(১) কোন জায়গায় যেখানে জাহেদগণ হাজার চিল্লায় পৌঁছে । ইশকের শরাবে মত্ত এক আহ্ শব্দে সেখানে পৌঁছে ।
======== খাজা গরিবে নেওয়াজ রহঃ =========
(২) হে তৃষ্ণার্থ :- গুণাহর উপত্যকায় নৈরাশ্যবাদী হয়ো না ।
আল্লাহর রহমতের সাগরের ঢেউ এসে পৌঁছেছে ।
======== খাজা গরিবে নেওয়াজ রহঃ =========
(৩) কালের এসব বালা-মুসিবতে কেঁদো না-খুশি থাকো ।
কেন না , বন্ধুর তীর বন্ধুর পাশে এসে পড়ে ।
======== খাজা গরিবে নেওয়াজ রহঃ =========
(৪) রুটি-রুজির চিন্তা ছাড় . এবং রিজিক দাতাকে চিন ।
তারপর দেখ , তোমার হৃদয়ের কাঙ্ক্ষিত রিজিখ কিভাবে পৌঁছে ।
======== খাজা গরিবে নেওয়াজ রহঃ =========
(৫) আল্লাহ্ চাও , দুনিয়াও চাও এটা একটা পাগলামী ।
========খাজা গরীবে নেওয়াজ রহঃ =========
(৬) “যে আল্লাহর উপরে যত অধিক নির্ভরশীল , সে আল্লাহর তত-অধিক প্রিয়পাত্র হয় । সংসারের কোন অভাব ও দুঃখ কষ্ট তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না ।”
======= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ ==========
(৭) কোনো মুসলমান ভাইকে হেয় জ্ঞানে উৎপীড়নে যে ক্ষতি হয় , অন্য কোনো পাপ কাজে মানুষের সেই পরিমাণ ক্ষতি হয় না ।
========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========
(৮) কেয়ামতের আজাব থেকে মুক্তি পেতে হলে বিপন্ন , দুস্থ ও উৎপীড়িতদের খেদমত করতে হবে । অভাবগ্রস্তদের অভাব মোচন করা এবং ক্ষুধার্তদের আহার প্রদান করা , দানশীলতা নেয়ামতের চাবি ।
========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========
(৯) তিনি প্রকৃত আরেফ , যিনি কোনো অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে খালি হাতে ফেরান না । নেককার ব্যক্তির সংশ্রব নেক কর্ম থেকে উত্তম । পক্ষান্তরে পাপকর্ম থেকে ব্যক্তির সংশ্রব অধিকতর মন্দ ।
========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========
(10) আল্লাহ পাক যাদের ভালোবাসেন , তাদের মাথার ওপর বারিধারার মতো বিপদ বর্ষণ করেন ।
========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========
(১১) পৃথিবীতে প্রত্যেক জামানায় হাজার হাজার অলি-আল্লাহ বিদ্যমান থাকেন । তাদের অনেকেই থেকে যান দৃষ্টির আড়ালে । সুতরাং পৃথিবীকে কখনই আউলিয়া শূন্য মনে করো না ।
========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========
(১২) সর্বাবস্থায় বদনে প্রশান্তি এবং হাসির আভা বিদ্যমান থাকা আরেফ ব্যক্তিদের অন্যতম লক্ষণ । আরেফের মস্তকে বিরামহীন ভাবে নূর বর্ষিত হয় । নীরবতা আরেফের স্বভাব । আরেফ ঐ ব্যক্তি যিনি নিজের হৃদয়কে দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ের আকর্ষণ থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন । প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর হাজার হাজার তাজাল্লি তার ওপর বিকশিত হয় ।
======== খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ ==========
(১৩) তিনটি বস্তুর মাধ্যমে ইমানের পরিপূর্ণতা লাভ হয় । আল্লাহ ভীতি , আল্লাহ প্রাপ্তির কামনা , আল্লাহর প্রেম ।
======== খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========
(১৪) তারাই প্রকৃত প্রেমিক , যাদের হৃদয় প্রতি মুহূর্তে জিকিরে নিমগ্ন থাকে , কিন্তু মুখ দেখে তা বোঝা যায না ।
======== খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ ==========
(১৫) তরিকত পন্থীদের জন্য ৫টি জিনিস দেখা এবাদত হিসেবে গণ্য মাতা পিতাকে দেখা , কুরআন শরিফ দেখা , আলেমে রব্বানীকে দেখা , বায়তুল্লাহ শরিফ দেখা , স্বীয় মুর্শিদকে দেখা ।
(১৬) আল্লাহর আশিকদের পথ বড়ই কঠিন , বড়ই রহস্যময়। এই পথের যাত্রী হতে চাইলে , দুনিয়ার মায়াজালে যাতে, জরিয়ে না পড় , তাই ভাল রূপে খেয়াল করে চলবে ।
========= খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহঃ =========