হাদিস আল-সাক্বলাইন
এই হাদিসটি হল মুতাওয়াতির পর্যায়ভুক্ত হাদিস। যা অস্বীকারকারী কাফির।
❏ হাদিস ১:
ইমাম আহমদ, আবু ই’য়ালা প্রমূখ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে,
أخرج أحمد وأبو يعلى، عن أبي سعيد الخدری رضی الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: إنی أوشك أن أدعى فأجيب، وإني تارك فيكم الثقلين كتاب الله و عترتی أهل بیتی. وإن اللطيف الخبير خبرنی، أنهما لن يتفرقا حتى یردا على الحوض، فانظروا كيف تخلفونی فيهما؛
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, “আমি এটা কামনা করি যে, আমাকে (আল্লাহর পক্ষ হতে) আহ্বান করা হবে আর আমিও সাড়া দেব (ইন্তিকাল করব)। আর নিশ্চয় আমি তােমাদের জন্য দুটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ জিনিস রেখে যাচ্ছি, (তা হচ্ছে) কিতাবুল্লাহ (কুরআন) এবং আমার পরিবার পরিজন তথা আহলে বায়ত। আর সুক্ষ্ম দ্রষ্টা (আল্লাহ) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, তারা উভয়ে (কুরআন এবং আমার আহলে বায়ত) কখনাে পৃথক হবেনা যতক্ষণ না উভয়ে আমার নিকট হাউজে কাউছারের নিকট মিলিত হয়। সুতরাং আমার পরে তােমরা তাদের সাথে কেমন ব্যবহার করছ তা লক্ষ্য রেখ।
➠তথ্যসূত্রঃ
১. ইমাম আহমদঃ আল মুসনাদ- ৩: ৩৯৩ (১০৭৪৭)।
২. আবু ইয়ালা-২:৬ (১০১৭)/ ৯:(১০২৩)/ ৪৭:(১১৩৫)।
৩.ইমাম আহামাদ ইবনে হাম্বলঃ ‘মুসনাদে আহমদ’,৩য় খন্ড, ১৭ ও ২৬ পৃষ্ঠা।
৪.ইবনে আবি শাইবাহ, আবু ইয়ালা, ইবনে সা’দ
৫.কাঞ্জুল উম্মাল ১ম খন্ডের ৪৭ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ৯৪৫।
❏ হাদিস ২ :
أخرج البارودي عن أبی سعید رضی الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ إني تارك فيكم ما إن تمسكتم به لن تضلوا: كتاب الله، سبب طرفه بيد الله، وطرفه بأيديكم، وعترتی أهل بیتی، وإنهما لن يتفرقا، حتی یردا على الحوض۔
বারুদী হযরত আবু সাঈদ (رضي الله عنه)’র সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, নিশ্চয় আমি তােমাদের মধ্যে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি যতক্ষণ তােমরা তা আঁকড়ে ধরবে তােমরা কখনাে পথভ্রষ্ট হবেনা। (তার একটি হচ্ছে) কিতাবুল্লাহ (কুরআন) যার একপার্শ্ব আল্লাহর হাতে এবং অপর পার্শ্ব তােমাদের হাতে। আর (অপরটি হচ্ছে আমার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত)। আর নিশ্চয় এরা উভয়ে (কুরআন ও আহলে বাইত) হাউজে কাউছারের নিকট আমার সাথে সাক্ষাত না করা পর্যন্ত পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবেনা।
তথ্যসূত্র:
১. কিতাবুস সুন্নাহ, ইবনে আবি আসেম, ২:৬৩০ (১৫৫৪)।
২. আল মারিফাতু ওয়াত তারিখ, আল ফাসভী ১:৫৩৭।
৩. আল মু’জামুল আউসাত, তাবরানী, ৪:২৬২ (৩৪৬৩)/৩২৮ (৩৫৬৬)।
৪. আল মুসনাদ, ইমাম আহমদ ৩:৩৮৮ (১০৭২০)।
হাদিসে সাক্বলাইনঃ এর বিভিন্ন ইসনদঃ
রাবীঃ আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه)
মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল আল শায়বানী: ➠`আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ ➠ (তাঁর পিতা) আহমদ ইবনে হাম্বল ➠ ইবনে নুমায়র` আল আবদুল মালেক ইবনে আবী সুলায়মান ➠ আতিয়াহুল আল-আওফী ➠ আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
মুসনাদে আহমেদ ইবনে হাম্বল আল শায়বানী: ➠`আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ ➠ (তাঁর পিতা) আহমদ ইবনে হাম্বল ➠ আসওয়াদ ইবনে` আমির ➠ আবু ইসরা’ল ইসমাইল ইবনে ইসহাক আল-মালাই ➠ আতিয়াহ আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
মুসনাদে আহমেদ ইবনে হাম্বল আল শায়বানী: ➠আবদুল্লাহ ইবনে আহমদ ➠ (তাঁর পিতা) আহমদ ইবনে হাম্বল ➠ আবু নদর ➠ মুহাম্মদ ইবনে তালাহাহ ➠ আল-আমাশ ➠ আতিয়া আল-আওফি ➠ আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
মুসনাদে আহমেদ ইবনে হাম্বল আল শায়বানী:
➠ আবদুল্লাহ ইবনে আহমদ ➠ (তাঁর পিতা) আহমদ ইবনে হাম্বল ➠ ইবনে নুমায়র ➠ `আবদুল মালেক আবু সুলায়মান ➠ আতিয়াহ ➠ আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
মুসনাদ আবী ইয়ালা: ➠ বিশর ইবনুল ওয়ালীদ ➠ মুহাম্মাদ ইবনে তালাহাহ ➠ আল-আমাশ ➠ আতিয়াহ ইবনে সাদ ➠ আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
আল বাগভীর ইসনাদ: ➠ আবু আল-কাসিম `আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবদুল আল-আজিজ আল-বাগভী ➠ বিশর ইবনে ওয়ালিদ আল-কিন্দি ➠ মুহাম্মদ ইবনে তালহাহ ➠ আল-আমাশ ➠ আতিয়া ➠ থেকে আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
[মু’জামউস সাগীর – তাবারানী] ➠ হাসান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে মুসআব আল-আশনানী আল-কুফি ➠ উব্বাদ ইবনে ইয়াকুব আল-আসাদি ➠ আবু` আব্দুর রহমান আল-মাস`দী ➠ কাসির আল-নাওয়া ➠ আতিয়াহ ➠ আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
[মু’জামউস সাগীর – তাবারানী] ➠ হাসান ইবনে মুসলিম ইবনুল তাবিব আল সানানী ➠ আব্দুল হামিদ ইবনে সাবিহ ➠ ইউনূস ইবনে আরকাম-হারুন ইবনে সাদ ➠ আতিয়াহ ➠ আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
[আবু ইসহাক আল সালাবী]: হাসান মুহাম্মদ ইবনে হাবিব আল-মুফাসসির বলেছেন:➠ “আমি আমার দাদার নিজের হাতে লেখা বইয়ে পেয়েছিলাম,➠ আহমাদ ইবনে-আহজাম আল-কাদী-মারওয়াজী➠আল-ফাদল ইবনে মুসা আল-শায়বানী➠আবদুল মালেক ইবনে আবী সুলায়মান ➠ আতিয়াহুল আল-উফী ➠ আবু সাইদ আল খুদরী (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
❏ হাদিস ৩ :
أخرج الطبراني عن المطلب بن عبد الله بن حنطب، عن أبيه قال: خطبنا رسول اللهﷺ بالجحفة فقال: ألست أولى بكم من أنفسكم؟ قالوا: بلی یارسول الله، قال: فإني سائلكم عن اثنين، عن القرآن، وعترتی؛
ইমাম ত্বাবরানী হযরত মােত্তালিব ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হানতাব (رضي الله عنه) থেকে তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে যুহফাতে ভাষণ দিলেন, অতঃপর বললেন, ‘আমি কি তােমাদের জন্য তােমাদের প্রাণের চেয়েও নিকটে নই? সাহাবা সকলে বলল, অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাহলে নিশ্চয় আমি তােমাদেরকে দুটি বিষয়ে দায়িত্ব দিচ্ছি, (তা হচ্ছে) কুরআনের ব্যাপারে এবং আমার পরিবারবর্গের (বংশধরদের) ব্যাপারে।
১.মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাইসামী ৫:১৯৫।
২.ইমাম তাবারানী।
❏ হাদিস ৪:
ইমাম বাযযার হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
أخرج البزار عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ إني خلفت فيكم اثنين لن تضلوا بعدهما أبدأ: كتاب الله، ونسبی. ولن يتفرقا، حتی یردا على الحوض –
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমি তােমাদের জন্য দুটি প্রতিনিধি রেখে যাচ্ছি, (তােমরা এদের আঁকড়ে ধরলে) এরপর তােমরা কখনাে পথভ্রষ্ট হবে না। (তা হচ্ছে) আল্লাহর কিতাব (কুরআন) এবং আমার বংশধর (আহলে বাইত)। আর আমার কাছে হাউজে কাউছারের নিকট মিলিত না হওয়া পর্যন্ত এঁরা উভয়ে (কুরআন এবং আমার বংশধর) পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবেনা।
➠তথ্যসূত্রঃ
১. কাশফুল আসতার- হাইছামী, ৩:২২৩ (২৬১৭),
২. মাজমাউজ জাওয়ায়েদ-৯:১৬৩।
❏ হাদিস ৫:
ইমাম বাযযার হযরত আলী (رضي الله عنه)’র সূত্রে বর্ণনা করেন,
أخرج البزار عن علي رضي الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ إنی مقبوض، وإني قد ترکت فیکم الثقلين: كتاب الله، وأهل بیتی، وإنكم لن تضلوا بعدهما۔
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “নিশ্চয় আমি ইন্তিকাল করব। আর নিশ্চয় আমি তােমাদের জন্য দু’টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রেখে যাচ্ছি। (তা হচ্ছে) কিতাবুল্লাহ (কুরআন) এবং আমার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত)। আর নিশ্চয় তােমরা এ দু’টা শক্তভাবে আঁকড়ে ধরার পর কখনাে গােমরাহ হবেনা।
➠তথ্যসূত্রঃ
১. কাশফুল আসতার – হাইছামী-৩:২২১ (২৬১২)।
২. মাজমাউজ জাওয়ায়েদ – ৯:১৬৩।
হাদিসে সাক্বলাইনঃ এর বিভিন্ন ইসনদঃ
রাবীঃ আলী ইবনে আবী তালিব (رضي الله عنه)
মুহাম্মাদ ইবনে জারীর আত-তাবারী [কাঞ্জুল উম্মাল থেকে]: কাসির ইবনে যায়েদ ➠ মুহাম্মদ ইবনে উমর ইবনে আলী (তাঁর পিতা) ➠`উমর (তাঁর পিতা) থেকে ➠ আলী ইবনে আবী তালিব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
মুসনাদ ইসহাক ইবনে রাহওয়াহ: আহমাদ ইবনে ফাদল ইবনে মুহাম্মাদ (ওয়াসিলাত আল মা’আল’ এ) ➠ কাসির ইবনে জায়েদ আল রুমী ➠ আলী ইবনে আবী তালিব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
মুসনাদ আল বাযজার: আল-হুসেন ইবনে আলী ইবনে জাফর `➠ আলী ইবনে সাবিত ➠ সুআদ ইবনে সুলায়মান ➠ আবু ইসহাক ➠ আল-হারিস`➠ আলী ইবনে আবী তালিব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
আবাকাত এ আল-জুআবীঃ আবদুল্লাহ ইবনে মুসা ➠ (তাঁর পিতা) মুসা` ➠ `আবদুল্লাহ ইবনে হাসান ➠ (তাঁর পিতা) হাসান ➠ (তাঁর দাদা) হাসান` ➠ আলী ইবনে আবী তালিব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
মুশকিলুল আসার: ইব্রাহিম ইবনে মারজুক ➠ আবু আমির আল-আকদী ➠ ইয়াজিদ ইবনে কাসির ➠ মুহাম্মদ ইবনে `উমর ইবনে` আলী ➠ (তাঁর বাবা) `উমর ➠ (তাঁর পিতা)` আলী ইবনে আবী তালিব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
❏ হাদিস ৬ :
জামে আল তিরমিযীঃ নসর ইবনে আব্দুর রহমান আল কুফি ➠ জায়েদ ইবনে আল হাসান ➠ জাফর ইবনে মুহাম্মদ ➠ তাঁর পিতা (আল বাকির) ➠ জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে।
জামে আল তিরমিযীঃ আলী ইবনুল মুঞ্জির আল কুফি ➠ মুহাম্মাদ ইবনুল ফুদায়েল ➠ আল আমাশ ➠ আল আতিয়াহ ➠ আবু সা`দ ও আল আমাশ ➠ হাবিব ইবনে সাবিত ➠ জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে।
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত,
حدثنا نصر بن عبد الرحمن الكوفي حدثنا زيد بن الحسن هو الأنماطي عن جعفر بن محمد عن أبيه عن جابر بن عبد الله قال رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم في حجته يوم عرفة وهو على ناقته القصواء يخطب فسمعته يقول يا أيها الناس إني قد تركت فيكم ما إن أخذتم به لن تضلوا كتاب الله وعترتي أهل بيتي……..
قال وهذا حديث حسن
মহানবী (صلى الله عليه و آله و سلم)-এর শেষ বাণী যা তিনি বিদায় হজ্জে একলক্ষ বিশ হাজার সাহাবীদের মাঝে এরশাদ করেছিলেন: “হে মানব সম্প্রদায়! আমি তোমাদের মধ্যে দু‘টি সমপরিমাণ ভারি বস্তু রেখে যাচ্ছি যদি এ দু‘টিকে আঁকড়ে ধরে থাক (অনুসরণ কর) তাহলে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর যদি একটিকে ছাড় তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।
তার প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (কোরআন) দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমার ইতরাত, আহলে বাইত [(আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন (আঃ)]; এ দু‘টি কখনই পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না হাউজে কাউসারে আমার সাথে মিলিত হবে। তাদের সাথে তোমরা কিরূপ আচরণ কর এটা আমি দেখবো”।
➠তথ্যসূত্রঃ
১.সহীহ্ তিরমীজি, খঃ-৬, হাঃ-৩৭৮৬, ৩৭৮৮ (ই,ফাঃ) / অধ্যায়ঃ ৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা। পরিচ্ছদঃ ৩২. আহলে বাইআত-এর মর্যাদা,
হাদিস নম্বরঃ ৩৭৮৬।
২.মিশকাত শরীফ – ৫৬৫ পৃঃ
৩.সুনানে নাসায়ী।
৪.ইমাম মুত্তাকী হিন্দীঃ কাঞ্জুল উম্মাল, ১ম খন্ড ৪৪ পৃষ্ঠা।
৪.সহীহ্ মুসলিম, খঃ-৫,হাঃ-৬০০৭, ৬০১০, (ই;ফাঃ);
৫.মেশকাত, খঃ-১১, হাঃ-৫৮৯২-৫৮৯৩, (এমদাদীয়া);
৬.তাফসীরে মাজহারী,খঃ-২, পৃঃ-১৮১, ৩৯৩, আল্লামা সানাউল্লাহ পানিপথি (ইফাঃ);
৭.তাফসীরে হাক্কানী (মাওলানা শামসুল হক ফরীদপূরি), পৃঃ-১২-১৩ (হামিদীয়া);
৮.তাফসীরে নূরুল কোরআন, খঃ-৪, পৃঃ-৩৩ (মাওলানা আমিনুল ইসলাম);
৯.মাদারেজুন নাবুয়াত, খঃ-৩, পৃঃ-১১৫, শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী, মাদারেজুন নাবুয়াত, খঃ-২, পৃঃ-৫৮৫ (উর্দ্দু);
১০.তাফসীরে মারেফুল কোরআন, খঃ-১, পৃঃ-৩৭১, মুফতি মুহাম্মদ সফী (ই,ফাঃ);
১১.কুরআনুল করিম (মাওলানা মহিউদ্দিন খান), পৃঃ-৬৫;
১২.সিরাতুন নবী, খঃ-২, পৃঃ-৬০৫, আল্লামা শবলি নুমানী (তাজ কোং);
১৩.আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খঃ-৫, পৃঃ-৩৪৫ খঃ-৭, পৃঃ-৬১৬ (ই,ফাঃ);
১৪.কাতেবীন ওহী, পৃঃ-১৬৬ (ই,ফাঃ);
১৫.আশারা মোবাশশারা (ফাযেলে দওবন্দ), পৃঃ-১৬৩ (এমদাদীয়া);
১৬.বোখারী শরীফ, খঃ-৫, পৃঃ-২৮০, ২৮২, (হামীদিয়া);
১৭.রিয়াদুস সালেহীন, খঃ-১, পৃঃ-২৫৫ (ই, সেন্টার);
১৮.যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা (মাওলানা আমিনুল ইসলাম), প:-২৩০;
১৯.আরজাহুল মাতালেব,পৃঃ-৫৬৮ (উদ্দু);
২০.ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-৬৭-৭৬, (উর্দ্দু);
২১.সিলসিলাত আল আহাদিস আস সাহীহাহ্ (নাসিরউদ্দিন আলবানীঃ বলেছে সহিহ, কুয়েত আদদ্বার আস সালাফীয়া, খঃ-৪, পৃঃ-৩৫৫-৩৫৮, হাঃ-১৭৬১, (আরবী)।
হাদিসে সাক্বলাইনঃ এর অন্যান্য ইসনদঃ
রাবীঃ জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه)
নওয়াদীর আল উসুল [হাকিম আল তিরমিযী]: নসর ইবনে আব্দুর রহমান-আল-ওয়াশা ‘জায়েদ ইবনুল-হাসান আল-আনমাতি ➠ জাফর ইবনে মুহাম্মদ ➠ তাঁর পিতা (মুহাম্মদ) থেকে ➠ জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে।
সহীহ্ উসুল ঈ’তিকাদ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাহঃ আবদুল রহমান ইবনে উমর ইবনে আহমাদ ➠ আল-হুসাইন বিন ইমাঈল ➠ আবু হিশাম আল রিফা ➠ হাফস মুজাহিদ ➠ আল-শা’বী ➠ জাবির বিন আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) ।
[সহীহ্ উসুল ঈ’তিকাদ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাহ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৮১, ৯৫] বিবৃতিতে মুজাহিদ দুর্বল।
❏ হাদিস ৭:
হযরত ইবনে আবিশ শায়বা এবং মুসাদ্দাদ উভয়ে তাদের ‘মুসনাদ’-এ হাকীম তিরমিজী ‘নাওয়াদেরুল উসূল’-এ আবু ইয়ালা এবং তাবরানী প্রমূখ হযরত সালমা ইবনে আকওয়া’ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
أخرج ابن أبي شيبة، ومسدد فی مسنديهما، والحكيم الترمذي في نوادر الأصول، وأبو يعلى، والطبراني عن سلمة بن الأكوع رضي الله عنه قال: قال رسول الله ﷺ النجوم أمان لأهل السماء وأهل بیتی أمان لأمتی؛
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ‘তারকারজি হচ্ছে আসমানের অধিবাসীদের জন্য নিরাপত্তা আর আমার পরিবারবর্গ (আহলে বাইত) হচ্ছে, আমার উম্মতের জন্য নিরাপত্তা।
➠তথ্যসূত্রঃ
১.আল-মাতালিবুল আলিয়া-ইবনে হাজর আল আসকালানী – ৪:২৬২ (৩৯৭২)।
২. মুখতাসারু ইত্তিহাফুস সাদাতিল মাহরা-বুসিরী-৫:২১০ (৭৫৩৬)।
৩. নাওয়াদিরুল উসূল, ২:১৯৯।
৪. আল মু’জামুল কাবীর- তাবরানী ৭:২২ (৬২৬০)।
৫. আল মারিফাতু ওয়াত তারীখু-আল ফাসভী- ১:৫৩৮।
৬. যাবায়েরুল উকবা- আত্বাবারী, পৃষ্ঠা- ৪৯।
৭. কানযুল উম্মাল- আল মুত্তাকি আল হিন্দ-১২:১০১।
৮.আল-মসনদ-আর রুয়ানী -২:২৫৩ (১১৫২)/২৫৮(১১৬৪/১১৬৫)।
❏ হাদিস ৮:
ইমাম মুসলিম ও ইমাম হাকিম নিশাবুরী (رحمة الله) বর্ণনা করেন,
ইমাম মুসলিম তিনি ➠ যুহায়র ইবনে হারব ও সুজা ইবনে মাখলাদ থেকে ➠ তারা ‘উলাইয়া থেকে ➠ তিনি যুহির থেকে ➠ তিনি ইসমাইল ইব্রাহিম থেকে, ➠ তিনি আবু হায়ান থেকে, ➠ তিনি ইয়াজিদ ইবনে হাইয়ান থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন ➠”আমি (ইয়াজিদ ইবনে হাইয়ান), হোসাইন ইবনে সাবরাহ ও উমর ইবনে মুসলিম জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) এর নিকট গেলাম।
আমরা যখন তাঁর সাথে বসলাম তখন হোসাইন তাকে বললেন, হে যায়েদ, আপনে অনেক ভাগ্যবান। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে দেখেছেন এবং তাঁর বরকতমন্ডিত বক্তব্য শুনেছেন, তাঁর সঙ্গে একসাথে জিহাদ করেছেন এবং তাঁর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। প্রকৃতপক্ষে হে জায়েদ, আপনি অত্যন্ত ভাগ্যবান, আপনি আল্লাহর রাসূলের কাছ থেকে যা শুনেছেন তা বর্ণনা করুন।
“জায়েদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,……তিনি বলেন,
حدثني زهير بن حرب وشجاع بن مخلد جميعا عن ابن علية قال زهير حدثنا اسماعيل بن ابراهيم حدثني أبو حيان حدثني يزيد بن حيان قال: انطلقت أنا وحصين بن سبرة وعمر بن مسلم إلى زيد بن أرقم فلما جلسنا إليه قال له حصين لقد لقيت يا زيد خيرا كثيرا, حدثنا يا زيد ما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: يا ابن أخي والله لقد كبرت سني وقدم عهدي ونسيت بعض الذي كنت أعي من رسول الله صلى الله عليه وسلم فما حدثتكم فاقبلوه وما لا فلا تكلفونيه ثم قال: قام رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما خطيبا فينا بماء يدعى خما بين مكة والمدينة فحمد الله تعالى وأثنى عليه ووعظ وذكر ثم قال: أما بعد ألا أيها الناس فإنما أنا بشر يوشك أن يأتيني رسول ربي عز وجل فأجيب وأنا تارك فيكم ثقلين أولهما كتاب الله عز وجل فيه الهدى والنور فخذوا بكتاب الله تعالى واستمسكوا به فحث على كتاب الله ورغب ثم فيه قال وأهل بيتي أذكركم الله في أهل بيتي أذكركم الله في أهل بيتي أذكركم الله في أهل بيتي …
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ……. আমি আপনাদের মাঝে দুটি মূল্যবান (ভারী) জিনিস (স্বাকলাইন) রেখে যাচ্ছি। দুইটির মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব। এতে রয়েছে হেদায়েত ও আলো। সুতরাং তোমরা আল্লাহর কিতাবকে আঁকড়ে ধর এবং মেনে চল।….
অতঃপর তিনি বললেনঃ এবং আমার আহলে বাইয়াত (পরিবার)। [আমার আহলে বাইআত এর (প্রতি সদ্ব্যবহার এর ব্যাপারে) তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করো (অর্থাৎ, ভয় করো)] এই কথা তিনি ৩ বার বললেন। (সংক্ষিপ্ত অনুবাদ)
তথ্যসূত্রঃ
১.সহিহ মুসলিম : ২য় খন্ড, পৃ. ৩৭৯, ৭ম খণ্ড,পৃ. ১২২; হাদিস নং ৫৯২০, ৫৯২৩। অধ্যায়ঃ কিতাব ফাযাইলুস-সাহাবাহ।
২.সুনানে দারেমীঃ ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৩১-৪৩২।
৩.মুসনাদে আহমাদ,৩য় খণ্ড,পৃ. ১৪,১৭,২৬,৫৯; ৪র্থ খণ্ড,পৃ. ৩৬৬,৩৭১; ৫ম খণ্ড,পৃ: ১৮২,১৮৯;
৪.মুসতাদরাকে হাকেম,৩য় খণ্ড,পৃ. ১০৯,১৪৮,৫৩৩
❏ হাদিস ৯-১১:
জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) এর সূত্রে।
সনদ ১: ইমাম হাকিম (رحمة الله) বলেছেন➠ আমাদের কাছে বাগদাদে আবু আল-হোসাইন মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ ইবনে তামিম আল-হামজালী বর্ণনা করেছেন,➠তিনি আবু ক্বাল্লাবাহ থেকে➠তিনি ‘আব্দুল মালেক ইবনে মুহাম্মদ আল-রাককাশি থেকে, ➠তিনি ইয়াহিয়া ইবনে হাম্মাদ থেকে।
সনদ ২: ইমাম হাকিম (رحمة الله) বলেছেন ➠ তিনি আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে বালাওইহ ও আবু বকর আহমদ ইবনে জাফর আল-বায্যায তারা দুইজন➠ আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ ইবনে হাম্বল থেকে ➠ তিনি তাঁর বাবা ইয়াহিয়া ইবনে হাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেছেন;
সনদ ৩: ইমাম হাকিম (رحمة الله) বলেছেন➠ আমাদের কাছে বুখারার ফকীহ আবু নসর আহমদ ইবনে সুহাইল বর্ণনা করেছেন, ➠ তিনি বাগদাদের হাফিজ সালিহ ইবনে মুহাম্মদ থেকে, ➠ তিনি খালাফ ইবনে সেলিম আল মাখরামী থেকে ➠ তিনি ইয়াহিয়া ইবনে হাম্মাদ থেকে;➠তিনি আবু উওয়াননাহ থেকে➠ তিনি সুলায়মান আল-আমশ থেকে, ➠তিনি হাবীব ইবনে আবি সাবিত থেকে,➠ তিনি আবু আল-তুফায়ল থেকে, ➠ তিনি জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন,
حدثنا أبو الحسين محمد بن أحمد بن تميم الحنظلي ببغداد ثنا أبو قلابة عبد الملك بن محمد الرقاشي ثنا يحيى بن حماد (و حدثني) أبو بكر محمد بن بالويه و أبو بكر أحمد بن جعفر البزار قالا : ثنا عبد الله بن أحمد بن حنبل حدثني أبي ثنا يحيى بن حماد (وثنا) أبو نصر أحمد بن سهل ا لفقيه ببخارى ثنا صالح بن محمد الحافظ البغدادي ثنا خلف بن سالم المخرمي ثنا يحيى بن حماد ثنا أبو عوانة عن سليمان الأعمش قال : ثنا حبيب بن أبي ثابت عن أبي الطفيل عن زيد بن أرقم رضي الله عنه قال : لما رجع رسول الله صلى الله عليه و سلم من حجة الوداع و نزل غدير خم أمر بدوحات فقمن فقال : كأني قد دعيت فأجبت إني قد تركت فيكم الثقلين أحدهما أكبر من الآخر كتاب الله تعالى و عترتي فانظروا كيف تخلفوني فيهما فإنهما لن يتفرقا حتى يردا علي الحوض ثم قال : إن الله عز و جل مولاي و أنا مولى كل مؤمن ثم أخذ بيد علي رضي الله عنه فقال : من كنت مولاه فهذا وليه اللهم وال من والاه و عاد من عاداه و ذكر الحديث بطوله. هذا حديث صحيح على شرط الشيخين و لم يخرجاه بطوله.
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গাদির খুম নামক স্থানে তাঁর শেষ বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে বলেন,
“অতঃপর তিনি বললেন, ‘আমি (মৃত্যুর বিদায়ী) আহ্বানের ডাকে সারা দিতে চলেছি, নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে দুটি মূল্যবান জিনিস রেখে এসেছি যার মধ্যে একটি অপরটির চেয়ে মহান। আল্লাহর মহিমান্বিত কিতাব এবং আমার আহলে বাইয়াত। অতঃপর তুমি আমার পরে এই দুইয়ের প্রতি কিরূপ আচরণ করবে তা জেনে রেখ, কারণ তারা নিকট হাউজে কাওসার এ কাছে আসা অবধি একে অপর থেকে পৃথক হবে না।'”
অতঃপর তিনি বললেন, ‘আল্লাহ, সর্বশক্তিমান ও মহিমান্বিত, তিনিই আমার মনিব (মাওলা) এবং আমি প্রত্যেক মু’মিন (বিশ্বাসীদের) মাওলা। অতঃপর তিনি আলী (رضي الله عنه) এর হাত ধরে বললেন,”এই (আলী) যার মাওলা আমি তার মাওলা।” হে আল্লাহ আপনি তাকে ভালবাসুন যে তাঁকে ভালবাসে এবং যে তার শত্রু হয় আপনি তার শত্রু হোন।”
আল-হাকিম (رحمة الله) যোগ করেছেন, “এই হাদীসটি শায়েখায়েন (আল-বুখারী ও মুসলিম) এর শর্ত অনুসারে সহীহ, যদিও তারা এটিকে পূর্ণ দৈর্ঘ্যে লিপিবদ্ধ করেননি।”
তথ্যসূত্রঃ
১.মুসলিম শরীফ হাদিস নং- ৬০০৯
২.কাঞ্জুল উম্মালঃ ১ম খন্ড ৪৪ পৃষ্ঠা।
৩.সূনান আত তিরমিজী, অধ্যায়ঃ ৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা। হাদিস নম্বরঃ ৩৭৮৮ | পরিচ্ছদঃ ৩২. আহলে বাইত-এর মর্যাদা।
৪.সহীহঃ মিশকাত (৬১৪৪),
৫.রাওযুন নায়ীর (৯৭৭, ৯৭৮),
৬.সহীহাহ (৪/৩৫৬-৩৫৭)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
❏ হাদিস ১২:
যায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) সূত্রে।
شاهده حديث سلمة بن كهيل عن أبي الطفيل أيضا صحيح على شرطهما (حدثنا) أبو بكر بن اسحاق أبو بكر بن إسحاق و دعلج بن أحمد السجزي قالا : أنبأ محمد بن أيوب ثنا الأزرق بن علي ثنا حسان بن إبراهيم الكرماني ثنا محمد بن سلمة بن كهيل عن أبيه عن أبي الطفيل عن ابن واثلة أنه سمع زيد بن أرقم رضي الله عنه يقول: نزل رسول الله صلى الله عليه و سلم بين مكة و المدينة عند شجرات خمس دوحات عظام فكنس الناس ما تحت الشجرات ثم راح رسول الله صلى الله عليه و سلم عشية فصلى ثم قام خطيبا فحمد الله و أثنى عليه و ذكر و وعظ فقال ما شاء الله أن يقول ثم قال : يا أيها الناس إني تارك فيكم أمرين لن تضلوا إن اتبعتموهما وهما كتاب الله و أهل بيتي عترتي ثم قال : أتعلمون إني أولى بالمؤمنين من أنفسهم ثلاث مرات قالوا : نعم فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم : من كنت مولاه فعلي مولاه.
আমাদের নিকট আবু বকর ইবনে ইসহাক ও দালাজ ইবনে আহমদ আল সিজ্জী বর্ণনা করেছেন,➠ দু’জনই মুহাম্মদ ইবনে আইয়ুব থেকে,➠তিনি আল-আজরাক ইবনে আলী থেকে, ➠তিনি হাসান ইব্রাহিম আল-কিরমানী থেকে, ➠ তিনি মুহাম্মদ ইবনে সালাহাহ ইবনে কুহাইল থেকে ➠ তিনি তাঁর পিতার কাছ থেকে ➠ তিনি আবু তুফায়লের কাছ থেকে,➠ তিনি ইবনে ওয়াথিলার কাছ থেকে,➠ তিনি যায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে হাদিসটি শুনেছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে লোকেরা! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে দুটি জিনিস (আমরীন) রেখে যাচ্ছি। যদি তোমরা সেগুলো আঁকড়ে ধরো তবে কখনও বিপথগামী হবে না। এই দুটি হ’ল: আল্লাহর কিতাব এবং আমার আহলে বাইয়াত, আমার ‘ইতরাত’। অতঃপর তিনি তিনবার বললেন: ‘তোমরা কি জান যে মুমিনদের উপর আমি তাদের নিজেদের চেয়ে বেশি অধিকার লাভ করেছি?’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘হ্যাঁ (নিশ্চই)।’ অতঃপর আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বললেন, ‘আমি যার মাওলা ‘আলীও তার মাওলা (মনিব/সাহায্যকারী)।
(আল-হাকিম (رحمة الله) বলেছেন 🙂 প্রথম বর্ণনাটি (উপরে বর্ণিত) আবু আল-তুফায়ল থেকে সালামাহ ইবনে কুহাইল এটিকে সমর্থন করেছেন, যা আল বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুসারে সহীহও রয়েছে।
[ইমাম আল-হাফিজ আবু ‘আবদুল্লাহ আল-হাকিম (رحمة الله) আল-নিশাবুরী, আল-মুস্তাদরাকাক’আলা আল-সহিহাইন, দারুল-মা’রিফাহ, বৈরুত, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১০৯,১১০]
❏ হাদিস ১৩ :
(আল-হাকিম (رحمة الله) বলেছেন) আমাদের কাছে➠ ফকিহবিদ আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে আল-হোসাইন ইবনে মুসলিম বর্ণনা করেছেন, ➠ তিনি মুহাম্মদ ইবনে আইয়ুব থেকে, ➠তিনি ইয়াহিয়া ইবনুল-মুগিরাহ আল-সাদী থেকে,➠ তিনি জারির ইবনে আবদুল হামিদ থেকে , ➠তিনি আল-হাসান ইবনে আব্দুল্লাহ নাখায়ি থেকে, ➠ তিনি মুসলিম ইবনে সুবায়হ থেকে, ➠ তিনি জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন।
حدثنا أبو بكر محمد بن الحسين بن مصلح الفقيه بالري ثنا محمد بن أيوب يحيى بن المغيرة السعدي ، ثنا : جرير بن عبد الحميد عن الحسن بن عبد الله النخعي عن مسلم بن صبيح عن زيد بن أرقم رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم: إني تارك فيكم الثقلين كتاب الله وأهل بيتي وإنهما لن يتفرقا حتى يردا علي الحوض. هذا حديث صحيح الإسناد على شرط الشيخين ولم يخرجاه.
জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে দুটি মূল্যবান জিনিস রেখেছি: আল্লাহর কিতাব এবং আমার আহলে বাইয়াত। নিশ্চয় হাউযে কাওসারের পাশে আমার কাছে ফিরে না আসা পর্যন্ত দু’টি কখনও পৃথক হবে না।’
ইমাম হাকিম (رحمة الله) বলেছেন, হাদীসটির ইসনাদ সহিহ। শাইখায়েন (আল বুখারী ও মুসলিম) এর শর্তাবলী অনুযায়ী সহিহ। (হাদিসটি সহিহ)
[আল-হাকিম (رحمة الله), মুস্তাদরাক আল হাকিম (رحمة الله), খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৪৮]
❏ হাদিস ১৪ :
সহিহ মুসলিম ও সুনানে দারিমীর মতনঃ
যায়েদ ইবনে আরকাম হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) একদিন মদিনা ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থলে “খুম” নামক একটি জলাশয়ের কাছে খোতবা দান করেন। উক্ত খোতবায় তিনি আল্লাহর প্রশংসার পর লোকদেরকে নসিহত করে বলেন:
ألا أيّها الناس، فانّما أنا بشرٌ يوشک أن يأتی رسول ربّی فأجيب، و أنا تارکت فيکم ثقلين: أولهما کتاب الله فيه الهدی و النور، فخذوا بکتاب الله و استمسکوا به -فحث علی کتاب الله و رغّب فيه ثم قال: – و أهل بيتی، أذکرکم الله في أهل بيتی، أذکرکم الله فی اهل بيتی، أذکرکم الله فی اهل بيتی
হে লোকসকল! আমি একজন মানুষ। খুব শিগগিরি আমার প্রভুর নিযুক্ত ব্যক্তি (তথা মৃত্যুর ফেরেশতা) আমার কাছে আসবে এবং আমিও তাঁর আহ্বানে সাড়া দেব। আমি তোমাদের মাঝে দু’টি অতি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি; যার একটি হল আল্লাহর কিতাব; যাতে রয়েছে নূর এবং হেদায়েত। আল্লাহর কিতাবকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধর। রাসূল (ﷺ) আল্লাহর কিতাবের উপর আমল করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অত:পর বলেন: আর অপরটি হলো আমার আহলে বাইত। আমার আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদেরকে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি (অর্থাৎ মহান আল্লাহকে ভয় করে তাদেরকে অনুসরণ কর) এই বাক্যটিকে তিনি তিনবার উচ্চারণ করেন।
১.সহীহ মুসলিম, ৪র্থ খণ্ড, পৃ.১৮০৩।
২.সুনানে দারেমী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৩১-৪৩২।
৩.মুসনাদে আহমাদ, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৪,১৭,২৬,৫৯; ৪র্থ খণ্ড,পৃ. ৩৬৬,৩৭১; ৫ম খণ্ড, পৃ: ১৮২,১৮৯;
৪.মুসতাদরাকে হাকেম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১০৯, ১৪৮, ৫৩৩।
❏ হাদিস ১৫ :
সহিহ তিরমিযির মতনঃ এই হাদিসটিতে (وعترتی أهل بيتی) শব্দগুলো বর্ণনা করেছেন। মূল হাদিসটি হলো:
إنی تارکت فيکم الثقلين ما ان تمسکتم به لن تضلّوا بعدی؛ أحدهما أعظم من الآخر: کتاب الله حبل ممدود من السماء إلی الأرض و عترتی اهل بيتی، لن يفترقا حتی يردا عليَّ الحوض، فانظروا کيف تخلفونی فيها.
“নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মাঝে দু’টি ভারী (মূল্যবান) জিনিস (আমানত হিসেবে) রেখে যাচ্ছি। যদি তা শক্তভাবে আঁকড়ে ধর তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। সেগুলো একটি অপরটির উপর প্রধান্য রাখে। ( সেগুলো হচ্ছে) আল্লাহর কিতাব যা আসমান হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত (রহমতের) ঝুলন্ত রশির ন্যায় এবং অপরটি হলো আমার বংশধর; আমার আহলে বাইত। এরা হাউযে কাওসারে আমার সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত কখনও একে অপর হতে আলাদা হবে না। অতএব, তোমরা লক্ষ্য রেখ যে, আমার (ছেড়ে যাওয়া) আমানতের সঙ্গে কিরূপ আচরণ করো।” [সুনানে তিরমিযি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৬৬৩]
হাদিসে সাক্বলাইনঃ এর বিভিন্ন ইসনদঃ
রাবীঃ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه)
মুসলিমঃ মুহাম্মদ বিন বকর ইবনে রায়আন ➠ হাসান ইবনে ইব্রাহিম ➠ সাঈদ ইবনে মাসউরুক ➠ ইয়াজিদ ইবনে হায়মান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে।
[সহিহ মুসলিম, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ২৬৮, ৬২২৬ (২৪০৮)]।
মুসলিমঃ (আবু বকর ইবনে শাইবাহ মুহাম্মদ বিন ফুয়াদাইল) এবং (ইসহাক ইবনে ইব্রাহীম জারীর) ➠ আবু হায়ানান ➠ ইয়াজিদ ইবনে হায়যান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে।
[সহিহ মুসলিম, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ২৬৮ ➠ ২৬৯, ৬২২৭ (২৪০৮)]
ইমাম মুসলিম ও ইমাম হাকিম (رحمة الله) তারা ➠ যুহায়র ইবনে হারব ও সুজা ইবনে মাখলাদ থেকে ➠ তারা ‘উলাইয়া থেকে ➠ তিনি যুহির থেকে ➠ তিনি ইসমাইল ইব্রাহিম থেকে, ➠ তিনি আবু হায়ান থেকে, ➠ তিনি ইয়াজিদ ইবনে হাইয়ান থেকে। তারা ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[সহিহ মুসলিম, কিতাব ফাযাইলুস-সাহাবাহ, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ২৬৭,২৬৮, ৬২২৫ (২৪০৮)]
ইমাম হাকিম (رحمة الله) বলেছেন➠ আমাদের কাছে বাগদাদে আবু আল হোসাইন মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ ইবনে তামিম আল-হামজালী বর্ণনা করেছেন,➠তিনি আবু ক্বাল্লাবাহ থেকে➠তিনি ‘আব্দুল মালেক ইবনে মুহাম্মদ আল-রাককাশি থেকে, ➠তিনি ইয়াহিয়া ইবনে হাম্মাদ থেকে, তিনি ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
ইমাম হাকিম (رحمة الله) বলেছেন ➠ তিনি আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে বালাওইহ ও আবু বকর আহমদ ইবনে জাফর আল-বায্যায তারা দুইজন➠ আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ ইবনে হাম্বল থেকে ➠ তিনি তাঁর বাবা ইয়াহিয়া ইবনে হাম্মাদ থেকে তিনি ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
আল হাকিমঃ মুহাম্মদ ইবনে `আলী আল শায়বানী ➠ আহমাদ বিন হাযিম আল গিফারি ➠ আবু নুয়াইম ➠ কামিল আবু আল আ’লা’ ➠ হাবিব ইবনে আবী ছাবিত ➠ ইয়াহিয়া ইবনে যাদাহ ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[মুস্তাদরাক আল হাকিম, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৬১৩, ৬২৭২]।
ইমাম হাকিম (رحمة الله) বলেছেন➠ আমাদের কাছে বুখারার ফকীহ আবু নসর আহমদ ইবনে সুহাইল বর্ণনা করেছেন, ➠ তিনি বাগদাদের হাফিজ সালিহ ইবনে মুহাম্মদ থেকে, ➠ তিনি খালাফ ইবনে সেলিম আল মাখরামী থেকে ➠ তিনি ইয়াহিয়া ইবনে হাম্মাদ থেকে;➠তিনি আবু উওয়াননাহ থেকে➠ তিনি সুলায়মান আল-আমশ থেকে, ➠তিনি হাবীব ইবনে আবি সাবিত থেকে,➠ তিনি আবু আল তুফায়ল থেকে, তিনি ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
আল-হাকিম (رحمة الله) বলেছেন ➠ আমাদের নিকট আবু বকর ইবনে ইসহাক ও দালাজ ইবনে আহমদ আল সিজ্জী বর্ণনা করেছেন,➠ দু’জনই মুহাম্মদ ইবনে আইয়ুব থেকে,➠তিনি আল-আজরাক ইবনে আলী থেকে, ➠তিনি হাসান ইব্রাহিম আল-কিরমানী থেকে, ➠ তিনি মুহাম্মদ ইবনে সালাহাহ ইবনে কুহাইল থেকে ➠ তিনি তাঁর পিতার কাছ থেকে ➠ তিনি আবু তুফায়লের কাছ থেকে,➠ তিনি ইবনে ওয়াসিলার কাছ থেকে,➠ তিনি যায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে হাদিসটি শুনেছেন।
আল-হাকিম (رحمة الله) বলেন, “হাদীসটি আল-বুখারী ও মুসলিম এর শর্ত অনুসারে সহীহ।
[ইমাম হাফিজ আবু ‘আবদুল্লাহ আল- হাকিম (رحمة الله) আল – নিশাবুরী, আল – মুস্তাদরাকাক’ আলা আল – সহিহাইন, দারুল-মা’রিফাহ, বৈরুত, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১০৯,১১০]
আল-হাকিম (رحمة الله) বলেছেন আমাদের কাছে➠ আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে আল-হোসাইন ইবনে মুসলিহ আল-ফকহী বর্ণনা করেছেন, ➠ তিনি মুহাম্মদ ইবনে আইয়ুব থেকে, ➠তিনি ইয়াহিয়া ইবনুল-মুগিরাহ আল-সাদী থেকে,➠ তিনি জারির ইবনে আবদুল হামিদ থেকে , ➠তিনি আল-হাসান ইবনে আব্দুল্লাহ নাখায়ি থেকে, ➠ তিনি মুসলিম ইবনে সাবিহ থেকে, ➠ তিনি জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
ইমাম হাকিম (رحمة الله) বলেছেন, হাদীসটির ইসনাদ শাইখায়েন (আল বুখারী ও মুসলিম) এর শর্ত অনুযায়ী সহিহ। [আল-হাকিম (رحمة الله), মুস্তাদরাক আল হাকিম (رحمة الله), খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১৪৮]
আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদঃ ➠ (তার পিতা) আহমদ ইবনে হাম্বাল ➠ ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীম ➠ আবু হায়ান আল তামিমী থেকে ➠ ইয়াজিদ ইবনে হায়যান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে।
[মুসনাদ আহমদ, খন্ড ৩২, পৃষ্ঠা ১০ ➠ ১১, ১৯২৬৫]
ইমাম আহমদঃ মুসনাদে আহমাদে একটি অনুরূপ আরেকটি সনদ আনেন,➠ জাফর ইবনে আওন ➠ আবু হায়ান ➠ ইয়াজিদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
আবদ ইবনে হামিদঃ জা’ফর বিন শস্যশুক ➠ আবু হাইয়ান আল তায়মী ➠ ইয়াযীদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[মুসনাদে আবদ ইবনে হামিদ, পৃষ্ঠা ১১৪, ২৬৫]
ইমাম আল বাজ্জারঃ ইউসুফ ইবনে মুসা ➠ জারীর ➠ আবু হায়ানান ➠ ইয়াজিদ বিন হায়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[মুসনাদ আল-বাজ্জার, খন্ড ১০, পৃষ্ঠা ২৪০, ৪৩৩৬]।
ইবনে আবি শায়বাঃ আফান ➠ হাসান ইবনে ইব্রাহীম ➠ সাঈদ ইবনে মাসরুক ➠ ইয়াজিদ ইবনে হায়মান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে।
[মুসনাফে ইবনে আবি শাইবা, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ১৩৩, ৩০০৭৮]
ইবনে আবি শায়বাঃ মুহাম্মদ বিন ফুদাইলে ➠ আবু হায়ান ➠ ইয়াজিদ বিন হায়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে।
[মুসনাদে ইবনে আবি শায়বা, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৫১, ৩৫২, ৫১৪]
ইবনে আবী আসিমঃ (আবু বকর ➠ মুহাম্মদ বিন ফুজায়েল ➠ আবু হাইয়ান) & (হুসাইন বিন হাসান ➠ আবু জাওয়াব ➠ `আম্মার বিন রুযায়েক ➠ আমাশ) ➠ ইয়াযীদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে।
[ইবনে আবী আসিমঃ আল-সুন্নাহ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৪৩, ১৫৫০, ১৫৫১, ১৫৫২]।
ইবনে খোজায়মাঃ ইউসুফ বিন মুসা ➠ (জারীর ও মুহাম্মাদ ইবনে ফুজায়েল) ➠ আবু হাইয়ান আল তায়মী ➠ ইয়াযীদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে।
[সহিহ ইবনে খোজায়মা, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৬২-৬৩, ২৩৫৭]
সুনানে দারিমীতে সনদঃ ‘আবদুল্লাহ ইবনে আহমদ ➠ (তাঁর পিতা) আহমদ ইবনে হাম্বল ➠ ইসমাইল ইবনে ইব্রাহিম ➠ আবু হায়ান আল তামিমি তিনি ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
তাফসীর মা’লিম আল তানজিলের সনদঃ আবু সা`দ আহমাদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আল আব্বাস আল হুমায়দী ➠ আবু `উবায়দ আল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে` আবদুল্লাহ আল হাফিজ ➠ আবু আল ফাদল হাসান ইবনে ইয়াকুব ইবনে ইউসুফ আল আযল ➠ আবু আহমদ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব আযদী ➠ আবু জাফর ইবনে আওফ ➠ আবু হায়ান ইয়াহিয়া ইবনে সা`দ ইবনে হাইয়ান ➠ ইয়াজিদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
সুনান আল কুবরাঃ ইমাম নাসায়ীঃ আহমাদ ইবনে মুসান্না ➠ ইয়াহিয়া ইবনে মুআদহ ➠ আবু আওয়ানাহ ➠ সুলায়মান ➠ হাবিব ইবনে সাবিত ➠ আবু সাবিত ➠ আবু তুফায়ল ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
সুনান আল কুবরা – ইমাম নাসায়ীঃ মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না ➠ ইয়াহিয়া ইবনে হামমাদ ➠ আবু মুআওয়িয়াহ ➠আমাশ ➠ হাবিব ইবনে আবি সাবিত ➠ আবু তোফায়েল ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
নাসাঈঃ যাকারিয়া ইবনে ইয়াহিয়া ➠ ইসহাক ➠ জারীর ➠ আবি হাইয়ান আল তায়মী (ইয়াহইয়াহ ইবনে সাঈদ ইবনে হাইয়ান) ➠ ইয়াযীদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[নাসাঈঃ সুনানুল কুবরাঃ খন্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩১৯ – ৩২০, ৮১১৯]।
[আবাকাত]: দালাজ ইবনে আহমদ আল সাজজী] ➠ মুহাম্মদ ইবনে আইয়ুব আল-আজরাাক ইবনে `আলী ➠ হাসান ইব্রাহিম আল-কিরমানি ➠ মুহাম্মদ ইবনে সালাহাহ ইবনে কুহাইল ➠ (তাঁর পিতা) সালামাহ ➠ আবু আল-তুফায়াল ইবনে ওয়াথিলাহ ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[আল-তাবারানী তাঁর মুজামউল কবির] ➠ আবু তুফায়াল ➠ সালামাহ ইবনে কুহাইল ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
তাবারানীঃ (মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল-হাদরামী ➠ ইবনে আবী শায়বাহ) ও (আবু হোসাইন আল কাযী ➠ ইয়াহিয়া আল হামানী) ➠ উভয় থেকে ➠ মুহাম্মদ বিন ফুজায়েল ➠ ইমাম হুসাইন ইবনে ইসহাক আল তুসতারী ➠ `উসমান ইবনে আবি শায়বাহ ➠ ইয়াযীদ ইবনে হাইয়ান ➠ আবু হাইয়ান ➠ ইসমাঈল বিন ইবরাহীম ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[তাবারানীঃ মুযাম আল কবিরঃ খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ১৮৩, ৫০২৮১৮৩, ৫০২৮]
তাবারানীঃ মুহাম্মদ বিন হাইয়ান ➠ কাসীর বিন ইয়াহিয়া ➠ হাইয়ান বিন ইব্রাহিম ➠ সাঈদ বিন মাশরুক ➠ সুফিয়ান আল সাওরী ➠ ইয়াযীদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[তাবারানীঃ মুযাম আল কবিরঃ খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ১৮২, ৫০২৬]। [হাইয়্যান তিনি হাসান ইবনে ইব্রাহীম]
তাবারানীঃ মুহাম্মদ বিন `আব্দুল্লাহ আল-হাদরামী ➠ জা’ফর বিন হুমায়দ ➠ আব্দুল্লাহ বিন বুকাইর ➠ হাকীম ইবনে জুবাইর ➠ আবি আল তুফাইল ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[তাবারানীঃ মুযাম আল কবীর, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৬৩ – ৬৪, ২৬৮১]
তাবারানীঃ (মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল হাদরামী ➠ জা’ফর বিন হুমায়দ ) ও (মুহাম্মদ বিন উসমান ইবনে আবি শায়বাহ ➠ আল নাদির বিন সাঈদ আবু শুহাইব) ➠ উভয় থেকে ➠ আব্দুল্লাহ বিন বুকাইর ➠ হাকীম বিন জুবাইর ➠ আবি আল তুফাইল ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[তাবারানীঃ মুযাম আল কবীর, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ১৬৬ – ১৬৭, ৪৯৭১]
ইবনে আবী দাউদঃ মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন নুমাইর আল হামদানি ➠ মুহাম্মদ বিন ফুযায়ল বিন গাজওয়ান ➠ আবু হাইয়ান ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ ইবনে হাইয়ান আল-তামিমি ➠ ইয়াযীদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[শারহ মুসকিলুল আল-আসার, খন্ড ৯, পৃষ্ঠা ৮৯, ৩৪৬৪]
[আল বায়হাকি – আকতাব খাওয়ারিজমি]: আবু আবদুল্লাহ ➠ আবু নসর আহমদ ইবনে সুহাইল আল-ফকিহ ➠ সালেহ ইবনে মুহাম্মদ আল-হাফিজ আল-বাগদাদি ➠ খালাফ ইবনে সেলিম আল-মাখরামী ➠ ইয়াহিয়া ইবনে হামদ ➠ আবু `আওয়ানাহ ➠ সুলায়মান আল-আমাশ ➠ হাবিব ইবনে আবি সাবিত ➠ আবু আল-তুফায়ল ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[আবাকাত]: আবু আল-হাসান `আলী ইবনে মুহাম্মদ আল-অসীমী আল-খাওয়ারিজমি ➠ শায়খ ইসমাই`ল ইবন আহমদ আল-ওয়ায়েজ ➠ আবু বকর আহমদ ইবনে হোসেইন আল-বায়হাকী ➠ আবু আবদুল্লাহ ➠ আবু নসর আহমদ ইবনে সাহল আল ফকিহ ➠ সালেহ ইবনে মুহাম্মদ আল-হাফিজ আল-বাগদাদি ➠ খালাফ ইবনে সেলিম আল-মাখরামী ➠ ইয়াহইয়া ইবনে হামমাদ ➠ আবু আওয়ানাহ ➠ সুলায়মান আল-আমাশ ➠ হাবিব ইবনে আবী সাবিত ➠ আবু আল-তুফায়াল ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
ইমাম ইবনে হিব্বান ও ইমাম আবু ইয়ালাঃ আলী ইবনে আবি আব্দুল্লাহ ইবনে আল আলাফ আল বাযযার ➠ আব্দুল সালাম বিন `আবদুল মালিকের ইবনে হাবিব আল-বাযযার ➠ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে` উসমানের ➠ মুহাম্মদ ইবনে বকর ইবনে `আব্দ আল রাজ্জাক ➠ আবু হাতিম মুগীরা ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আল মোহালভী ➠ মুসলিম ইবনে ইব্রাহিম ➠ নূহ ইবনে কায়স আল যুধামী ➠ আল ওয়ালিদ ইবনে সালেহ ➠ জায়িদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) এর স্ত্রী।
[আল-মানাকিব আমীর আল-মুমিনীন আলী ইবনে আবি তালিব, পৃষ্ঠা ৪৪ – ৪৫ – ৪৬, ২৩, [ইবনে হিব্বান, খন্ড ৭, পৃষ্ঠা ৫৫১, ১১৪২৪ দ্বারা সীক্বা]
অন্যান্য কিতাবঃ
আবু তালিব মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে `উসমান ➠ আবু আল হোসাইন মুহাম্মদ ইবনে আল মুজাফফর ইবনে মূসা ইবনে` ঈসা আল হাফিজ ➠ মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সুলায়মান আল বাগদাদী ➠ শুয়ায়েদ ➠` আলী ইবনে মুশির ➠ আবু হাইয়ান আল তাইমি ➠ ইয়াজিদ ইবনে হায়মান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[আল মানাকিব আমীর আল মু’মিনিন আলী ইবনে আবু তালিব, পৃষ্ঠা ৩০৪ – ৩০৫, ২৮৪]
আবু বকর ইবনে আবু শায়বাহ ও আলী বিন আল মুনযির ➠ ইবনে ফুদায়ল ➠ আবু হাইয়ান ➠ ইয়াযীদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[মরিফা ওয়াল তারীখ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৫৩৬]
ঊবায়দুল্লাহ বিন উসমানের বিন আলি ➠ উসমান ইবনে জা’ফর ➠ ইউসুফ বিন মুসা ➠ জারীর ও ইবনে ফুযায়ল – ইয়াযীদ ইবনে হাইয়ান ➠ জায়েদ ইবনে আরকাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন।
[সহীহ্ উসুল ঈ’তিকাদ আহ্লুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়া’আহ, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৮ – ৭৯, ৮৮]
❏ হাদিস ১৬ :
ইমাম আহমদ ও তাবরানী হযরত জায়েদ ইবনে সাবিত (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
أخرج أحمد، والطبرانی، عن زيد بن ثابت رضی الله عنه قال: قال رسول اللهﷺ إني تارك فيكم خليفتي: کتاب الله، حبل ممدود ما بين السماء والأرض، وعترتی أهل بیتی، و إنهمالن يتفرقا، حتی یردا على الحوض –
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “আমি তােমাদের জন্য আমার দু’টি প্রতিনিধি রেখে যাচ্ছি। (তার একটি হচ্ছে), কিতাবুল্লাহ (কুরআন) যা অাসমান ও যমীনের মধ্যখানে একটি দীর্ঘ রশি। (অপরটি হচ্ছে) আমার পবিবারবর্গ (আহলে বাইত) আর এরা উভয়ে কখনাে বিচ্ছিন্ন হবেনা, যতক্ষণ না তারা (উভয়ে) হাউজে কাউছারের নিকট আমার কাছে অবতরণ করবে।
তথ্যসূত্রঃ
১. মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল: ১ম খন্ড, ৫ম অধ্যায়, হাদিস-২, পৃষ্টা-১৫৬, ৫ খন্ডের ১৮২ পৃষ্ঠা, ৫ খন্ডের ১৮৯ পৃষ্ঠা, ১৭তম খ-, পৃ. ২১১, হাদীস ১১১৩১। ৬:২৩২ (২১০৬৮)/ ২৪৫ (২১১৫৩)।
২. তিরমিজি ; আস সহীহ, ৬ খন্ড, হাদিস নং-৩৭৮৬, ৩৭৮৮।
৩. মুসলিম; আস-সহীহ, ৬ খন্ড, হাদিস নং-৬০০৭, ৬০১০।
৪. নাসাঈঃ আল-খাসায়িস, পৃ. ১১২, হাদীস ৭৮;
৫. মিশকাত, ১১ খন্ড, হাদিস নং-৫৮৯২, ৫৮৯৩ ।
৬. আবু ইয়ালাঃ আল-মুসনাদ, ২য় খ-, পৃ. ২৯৭, হাদীস ১০২১;
৭. ইবনে আবি আসিম, কিতাবুস সুন্নাহ, পৃ. ৬৩০, হাদীস ১৫৫৫;
৮. তাবারানী, সুলাইমান, ৫ম খ-, পৃ. ১৬৯, হাদীস ৯৮০ ও ৪৯৮১।আল মু’জামুল কাবীর, ৫:১৫৪ (৪৯২৩)।
৯. ইমাম হাকিম নিশাপুরিঃ মুস্তাদরাক আল হাকিমঃ ৩য় খন্ড, ১৪৮ পৃষ্ঠা। ইমাম হাকিম বলেন,”বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।
ইমাম যাহাবিও তাঁর তালখিসে মুস্তাদরাক’ গ্রন্থে তা স্বীকার করেছেন।
১০. কাঞ্জুল উম্মাল, হাদিস নম্বর-৮৭৩।
নাসায়ী,
১১. ইবনে মাগাযিলী, মানাকিব, পৃ. ২৩০, হাদীস ২৮৩;
১২. ইমাম সুয়ূতীঃ আল জামেউস সাগীরঃ ৩য় খন্ডঃ ১৪ পৃ। (সহিহ বলেছেন)
১৩. ইমাম হায়তামীঃ মাজমাউয-যাওয়াঈদঃ ৯ম খন্ড, ১৬৫ পৃ। (বর্ণনাকারীগণ বিশ্বাসযোগ্য)
১৪. মাদারেজুন নাবুয়াত: আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী, ৩খন্ড, পৃঃ-১০৫ ।
১৫. ইযাযাতুল খিফাঃ শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী, খঃ-১, পৃঃ-৫৬৬।
❏ হাদীস ১৭:
أخرج عبد بن حميد في مسنده عن زيد بن ثابت رضی الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إني تارك فيكم ما إن تمسكتم به بعدی لن تضلوا: كتاب الله و عترتی أهل بیتی. إنهما لن يتفرقا حتى يردا على الحوض –
আব্দ ইবনে হুমাইদ তার মসনদে হযরত যায়েদ ইবনে ছাবেত (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, “নিশ্চয় আমি তােমাদের জন্য এমন কিছু রেখে যাচ্ছি, যা আঁকড়ে ধরলে আমার পরে তােমরা কখনাে পথ ভ্রষ্ট হবেনা। তা হচ্ছে, আল্লাহর কিতাব (কুরআন) ও আমার পরিবার পরিজন তথা আহলে বায়ত। নিশ্চয় এ দুটো ততক্ষণ একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না। যতক্ষণ তারা (কুরআন ও আমার আহলে বায়ত) আমার নিকট হাউজে কাউছারে প্রত্যাবর্তন করবে।
তথ্যসূত্রঃ
১. আল মুন্তাখাব-১০৭:২৪০।
২. আল মুসনাদ -৬: ২৩২ (২১০৬৮)/২৪৪ (২১১৪৫)।
৩. মাজমাউজ জাওয়ায়েদ – আল হাইছামি-৯: ১৬২। এতে انی تارک فیکم خلیفتین অর্থাৎ নিশ্চয় আমি তােমাদের জন্য দুটি খলিফা বা প্রতিনিধি রেখে যাচ্ছি উল্লেখ রয়েছে।
অনুরূপভাবে বর্ণনা রয়েছে, ইবনে আবি শাইবার ‘আল মুসান্নাফ এ – ৬:৩১৩ (৩১৬৭০) এবং ইমাম ফাসভীর “মা’রেফাতুত তারিখ”-৯:৫৩৭ -এ।
হাদিসে সাক্বলাইনঃ এর বিভিন্ন ইসনদঃ
রাবীঃ জায়েদ ইবনে সাবিত (رضي الله عنه)
মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল আশ শায়বানী: `আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ ➠ (তাঁর পিতা) আহমদ ইবনে হাম্বল ➠ আল-আসওয়াদ ইবনে` আমির ➠ শরিক ➠ আল-রুকায়েন ➠ আল-কাসিম ইবনে হাসান ➠ জায়েদ ইবনে সাবিত (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল আল শায়বানী: `আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ ➠ (তাঁর পিতা) আহমদ ইবনে হাম্বল ➠ আবু আহমদ আল-জুবায়েরী ➠ শরীক আল-রুকায়েন ➠ আল-কাসিম ইবনে হাসান ➠ জায়েদ ইবনে সাবিত (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা: `উমর ইবনে সাদ আবু দাউদ আল-হিফরি ➠ শরীক ➠ আল-রুকায়েন ➠ আল-কাসিম ইবনে হাসান ➠ জায়েদ ইবনে সাবিত (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
মুসনাদে আবদ ইবনে হুমায়দঃ ইয়াহিয়া ইবনে আবদ হামিদ ➠ শরিক ➠ আল-রুকায়েন ➠ আল-কাসিম ইবনে হাসান ➠ জায়েদ ইবনে সাবিত (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
[মুআজম আল কবির – তবারানী]: (আংশিক সনদ) [শারিক ইবনে আবদুল্লাহ ➠ রুকায়েন ➠ কাসিম ইবনে হাসান ➠ জায়েদ ইবনে সাবিত (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
হাদিসে সাক্বলাইনঃ
রাবীঃ ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه)
❏ হাদীস ১৮:
ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ الأَشْعَثِ قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ النَّوْفَلِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَحِبُّوا اللَّهَ لِمَا يَغْذُوكُمْ مِنْ نِعَمِهِ وَأَحِبُّونِي بِحُبِّ اللَّهِ وَأَحِبُّوا أَهْلَ بَيْتِي لِحُبِّي ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে মহব্বত কর। কেননা তিনি তোমাদেরকে তার নিয়ামাতরাজি খাবার খাওয়াচ্ছেন। আর আল্লাহ্ তা’আলার মহব্বতে তোমরা আমাকেও মহব্বত এবং আমার মহব্বতে আমার আহলে বাইতকেও মহব্বত কর।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন : ‘আমি তোমাদের মাঝে দু’টি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি : আল্লাহর কিতাব এবং আমার বংশধর (ইতরাত), আমার আহলে বাইত; নিশ্চয়ই এ দু’টি কখনই বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না হাউসের নিকট (হাউসে কাউসারের নিকট) আমার কাছে উপস্থিত হয় (কিয়ামত দিবসে)।’
[নাসায়ী, আহমাদ, খাসায়িস, পৃ. ১১২, হাদীস ৭৮; ইবনে মাগাযিলী, মানাকিব, পৃ. ২৩০, হাদীস ২৮৩; আবু ইয়ালী, মুসনাদ, ২য় খ-, পৃ. ২৯৭, হাদীস ১০২১; ইবনে আবি আসিম, কিতাবুস সুন্নাহ, পৃ. ৬৩০, হাদীস ১৫৫৫; ইবনে হাম্বল, মুসনাদ, ১৭তম খ-, পৃ. ২১১, হাদীস ১১১৩১; তাবারানী, সুলাইমান, ৫ম খ-, পৃ. ১৬৯, হাদীস ৯৮০ ও ৪৯৮১]
হাদিসে সাক্বলাইনঃ
রাবীঃ বুরাইদা আসলামী (رضي الله عنه)
❏ হাদীস ১৯:
পথে রাবেগের নিকটবর্তী খোম কুয়ার নিকট পোঁছালে বুরাইদা আসলামী (رضي الله عنه) রাসুল (ﷺ)-এর নিকটে আলী (رضي الله عنه) এর ব্যাপারে গনিমত বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু কথা বলেন। এর প্রেক্ষিতে রাসুল (ﷺ) সাহাবীদের সামনে কিছু বক্তব্য পেশ করেন। এই বক্তব্যের মধ্যকার কিছু অংশ ছিল –
قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّىاللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا فِينَا خَطِيبًا، بِمَاءٍ يُدْعَى خُمًّا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَوَعَظَ وَذَكَّرَ، ثُمَّ قَالَ
: ” أَمَّا بَعْدُ، أَلَا أَيُّهَا النَّاسُ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَ، وَأَنَا تَارِكٌ فِيكُمْ ثَقَلَيْنِ: أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللهِ فِيهِ الْهُدَى وَالنُّورُ فَخُذُوا بِكِتَابِ اللهِ، وَاسْتَمْسِكُوا بِهِ ” فَحَثَّعَلَى كِتَابِ اللهِ وَرَغَّبَ فِيهِ، ثُمَّ قَالَ: «وَأَهْلُ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُاللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي، أُذَكِّرُكُمُ اللهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي»
অর্থঃ রাসুলুল্লাহ(ﷺ) একদিন মক্কা ও মদীনার মাঝামাঝি ‘খুম’ নামক স্থানে দাঁড়িয়ে আমাদের সামনে বক্তৃতা দিলেন। আল্লাহর প্রশংসা ও সানা বর্ণনা শেষে ওয়ায-নাসিহত করলেন। অতঃপর বললেনঃ শোনো হে লোক সকল! আমি তো কেবল একজন মানুষ, অতি সত্ত্বরই আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত দূত (মৃত্যুর ফেরেশতা) আসবেন, আর আমিও তাঁর আহ্বানে সাড়া দেবো। আমি তোমাদের নিকট ২টি ভারী জিনিস রেখে যাচ্ছি। এর প্রথমটি হলো আল্লাহর কিতাব (কুরআন)। এতে পথনির্দেশ এবং আলোকবর্তিকা আছে। অতএব তোমরা আল্লাহর কিতাবকে অনুসরণ করো, একে শক্ত করে আঁকড়ে রাখো। তারপর তিনি কুরআনের প্রতি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিলেন। এরপর বলেন, আর [অন্যটি হলো] আমার আহলে বাইত[(আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন (عليه السلام)]। আর আমি আমার আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদের আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আমার আহলে বাইতের ব্যাপারে তোমাদের আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আমার আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদের আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। …” [সূত্রঃ সহীহ মুসলিম, হা/ ২৪০৮]।
হাদিসে সাক্বলাইনঃ এর বিভিন্ন ইসনদঃ
রাবীঃ হুযায়ফাহ ইবনে উসাইদ আল-গিফারী (رضي الله عنه)
[মুআজম আল কবির – তাবারানী]: জায়েদ ইবনে আল-হাসান আল-অনমতী ➠ [মূল গ্রন্থটি পাওয়া যায়নি বলে তবে সনদ ক্ষতিগ্রস্থ নয় এবং পরোক্ষভাবে আল হায়সামি থেকে উল্লেখিত] ➠ জায়েদ ইবনুল হাসান আল-আনমাতি ➠ আবু আল-তুফায়ল ➠ হুদায়াফাহ ইবনে উসাইদ আল-গিফারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত।
তাবারানীঃ (মুহাম্মদ বিন আল ফজল আল সাকতি ➠ সাঈদ বিন সুলায়মান) ও (মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল হাদরামী ও যাকারিয়া ইবনে ইয়াহিয়া আল সাজি) ➠ উভয় থেকে ➠ নসর বিন আবদুল রহমান আল ওয়াসা ➠ যায়েদ ইবনে আবুল হাসান আল আনমতি ➠ মা’রুফ বিন খুরবুদ ➠ আবি আল তুফাইল ➠ হুযাইফা বিন ঊসায়দ আল গিফারি (رضي الله عنه) থেকে।
[তাবারানীঃ মুযাম আল কবীর, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৬৫, ২৬৮৩]
তাবারানীঃ (মুহাম্মদ বিন `আব্দুল্লাহ আল-হাদরামী & যাকারিয়া ইবনে ইয়াহিয়া আল সাজি ➠ নসর বিন আবদুল রহমান আল ওয়াসা) ও (আহমাদ ইবনে আল কাসেম ইবনে মুসাওইর আল যাওহারী ➠ সাঈদ বিন সুলায়মান আল ওয়াসিতি) ➠ উভয় থেকে ➠ যায়েদ ইবনে আবুল হাসান আল আনমতি ➠ মা’রূফ বিন খুরবোধ ➠ আবি আল-তুফাইল ➠ হুযাইফা বিন ঊসায়দ আল গিফারি (رضي الله عنه) থেকে।
[তাবারানীঃ মুযাম আল কবীর, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ২০০ – ২০১, ৩০৫২]
[তারিখে বাগদাদ]: আল-হুসেন ইবনে ওমর ইবনে বুরহান আল-গজল ➠ মুহাম্মদ ইবনে হাসান আল-নাক্কাস ➠ আল-মতিন ➠ নসর ইবন আব্দুর রহমান ➠ জায়েদ ইবনে হাসান ➠ আল-মাআরফ ➠ আবু তুফায়েল ➠ হুদায়াফাহ ইবনে উসাইদ আল-গিফারী (رضي الله عنه) ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
[হিলয়াতুল আওলিয়া – আবু নু’আয়ম]: মুহাম্মদ ইবনে আহমাদ ইবনে হামদান ➠ হাসান ইবনে সুফিয়ান ➠ নসর ইবনে `আবদুর রহমান আল-ওয়াশা ➠ জায়েদ ইবনে হাসান আল-আনমাতি ➠ মারুফ ইবনে খারবুদ মক্কী ➠ আল-তুফায়ল ➠ `আমির ইবনে ওয়াসিলাহ ➠ আবু হুদায়েফাহ ইবনে উসাইদ আল-গিফারি (رضي الله عنه) ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
[হিলাতুল আওয়ালিয়া, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৫৫]।
হাদিসে সাক্বলাইনঃ এর বিভিন্ন ইসনদঃ
অন্যান্য রাবীঃ
[আবু মুহাম্মাদ আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলী আল-আসিমির ইসনাদ]: আবু ইসহাক ইব্রাহিম ইবনে জাফর আল-শুরমিনী ➠ আবু আল-হাসান `আলী ইবনু ইউনূস ইবনুল-হাইয়াজ আল-আনসারী ➠ হুসেন ইবনে আব্দুল্লাহ, ➠ ইমরান ইবনে আব্দুল্লাহ,➠ `ইসা ইবনে আলী এবং` আব্দুর রহমান আল-নাসাঈ ➠ আব্দুর রহমান ইবনে সালিহ` ➠ `আলী ইবনে আব্বাস ➠ আবী ইসহাক ➠ হানাশ (رضي الله عنه)
নাওয়াদিরুল উসুল [হাকিম আল তিরমিযী]: যায়েদ ইবনে সাবিত থেকে ইয়াহইয়া ইবনে আবদুল হামিদ শারিক আল-রুকাইন ➠ আল-কাসিম ইবনে হাসান (رضي الله عنه) ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
মুসনাদ আল বাযযার: আহমাদ ইবনে মনসুর ➠ দাউদ ইবনে আমর ➠ সালেহ ইবনে মুসা ইবনে আবদুল্লাহ `আবদুল আল-আজিজ ইবনে রাফি` আবু সালিহ ➠ আবু হুরায়রাহ (رضي الله عنه) থেকে ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
[আবাকাত]: আল-জুবাবি বর্ণনা করেছেন ➠ `আবদুল্লাহ ইবনে মুসা- (তাঁর পিতা) মুসা ➠` আবদুল্লাহ ইবনে হাসান ➠ (তাঁর পিতা) হাসান ➠ (তাঁর দাদা) হাসান ➠ ইমাম আলী রিদ্বা (رضي الله عنه) ➠ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।