ইমাম ইয়াহইয়া ইবনুশ শরফ আন-নওয়াভী রহঃ বলেন,
ছয়টি কারণে ‘গিবত’ শরীয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ নয়।কারণ তখন আর কারণগুলো ‘গিবত’ থাকেনা।
➤প্রথমত,মজলুম যদি জালিম শাসক,বিচারক প্রমুখের বিরুদ্ধে অন্যদের সতর্ক করতে এটা বলে যে অমুক লোক আমার সাথে বে-ইনসাফি করেছে অথবা আমার উপর জুলুম করেছে,তবে তা গিবত হিসেবে গণ্য হবেনা।
➤দ্বিতীয়ত,মানুষকে খারাপ পথের প্রতি ধাবিত হওয়া থেকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে,গুনাহগার ব্যক্তিকে গুনাহ থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে, “প্রকাশ্যে অমুক লোক এমন এমন কাজ করে,এমন এমন বলে” — মর্মে নিন্দা করা বৈধ।
➤তৃতীয়ত,মামলা আরোপ করতে বা কাযীর কাছে বিচার নিতে অথবা মুফতির কাছ থেকে ফতোয়া নিতে কারো অবস্থা বর্ণনা করা বৈধ।যেমনঃ আমার সাথে অমুক ব্যক্তি এরূপ করেছে জুলুম করেছে ইত্যাদি বলা বৈধ।
➤চতুর্থত,শরীয়তের সীমারেখা উল্লঙ্ঘন না করে,বিদআত (ধর্মে নতুনত্ব যা কুরআন হাদীস ও ইজমার বিরোধী) প্রচলনকারী ,তার বক্তব্যের/লেখনীর দ্বারা মানুষের ঈমান-আক্বিদায় ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে,গুজব রটনাকারী প্রমুখ তবে সে ব্যক্তির ব্যাপারে মানুষকে অবহিত করাতে কোনো অসুবিধা নেই।
➤পঞ্চমত,প্রকাশ্যে গোনাহকারী যেমন প্রকাশ্যে শরাব পানকারী,দুর্নীতিবাজ প্রভৃতি লোকের ব্যাপারে জনসচেতনতার উদ্দেশ্যে মানুষকে অবহিত করার বৈধতা আছে।
➤সর্বশেষ,ছদ্মনাম ব্যবহার করে সমাজের ক্ষতির চেষ্টা যারা করে তাদের যথার্থতা এবং বাস্তবিক স্বরূপ জনসমক্ষে তুলে ধরাতে শরীয়তে বৈধতা আছে।
[শরহে মুসলিম, ৪৫তম অধ্যায়,বাব তাহরীমিল গিবাত]