‘হোসনে মোস্তফাﷺ- ০৮’

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

কে আছে এমন এই পৃথিবীতে যার চোখের সৌন্দর্য আলাদা করে বর্ণনা করা হয়। যার থুথুর, যার নাকের, যার ভ্রুর, যার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সৌন্দর্যের বর্ণনা আলদা আলাদা ভাবে করা হয়। নিশ্চয়ই রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত এমন আর কেউ নেই।

তাঁর মোবারক চোখদ্বয় বড় ছিল এবং কুদরতিভাবে সুরমা লাগানো আর পলকগুলো বিস্তৃত ছিল।[১]  তাঁর মোবারক চোখ এতই সুন্দর ছিল এতই প্রভাবময় ছিল যে যার দিকে রহমতের দৃষ্টি দিতেন তার ভাগ্য জেগে ওঠত। 

হযরত শায়বা বিন ওসমান রা. তাঁর ঈমান গ্রহণের ঘটনা এভাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হুনাইনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন তখন আমার স্মরণে এলো আমার পিতা ও চাচাকে আলী রা. এবং হামযা রা. শহীদ করে দিয়েছিল। তবে আমি কেন তার প্রতিশোধ নিব না?

আমি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে শহীদ করার উদ্দেশ্য তাঁর নিকটবর্তী হলাম এবং যখনই হত্যা করতে উদ্ধত হলাম তখনই একটি আগুনের শিখা বিদ্যুতের ন্যায় আমার দিকে আসতে লাগল। যার কারণে আমি পিছনের দিকে পালিয়ে যেতে লাগলাম। এমন সময় রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মোবারক দৃষ্টি আমার দিকে পরল এবং ইরশাদ করলেন, হে শায়বা! তারপর তাঁর হাত মোবারক আমার বুকের ওপর রাখলেন। 

তখন আল্লাহ তায়ালা শয়তানকে আমার অন্তর থেকে বের করে দিলেন। আমি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারার দিকে তাকালাম। তখন হুযুরকে আমার নিজের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি থেকেও বেশি প্রিয় লাগতে লাগল।'[২]

হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভ্রুদ্বয় বিস্তৃত ও চিকন ছিল। এমনভাবে সম্পৃক্ত ছিল দূর থেকে দেখলে মিলিত মনে হতো। হযরত হিন্দা আবী হা’লা রা. বলেন, উভয় ভ্রুর মাঝখানে একটি শিরা ছিল। যা জালালী অবস্থায় ফুলে যেত।[৩]

রেফারেন্সঃ

[১] সীরাতে রাসূলে আরাবী, ২৫১ পৃষ্ঠা। 

[২] দালাইলুন নবুয়াত লীআবী নাঈম, ১/১১২, নং-১৪৪।

[৩] আশ শামায়েলে মুহাম্মদীয়া লিত তিরমিজি, ২২ পৃষ্ঠা, হাদিস- ৭।

‘হোসনে মোস্তফাﷺ- ০৮’

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment