প্রশ্ন ঃ রমজান মাসে জাহান্নামের দরজা এবং কবরের আজাব বন্ধ থাকে। প্রশ্ন হল হিন্দু, বৌদ্ধ, কাফির মুনাফিকদের আজাবও কি বন্ধ থাকে? রােজা রাখতে অক্ষম ব্যক্তি যেই মিসকিনকে ফিদয়া স্বরূপ খাবার খাওয়াবে, সেই মিসকীন কি রােযাদার হতে হবে? যেমন মিসকীন যদি দুর্বলতার কারণে রােযা রাখতে না পারে বা মিসকীন যদি -বালেগ হয় তাহলে এমন মিসকিনকে খানা খাওয়ালে রােযার ফিদইয়াহ আদায় হবে কিনা?

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

🖋উত্তর ঃ রমজান মাসে দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ থাকে এটা নবী করিম সাল্লাল্লাহু। তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র বাণী দ্বারা প্রমাণিত যা প্রায় হাদিসের কিতাবসমূহে রয়েছে। রমজান মাসে দোযখের দরজাসমূহ বন্ধ থাকার কারণে সকল গুণাহগার বিশেষত হিন্দু, বৌদ্ধ, কাফির ও মুনাফিক ইত্যাদির কবরসমূহে দোযখের গরম ও উত্তাপ পৌছে না। তাই রমজান মাসে কোন নাফরমানের কবরে দোযখ থেকে প্রবাহমান গরম ও উত্তাপ পৌছে না। কিন্তু মুনকির নকিরের সওয়াল জওয়াবের পর দোযখ থেকে আসা গরম উত্তাপ ছাড়া অন্যান্য আযাব সমূহ যা কবরে নির্ধারিত যেমন আযাবের ফেরেশতা কর্তৃক লৌহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করা ইত্যাদি রমজান মাসেও নাফরমানদের জন্য বিদ্যমান থাকবে। মুসলিম সমাজে রমজান মাসে কবরের আযাব হয় না বলে যে কথা প্রসিদ্ধ আছে তার অর্থ হল দোযখের দরওয়াজা বন্ধ থাকার কারণে জাহান্নামের গরম উত্তাপ যা সরাসরি দোযখ থেকে কবরে আসে তা শুধু বন্ধ থাকে। [সেরাতুল মনাজিহ, শরহে মেশকাতুল মাসাবিহ, কৃত: মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী]। রােজা রাখতে একেবারে অক্ষম যার সবল হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই যাকে শরিয়তের পরিভাষায় শেখে ফানী বলা হয়, তার রােজার ফিদিয়া হল প্রতি রােজা পিছু এক ফিতরা বা একজন মিসকিনকে দু’বেলা খানা খাওয়ানাে সেভাবে ত্রিশ রােজা ফিদিয়া হল ত্রিশ ফিতরা বা ত্রিশজন মিসকিনকে দু’বেলা অথবা একজন মিসকিনকে ৩০ দিন দু’বেলা
খানা খাওয়ানাে । উক্ত ফিদিয়ার অর্থ বা খাবার সাধারণভাবে সকল প্রকারের মুসলিম মিসকিনদেরকে দেওয়া যাবে। তবে মুসলিম নেককার মিসকিনকে দেওয়া উত্তম ও মঙ্গলময়।
[মেরকাত, মেরাত, শরহে মেশকাত ও কিতাবুল ফিকহ আলাল মাজাহিবিল আরাবায়া ইত্যাদি]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment