সাহাবী আমীরে মু’আভিয়া [رضي الله عنه] এবং আ’লা হযরতের বক্তব্যঃ
____________________________________
ইমামে আহলে সুন্নাত আ’লা হযরত আহমদ রেযা খান ফাযেলে বেরলভী [رحمه الله عليه] তাঁর বিখ্যাত ‘আহ্কাম-ই শরীয়ত’ নামক গ্রন্থে সাহাবী হযরত আমীর মু’আভিয়া [رضي الله عنه] সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে উল্লেখ করেছেনঃ
✍🏻 জাওয়াবঃ আল্লাহ্ [ﷻ] সূরা হাদীদে নবী করীম [ﷺ] -এর সাহাবীদেরকে দু’শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন।
এক. যারা মক্কা বিজয়ের পূর্বে ঈমান এনে আল্লাহ্’র রাস্তায় নিজের সম্পদ ব্যয় করতঃ জিহাদ করেছেন।
দুই. যারা মক্কা বিজয়ের পর ঈমান এনেছেন-
◾ যাঁদের সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَىٰ ۚ (সূরা হাদীদ: ৫৭:১০) উভয় দলের জন্য আল্লাহ্ তা’আলা কল্যাণের অঙ্গিকার করেছেন।
◾যাঁদের প্রসঙ্গে আল্লাহ্ বলেছেনঃ
[ أُولَٰئِكَ عَنْهَا مُبْعَدُونَ لَا يَسْمَعُونَ حَسِيسَهَا ۖ وَهُمْ فِي مَا اشْتَهَتْ أَنفُسُهُمْ خَالِدُونَ لَا يَحْزُنُهُمُ الْفَزَعُ الْأَكْبَرُ وَتَتَلَقَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ هَٰذَا يَوْمُكُمُ الَّذِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ. ]
(তাদেরকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তারা সেটার ক্ষীণ ধ্বনিও শুনবে না এবং তারা তাদের মন যেমন চায় তেমন ভোগ বিলাসের মধ্যে সর্বদা থাকবে। তাদেরকে বিষাদে ফেলবে না ওই সর্বাধিক মহাভীতি এবং ফিরিশতাগণ তাদের অভ্যর্থনা করার জন্য আসবে, ‘এটাই হচ্ছে তোমাদের ওই দিন যার সম্পর্কে তোমাদের সাথে ওয়াদা ছিলো।’) [সূরা আম্বিয়াঃ ১০১]
নবী করিম [ﷺ]-এর সাহাবীদের এ মান-মর্যাদা স্বয়ং আল্লাহ্ তা’আলাই বর্ণনা করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন সাহাবীদের শান-মানের ব্যাপারে কটাক্ষ করবে সে আল্লাহ্ তা’আলার রোষানলে পড়বে। কোন কর্মকান্ডে আল্লাহ্ তা’আলা বিরোধী মিথ্যা কাহিনী বর্ণনা করা মুসলমানদের কাজ নয়।
◾আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াতের মধ্যে মুখও বন্ধ করে দিলেন যে, উভয় দল সাহাবী [رضي الله عنهم] ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলা কল্যাণের অঙ্গিকার দিয়ে ইরশাদ করেছেন- [ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ ] ‘আর আল্লাহ্ তা’আলা ভালোই জানেন যা তোমরা করে থাকো।’
সকল সাহাবীর ব্যাপারে কল্যাণের অঙ্গিকার দিয়েছি আমি আল্লাহ্। এর পরেও যারা তাদের মানহানী করে তাদের জন্য জাহান্নাম অপেক্ষা করছে।
◾ আল্লামা শিহাব উদ্দীন খাফ্ফাজী (রহ:) ‘নসীমুর রিয়াজ শরহে শেফা ইমাম কাজী আয়াজ’র মধ্যে বলেনঃ
“যে হযরত আমীর মু’আভিয়া [رضي الله عنه]’র সমালোচনা করতঃ মন্দ বলে সে জাহান্নামের কুকুরগুলোর একটি।”
(সংক্ষেপিত)
[সূত্রঃ আহ্কাম-ই শরীয়ত; আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান ফাযেলে বেরলভী (رحمه الله عليه), ১০১ পৃষ্টা, ২৪ নং মাস্’আলা দ্রাষ্টব্য]
গ