ফযিলতপূর্ণ সুরা ও আয়াতসমূহ এবং স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির আমল

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ফযিলতপূর্ণ সুরা ও আয়াতসমূহ এবং স্মরণ শক্তি বৃদ্ধির আমল

সুরা ফাতেহা 

হাদিস শরিফে এসেছে, সুরা ফাতিহা কুরআন শরিফের সর্বশ্রেষ্ঠ সুরা। (তিরমিযি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে

في فاتحة الكتاب شفاء من كل داء

সুরা ফাতিহার মধ্যে সব রােগের ঔষধ আছে । (দারিমি-বায়হাকি)

সুরা বাকারার শেষ দুআয়াত

রাতের বেলা সুরা বাকারার শেষ দুআয়াত ( এ থেকে শেষপর্যন্ত) তিলাওয়াত তিলাওয়াতকারীর জন্যে যথেষ্ট। (বুখারি ও মুসলিম)

সুরা আলে ইমরান

জুমআর দিন পাঠকারী সারাদিন ফিরিস্তাগণের দোয়া লাভ  করেন। (দারিমি)

সুরা আলে ইমরানের শেষ আয়াতগুলাে রাতে তিলাওয়াত করা সারা রাত ইবাদত করার সমান। (মিশকাত)

সুরা কাহাফ

প্রতি জুমআ বারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করলে ইমানের নুর বৃদ্ধি পায় । (বায়হাকি)

সুরা ওয়াকিয়া

من قرأ سورة الواقعة في کار پاره په بله واو

সুরা জুমুয়া

সুরা জুমু আ তি লাওয়াত করলে শয়তান  ওয়াসওয়াসা থেকে নিরাপদে থাকা যায়।

সুরা মুলক ও শুরা সিজদা 

এিশ নোয়াতের সুরা মুলক তিলাওয়াত আল্লাহর মাগরিত লাভের কে আযান থেকে মুক্তির মাধ্যম এর না পড়ে দিত গুনাতেন না । (তিরমিযি, আহমাদ)

সুরা মুযযাম্মিল

সুরা মুযযাম্মিল তিলাওয়াত করলে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।

সুরা যিলযাল

সুরা যিলযাল কুরআনের অর্ধেকের সমতুল্য। (তিরমিযি)

সুরা তাকাসুর

সুরা তাকাসুর এক হাজার আয়াত তিলাওয়াতের সমান (বায়হাকি)

সুরা কাফিরুন

সুরা কাফিরুন কুরআন শরিফের এক চতুর্থাংশের সমান।

সুরা ইখলাস

সুরা ইখলাস কুরআন শরিফের এক তৃতীয়াংশের সমান। (তিরমিযি)।

সুরা ফালাক ও নাস

আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় চাওয়ার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম সুরা ফালা ও সুরা নাস। (আবু দাউদ)

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির আমল

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির কয়েকটি আমল হলাে-

ক) অধিক পরিমাণে তিলাওয়াতের অভ্যাস করা ।

খ) বেশি বেশি করে দুরুদ শরিফ পড়া।

গ) স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য সর্বদা আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য প্রাথনা করা।

ঘ) সুন্নতের পূর্ণ অনুসরণ করা।

ঙ) নখ, চুল কেটে মাটিতে পুঁতে ফেলা।

চ) মিথ্যা কথা, অনর্থক গল্প-গুজব ও হাসি-ঠাট্টা বর্জন করা।

ছ) শরীর চর্চা বা এ ধরণের খেলা যেগুলাে শরীর চর্চার আওতায়

সেগুলাে ব্যতিত সকল নাজায়িয খেলাধূলা থেকে বিরত থাকা।

জ) নিয়মিত মিসওয়াক করা।

ঝ) জামাআতে সালাত আদায় করা ইত্যাদি।

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আলি (রা.) বললেন, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ (সা.), আমি কুরআন ভুলে যাই, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে আলি ! আমি কি তােমাকে এমন কলিমা শিক্ষা দেব যা তােমার ঐ আসে এবং তােমার মত যে শিখবে তারও উপকারে আসবে।তখন আলি (রা.) বললেন, হ্যা ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমার মা-বাবা আপনার জন্য কুরবান হোন। তখন তিনি ইরশাদ করলেন, যে ব্যক্তি কুরআন হিফ্য করতে চায় অথবা হিণ করে রাখতে চায় সে যেন জুমআর রাত্রে বিশেষ যারে শেষ রাত্রে অথবা মধ্য রাত্রে আর যদি তাতে অক্ষম হয় তাহলে রাত্রের প্রথমাংশে দুরাকাত করে চার রাকআত নফল নামায নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে পড়ে।

১। প্রথম রাকাআতে সুরা ফাতিহার পর সুরা ইয়াসিন ।

১ । দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহার পর সুরা দুখান।

৩। তৃতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহার পর সুরা সিজদা ।

{} । চতুর্থ রাকাআতে সুরা ফাতিহার পর সুরা মুলক ।

সালাম ফিরানোর পর যেন আল্লাহর হামদ ও সানা আদায় করে রাসুলে পাকের উপর দুরুদ শরিফ পড়ে, সকল নবির উপর দুরুদ পড়ে এবং দুনিয়ার সকল নর-নারীর জন্য দোয়া করে ।

আমলকারীদের সুবিধার্থে “হিসনে হাসিন” কিতাব থেকে হামদ, সানা, দুরন্দ দোয়া সম্বলিত একটি মুনাজাত এখানে সংযুক্ত করা হলাে-

الحمد لله رب العالمين عدد خلقه ورضا نفسه وزنة عرشه ومداد گلمائه ،

اللهم لا أخصی ثناء عليك أنت كما أثنيت على نفسك، اللهم صل وسلم

على سيدنا محمد النبي الأمي الهاشمي وعلى أله وأصحابه البررة الكرام،

وعلى سائر الأنبياء والمرسلين والملائكة المقتربين، ربنا اغفر لنا ولإخواننا

الذين سبقونا بالإيماني ولا تجعل في قلوبنا غلا للذين أمنوا ربنا إنك رؤوف

رحيم اللهم اغفر لي ولوالدي ولجميع المؤمنين والمؤمنات والمنيلين

والمسلمات انك سميع مجيب الدعوات –

(মুখস্থ করতে না পারলে এ দোয়াটি দেখে দেখে পড়া যাবে)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment