জিজ্ঞাসা–২৩০: বর্তমানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অক্টোপাস, স্কুইড, কাকড়া পাওয়া যায়। তাছাড়া, সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেলে ওখানকার সামুদ্রিক খাবার হিসেবে কাকড়া, শামুক, ঝিনুক, অক্টোপাস, স্কুইড পাওয়া যায়। এসব খাবার খাওয়া সম্পর্কে ইসলামী নির্দেশনা কি?— কামরুল হাসান।
জবাব: মাছ ছাড়া অন্য কোন জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েয নাই। অক্টোপাস, স্কুইড (Squid), কাকড়া, শামুক, ঝিনুক যেহেতু মাছ নয়, তাই এগুলো খাওয়াও জায়েয নাই। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪ আল বাহরুর রায়েক ৮/৪৮৫ হাশিয়ায়ে তাহতাবী ৪/৩৬০ ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/১১৮)
কেননা–
প্রথমত, এগুলো কোরআনে বর্ণিত ‘খাবায়েস’ (নোংরাবস্তু) এর অন্তর্ভুক্ত’!وَيُحَرِّمُ عَلَيهِمُ الخَبائِثَ‘খাবায়েস নিষিদ্ধ‘। (আলআরাফ ১৫৭)। ‘খাবায়েস’ বলা হয়, كل ما يستخبثه الطبع অর্থাৎ, যা মানুষ স্বভাবত ঘৃণা করে। (দ্রঃ তাফসীরে কাবীর, অাযওয়াউল বায়ান, আললুবাব, আলহাবী সংশ্লিষ্ট আয়াত)। আর মাছ ছাড়া অন্যান্য জলজ প্রাণীকে মানুষ স্বভাবতই ঘৃণা করে। সুতরাং সেগুলোও নিষিদ্ধ।
দ্বীতিয়ত, এ ধরণের জলজ প্রাণী রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবায়ে কেরাম খেয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। অধিকন্তু হাদীসে এসেছে, انَّ طَبِيبًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِهَا অর্থাৎ, আব্দুর রহমান বিন উসমান রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ ﷺ জনৈক চিকিৎসককে ব্যাঙ মেরে ওষুধ বানাতে নিষেধ করেছিলেন। (আবু দাউদ ৩৮৭১)। অথচ ব্যাঙ জলজ প্রাণী!
তৃতীয়ত, আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
أحلت لنا ميتتان ودمان فأما الميتتان فالحوت والجراد وأما الدمان فالكبد والطحال
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের জন্য দু’ প্রকারের মৃত জীব ও দু’ ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দু’টি হলো মাছ ও টিড্ডি এবং দু’ প্রকারের রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা। (ইবনে মাজাহ ৩৩১৫, আহমাদ ৫৬৯০, দারাকুতনী ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮০৩। সনদ সহিহ।)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী





Users Today : 318
Users Yesterday : 1611
This Month : 26562
This Year : 166039
Total Users : 281902
Views Today : 928
Total views : 3323095