প্রশ্নঃ জান্নাতে কি আল্লাহর দীদার লাভ হবে? যদি হয় তাহলে কোথায় এবং কিভাবে? আকৃতিতে দেখা যাবে- নাকি আকৃতিহীন অবস্থায়? জান্নাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামত কি? জান্নাতীদের খাদ্য কি হবে?
উত্তরঃ ইমাম আবু আবদুল্লাহ কুরতুবী (৬৭১ হিঃ) তাযুকিরাহ গ্রন্থে কিছু হাদীস দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, জান্নাতে মোমেনগণ আল্লাহর দীদার লাভ করবে- সর্বোচ্চ জান্নাত “জান্নাতুল আদনে” । ঐ জান্নাত আম্বিয়ায়ে কেরামের জন্য নির্ধারিত। জান্নাতীদেরকে জান্নাতুল আদন”-এ নিয়ে গিয়ে আল্লাহপাক আপন দীদার নসীব করবেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যতের এই দৃশ্যটি রূপকভাবে উপস্থাপন করে উম্মতকে দীদারে এলাহী লাভ করার জন্য আমলের উৎসাহ দিয়েছেন। এই দীদার হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত স্বচ্ছ ও আলোময়- যার তুলনা হয় না। আল্লাহপাক নিরাকার। সুতরাং আকৃতিতে নয়- নিরাকার ভাবেই তাঁর দর্শন লাভ হবে এবং সবাই ঐ মনমোহিনী অবস্থা দেখে সিজদায় গিয়ে বেহঁশ ও বেখোদ অবস্থায় পড়ে থাকবে। আর জান্নাতীদের প্রথম খাদ্য হবে মাছের কলিজা ও জান্নাতী ষাঁড়। ইবরানী ভাষায় ষাড়কে বলা হয় “উম্ম” এবং মাছকে বলা হয় “নুন”। আরবীতে বলা হয় যথাক্রমে ছাওর ও হুত। এ হলো সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। এখন বিস্তারিত কিছু হাদীস বর্ণনা করা হচ্ছেঃ
(১)আল্লাহপাক কোরআন মজিদে ইঙ্গিতে জান্নাত ও আপন দীদার -এর কথা বলেছেন। ইরশাদ হচ্ছে-
لِّلَّذِينَ أَحْسَنُواْ الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ
অর্থঃ যারা দুনিয়াতে নেক আমল করেছে তাদের জন্য রয়েছে “হুসনা” এবং “যিয়াদাহ”। (সূরা ইউনুছ ২৬ আয়াত)।
(২) “হুসনা” ও যিয়াদাহ” শব্দদ্বয়ের ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়ে নবা করিম (দরূদ) ইরশাদ করে :
عن صھیب قال : قیل الرسول اللّٰہ صلی اللّٰہ وسلم ھذہ الاٰیۃ۔ (للذین احسنوا الحسنی وزیارۃ) قال : اذا دخل اھل الجنۃ الجنۃ واھل النار النار ینادی ۔ یا اھل الجنۃ ان لکم عند اللّٰہ موعدا یرید ان ینجزکموہ، فقالوا الم تبیض وجوھنا ۔وتشقل موازیننا وتجرنا من النار ۔ قال فیکشف الحجاب ۔ فینظروا الیہ۔ فواللّٰہ ما اطاھم اللّٰہ شیأ احب الیھم من النظر الی وجہ اللّٰہ ولا اقر لاعینھم ۔ رواہ النسائی ۔
অর্থঃ হযরত সোহায়েব রুমী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কোরআন মজিদের সূরা ইউনুছের ২৬ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। আয়াতের আভিধানিক অর্থ হলো- “যারা দুনিয়াতে নেক আমল করেছে, তাদের জন্য রয়েছে “হুসনা” এবং যিয়াদাহ”- অর্থাৎ “উত্তম ও অতিরিক্ত জিনিস”। নবী করিম (দরূদ) ইরশাদ করলেন- এখানে ”হুসনা” অর্থ জান্নাত এবং “যিয়াদাহ” অর্থ দীদার। যখন জান্নাতীরা জান্নাতে যাবে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তখন এক অদৃশ্য ঘোষণাকারী ঘোষণা করবে- হে জান্নাতীগণ, তোমাদের জন্য আল্লাহর একটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করা বাকী রয়ে গেছে। তিনি ইচ্ছা করছেন- এখন তা পূরণ করবেন। জান্নাতীরা বলবে- আমাদের মুখমণ্ডল কি উজ্জল করা হয়নি? আমাদের নেক আমলের পাল্লা কি ভারী করা হয়নি? আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে কি মুক্ত করা হয়নি? (আর কি বাকী রয়ে গেলো!)। তখনই দৃষ্টিপথ থেকে হিজাব বা প্রতিবন্ধকতা সরে যাবে এবং তারা আল্লাহর দিকে চেয়ে থাকবে। নবী করিম (দরূদ) ইরশাদ করেন “আল্লাহর কসম। আল্লাহর সত্বার দিকে চেয়ে থাকা এবং চোখকে শীতল করার চেয়ে অধিক প্রিয় কোন বস্তু আল্লাহ্পাক তাদেরকে দান করেন নি।” (নাছায়ী শরীফ)।
বুঝা গেল- নবীজী ’হুসনা’র অর্থ করেছেন জান্নাত এবং ‘যিয়াদাহ”-র অর্থ করেছেন দীদারে এলাহী। কোন সাহাবীই এর অর্থ বুঝতে পারেন নি। নবীজী ছাড়া কোরআন অর্থহীন।
(৩) বিষয়টি আরো খোলাসা করে বর্ণনা করেছেন নবী করিম (দরূদ)
عن انس بن مالک رضی اللّٰہ عنہ قال : سئل رسول اللّٰہ ﷺ فی الاٰیۃ (للذین احسنوا الحسنی وزیارۃ) فقال للذین احسنوا العمل فی الدنیا الحسنی وھی الجنۃ والزیارۃ النظرالی وجھہ الکریم۔ رواہ احمد
অর্থঃ হযরত আনাহ (রাঃ) বলেন- নবী করীম (দরদ) কে উক্ত ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো- “হুসনা” দ্বারা কি বুঝায় এবং ”যিয়াদাহ” দ্বারা কি বুঝায়? নবী করীম (দরূদ) আরজ করলেন- ”যারা দুনিয়াতে উত্তম কাজ করেছে- তাদের জন্য রয়েছে “হুসনা” অর্থাৎ জান্নাত। আর ”যিয়াদাহ” দ্বারা বুঝানো হয়েছে- আল্লাহর সত্বার প্রতি দৃষ্টি করা- অর্থাৎ দীদারে এলাহী। (ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল)।
(৪) পূর্ণিমার নির্মল রাতে চাঁদের মত আলোময় দেখা যাবে আল্লাহকে
عن جریر بن عبد اللّٰہ رضی اللّٰہ عنہ قال : کنا عند رسول اللّٰہ ﷺ فنظر القمر لیلۃ البدر فقال : الکم سترون ربکم عیانا کما ترون ھذاالقمر لا تضامون ۔ فی رؤیتہ رواہ البخاری وابو داؤد والترمذی وقال ھذا حدیث حسن ۔ صحیح۔
অর্থঃ হযরত জরীর ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমরা সাহাবীগণ হুয়ুর (দরদ) -এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। নবী করিম (দরদ) পূর্ণিমার চাঁদের দিকে চেয়ে ইরশাদ করলেন- তোমরা আজ চাঁদ যেভাবে পরিপূর্ণ ও খোলামেলা দেখছো, তদ্রূপ তোমাদের রব আল্লাহকেও দেখতে পাবে। চাঁদ দেখার ব্যাপারে যেমন কোন অস্পষ্টতা নেই, তদ্রূপ আল্লাহর দীদারেও অস্পষ্টতা থাকবে না। (বুখারীমুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযি)
এই হাদীসখানা হাদীসশাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী হাসান লি যাতিহী ও সহীহ লিগায়রিহী পর্যায়ের। একে হাদীসে মোতাশাবিহাত বা দুর্বোধ্য হাদীস বলা হয় । কেননা, আল্লাহর কোন বাহ্যিক আকার নেই।
আল্লামা কুরতুবীর ব্যাখ্যাঃ প্রিয় মাহবুবের সাথে মিলন ও তার দর্শন যে সবচেয়ে মধুর তার বাস্তব প্রমাণ হলো লাইলী মজনুর নিস্কাম প্রেম। কয়েস ওরফে মজনুকে বলা হয়েছিল- লাইলীকে কি তোমার কাছে ডেকে নিয়ে আসবো? মজনু জবাব দিলেন- লাইলী কি আমার থেকে অদৃশ্য যে ডেকে আনবে? আবার বলা হলো- তুমি কি সত্যিই লাইলীকে ভালবাসা? জবাব দিলো- ”মহব্বতের আকর্ষণই তো মিলনের পথ সুগম করে। লাইলীর আত্মার সাথে আমার আত্মার মিলন হয়ে গেছে। সুতরাং আমিই লাইলা এবং লাইলীই আমি” । (তাকিরাহ ৫৩৭ পৃষ্ঠা)।
(৫) বেশেস্তবাসীদের প্রথম খাদ্য হবে জান্নাতী ষাঁড়ের মাংস এবং মাছের কলিজা
خرج مسلم عن ثوبان مولی رسول اللّٰہ ﷺ قال کنت قاعدا عنک رسول اللّٰہ ﷺ فجاء ہ حبر من احبار الیھود ۔ فقال السلام علیک یا محمد ۔ فدفعتہ کاد یصرع منھا فقال لم تدفعنی؟ فقلت : الا تقول یا رسول اللّٰہ ؟ فقال الیھودی انما ندعوہ باسمہ الذی سماہ بہ اھلہ فقال رسول اللّٰہ ﷺ ان اسمی محمد الذی سمانی بہ اھلی فقال الیھودی جئت اسألک فقال رسول اللّٰہ ﷺ ۔ اینفعک شئی ان حدثتک ؟ قال اسمع باذنی فنکت رسول اللّٰہ ﷺ بعود منہ ۔ فال ’’سل‘‘ فقال الیھودی این یکون الناس یوم تبدل الارض غیر الارض والسمٰوٰت ؟ فقال رسول اللّٰہ ﷺ ’’ھم فی الظلمۃ دون الجسر‘‘ قال الیھود فمن اول الناس اجازۃ؟ قال الفقرء المھاجرین ۔ قال الیھودی فما تحفتھم حین یدخلون الجنۃ ؟ قال ’’زیارۃ کبد النون‘‘ قال: فما غذاؤھم؟ ینحر ثور الجنۃ الذی کان یأکل من اطرافھا‘‘ قال: فما شرابھم علی اثرھا؟ قال : من عین فیھا تسمی سلسبیلا ۔ فقال صدقت ۔ رواہ مسلم ۔
অর্থঃ রাসুলেপাকের আযাদকৃত গোলাম হযরত সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- আমি রাসুলে পাকের নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় একজন ইহদী পণ্ডিত এসে হযুর (দরূদ) -এর নাম ধরে বললো- আসসালামু আলাইকা ইয়া মুহাম্মদ। সাওবান বলেন- আমি তাকে জোরে একটি ঘুষি মেরে দিলাম। আমার ঘুষি খেয়ে সে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। সে আমাকে বললো- আমাকে ঘুষি মারলে কেন? আমি বললাম- “ইয়া রাসুলাল্লাহ” বলে সালাম দিলেনা কেন? সে বললো- তোমাদের নবীকে তাঁর লোকেরা তো নাম ধরেই ডাকে। তাই আমরাও নাম ধরেছি। (তাতে দোষ হলো কোথায়?)। হুযুর ﷺ শান্তনার সুরে বললেন- “হা, আমার লোকেরা আমাকে মোহাম্মদ বলেই ডাকে”।
এবার ইয়াহুদী পণ্ডিত শান্তনা পেয়ে বললো- আমি এসেছি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করার জন্য। হুযুর (দরদ) বললেন- আমি জবাব দিলে তোমার উপকার আসবে কি? সে বললো- আমি নিজের কানে জবাব শুনবো। হযুর ﷺ নিজের লাঠি দিয়ে ইয়াহুদীকে খোঁচা দিয়ে প্রশ্ন করতে বললেন। ইয়াহুদী বললো- কিয়ামতের সময় যখন এই আসমান যমীনের পরিবর্তে আরেক আসমান যমীন হবে- তখন লোকেরা অন্য যমীনে যাওয়ার পূর্বে কোথায় অবস্থান করবে? হুযুর (ﷺ) সাথে সাথে জবাব দিলেন- অন্ধকারে পুলের ওপর ঠাসাঠাসি করে অবস্থান করবে। ইয়াহদী পণ্ডিত বললো- সর্বপ্রথম কারী জান্নাতে প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত হবে? হুযুর (ﷺ) এরশাদ করলেন- গরীব মুহাযিরগণ। ইয়াহুদী বললো- জান্নাতীদের প্রথম তোহফা কী দেয়া হবে? হুযুর (ﷺ) বললেন- মাছের অতিরিক্ত অংশ কলিজা। সে আবার প্রশ্ন করলো, জান্নাতীদের প্রথম খাদ্য কি হবে? হুযুর (ﷺ) এরশাদ করলেন ”বেহেস্তী ষাঁড়। তাকে যবেহ করে তার চারদিকের গোপ্ত পরিবেশিত হবে। সে বললো- খাওয়ার পর পানীয় হবে কী? হুযুর (ﷺ) বললেন- জান্নাতের ঝরনার পানি- যার নাম হবে ছালছাবিল। ইহুদী পণ্ডিত বললো- আপনি ঠিকই বলেছেন। (মুসলিম শরীফ)।
অত্র হাদীসখানা দিয়ে গ্রন্থখানা সমাপ্ত করছি এবং শুকরিয়া আদায় করছি এজন্য যে, অত্র হাদীসে নবীজীর ইলমে গায়েবের একটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। বলতে হয়- অত্র হাদীসখানা নবীজীর পরকালীন বিষয়ক ইলমে গায়েবের ভাণ্ডার। হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন সহীহ মুসলিম। সুতরাং তার নির্ভরযোগ্যতা প্রশ্নাতীত।
অত্র হাদীস দ্বারা নবীজীর যেসব ইলমে গায়েব প্রমাণিত হলো- তাহলো
(১) ইয়াহুদী পণ্ডিত শিক্ষিত লোক। সে “ইয়া রাসুলাল্লাহু” না বলে “ইয়া মোহাম্মদ” বলে সম্বোধন করায় নবীর গোলাম হযরত সাওবান (রা:) তাকে ঘুষি বা ধাক্কা মারতে দ্বিধা করেননি। একেই বলে নবী প্রেম। সুন্নী নবীপ্রেমিক যুবকেরা উক্ত সুন্নাতটি আদায় করতে পারেন।
(২) ইয়াহুদী পণ্ডিত তাদের তাওরাত কিতাব থেকে নবীজীর ইলমে গায়েব পরীক্ষা করার জন্য ৫টি প্রশ্ন করেছিল। প্রশ্নগুলো এত কঠিন ছিল যে, অন্য জগতের যাবতীয় বিষয় নখদর্পনে না থাকলে কেউ তার উত্তর পারবেনা।
প্রশ্ন ৫টি ছিল (ক) আসমান যমীন ধবংস হওয়ার পর অন্য যমীনে যাওয়ার পূর্বে এই মধ্যবর্তী সময়ে দুনিয়ার এত মানুষ কোথায় অবস্থান করবে? (খ) জান্নাতে প্রথম প্রবেশ করবে কারা? (গ) জান্নাতীদের প্রথম অভ্যর্থনামূলক তোহফা কি দেয়া হবে? (ঘ) জান্নাতে খাদ্য তালিকার প্রথম আইটেম কি হবে। (ঙ) খাওয়া শেষে হজমের জন্য কোন জাতীয় পানীয় সরবরাহ করা হবে? এগুলো তো সম্পূর্ণ গায়েবী ইলেমের বিষয়। একজন ইয়াহদী পণ্ডিতের আত্মবিশ্বাস ছিল যে, নবীজী এগুলোর জবাব অবশ্যই দিতে পারবেন। কিন্তু আমাদের নজদী দেওবন্দী দোস্তরা ইয়াহুদীর চেয়েও নিকৃষ্ট। থানবী বলেছে- “নবীজীর ইলমে গায়েবের ন্যায় এমন ইলমে গায়েব তো যায়েদ, বকর, ওমর, শিশু, পাগল- এমনকি চতুষ্পদ জন্তুরও আছে”। (নাউযুবিল্লাহ)। (দেখুন তার হিফযুল ঈমান”)।
(৩) ইয়াহুদী পণ্ডিতের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নবীজী একথা বলেননি যে, আমি তো গায়েব জানিনা। একমাত্র আল্লাহই গায়েব জানেন। অথবা একথাও বলেন নি যে, জিবরাঈল আসুক, তারপর জবাব দিব- এখনতো জানিনা। বরং সাথে সাথে সব জবাব দিয়েছিলেন। তিনি জান্নাত ও জাহান্নাম নিজ চোখে দেখে এসেছেন এবং এখনও দেখতে পাচ্ছেন (তাবরানীর হাদীস كاني انظر)।
বুঝা গেলো- জান্নাত ও জাহান্নামের সব বিষয় নবীজীর দৃষ্টিতে ভাসমান। তাই তিনি হাযির ও নাযির।
(৪) কোন আলেম বা মহাপণ্ডিত একথা বলতে পারবেন না যে, জিবরাঈল ঐ সময় এসে এসব জওয়াব বলে দিয়ে গেছেন। আল্লাহপাক বলেন- হে হাবীব। আপনার প্রভূই আপনাকে ব্যাপক ইলমে গায়েব নিজে শিক্ষা দিয়েছেন। (সূরা নিছা ১১৩” আয়াত)।
(৫) কোরআন মজিদে দু’ রকমের ইলমে গায়েবের কথা উল্লেখ আছে। যথাঃ (ক) ইলমে গায়েব যাতি (খ) ইলমে গায়েব আতায়ী। ইলমে গায়েব যাতি হলো আল্লাহর জন্য খাস, আর ইলমে গায়েব আতায়ী হলো নবীজীর জন্য খাস। একজনের এলেম অন্যজনের জন্য সাব্যস্থ করা কুকরী। আল্লাহর ইলম আতায়ী হতেই পারেনা। এটা মূলতঃই অসম্ভব। আল্লাহ আমার মনের আশা পূরণ করেছেন। আলহামদু লিল্লাহি আলা যালিকা। আস সালাতু আস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ।
(পাণ্ডুলিপি সমাপ্তঃ ১১ ই যিলক্বদ ১৪২৮ হিজরী, ৮ ই অগ্রহায়ন -১৪১৪ বাংলা, ২২ শে নভেম্বর- ২০০৭ ইসায়ী)।