হানাফীমাযহাবের সাথে ইমাম বুখারীর সম্পর্ক
এই পোস্টে আমরা ইমাম বুখারীর সাথে হানাফী মাযহাবের সম্পর্ক কেমন, তা একটু দেখব ইনশাল্লাহ।
১।ইমাম বুখারীর নাম হল-মুহাম্মদ বিন ইসমাইল রহঃ। ইমাম বুখারীর পিতার নাম হল ইসমাইল। সিয়ারু আলামিন নুবালা নামক রিজালশাস্ত্রের গ্রন্থে ইমাম বুখারী রহঃ এর বরাতে বর্ণনা করা হয়েছে-
إسحاقبنأحمدبنخلف،أنهسمعالبخارييقول: سمعأبيمنمالكبنأنس،ورأىحمادبنزيد،وصافحابنالمباركبكلتايديه(سيراعلامالنبلاء،الطبقةالرابعةعشر،أبوعبداللهالبخاري،رقم-171)
অনুবাদ-ইসহাক বিন আহমাদ খালফ বলেন-আমি ইমাম বুখারী রহঃ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-আমার পিতা মালেক বিন আনাস থেকে শুনেছেন, আর তিনি হাম্মাদ বিন জায়েদকে দেখেছেন, আর তিনি ইবনুল মুবারকের সাথে দুই হাতে মুসাফাহা করেছেন।
{সিয়ারু আলামিন নুবালা, ১৪ তম তবক্বা, নং-১৭১, রাবী ইমাম বুখারী}
ইমাম বুখারীর পিতা ইবনুল মুবারক রহঃ এর সাথে দুই হাতে মুসাফাহা করেছেন। হানাফী মাযহাবেও দুই হাতে মুসাফাহা করার কথা বলা হয়েছে।
২।
ইমাম বুখারী সর্বপ্রথম উস্তাদ কে? পাঁচ বছর বয়সে তার পিতা তাকে কুরআন পড়ান।
ক) তারপর সর্বপ্রথম মক্কী বিন ইবরাহীম রহঃ এর কিতাব পড়েন।
খ) ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মুবারকের কিতাব পড়েন।
গ) ইমাম সুফিয়ান সাওরীর আল জামেউল কুবরা পড়েন।
ঘ) আবু হাফস রহঃ এ কিতাব পড়েন।
এখানে লক্ষ্য করুন মক্বী বিন ইবরাহীম ইমাম আবু হানীফা রহঃ এ ছাত্র।
আব্দুল্লাহ বিন মুবারক রহঃ ও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র ।
ইমাম সুফিয়ান সাওরীও হানাফী।
ইমাম আবু হাফস রহঃ হানাফী।
তাহলে ইমাম বুখারী রহঃ এর পড়াশোনা শুরু হানাফী মাযহাবের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কিতাব পড়ার মাধ্যমে। যার কাছে পড়েছেন তিনিও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র।
৩।
ক) ইমাম বুখারী রহঃ এর বয়স যখন ১৫/১৬ বছর হয় তখন আরো পড়াশোনা করার জন্য ২১০ হিজরীতে নিজের পিতার ও তার ভাই আহমাদের সাথে মক্কায় গিয়ে হজ্ব করেন। তারপর সেখানে হাদীস পড়েন, তাদের মাঝে সবচেয়ে বড় উস্তাদ হল আবু আব্দুর রহমান আল মুকরীর কাছে। যিনি হলেন ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র।
খ) ইমাম বুখারী যখন বসরায় গেলেন। তখন সেখানে যাদের কাছে হাদীস পড়েন, তাদের মাঝে বড় উস্তাদ হলেন ইমাম আবু আসেম রহঃ, যিনি ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র।
তারপর আরো একজন বড় উস্তাদ হলেন-মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল আনসারী রহঃ। তিনিও আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র।
গ) তারপর কুফা গেলেন সেখানে যাদের কাছে কিতাব পড়লেন, তাদের মাঝে বড় উস্তাদ হলেন উবায়দুল্লাহ বিন মুসা। তিনিও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র।
আরেক উস্তাদের নাম আবুল ফুজাইল রহঃ তিনিও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র।
ঘ) তারপর পড়ার জন্য বাগদাদ গেলেন, সেখানে যাদের কাছে পড়েছেন। তাদের মাঝে বড় উস্তাদের নাম হল ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহঃ। যিনি ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর ছাত্র। আর ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর খাস ছাত্র।
লক্ষ্য করুন ইমাম বুখারী রহঃ নিজের শহরে পড়াশোনা করেছেন তো ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্রদের কাছে পড়েছেন। অন্য শহরে গিয়ে পড়াশোনো করেছেন ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্রদের কাছেই পড়েছেন।
কুফা নগরীর সাথে ইমাম বুখারীর সম্পর্কঃ
ইমাম বুখারী (রহঃ) যেসব শহরে গিয়েছেন তার মাঝে কুফা নগরীতে তিনি সবচেয়ে বেশি গিয়েছেন। সেখান থেকে সবচেয়ে বেশি ইলম অর্জন করেছেন। এজন্য বুখারীর পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় কুফী রাবী বিদ্যমান।
অথচ কুফার বিরুদ্ধাচারনকারীরাকার বিরুদ্ধাচরণ করছে নিজেরা বুঝতেও পারে না।
কুফাকে আবাদকারী হলেন হযরত সাদ বিন আবী ওয়াক্বাস।
আবাদের নির্দেশকারী হযরত ওমর রাঃ।
আবাদ করার জন্য প্রথম আমীর হিসেবে কুফায় আসেন তিনি হলেন আম্মার বিন ইয়াসির রাঃ।
সেখানের প্রথম শিক্ষক হলেন আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ।
যারা প্রথমে আবাদ করেছেন ১০৫০ সাহাবীদের মাঝে ৭০ জনই বদরী সাহাবী। আর ৩১৩ জন রাসূল সাঃ এর সাথে হজ্বকারী সাহাবী।
তাহলে কুফা আবাদ করার হুকুম দিলেন খলীফায়ে রাশেদ রাসূল সাঃ এর প্রিয় সাহাবী হযরত ওমর বিন খাত্তাব রাঃ।
কুফা আবাদকারী হলেন নবীজী সাঃ এর সাহাবী সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস রাঃ।
প্রথম আমীর আম্মার বিন ইয়াসীর রাঃ।
প্রথম শিক্ষক আব্দুল্লা্হ বিন মাসউদ রাঃ।
আবাদকারী সাহাবীদের মাঝে ৭০ জন বদরী সাহাবী। আর ৩১৩ জন রাসূল সাঃ এর সাথে হুদায়বিয়ার সন্ধিতে অংশগ্রহণকারী সাহাবী।
সুতরাং কুফার বদনাম করলে মূলত কার বদনাম করা হয়? বদনামতো প্রতিষ্ঠানের হয় না, হয় প্রতিষ্ঠাতার। তাহলে কুফার বদনাম করা মানে হল কুফা প্রতিষ্ঠাতার উপর বদনাম করা।
কথিত আহলে হাদীসরা একটি খোড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে থাকে যে, কুফাতে হযরত হুসাইন রাঃ শহীদ হয়েছেন তাই এটি অভিশপ্ত ভূমি।
কোন এলাকায় আল্লাহর কোন প্রিয় বান্দা শহীদ হলে বা কষ্ট পেলে সে স্থান যদি অভিশপ্ত হয়, তাহলে মক্কাও অভিশপ্ত হয়ে যাবে, নাউজুবিল্লাহ। কারণ মক্কায় রাসূল সাঃ কে অনেক কষ্ট দেয়া হয়েছে।
ওহুদে ৭০ জন সাহাবী শহীদ হয়েছেন।
রাসূল সাঃ এর মিম্বরে হযরত ওমর রাঃ শহীদ হয়েছেন।
মদীনার মিম্বরে হযরত উসমান রাঃ শহীদ হয়েছেন।
তায়েফে রসূল (সঃ) এর উপর আক্রমণ হয়েছে।
তাই এখন বলুন, মক্কা-মদীনা, উহুদ, তায়েফের বদনাম করাটা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ? না চূড়ান্ত পর্যায়ের বোকামী?
তেমনি হযরত হুসাইন রাঃ শহীদ হওয়ার কারণে কুফাকে বদনাম করা যাবে না। যারা শহীদ করেছেন তাদের বদনাম হতে পারে, কিন্তু যেখানে শহীদ হয়েছেন সে স্থানের বদনাম করাটা চূড়ান্ত পর্যায়ের আহমকীর নিদর্শন।
এবার দেখুন কুফার সাথে ইমাম বুখারীর কতটা সম্পর্ক?
ইমাম বুখারী রহঃ নিজেই বলেন-
قالالبخاريدخلتإلىالشامومصروالجزيرةمرتينوإلىالبصرةأربعمراتوأقمتبالحجازستةأعوامولاأحصيكمدخلتإلىالكوفةوبغدادمعالمحدثين(مقدمةفتحالبارى،كتابالبيوعالىالسلم،ذكرعدةمالكلصحابيفيصحيحالبخاريموصولاومعلقاعلىترتيبحروفالمعجم-1/147)
আমি সিরিয়াতে এবং মিশরে ও জাজিরাতুল আরবে গিয়েছি ৪ বার। আর হেজাযে অবস্থান করেছি ৬ বছর। আর কতবার যে কুফা আর বাগদাদে মুহাদ্দিসদের সাথে গিয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।
{মুকাদ্দিমায়ে ফাতহুল বারী)
ইমাম বুখারী হেজাযে কতদিন ছিলেন মনে আছে, মিশর, সিরিয়া ও জাজিরাতুল আরবে কতবার গেছেন মনে আছে। কিন্তু কুফা আর বাগদাদের কত অগণীত বার গেছেন তা আধিক্যের কারণে তিনি ভুলেই গেছেন।
একথা সুষ্পষ্ট প্রমাণ করে ইমাম বুখারী রহঃ এর কুফার সাথে তার ইলমী নিসবত কতটা গভীর ছিল। একারণেই বুখারী শরীফের এমন পৃষ্ঠা খুব কমই আছে যাতে কুফী বর্ণনাকারী নেই। পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় কুফী রাবী। এটাও সুষ্পষ্ট প্রমাণ ইমাম বুখারী কুফার প্রতি কতটা কৃতজ্ঞ।
সুতরাং বুঝা গেল কুফার ভক্ত ছিলেন ইমাম বুখারী। বিদ্বেষী নয়। তাই ইমাম বুখারী হানাফী মাযহাবের প্রাণকেন্দ্রের ভক্ত ও ঋণী।
ইমাম যাদের কাছে পড়েছেন তাদের সম্পর্ক হানাফীদের সাথে। যেসব শহরে গিয়েছেন তাদের সাথেও হানাফীদের সম্পর্ক।
৪।
ইমাম বুখারী রহঃ পড়াশোনা শেষ করে যখন লেখালেখি ও পড়ানো শুরু করেন, তখন তিনি যত কিতাব লিখেছেন তার মাঝে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ কিতাবের নাম হল বুখারী শরীফ। বুখারী শরীফের দিকে আমরা একটু নজর দেই।
বুখারীতে শাওয়াহেদ, মুরসালসহ সর্বমোট ৯০০৮২ বর্ণনা আছে। সনদের মাঝে বুখারী রহঃ যার কাছ থেকে হাদীস নিয়েছেন তিনি হলেন ইমাম বুখারী রহঃ এর শায়েখ। আর সনদের সর্বশেষে যিনি হন তিনি হন সাহাবী রাঃ।
বুখারীতে এমন বর্ণনা অনেক আছে যাতে ইমাম বুখারীর শায়েখ ও কুফী এবং হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীও কুফাতে অবস্থানকারী। শুধু তাই নয়, এমন বর্ণনাও আছে যার প্রতিটি বর্ণনাকারী কুফী। যেমন-
392 – حدثنا عثمانقالحدثناجريرعنمنصورعنإبراهيمعنعلقمةقالقالعبدالله: صلىالنبيصلىاللهعليهوسلم– قالإبراهيملاأدري– زادأونقصالخ(صحيحالبخارى،كتابالصلاة،بابالتوجهنحوالقبلةحيثكان،رقمالحديث-392)
বুখারীর এ বর্ণনাটিতে লক্ষ্য করুন-
ইমাম বুখারীর শায়েখ উসমান,
তার শায়েখ জারীর,
তার শায়েখ মানসুর,
তার শায়েখ ইবরাহীম নাখয়ী,
তার শায়েখ আলকামা,
তার শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ।
এ হাদীসের সনদের ৬ জন রাবী আছে। আর ৬ জনই কুফী রাবী।
শুধু কি তাই? বুখারী শরীফের সর্বশেষ হাদীসের সনদের দিকে লক্ষ্য করুন-
7124 – حدثنا أحمدبنإشكابحدثنامحمدبنفضيلعنعمارةبنالقعقاععنأبيزرعةعنأبيهريرةرضياللهعنهقال: قالالنبيصلىاللهعليهوسلم( كلمتانحبيبتانإلىالرحمنخفيفتانعلىاللسانثقيلتانفيالميزانسبحاناللهوبحمدهسبحاناللهالعظيم)
এ হাদীসের সনদের শুধুমাত্র হযরত আবু হুরায়রা রাঃ ছাড়া বাকি সকল রাবী কুফী।
আহমাদ বিন ইশকাব,
মুহাম্মদ বিন ফুযাইল,
আমারা বিন কা’কা’ ,
আবু জুরআ সবাই কুফী।
সুতরাং বুঝা গেল যে, ইমাম যাদের কাছে পড়েছেন তারাও কুফী। যাদের সনদের হাদীস এনেছেন তারাও কুফী। ইমাম বুখারী রহঃ এর সাথে কুফার সম্পর্ক নিবিড়।
৫।
ইমাম বুখারী রহঃ বুখারীতে যেসব হাদীস এনেছেন সনদ সহকারে, তাতে ৫ সনদও আছে। ৪ সনদও আছে। ৩ সনদও আছে। ইমাম বুখারী রহঃ এর সবচেয়ে গর্ব হল ৩ সনদের উপর। সনদ কম হলে হাদীসের মাঝে শক্তিমত্বা বেশি হওয়ায় ইমাম বুখারী সুলাসিয়াত তথা ৩ সনদওয়ালা হাদীসের উপর গর্ব আছে। এবার দেখুন সেসব সুলাসিয়্যাতের কি হাল?
বুখারীতে মোট সুলাসিয়্যাত হল ২২ টি।
এ ২২টি সুলাসিয়্যাতের ১১টি সনদে ইমাম বুখারী রহঃ এর শায়েখ হলেন-মক্বী বিন ইবরাহীম। যিনি ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র।
এর মাঝে ৬ টি হাদীদের বর্ণনাকারী রাবী হলেন-আবু আসেম আন নাবীল রহঃ। তিনিও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র।
এর মাঝে ৩ তিনটি হাদীসের বর্ণনাকারী রাবী মুহাম্মদুল্লাহ আব্দুল্লাহ বিন আনসারী। যিনি ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র।
এর মাঝে একটি হাদীসের বর্ণনাকারী রাবী হযরত হাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া রহঃ। তিনি কুফী তথা কুফায় অবস্থানকারী ব্যক্তি।
এর মাঝে একজন রাবী হলেন ইসাম বিন খালেদ আল হিমসী। যিনি হেমসের অধিবাসী।
এবার লক্ষ্য করুন-ইমাম বুখারী রহঃ যে সুলাসিয়্যাতের উপর গর্ব, সেই ২২ টি সুলাসিয়্যাতের ২০টির বর্ণনাকারী ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্রের। আর একটি ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর নিজের এলাকা কুফার। আর একজন শুধুমাত্র হেমসের অধিবাসী। তাহলে ইমাম বুখারী গর্ব করতে চান তো ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর ছাত্র ছাড়া করতেই পারেন না।
৬।
ইমাম আবু হানীফা রহঃ মদীনার ইলম পর্যন্ত আমাদের পৌছিয়েছেন সনদসহ। ইমাম বুখারী রহঃ ও মদীনার ইলম পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন সনদসহ।
লক্ষ্য করুন ইমাম বুখারী রহঃ এর মদীনায় নিয়ে যাওয়ার সনদ-
حدثناأحمدبنإشكابحدثنامحمدبنفضيلعنعمارةبنالقعقاععنأبيزرعةعنأبيهريرةرضياللهعنهقال: قالالنبيصلىاللهعليهوسلم
ইমাম বুখারী রহঃ রাসূল সাঃ পর্যন্ত সনদ পৌঁছাতে মাধ্যম নিলেন ৫টি।
আহমদ বিন ইশকাব,
তারপর মুহাম্মদ বিন ফুযাইল,
তারপর আম্মারাহ বিন কা’কা’
তারপর আবু জুরআ,
তারপর আবু হুরায়রা রাঃ।
তাহলে ইমাম বুখারী রহঃ আমাদের মদীনায় পৌঁছাতে মাধ্যম বানালেন ৫টি।
এবার লক্ষ্য করুন ইমাম আবু হানীফা রহঃ আমাদের মদীনায় পৌঁছাতে কয়টি মাধ্যম ব্যবহার করেন-
عنابىحنيفةعنعبداللهبنانيسقالقالرسولاللهصلىاللهعليهوسلم
عنابىحنيفةعنعبداللهبنابىاوفىقالقالرسولاللهصلىاللهعليهوسلم
عنابىحنيفةعنعبداللهبنحارثقالقالرسولاللهصلىاللهعليهوسلم
عنابىحنيفةعنجابربنعبداللهقالقالرسولاللهصلىاللهعليهوسلم
ইমাম বুখারী যেখানে আমাদের মদীনায় পৌছাতে ব্যবহার করেন ৫টি মাধ্যম। আর ইমাম আবু হানীফা রহঃ ব্যবহার করেন মাত্র একটি মাধ্যম।
তিনি বর্ণনা করেন সরাসরি
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উনাইস রাঃ থেকে।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবী আওফা রাঃ থেকে।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন হারেস রাঃ থেকে।
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে।
যেহেতু আমরা মদীনার ইলমে পৌঁছতে চাই। আর সেখানে পৌছতে ইমাম বুখারীর মাধ্যম বেশি আর ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মাধ্যম কম। তাই আমরা আবু বুখারী রহঃ কে রেখে ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর তাক্বলীদ করে দ্রুত মদীনার ইলমের শহরে পৌঁছে যাই।
৭।
ইমাম বুখারী রহঃ থেকে তার কিতাব ৯০ হাজার ছাত্ররা পড়েছেন। কিন্তু বুখারী শরীফের সনদ প্রসিদ্ধ চারজনের মাধ্যমে। যথা-
১-ইবরাহীম বিন মা’কাল বিন হাজ্জাজ আন নাসাফী রহঃ। তিনি ২৯৪ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
২- হাম্মাদ বিন শাকের আন নাসাফী রহঃ। যিনি ৩১১ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
৩-মুহাম্মদ বিন ইউসুফ আল ফিরাবরী রহঃ। তিনি ৩২০ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
৪-আবু তালহা মানসুর বিন মুহাম্মদ রহঃ। তিনি ২৬৯ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন।
লক্ষ্য করুন-৯০ হাজার ছাত্রদের মাঝে যে চারজনের সনদ প্রসিদ্ধ বুখারীর।
এর মাঝে প্রথম দুইজন তথা ইবরাহীম বিন মা’কাল বিন হাজ্জাজ আন নাসাফী রহঃ এবং হাম্মাদ বিন শাকের আন নাসাফী রহঃ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর মুকাল্লিদ।
তাহলে কি বুঝা গেল? ইমাম বুখারী রহঃ যাদের কাছে পড়েছেন তারাও হানাফী। যে শহরে বেশি গেছেন সেটাও হানাফী। যাদের মাধ্যমে বুখারী প্রচারিত হয়েছে তারাও হানাফী।