প্রশ্ন ঃ গত যিলক্বদ মাসে ‘মাসিক তরজুমান’র প্রশ্নোত্তর বিভাগে ফতােয়ায়ে আলমগীরী ও রদুল মুহতারের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, যদি কেউ রমজান মাসে এশার নামায জামাআতে পড়তে না পারে, তাহলে তারাবীর নামাযের পর বিতির নামাযের জামাআত না পড়ে একাকী পড়তে বলা হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে মাসিক আল-মুবিনে বলা হয়েছে- রমজান মাসে এশার নামায জামাতে না পড়লেও বিতির জামাতে পড়া যাবে। সিগীরী এখন আমার প্রশ্ন- দু’পত্রিকার উত্তর সম্পূর্ণ বিপরীত। আশা করি বিপরীতের কারণসহ সঠিক ফায়সালা কোটি জানালে উপকৃত হব।

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

📌মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম জেরান | এন এস টেলিকম, ফৌজদারহাট, সীতাকুণ্ড

🖋উত্তরঃ মাসিক তরজুমানের ফতােয়ায়ে আলমগীরী ও রদুল মুহতারের বরাত দিয়ে বর্ণিত মাসআলা এবং মাসিক আল-মুবিনের সগীরীর বরাত দিয়ে বর্ণিত মাসআলার মাঝে কোন বৈপরিত্য নেই; বরং উভয় বর্ণনাই শুদ্ধ। বরং মাসিক তরজুমানে বর্ণিত মাসআলার উপর আমল করাটা মুস্তাহাব তথা উত্তম হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। কেননা, রমজান মাসে তারাবীহ ও বিতরের জামাতের হুকুম এশার ফরজ নামায জামাআতে পড়া-না পড়ার উপরই নির্ভরশীল। তাই কেউ কেউ এশার ফরজ নামায জামাতে আদায় না করলে তার জন্য তারাবীহ ও বিতর জমাতে পড়া আবশ্যক নয় মর্মে মত প্রকাশ করেছেন। আর যদি কেউ এশার ফরজ নামায জামাতে আদায় না করে তারাবীহ ও বিতর জামাআতে পড়তে চায়, তাহলে পড়া যাবে মর্মে মত প্রকাশ করেছেন। উভয় বর্ণনায় আমল করা যাবে, অসুবিধা নাই। 

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment