কাতিবে ওহী, উম্মতের মামা হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

কাতিবে ওহী, বিশিষ্ট সাহাবী, উম্মতের মামা হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) 

আমিরে মুয়াবিয়া (রা.) উম্মতের মামাঃ

সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে পরম ভাগ্যবান তেরোজন মুসলমান ছিলেন,যাঁদের সৌভাগ্য হয়েছিল কোরআন লেখার দায়িত্ব পালন করার,যাদেরকে বলা হয়  ‘কাতিবে ওহি’ বা ওহি লেখক। এই সিরিয়েলে ছয় নাম্বার নামটি হচ্ছে উম্মতের মামা হযরত মুযাবিয়া (রা.) এর।

(সিয়রু আলামিন লুবানা ৩/১২৩)

.

[মামা কিন্তু মজা করে বলা হয়নি। রাসূলের স্ত্রীগণ উম্মতের মা। উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে হাবিবা’র আপন ভাই ছিলেন হযরত মুয়াবিয়া (রা.)। তাহলে মা’য়ের ভাই মামা হলেন না?]

১।•••• -যে মুয়াবিয়া (রা.)’র শানে রাসূল সাঃ বলেছেন, ” হে আল্লাহ, মুয়াবিয়া (রা.) কে কোরআন এবং হিসাবে পারদর্শিতা দাও। আর  তাকে আযাব থেকে দূরে রেখো ” (ইমাম যাহাবীঃ সিয়রু আলামিন লুবানা -৩/১২৪)

.

২।••••-যে মুয়াবিয়া (রা.) র জন্য রাসূল সাঃ দোয়া করেছেন,”হে আল্লাহ্‌, মুয়াবিয়াকে হেদায়াতকারী বানাও, হিদায়াতপ্রাপ্তও। (সুনানে তিরকিযি হাদিস নাম্বার-৪০৯৫)

.

৩।•••• -আমিরে মুয়াবিয়া (রা.) সেই মুসলামান, যার যুগে সর্বপ্রথম মসজিদসমূহে মিনার তৈরি করা হয়েছিল এবং যিনি সর্বপ্রথম মসজিদে নববীতে মিম্বর তৈরি করিয়েছিলেন। 

.

৪।•••• -যে মুয়াবিয়া (রা.) লাগাতার উনিশ বছর ইসলামী খেলাফতের দায়িত্ব সাফল্যের সাথে পালন করেছিলেন ।

.

৫।•••• -যে মুয়াবিয়া (রা.)র হাত কে আল্লাহ্‌ তায়ালা কোরআনে বলেছেন, বি-আইদী সাফারাহ। (সূরা আবাসা-১৫)

.

৬।•••• -যে মুয়াবিয়া (রা.) কে আল্লাহ বলেছেন, “কোরআনের ভাষায়, ‘কিরামিম বারারাহ…..'(সূরা আবাসা-১৬)

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেনঃ

(12

فَمَن شَاء ذَكَرَهُ

অতএব, যে ইচ্ছা করবে, সে একে গ্রহণ করবে।

(13

فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ

এটা লিখিত আছে সম্মানিত,

(14

مَّرْفُوعَةٍ مُّطَهَّرَةٍ

উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে,

(15

بِأَيْدِي سَفَرَةٍ

লিপিকারের হস্তে,

(16

كِرَامٍ بَرَرَةٍ

যারা মহৎ, পূত চরিত্র।

সূরা আল-আসাবাঃ (আয়াত ১২-১৬)

বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত আব্দুল্লাহ বিন মুবারক (রাহ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, হযরত মুয়াবিয়া বিন আবী সুফিয়ান (রাঃ) এবং দ্বিতীয় উমর খ্যাত খলিফাতুল মুসলেমীন হযরত উমার বিন আব্দুল আযীয (রাহ) এঁর মধ্যে কে উত্তম?

তিনি জবাবে বললেন, আল্লাহর কসম, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে চলতে গিয়ে হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুর নাকের ভিতর যে ধুলা ঢুকেছিল, সে ধুলা উমার বিন আব্দিল আযীয থেকে হাজার বার উত্তম।

এই সেই মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু যিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে সালাত আদায় করেছিলেন। যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ, তখন মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু (পেছন থেকে) বলেছিলেন, রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ।

এরপর আর কী কথা থাকতে পারে?

রেফারেন্সঃ

ওয়াফায়াতুল আ’ইয়ান লি ইবনি খাল্লিকান-৩/৩৩।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment