সৃষ্টিজগতের নিদর্শন নিয়ে চিন্তা করা
۞ আয়াত ১ :
أَفَلَا يَنْظُرُوْنَ إِلَى الْإِبِلِ كَيْفَ خُلِقَتْ وَ إِلَى السَّمَاءِ كَيْفَ رُفِعَتْ وَ إِلَى الْجِبَالِ كَيْفَ نُصِبَتْ وَ إِلَى الْأَرْضِ كَيْفَ سُطِحَتْ
‘তারা কি উটের দিকে লক্ষ্য করে না যে,কীরূপে সৃষ্টি করা হয়েছে,আর আসমানের দিকে যে কীরূপে সুউচ্চ করা হয়েছে, আর পর্বতমালার দিকে যে, কীরূপে দাঁড় করানো হয়েছে, আর যমিনকে যে, কীরূপে সম্প্রসারিত করা হয়েছে?’ [সূরা গাশিয়াহ্ : ১৭-২০]
۞ আয়াত ২ :
إِنَ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَ الْأَرْضِ وَ اخْتِلَافِ الّيْلِ وَ النَّهَارِ وَ الْفُلْكِ الَّتِيْ تَجْرِيْ فِي الْبَحْرِ بِمَا يَنْفَعُ النَّاسَ وَ مَا أَنْزَلَ اللهُ مِنَ السَّمَاءِ مِن مَّاءٍ فَأَحْيَا بِهِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا وَ بَثَّ فِيْهَا مِنْ كُلِّ دَابَّةٍ وَّ تَصْرِيْفِ الرِّيَاحِ وَ السَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَيْنَ السَّمَاءِ وَ الْأَرْضِ لآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَّعْقِلُوْنَ
‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে,রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তনে,যা মানুষের হিত সাধন করে,তা সহ সমুদ্রে বিচরণশীল নৌযানসমূহে,আল্লাহ্ আকাশ থেকে যে বারি বর্ষণ দ্বারা পৃথিবীকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন তাতে এবং তার মধ্যে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তারণে,বায়ুর দিক পরিবর্তনে,আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ [সূরা বাকারা : ১৬৪]
۞ আয়াত ৩ :
قُلْ لَّوْ كَانَ مَعَهُ آلِهَةٌ كَمَا يَقُوْلُوْنَ إِذًا لَّابْتَغَوْا إِلَى ذِي الْعَرْشِ سَبِيْلًا
‘বলুন,‘যদি তাঁর সাথে আরো উপাস্য থাকত,যেমন তারা বলে,তবে তারা আরশ-অধিপতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উপায় অন্বেষণ করত।’ [সূরা বনি ইসরাইল : ৪২]
পবিত্র কুরআনে আরও বিভিন্ন আয়াতে এরূপ বর্ণিত আছেঃ
۞ আয়াত ৪ :
“তারা কি চিন্তা করে না’ (أَفَلَايَتَفَكَّرُوْنَ),
۞ আয়াত ৫ :
“তারা কি গবেষণা করে না’ (أَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ),
۞ আয়াত ৬ :
“তারা কি লক্ষ্য করে না’ ( أَلَمْيَرَوْا),
۞ আয়াত ৭ :
“তারা কি (সৃষ্টি প্রক্রিয়া) অবলোকন করে না’ (أَفَلَايَنْظُرُوْنَ)
۞ আয়াত ৮ :
“তোমরা কি বোঝ না’ (أَفَلَا تَعْقِلُوْنَ),
۞ আয়াত ৯ :
“এতে নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানবান জাতির জন্য’ (لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَّعْقِلُوْنَ)
۞ আয়াত ১০ :
‘অনুধাবনকারী সম্প্রদায়ের জন্য আমি নিদর্শনসমূহ বিবৃত করেছি’ (فَصَّلْنَا الآيَاتِ لِّقَوْمٍ يَّفْقَهُوْنَ)।