রকন্ঠী ঈমানী হুংকারের প্রকম্পে।

তাই, তারা বারবার ই বেছে নিয়েছে ষড়যন্ত্রের কূট কৌশল। তার অনেক নজীর আপনারা, সুন্নীয়াতের সিংহ পুরুষ উপাধীর হাক্বিকত শিরোনামের লিখিত ১২ পর্বের সিরিজে পড়েছেন।

এখনো তারা সে ষড়যন্ত্রের ধারা অব্যাহত ই রেখেছে। আপনারা নিশ্চয় ই জানেন, সম্প্রতি গত ২০১৭ ইং এর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নাবী মাহফিল ও জশনে জুলুস বন্ধের তারা দরবারের উপর প্রশাসনের উচ্চ মহল হতে নিষেধাজ্ঞা সৃষ্টি করে।

অত্র অঞ্চলে হুজুর ক্বিবলার জানবাঁজ সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত কিছু প্রেক্ষাপট নিয়ে সুন্নীয়াতের সিংহ পুরুষ উপাধীর হাক্বিকাত শিরোনামে লিখিত

১২ পর্বের সিরিজের লিংক পেতে চোখ রাখুন আমার পরবর্তী পোস্টে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment