স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা সর্গীয় উপহার ৷ দুজনের মধ্যে ভালোবাসা যত গভীর হবে সংসার জীবনে তত বেশি সুখ হবে ৷ দু জনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হলে সুখ শান্তী জানালা দিয়ে পালাবে ৷ তাই একে ওপরকে ভালোবাসতে হবে ৷ স্বামীর কর্তব্য হল, স্ত্রীর হক আদায় করে স্ত্রীকে খুশি রাখা আর স্ত্রীর কর্তব্য হল স্বামীর হক আদায় করে স্বামীকে খুশি রাখা ৷ তবে বর্তমানে অনেক স্ত্রী সংসার জীবন কষ্টের মধ্য দিয়ে যাপন করছেন কারণ স্বামী খুব বেশি ভালোবাসে না । বিশেষ করে বাংলাদেশকে সমস্যা বেশি । বিবাহের পর স্ত্রীকে অবহেলা করা, স্ত্রীকে ঘৃণা করা, স্ত্রীকে সময় না দেওয়া বড় ধরনের অন্যায় ।
যাই হোক- আজ কিছু কৌশল /পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব যার দ্বারা একজন স্ত্রী স্বামীর মন জয় করে ভালোবাসা লাভ করতে পারবে ৷
(১) প্রতিশোধ না নেওয়া – স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মাঝ মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক হতে পারে ৷ বিতর্ক চলাকালীন স্বামী যদি স্ত্রীকে কড়া ভাষায় কিছু বলে দেয় তাহলে স্ত্রী কোন প্রকার প্রতিশোধ মূলক কথা না বলে, চুপ করে যাবে ৷ পরে স্বামী নিজের ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হবে এবং স্ত্রীর প্রতি তার ভালোবাসা জন্মাবে ৷
(২) ঘুম থেকে তাড়া তাড়ি ওঠা –
স্ত্রী যদি নিয়মিত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠে বাড়ির প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করার পর,স্বামীর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি গুছিয়ে রাখে, এবং সময়মত সকালের নাস্তা তৈরি রাখে তাহলে, সেই স্ত্রীর প্রতি স্বামী খুব বেশি আকৃষ্ট হয় ৷
(৩) সাজ গোজ করা: – স্বামীকে খুশি করার জন্য একজন স্ত্রী যতখুশি সাজতে পারে ৷ স্ত্রী সাদযোজের মধ্যে থাকলে স্বামী বাইরে থেকে বাড়ি আসার পর স্ত্রীকে সুন্দর সাদগোজের মধ্যে দেখে আকর্ষীত হবে ৷এবং তার মনে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হবে ৷
(৪) শশুর স্বাশুড়ির মন জয় করা –
অনেক মেয়ে বিবাহের পর স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে বাবা মা থেকে আলাদা করে দেয় তারা কখনো স্বামীর ভালোবাসা পাবেনা ৷ বর্তমানে ভালোবাসা পেলেও পরবর্তিতে ভালোবাসা হারাবে ৷ তাই নিজের শশুর শাশুড়িকে নিজের মা বাবার মত সম্মান দিন ও ভালোবাসুন ৷ দেখবেন আপনার স্বামি আপনার প্রতি খুশি হবে ৷
(৫) স্বামীর অনুমতা ছাড়া কোথাও না যাওয়া- অনেক স্ত্রী স্বামীর অনুমতী না নিয়ে যেখানে সেখানে চলে যায় ৷এটা একজন স্বামী পছন্দ করেন না – স্ত্রী সব ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি নিয়ে কথাও গেলে স্বামী খুশি হন ৷ এবং স্ত্রীর প্রতি তার মনে মায়া জন্ম নেয় ৷
(৬) কম কথা বলা-
অনেক স্ত্রী স্বামীর সামনে অপ্রয়োজনীয়’ বেশি কথা বলে থাকে, এবং বিভিন্ন অভিযোগ স্বামীকে শোনাই , এতে স্বামী বিরক্ত হন । কারণ সব সময় মানুষের মন ঠিক থাকেনা । তাই বেশি কথা না বলে, প্রয়োজন মতো কথা বলাই ভালো ।
এই কৌশলগুলো দ্বারা একজন স্ত্রী স্বামীর মনে নিজের জন্য ভালোবাসা জাগাতে পারবে । ইনশাআল্লাহ