55 – بَابُ مَا جَاءَ فِيْ سَجْدَتَي السَّهْوِ
160 – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيْمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ : أَنَّ رَسُوْلَ اللهَ صَلَّىٰ صَلَاةً إِمَّا الظُّهْرَ وَإِمَّا الْعَصْرَ، فَزَادَ أَوْ نَقَصَ، فَلَـمَّا فَرَغَ وَسَلَّمَ، فَقِيْلَ: أَحَدَثَ فِي الصَّلَاةِ شَيْءٌ أَمْ نَسِيْتَ؟ قَالَ: «إِنِّيْ أَنْسَىٰ كَمَا تَنْسَوْنَ، فَإِذَا نَسِيْتُ فَذَكِّرُوْنِيْ»، ثُمَّ حَوَّلَ وَجْهَهُ إِلَى الْقِبْلَةِ، فَسَجَدَ سَجْدَتَي السَّهْوِ وَتَشَهَّدَ فِيْهَا، ثُمَّ سَلَّمَ عَنْ يَمِيْنِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ.
বাব নং ৭০. ৫৫. সাহু সিজদার বর্ণনা
১৬০. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি আলকামা থেকে, তিনি ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) একবার যোহর অথবা আসর নামায পড়ালেন এবং এতে কিছূ কম-বেশী করেন। তিনি নামায শেষ করলে আরয করা হলো- নামাযের কি কোন নতুন আহকাম জারী হলো, না আপনি ভুলে গিয়েছেন? তখন তিনি এরশাদ করেন, আমি তোমাদের মত ভুলে যাই। সুতরাং আমাকে যখন ভুলিয়ে দেওয়া হয়, তখন তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। অতঃপর তিনি কিবলার দিকে মুখ করে ভুলের জন্য দু’টি সিজদা করেন এবং এতে তাশাহহুদ পাঠ করেন। এরপর ডানে ও বামে সালাম ফিরান।
ব্যাখ্যা: উপরোক্ত হাদিসে একটি প্রশ্ন হতে পারে যে, রাসূল (ﷺ) কথা বলার পর কিভাবে সাহু সিজদা আদায় করলেন? অথচ নামাযে কথা বললে নামায ফাসেদ হয়ে যায়। এর উত্তর হলো- এই ঘটনা তখনকার যখন নামাযে কথা বলা জায়েয ছিল। হযরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه)’র হাদিসে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। আর মুক্তাদী যেহেতু ইমামের আওতাধীন তাই মুক্তাদীর নামাযে কোন ত্রুটি হবে না।
ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মতে সাহু সিজদা সাধারণত ডান দিকে সালামের পর দিতে হয়। পক্ষান্তরে ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র মতে সাধারণভাবে সালাম ফিরানোর পূর্বে দিতে হয়। ইমাম মালিক (رحمة الله) ’র মতে নামাযে যদি কোন কম্তি হয় তবে সালামের পূর্বে আর যদি নামাযে কিছু বৃদ্ধি হয় তবে সালামের পরে দিতে হয়। অর্থাৎالقبل بالنقصان والبعدبالزيادة। ইমাম আহমদ (رحمة الله)’র মতে রাসূল (ﷺ) থেকে যেসব ব্যাপারে সাহু সিজদা সালামের পূর্বে সাব্যস্ত আছে তা পূর্বে হবে আর যেসব ক্ষেত্রে সালামের পরে সাব্যস্ত আছে সে সবক্ষেত্রে সালামের পরে দিতে হবে। তিরমিযী শরীফ ব্যতীত বাকী সব সিহাহ্ সিত্তাহ্ গ্রন্থে ইবনে মসউদ (رضي الله عنه) থেকে মরফু হাদিস বর্ণিত আছে-واذا شك احدكم فى صلوته فليحر الصواب فليتم عليه ثم يسلم ثم يسجد سجدتين “তোমাদের কারো যদি নামাযে সন্দেহ হয় তবে চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে নামায পূর্ণ কর অতঃপর সালাম ফিরাও তারপর দু’টি সিজদা কর।”
➥ ইমাম বুখারী (رحمة الله) বুখারী শরীফ, খন্ড ১, পৃষ্ঠাঃ ৫৭-৫৮ কিতাবুস সালাত