কপালে টিপ দেওয়ার সূচনা

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

হযরত ইবরাহীম (আ:) কে নমরুদ যখন আগুনে নিক্ষেপ করার জন্য চরকার ব্যবস্থা করল তখন ফেরেশতাগণ চরকার একপার্শ্ব এমন শক্ত ভাবে ধরে রাখল যে, নমরুদের বাহিনী চরকা ঘুরাতে ব্যর্থ হলো। এ অবস্থা দেখে নমরুদ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ল। এমনি সময় নমরুদের দরবারে আগমন ঘটল ইবলীসের। বাদশাহকে কূর্ণিশ করে ইবলীস বলল, মহারাজ আজ আপনাকে খুবই বিমূর্ষ মনে হচ্ছে। নমরুদ বলল বিষণ্নতা ছাড়া উপায় কি? ইবরাহীমকে হত্যা করার আমাদের সকল আয়োজন ভেস্তে গেল। এখন উপায় কি? চরকা ঘুরছেনা কেন? চরকা ঘুরাবার উপায় কি? এই শুনে ইবলীশ বলল, মহারাজ! চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার চরকার এক পার্শ্ব ফেরেশতারা শক্ত ভাবে আঁকড়ে ধরে রয়েছে। এজন্যই আপনার বাহিনী এটাকে টলাতে পারছেনা।

কি বললেন ভাই! সত্যি কি তাই? তাহলে এটাকে ঘুরাবার উপায় কি? ইবলীস একটু চিন্তা করে বলল আজ এখানে আপনার রাজ্যের সকল সুন্দরী নারীকে জমায়েত করুন। এরপর তাদের সাথে নাচগান এবং অবৈধ মেলা মেশার সুবন্দোবস্থ করুন। তখনই দেখবেন নূরের তৈরী ফেরেশতারা আর এখানে থাকতে পারছেন না। আর তখন আপনার সৈনিকদের চরকা ঘুরাতেও আর কোন সমস্যা থাকবেনা ।

এ পরামর্শ শোনা মাত্রই নমরুদ দেশের সকল সুন্দরীদেরকে তথায় সমবেত হওয়ার নির্দেশ দিল এবং অগ্নিকুন্ডের পার্শ্বে নাচ গান ও অবৈধ মেলা মেশার মহা আয়োজন করল। নারী পুরুষ সকলেই তথায় অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হলো। তারা এরপর বাদশাহের নির্দেশে এ সকল ব্যভিচারীনী মহিলাদের গর্ভের সন্তানকে জারজ সন্তান হিসেবে চিহ্নিত করণের জন্য কপালে টিপ লাগিয়ে দেওয়া হলো। যাতে করে তাদেরকে অন্য মহিলাদের থেকে পৃথক করা যায়। আর তখন থেকেই কপালে টিপ দেওয়ার এই রেওয়াজ চলে আসছে। যা আজ আমাদের মুসলিম নারীরাও গ্রহন করে নিয়েছে। হায় আফসোস! যদি তারা এই ইতিহাস মনে রাখত! আল্লাহ আমাদেরকে এই কুরুচিপূর্ণ অভ্যাস থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment