সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর সে সূর্যকে পুনরায় আকাশে ফিরিয়ে আনাও রসুলেপাক (ﷺ) এর অন্যতম মোজেজা। হজরত আসমা বিনতি ওমায়স (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, একদা নবী করীম (ﷺ) হজরত আলী কাররমাল্লাহু ওয়াজহাহুর উরুর উপর মাথা রেখে আরাম করছিলেন। তাঁর উপর ওহী নাযিল হচ্ছিলো। হজরত আলী তখনও আসরের নামাজ আদায় করেননি। তিনি নবী করীম (ﷺ) এর পবিত্র মস্তক সরিয়ে দিয়ে নামাজ আদায় করতে গেলেন না। সূর্য অস্ত গেলো। রসুলেপাক (ﷺ) হজরত আলী (رضي الله عنه)কে জিজ্ঞেস করলেন, আলী! আসরের নামাজ পড়েছো? তিনি বললেন, না। রসুলেপাক (ﷺ) মুনাজাত করলেন, হে আল্লাহ্! তোমার আলী, তোমার এবং তোমার রসুলের আনুগত্যে ছিলো। তুমি সূর্যকে পুনরায় উদিত করে দাও। মুনাজাতের সাথে সাথে সূর্য আকাশে উদিত হলো। হজরত আসমা (رضي الله عنه) বলেন, আমি সূর্যকে ডুবে যেতে দেখেছি। তারপর আবার সে সূর্যকে আকাশে উঠতেও দেখেছি। সূর্যের রশ্মি তখন পাহাড়ের চূড়া এবং যমীনে পতিত হয়েছিলো। খয়বর যুদ্ধের বর্ণনায় এই হাদীছের পরিপূর্ণ আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্।
➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)]