*আমীরে মু’আবিয়া (রা:)’র পক্ষে জবাব [পর্ব-১২২]*

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মূল: সা’আদ ইবনে দায়দা’ন আস্-সুবাঈ

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

[Bengali translation of Sa’ad ibn Dhaydaan al-Subayi’s online book “In Defense of Mu’awiyah (Ra:).” Translator: Kazi Saifuddin Hossain; post – 122]

তৃতীয় বর্ণনাটি:

حديث ((يطلع عليكم من هذا الفج رجل يموت على غير ملتي))!!

অর্থ: এই গিরিপথ দিয়ে তোমাদের সামনে উদয় ঘটবে এমন এক ব্যক্তির, যে আমার উম্মত/সম্প্রদায় হতে বিচ্যুত হয়ে মারা যাবে। [নোট: ইমাম ইবনু জারীর তাবারী (রহ.) তাঁর ‘তারীখ’ (৫/৬১৮) গ্রন্থে ২৪৮ হিজরী সালে সংঘটিত ঘটনাবলী উল্লেখ করেছেন; ওই বছরের ১১তম দিবস জুমু’আ/শুক্রবার মানুষেরা বলেন যে আব্বাসীয় খলীফা আল-মু’তাদিদ আদেশ দেন আব্বাসীয় খলীফা আল-মা’মূনের নির্দেশে সংকলিত হযরতে আমীরে মু’য়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর প্রতি লা’নত/অভিসম্পাতমূলক একখানি গ্রন্থ যেনো বের করা হয় মিম্বরগুলোতে পাঠের উদ্দেশ্যে! ওই বইয়ে অভিযোগ করা হয় যে প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা করেছেন – ((يطلع عليكم من هذا الفج رجل من أمتي يحشر ـ على غير ملتي)) – অর্থাৎ “আমার উম্মতের মধ্য হতে এক ব্যক্তি এই গিরিপথ দিয়ে তোমাদের সামনে উদিত হবে, যার হাশর/পুনরুত্থান হবে আমারই সম্প্রদায়ের বাইরে;” আর মু’য়াবিয়া (রা.) আবির্ভূত হন; আরো রয়েছে হাদীস – ((إذا رأيتم معاوية على منبري فقتلوه)) – মানে “তোমরা যখন আমার মিম্বরের ওপর মু’য়াবিয়াকে দেখবে তখন তাকে হত্যা কোরো;” এবং হাদীস – ((لعن الله القائد والسائق والراكب)) – অর্থ: “আল্লাহতায়ালা উটের পরিচালনাকারী, সওয়ারী ও তাড়া দানকারীর প্রতি লা’নত দিন;” এবং অন্যান্য ধরনের অশ্লীলতা যা কোনো মুসলমান উচ্চারণ করতে লজ্জা বোধ করবেন।]

আল-বালাযুরী ‘আল-আনসাবুল আশরাফ’ (১২৬) গ্রন্থে বলেন:

বকর ইবনুল হায়সাম বলেছেন আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন আবদুর রাযযাক্ব, তিনি বলেছেন আমাদের কাছে মা’মার বর্ণনা করেছেন ইবনু তাঊস্ হতে, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি কায়সান হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আল-আস্ (রা.) হতে, যিনি বলেন:

كنت جالساً عند رسول الله ﷺ فقال: ((يطلع عليكم من هذا الفج رجل يموت على غير ملتي)) قال: وكنت تركت أبي قد وضع له وضوء فكنت كحابس البول مخافة أن يجيء. قال: فطلع معاوية، فقال النبي ﷺ ((هذا هو)).

অর্থ: আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সান্নিধ্যে বসেছিলাম যখন তিনি ফরমান, “এই গিরিপথ দিয়ে তোমাদের সামনে উদয় ঘটবে এমন এক ব্যক্তির, যে আমার উম্মত/সম্প্রদায় হতে বিচ্যুত হয়ে মারা যাবে।;” আর আমি (আবদুল্লাহ) আমার পিতা (আমর ইবনে আস)-কে ছেড়ে এসেছিলাম তাঁর জন্যে অযূর পানি রাখার পর – অতঃপর আমি এমনই এক ব্যক্তির মতো ছিলাম যার প্রস্রাবের বেগ আটকে রাখা হয়েছিলো এই ভয়ে যে আমার পিতা আসবেন। এরপর মু’য়াবিয়া (রা.) আবির্ভূত হন এবং প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরামান, “এই সেই ব্যক্তি।”

ইমাম তবারানী (রহ.) অনুরূপ একটি বর্ণনা হযরত মু’য়াবিয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর নাম উল্লেখ ছাড়াই উদ্ধৃত করেছেন।

ইমাম ইবনু হাজর হায়সামী মক্কী (রহ.) ‘মজমাউয্ যওয়াঈদ’ (৫/২৪৩) গ্রন্থে বলেন:

((رواه كله الطبراني وحديثه مستقيم وفيه ضعف غير مبين وبقية رجاله رجال الصحيح)).

অর্থ: এটা পুরোটাই বর্ণনা করেছেন আত্ তবারানী; আর এর ইসনাদে রয়েছেন মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক্ব ইবনু রাহূইয়্যাহ, যাঁর বর্ণনাগুলো সাধারণতঃ ভালো, তবে তাঁর এমন কিছু দুর্বলতা বিদ্যমান যা স্পষ্ট নয়/ব্যাখ্যাতীত; আর বাকি বর্ণনাকারীবৃন্দ সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারী।

(চলবে)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment