আল্লামা ইবনে কাসির (رحمة الله) উল্লেখ করেন, হযরত জারীর (رضي الله عنه) হযরত মুগীরা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন, হযরত আলী (رضي الله عنه) এর ওফাতের সংবাদ হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) শুনে (إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ) পড়েছিলেন এবং কেঁদেছিলেন। তার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন যে-
فَقَالَ: وَيْحَكَ إِنَّمَا أَبْكِي لِمَا فَقَدَ النَّاسُ مِنْ حِلْمِهِ وَعِلْمِهِ وَفَضْلِهِ وَسَوَابِقِهِ وَخَيْرِهِ.
-‘‘আফসোস! আমি কাঁদি এজন্যই, মানবজাতি (তাঁর মত) একজন বিচক্ষণ (প্রজ্ঞাবান), জ্ঞানী, মর্যাদাবান, উত্তরসূরী এবং উত্তম ব্যক্তিকে হারালো।’’
➤ ইবনে কাসির, আল-বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ৮/১৫ পৃষ্ঠা,
পীরানে পীর শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (رحمة الله) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বদীদা বর্ণনা করেন এভাবে-
نتولاهم جميعا ولانذكر الصحابة الا بخير
-‘‘আমরা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত সমস্ত সাহাবায়ে কিরামের প্রতি মুহাব্বত পোষণ করি এবং ওনাদেরকে প্রশংসার সাথে স্মরণ করি।’’
➤শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী, গুনিয়াতুত ত্বালেবীন, ৮৫ পৃষ্ঠা,
আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) বলেন-
وان صدر من بعضهم بعض ما صدر فى صورة شر فانه كان عن اجتهاد ولم يكن على وجه فساد-
-‘‘যদিওবা কতেক সাহাবা থেকেও সব বিষয়সমূহ প্রকাশ পেয়েছে যেগুলো বাহ্যতঃ দেখতে মন্দ মনে হয়। কিন্তু ওগুলো সব ইজতিহাদের কারণে ছিল ঝগড়া বিবাদের কারণে নয়। (শরহে ফিকহুল আকবার)