প্রশ্ন ঃ আমাদের একজন প্রতিবেশী ডায়াবেটিস রােগী পারিবারিক কারণে বিগত রমজানে বিষপান করে। তাকে মেডিকেলে নেওয়ার পর ইনজেকশানের মাধ্যমে বিষ ক্রিয়া বের করা হয় এবং ডায়াবেটিকস বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ দিন পর সে মারা যায়। প্রশ্ন হল সে বিষ পান করার দরুণ ডাবাবেটিস বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে সে মৃত্যুবরণ করেছে। তার জানাযায় এবং মেজবানে যাওয়া যাবে কিনা জানাবেন। আর রমজানে। বিষপানের কারণে রােযার কাফফারা হবে কি না?

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

🖋উত্তরঃ কোন কারণে অকারণে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিষপান করা মারাত্মক অপরাধ এবং কবিরা গুনাহ, অতএব, বিষপান করার পর হায়াতে বেঁচে থাকলে অবশ্য আল্লাহর দরবারে খালিচ নিয়তে তাওবা, ক্ষমা প্রার্থনা করবে, বিষপানের ফলে ডায়াবেটিকস বা অন্য রােগ বৃদ্ধি পেলে এবং সে কারণে মৃত্যুবরণ করলে তার নামাজে জানাযা পড়া যাবে এবং মেজবানেও যেতে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন অসুবিধা নেই। রমজানের রােজাবস্থায় বিষপানের কারণে রােজার কাফফারা অবশ্যই আদায় করতে হবে। রমজানের রােজা ইচ্ছা করে ভঙ্গ করার কাফফারার মত। অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তি যদি জীবনে বেঁচে থাকে তবে সে উক্ত রােজার কাফফারা হিসেবে লাগাতার ৬০টি রােজা রাখবে, আর একটি কাযা রােযা আদায় করবে আর অক্ষম হলে ষাটজন মিসকিনকে পেট ভরে দুবেলা খাবার দেবে। রােজা অবস্থায় বিষপানের কারণে মৃত্যুবরণ করলে তার। অলি-ওয়ারিশ ও সন্তানগণ তার পরিত্যক্ত মাল থেকে কাফফারা স্বরূপ ষাটজন মিসকিনকে পেটভরে দুবেলা খানা খাওয়াবে। উল্লেখ্য যে, বিষপান করে মারা গেলে অথবা বিষপান করার কারণে রােগাক্রান্ত হয়ে মারা গেলে বিশুদ্ধ বর্ণনা অনুযায়ী তার নামাজে জানাযা পড়া যাবে কাফন, দাফন করা যাবে এবং তবে উল্লেখযােগ্য প্রসিদ্ধ মুফতি/খতিব দ্বারা তার নামাযে জানাযা পড়াবে না বরং সাধারণ কোন অপরিচিত মােল্লা/মিজ্জি দ্বারা নামাযে জানাযা পড়াবে। যাতে এলাকায় প্রভাব সৃষ্টি হয় এবং বিষপান হতে মানুষ বিরত থাকে।
[রুদ্দুল মােহতার ও হিন্দিয়া ইত্যাদি]

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment