আল্লাহকে আরশে সমাসীন বলা প্রসঙ্গ

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

যারা আল্লাহকে আরশে সমাসীন বলেন তারাও পথভ্রষ্ট। তার কারণ আল্লাহর কোন সৃষ্টি তাকে ধারণ করতে সক্ষম নয়। মহান রব তা‘য়ালা ইরশাদ করেন-

إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ مُحِيطٌ

-নিশ্চয়ই মহান রব সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন।’’ (সূরা ফুস্সিলাত, আয়াত ৫৪)

ইমাম ত্বাহাবী (رحمة الله) বলেন-

مُحِيطٌ بِكُلِّ شَيْءٍ وَفَوْقَهُ وَقَدْ أَعْجَزَ عَنِ الإحاطة خلقه

-‘‘প্রত্যেক বস্তুই তাঁর পরিবেষ্টনে রয়েছে এবং তিনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আর সৃষ্টিকুল তাঁকে পরিবেষ্টনে অক্ষম।’’  ➤ইমাম তাহাভী, আক্বিদাতুল তাহাভী, ৫৬পৃষ্ঠা, ক্রমিক: ৫১, মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ- ১৪১৪হিজরি।

আরশ আল্লাহর সৃষ্টি তাই তাকে পরিবেষ্টনে সে অক্ষম। 

আর এজন্যই আল্লাহ তায়ালার একটি নামই হল মুহিত বা পরিবেষ্টনকারী। ইমাম ত্বাহাভী (رحمة الله) তাঁর এ কিতাবের অন্যত্র বলেন-

لَيْسَ فِي مَعْنَاهُ أَحَدٌ من البرية وَتَعَالَى عَنِ الْحُدُودِ وَالْغَايَاتِ وَالْأَرْكَانِ وَالْأَعْضَاءِ وَالْأَدَوَاتِ لا تحويه الجهات الست كسائر المبتدعات  

-‘‘আল্লাহ তা‘য়ালার গুণে সৃষ্টি জগতের কেহ নেই। তিনি সীমা, পরিধি, অঙ্গপ্রতঙ্গ এবং উপাদান উপকরণের ঊর্ধ্বে। সৃষ্টি জগতের ন্যায় ছয় দিকের কোন দিক তাকে বেষ্টন করতে পারে না।’’ 

➤ইমাম তাহাভী, আক্বিদাতুত তাহাভী, ৪৪পৃষ্ঠা, ক্রমিক: ৩৮, মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ- ১৪১৪হিজরি।

বর্তমান লা-মাযহাবি তথা আহলে হাদিসরা যারা মাজার জিয়ারত, মিলাদুন্নবীসহ পালন এ ইত্যাদি সুন্নত আমলকে শিরক বলে বেড়ায় অথচ তারা মহান আল্লাহর ব্যাপারে শিরকী আক্বিদা পোষণ করে যে রব তা‘য়ালা আরশে সমাসীন আর সেখান থেকে তিনি সব কিছু দেখেন শুনেন।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment