হাযরাত মুআবিয়া রাঃ কে “আমীরুল মু’মিনীন বা ঈমানদারগণের আমীর’ বলে সম্বোধন প্রসঙ্গ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

হাযরাত মুআবিয়া রাঃ কে “আমীরুল মু’মিনীন বা ঈমানদারগণের আমীর’ বলে সম্বোধন প্রসঙ্গ

আমীরুল মু’মিনীন ছিদ্দিকে আকবর (রাঃ) থেকে আমীরুল মু’মিনীন হাযরাত হাসানের (রাঃ) এর সময় পর্যন্ত একটানা গভর্নর নিযুক্ত ছিলেন আমীরুল মু’মিনীন হাযরাত মুয়াবিয়া (রা)। কেউ তাঁকে অপসারণ করেন নাই।

কারন তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন।

শিয়ারা হাযরাত হাসান ইবনু আলী ইবনু আবি তালিব রাঃ থেকেও বেশী বোঝে।

হযরত আলী রাঃ এর শাহাদতের পর হযরত হাসান রাঃ ৪১ হিজরীতে হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর সাথে সন্ধি ও শান্তি চুক্তি করেন। সেই সাথে মুয়াবিয়া রাঃ এর হাতে বাইয়াতও গ্রহণ করেন।

রেফারেন্স —

তারীখে খলীফা ইবনে খাইয়্যাত-১/১৮৭।

এ সন্ধিচুক্তি এবং হযরত হাসান রাঃ এর বাইয়াতের পর হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ পুরো মুসলিম মিল্লাতের জন্য সহীহ ও গ্রহণযোগ্য মুসলিম খলীফা নির্দিষ্ট হয়ে যান।

এ কারণে ইবনে হাজার হাইতামী রহঃ লিখেছেনঃ

فَالْحق ثُبُوت الْخلَافَة لمعاوية من حِينَئِذٍ وَأَنه بعد ذَلِك خَليفَة حق وَإِمَام صدق (الصواعق المحرقة فى الرد على اهل البدع والزندقة لابن حجر المكى الهيتمى-588، 2/625، 627،

সন্ধি চুক্তির পর থেকে হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর জন্য খিলাফত হক হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি একজন হক খলীফা এবং যথার্থ ইমাম।

রেফারেন্স —

আসসাওয়ায়েকুল মুহরাকাহ, ইবনে হাজার হাইতামীকৃত-৫৮৮।

একটু পর আবার লিখেছেনঃ

أَنه بعد نزُول الْحسن لَهُ خَليفَة حق وَإِمَام صدق (الصواعق المحرقة-590، 2/627، 219

হযরত হাসান রাঃ এর বাইয়াতের পর মুয়াবিয়া রাঃ হক খলীফা এবং মান্যবর ইমাম হয়ে যান।

রেফারেন্স —

আসসাওয়ায়েকুল মুহরাকাহা-৫৯০।

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা আমাদের কাছে প্রতিভাত হল যে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আকীদা বিশ্বাস অনুপাতে হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ সহ তার অনুসারীগণ কেউ ফাসিক বা কাফির বা কবীরে গোনাহের অধিকারী নন।

হযরত হাসান রাঃ এর সাথে সন্ধি এবং হযরত হাসান রাঃ এর বাইয়াতের মাধ্যমে মুয়াবিয়া রাঃ পুরো মুসলিম মিল্লাতের গ্রহণযোগ্য ইমাম ও খলীফা নিযুক্ত হয়েছেন। এরপর থেকে তাকে বিদ্রোহী বা বাগী বলারও কোন সুযোগ নেই। আর কোন ব্যক্তির বাগাওয়াত বা বিদ্রোহ যে সবসময় অন্যায়ই হবে তা সবসময় নয়। এই বাগাওয়াত দ্বীনের বিরুদ্ধে ছিল না। দ্বীনের পক্ষে উভয় পক্ষের চিন্তা প্রসূত ছিল। যার দরুন একজনকে অপরজনের বাগী বা বিদ্রোহী মনে হয়েছে মাত্র। তাই এ মহান সাহাবীকে বিদ্রোহী, ফাসিক ইত্যাদি বলে গালি দিলে নিজের আখেরাতকে বরবাদ করা হবে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment