প্রশ্নঃ রােজা অবস্থায় ইনজেকশন ব্যবহার, ইনহেলার ব্যবহার, ইনসুলিন ব্যবহার, ডােজ ব্যবহার এবং নাক, কান ও চোখে ড্রপ ব্যবহার করলে শরীয়তের দৃষ্টিকোণে রােজা নষ্ট হবে কি না? এ বিষয়ে শরয়ী ফায়সালা প্রদান করতঃ ধন্য করবেন।

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

📌মুহাম্মদ হাসান শরীফ মুহাম্মদ মুনিরুদ্দীন
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া, চট্টগ্রাম।

🖋উত্তরঃ রােজা অবস্থায় ইনজেকশন ব্যবহার করলে রােজা নষ্ট হবে কি না বর্তমান বিশ্বের মুফতিগণ এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন মত পােষণ করলেও রােজা অবস্থায় ইনজেকশন ব্যবহার না করাই নিরাপদ ও রােজা নষ্ট হওয়ার আশংকা হতে মুক্ত। তদুপরি ইনজেকশন ইফতারের পর রাত্রি বেলায়ও প্রয়ােজনে দেয়া যায়। তদ্রুপ যে সমস্ত রােগী ইনহেলার ব্যবহার ব্যতীত রােজা আদায় করতে অক্ষম তারা রমজানের পর সুস্থ হলে কাযা আদায় করবে, আর সুস্থ না হলে রমজানের প্রতিটি রােজার বিনিময়ে ফিদয়া/ কাফফারা (প্রতি রােজার বিনিময়ে একজন মিসকিনকে দু’বেলা আহার দান অথবা অর্ধ ‘সা’ তথা দু’কেজি ৫০ গ্রাম গম প্রদান করবে) ইনসুলিন সাধারণত ডায়াবেটিস রােগীরা আহারের কিছুক্ষণ পূর্বে ব্যবহার করে থাকেন, যা রােজা অবস্থায় ব্যবহার করলে রােজা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা বেশি বিধায় ইনসুলিন ইফতারের ঠিক সময়ে গ্রহণ করে কিছুক্ষণ পর ইফতার সামগ্রী আহার করবেন। তদ্রুপ পায়খানার রাস্তায় ডােজ ব্যবহার, নাক, কান ও চোখের ড্রপ ব্যবহারে রােজা নষ্ট হওয়ার আশংকা বেশি থাকে। যেমন ফোকাহায়ে কিরাম রােযা অবস্থায় নশ টানা নিষেধ করেছেন। সুতরাং রােজা অবস্থায় ডােজ ব্যবহার নাক, কান ও চোখের ড্রপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় ও নিরাপদ। তদুপরি ডােজ ব্যবহার, কান, নাক ও চোখের ড্রপ ইফতারের পর রাতের বেলায় সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নাই বিধায় রােজা অবস্থায় ব্যবহার না করাই নিরাপদ। রােজা অবস্থায় বিশেষ প্রয়ােজনে মুমূর্ষ রােগীর প্রাণ রক্ষার্থে রক্ত দান করলে কোন অসুবিধা নেই।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment