প্রশ্ন ঃ আমরা অনেকেই রমজান মাসে খতমে তারাবীহ পড়ার জন্য নিয়মিত নির্দিষ্ট মসজিদে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে জেনে আসছি যে, কোন একদিন যদি সেই মসজিদের খতমে তারাভী হতে উপস্থিত থাকতে না পারে, তাহলে তার খতমে তারাভীহটা আর পূর্ণতা পায়না। তাহলে কোন ব্যক্তি যদি (অনিচ্ছায়) শারীরিক সমস্যার কারণে নতুবা কোন স্থানে যাওয়ার ফলে আসতে দেরি হওয়ায় তারাভীহতে যােগদানে অসামর্থ্য হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে এর ব্যবস্থাটা কিরূপ হবে? জানালে কৃতার্থ হব।

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

📌প্রশ্নকর্তাঃ মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ
কুলগাঁও, জালালাবাদ, বায়েজীদ, চট্টগ্রাম। 

🖋উত্তর : আমাদের হানাফী মাযহাব মতে বিশ রাকআত তারাভীহর নামায সুন্নাতে মুআক্কাদাহ এবং তারাভীহর নামাযে এক খতম কোরআন আদায় করাও সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। শরঈ কোন ওজর ছাড়া কোন পুরুষ বা মহিলা অলসতাবশত তারাভীর নামায না পড়লে অবশ্যই গুনাহগার হবে। কেউ খতমে তারাভীহতে নিয়মিত অংশগ্রহণ
করতে না পারলে তার খতম পরিপূর্ণ হবে না। বিধায় পবিত্র কোরআন খতমের সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। তাই কেউ কোন বিশেষ প্রয়ােজনে খতমে তারাভীতে অংশগ্রহণ করতে না পারলে খতমে কোরআনের এবং সুন্নাতে মুআক্কাদাহর সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। আর শক্তি-সামর্থ্য ও সুযােগ থাকার পরও অলসতা বশতঃ খতেম তারাভীহ ছেড়ে দেওয়া গুনাহ। অবশ্য বিশেষ কারণে যদি খতমে তারাভীহ ছুটে যায়, তবে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আর নিজে হাফেয-ই কোরআন হলে ছুটে যাওয়া তিলাওয়াত দ্বিতীয় দিন নামাযে তারাভীহতে পড়ে নিবে। এ পদ্ধতিতেও খতমে কোরআন আদায় হয়ে যাবে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment