২০.রাসূল (ﷺ)‘র আগমনের দিনে ঈদ উদ্যাপন করা বৈধ:

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মহান আল্লাহ তা‘য়ালা নিয়ামত প্রাপ্তির পর তার শোকরিয়া আদায়ের জন্য মহান রব কুরআনে বহুবার তাগিদ দিয়েছেন। আর আল্লাহর বড় অনুগ্রহ বা নিয়ামত হলো রাসূল (ﷺ)। মহান আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেন-

قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ

অনুবাদঃ হে হাবিব! আপনি বলে দিন আল্লাহর অনুগ্রহ (ইলম) ও তার রহমত (রহমাতাল্লিল আলামিন) প্রাপ্তিতে তাদের মু‘মিনদের খুশি উদ্যাপন করা উচিত এবং তা তাদের জমাকৃত ধন সম্পদ অপেক্ষা শ্রেয়।’’ 

➤সুরা ইউনূছ, আয়াত, ৫৮

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম সুয়ূতী (رحمة الله) বলেন-

وَأخرج أَبُو الشَّيْخ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا فِي الْآيَة قَالَ: فضل الله الْعلم وَرَحمته مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الله تَعَالَى (وَمَا أَرْسَلْنَاك إِلَّا رَحْمَة للْعَالمين) (الْأَنْبِيَاء الْآيَة ১০৭)

-‘‘সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, এখানে আল্লাহর (ফদ্বল) বা অনুগ্রহ দ্বারা ইলমকে এবং (রহমত) দ্বারা নবি করিম (ﷺ) কে বুঝানো হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন- হে হাবিব আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্ব-জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্ররেণ করেছি। (সুরা আম্বিয়া, ১০৭)।’’   

➤ সুয়ূতি, তাফসীরে দুররুল মানসূর, ৪/৩৬৭ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।

আওলাদে রাসূল (ﷺ) ইমাম আবু জাফর বাকের (رحمة الله) বলেন, এখানে (ফদ্বল) দ্বারাও নবি পাক (ﷺ) কে উদ্দেশ্য।  

➤ সুয়ূতি, তাফসীরে দুররুল মানসূর, ৪/৩৬৭ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, ইমাম আলূসী, তাফসীরে রুহুল মা‘য়ানী, ১১/১৮৩ পৃষ্ঠা, ইমাম তিবরিসী, মাজমাউল বায়ান, ৫/১৭৭-১৭৮ পৃষ্ঠা, হাইয়্যান, তাফসীরে বাহারে মুহিত, ৫/১৭১ পৃষ্ঠা, ইমাম জওজী, তাফসীরে যাদুল মাইসীর, ৪/৪০ পৃষ্ঠা,

তাই বুঝা গেল মহান রব তা‘য়ালাই তার রাসূল কে পাওয়ার কারণে আনন্দ বা ঈদ উদ্যাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment