প্রত্যেক দিন সাগরের মাঝখানে শয়তানদের মধ্যে মিটিং বসে। প্রধান শয়তান বলে, আদম সন্তানকে কে কিভাবে ধোকা দিয়েছো? কেউ বলে, আমি চুরি করতে উৎসাহ দিয়েছি। কেউ বলে আমি যেনা-ব্যাভিচারে উৎসাহ করেছি। কেউ বলে আমি সুদ-ঘুস নিতে লোভ দেখিয়েছি। কেউ বলে আমি খুন করতে উৎসাহ দিয়েছি। আর একজন বলে, আমি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও মনোমালিন্য সৃষ্টি করে দিয়েছি এই কথা শোনা মাত্রই শয়তান ঐ কর্মীকে বুকে টেনে নিয়ে বলে “তুই সবচেয়ে ভালো কাজ করেছিস উপরের কথাগুলো কিচ্ছা নয়। এইটা সহীহ হাদিস।স্বামি-স্ত্রীর ভিতর বিভেদ সৃষ্টি করে শয়তান আর আমাদের সমাজে ৯৯.৯% স্ত্রীরা ঝগড়া হলে স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলে তোমার সাথে বিয়ে হয়েই আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেলো পাশের বাসার ভাইটা কতো ভালো,সেই সব স্ত্রীকে বলি, সহীহ বুখারীর ২৯ নাম্বার হাদিসটি পড়ুন।
রসুল (সাঃ) জাহান্নামের দিকে তাকিয়ে জিব্রাইলকে প্রশ্ন করেছিলেন:- জাহান্নামে এতো মেয়ে কেনো?উত্তরে জিব্রাইল (আঃ) বলেন:-তারা কুফরি করতো। কিছু হলেই বলতো। তারা স্বামীর অবাধ্য হয় ও অকৃতজ্ঞ হয়। স্বামির সামান্য অবহেলা দেখতে পেলেই বলে ফেলে আমি কক্ষনো তোমার নিকট হতে ভালো ব্যাবহার পাইনি। (মুসলিম ৮/১ আহমদ ৩০৬৪)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, স্বামীর শান্তি হলো স্ত্রীর মধ্যে। রসুল (সাঃ) বলেছেন: দ্বীনদার স্ত্রী হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ সমাজে অনেক ধার্মিক বোন আছে যাদের মধ্যেও শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। আমি স্বীকার করছি শ্বাশুড়ী কখনো মা হয়না। এটাই চুড়ান্ত। কিন্তু তার জন্য স্বামীর সাথে খারাপ আচারন মোটেও কাম্য নয়।
রসুল (সাঃ) বলেছেন: আল্লাহর পরে যদি কাওকে সিজদা করার অনুমতি থাকতো তাহলে সেটা হতো স্ত্রী তার স্বামীকে।
হ্যাঁ, স্বামীরও অনেক কিছু করার আছে।
রসুল (সাঃ) বলেছেন, সেই সবচেয়ে উত্তম পুরুষ যে তার স্ত্রীর কাছে প্রিয়। রসুল (সাঃ) আরো বলেছেন “নারীরা বাঁকা হাড়ের তৈরী। তাই তাদের সাথে হিকমার সাথে বসবাস করো। (সহীহ বুখারী)
হে বোন, শয়তান তো আমাদের প্রকাশ্য শত্রু।শয়তানের প্ররোচনায় আর শ্বাশুড়ীর উপর রাগ করে প্রিয়তমো স্বামীকে কেনো কষ্ট দিচ্ছেন প্রতিনিয়তো? বোন, আপনার স্বামীই আপনার জান্নাত স্বামীকে অখুশি করে মারা গেলে জাহান্নাম নিশ্চিত।
তাই বোন, শয়তানের ধোঁকায় না পড়ে স্বামীর সাথে উত্তম আচরন করলে হয়না??