সামনের কাতারে দাঁড়ালে কি বেশি সওয়াব? আজান পর্যন্ত সাহরী খেলে কি রোজা হবে?

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

📌✉ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম
মুহুরী পাড়া, উত্তর আগ্রাবাদ।
প্রশ্ন ঃ
১. আমি এক আলেমের কাছে শুনেছি মসজিদে জামায়াতের সময় প্রথম কাতারে দাঁড়ালে সওয়াব বেশী হয় এবং দ্বিতীয় কাতারে দাঁড়ালে প্রথম কাতারের তুলনায় সওয়াব কম এভাবে ক্রমাগত সওয়াব কমতে থাকে। এখন আমার প্রশ্ন হল, মসজিদে দ্বিতীয় তলার প্রথম কাতারকে কি প্রথম কাতার ধরা হবে নাকি এভাবে ক্রমাগত পেছনের কাতার ধরা হবে?
২. আমার জানামতে রমজান মাসের রােজা শুরু হয় সুবহে সাদিক থেকে এবং শেষ হয় সূর্যাস্তের সাথে সাথে সাধারণত রমজান মাসে ফজরের আযান দেয়া হয় সুবহে সাদিকের আগে। আমার প্রশ্ন যদি আযানের পর এবং সুবহে সাদিকের আগে যদি খাবার খায় | তাহলে রােজা রাখা সঠিক হবে?

🖋উত্তর ঃ
১ম. নামাযের জমাতে ১ম কাতার হল যা ইমাম সাহেবের নিকটবর্তী অতপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ইত্যাদি কাতারসমূহ গণনা হবে, সুতরাং নিচের তলার শেষ কাতারের পর দ্বিতীয় তলার প্রথম কাতার হবে পরবর্তী কাতার, প্রথম কাতার নয়। অতএব কাতার সমূহের ফযিলত ইমাম সাহেবের পার্শ্ববর্তী কাতার থেকে সূচনা হবে।
(আলমগীরি ও বাহারে শরীয়ত ইত্যাদি)

২য়. শরিয়তের দৃষ্টিতে রােজা শুরু হয় সুবহে সাদেক থেকে সুবহে সাদেকের আগ মুহুহ পর্যন্ত হল সেহেরী গ্রহণের সময়। যতক্ষণ পর্যন্ত সুবহে সাদিক হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত ফজরের আযান দেওয়া সঠিক ও বৈধ হবে না। এবং ওয়াক্তের পূর্বে আযান দেওয়া হলে তা পুনরায় দিতে হবে। অতএব সুবহে সাদেকের আগে আযান দেওয়া হলে এমতাবস্থায় কেহ সেহেরি খাওয়াতে রত থাকলে তার সেহেরী খাওয়া শুদ্ধ হবে। রােজাতে কোন অসুবিধা হবে না; বরং যে অগ্রিম আযান দিয়েছে সে গুনাহগার হবে। তাই এ রকম ওয়াক্তের পূর্বে আযান দেওয়া থেকে বিরত থাকবে।
কিতাবুল ফিকহ আলাল মাজাহিবিল আরবায়া এবং শরহে বেকায়া ইত্যাদি।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment