এ প্রসঙ্গে ‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) নিজেই ইরশাদ করেন-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله تعالى عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُنْتُ أَوَّلَ النَّبِيِّينَ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ-
-‘‘আমি ছিলাম সৃষ্টিতে নবিগণের সর্বপ্রথম এবং প্রেরণে নবীগণের সর্বশেষ।’’
➤ ইমাম আদী : আল কামিল : ৩/৩৭৩ পৃষ্ঠা, দায়লামী : ফিরদাউস বিমাসুরিল খিতাব : ৩/২৮২ পৃ হাদিস : ৪৮৫০, দায়লামী : ফিরদাউস বিমাসুরিল খিতাব : ৪/৪৪১ পৃ : হাদিস : ৭১৯৫, আযলূনী : কাশফুল খাফা : ২/১১৯ পৃ : হাদিস : ২০০৭, ইমাম বগভী : মা‘লিমুত তানজিল : ২/৬১১ পৃষ্ঠা, হাদিস ১৬৮০, ইবনে কাসীর : তাফসীরে ইবনে কাসীর : ৬/৩৮২ পৃষ্ঠা,ও সিরাতে নববিয়্যাহ, ১/২৮৯ পৃষ্ঠা, ১/৩১৮ পৃষ্ঠা, সুয়ূতি : খাসায়েসুল কুবরা : ১/৫ হাদিস : ১, আবু নুয়াইম ইস্পাহানী : দালায়েলুন নবুওয়াত : ১/৪২ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩, আবি হাতেম : আত্ তাফসীর : ৯/৩১১৬ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ১৭৫৯৪, মুত্তাকি হিন্দী কানযুল উম্মাল : ১১/৪৫২ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩২১২৫, তাবরানী, মুসনাদিস্-শামীন, ৪/৩৪ পৃষ্ঠা, হাদিস ২৬৬২, মুয়াস্সাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবানন।
এই হাদিসটি এক সূত্রে সহীহ, আরেকটি সূত্রে ‘হাসান’ পর্যায়ের।
قَالَ قَتَادَةُ : إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:كُنْتُ أَوَّلَ الْأَنْبِيَاءِ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ
-‘‘হযরত কাতাদা (رحمة الله) হতে সহীহ সনদে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসূলে করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন : আমি সৃষ্টিতে নবীদের প্রথম এবং প্রেরণের দিক দিয়ে সবার শেষে।’’
➤ শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৬৬পৃ, ইবনে সা‘দ : আত্-তবকাতুল কোবরা : ১/১৪৯ পৃষ্ঠা, ইমাম বগভী : তাফসীরে মা’লিমুত তানযিল : ৪/৪৩৫পৃ, ইমাম তবারী : তাফসীরে তবারী : ১০/২৬২, তিনি বলেন হাদিসটির সনদ সহীহ, দায়লামী : মুসনাদিল ফিরদাউস : হাদিস : ৪৮৫০, আবু নুঈম ইস্পাহানী : দালায়েলুল নবুয়ত, হাদিস ৩, ইমাম আদি : আল-কামিল : ৩/৪৯ পৃ হাদিস : ৩৭২, ইমাম কাযি আয়াজ, শিফা, ১/১১৪ পৃষ্ঠা,ও ১/৪৬৬ পৃষ্ঠা, তাবরানী : মুসনাদিস্-সামীন : ৪/২৬৬২ পৃষ্ঠা।
ইমাম সুয়ূতী সহ আরও অনেকে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।’’
➤ ইমাম সুয়ূতি, জামেউস সগীর, ২/২৪৮ পৃষ্ঠা, হা/৬৪২২-২৩এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মাচন’’ এর ১ম খন্ডের ২৪৮-২৫১ পৃষ্ঠা,য় দেখুন।
ইমাম ইবনে সা‘দ (رحمة الله) {ওফাত. ২০৭হি.}একটি হাদিস সংকলন করেন-
عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ. صلى الله عليه وسلم : كُنْتُ أَوَّلَ النَّاسِ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ
-‘‘হযরত কাতাদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, আমাদেরকে জানানো হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এরূপ বলেছেন, সৃষ্টির মধ্যে আমিই প্রথম মানুষ এবং প্রেরিত হয়েছি সবার শেষে।’’
➤ ইমাম ইবনে সা‘দ, আত্-তবকাতুল কোবরা, ১/১৯৯ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ২/৩৯৩ পৃষ্ঠা,দারু ইহ্ইয়াউত তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন, শিফা শরীফ, ১/১১৪ পৃষ্ঠা, কাসতাল্লানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া, ১/৪২ পৃষ্ঠা,।
আহলে হাদিসদের ইমাম এবং ইবনে তাইমিয়ার ছাত্র আল্লামা হাফেজ ইবনে কাসির (رحمة الله) {ওফাত. ৭৭৪হি.}এই হাদিসটি সংকলন করে লিখেন- وَهَذَا أَثْبَتُ وَأَصَحُّ -‘‘এই সনদটি প্রমাণিত ও অধিক সহীহ।’’
➤ ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ২/৩৯৩ পৃষ্ঠা,
তাই আদম (عليه السلام)-এরই পূর্বেই রাসূল (ﷺ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে; যা এই সহীহ হাদিস থেকে প্রমাণিত হল।
তাই আদম (عليه السلام)-এরই পূর্বেই রাসূল (ﷺ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই এই দিকেই ইশরা করে হযরত আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন-
قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالجَسَدِ
-‘‘রাসূল (ﷺ)‘র কাছে জানতে চাওয়া হলো যে, আপনি কখন নবুয়ত লাভ করেছেন? তিনি বলেন, আদম (عليه السلام) যখন রূহ ও দেহের মাঝামাঝি ছিলেন।’’ ➤তিরমিযি, আস্-সুনান, ৫/৫৮৫ পৃষ্ঠা, কিতাবুল মানাকিব, হাদিসঃ ৩৬০৯, তিনি বলেন হাদিসটি ‘হাসান’। আহলে হাদিস আলবানী সনদটিকে সহিহ বলেছেন।
তাই যারা বলছেন তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেছিলেন তারা যে গোমরাহ তা স্পষ্ট প্রমাণিত হল।