রাছুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গ প্রাপ্তিতে ধন্য সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা করা যাবেনা ।
▶নবী বংশের উজ্জল নক্ষত্র- গাউছুল আজম শায়খ সৈয়দ আব্দুল কাদির জিলানী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী রহমতুল্লাহ আলাইহি এর الغنية لطالبي طريق الحق في الاخلاق والتصوف والاداب الاسلامية সংক্ষেপে “গুনয়াতুত ত্বালিবীন” নামক গ্রন্থের ১/১০০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন :- واتفق اهل السنة علي وجوب الكف عما شجر بينهم والامساك عن مساويهم واظهار فضاءلهم ومحاسنهم وتسليم امرهم الي الله عز وجل علي ما كان وجري من اختلاف علي وطلحة والزبير وعاءشة ومعاوية رضي الله عنهم
অর্থাৎ :-
▪ আহলে সুন্নাতের সকলি এ ব্যাপারে একমত যে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে পরষ্পরের যুদ্ধের ব্যাপারে তর্ক করা এবং তাঁদেরকে মন্দ বলা থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব ৷
▪ তাঁদের মর্যাদা সমূহ ও গুণাবলী প্রকাশ করতে হবে এবং তাঁদের ব্যাপারটা মহান আল্লাহর নিকট সোপর্দ করতে হবে ৷ বিশেষ করে তাঁদের মধ্যে যেসব (যুদ্ধ বা মতানৈক্য) ঘটেছিল। যেমনঃ
▪ ঐ সব মতবিরোধ যা হয়েছে হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু), হযরত আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ও হযরত আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মধ্যে সংঘটিত হয়। যেমনঃ উষ্ঠের যুদ্ধ ও সিফফিনের যুদ্ধে ৷ এ ব্যাপারে আমাদের জবানকে সংযত রাখতে হবে ৷ কাউকে কোনরূপ দোষারোপ করা যাবে না ৷
▶প্রকাশ থাকে যে,
▪ আ’লা হযরত আল্লামা আহমদ রেজা খান বেরলভী রহমতুল্লাহ আলাইহি “আহকামে শরীয়ত” নামক গ্রন্থের ১/১০৩ পৃ: উল্লেখ করেছেন-
▪আল্লামা শিহাবুদ্দীন খুফফাজী রহমতুল্লাহ আলাইহি “নাসীমুর রিয়াজ ফি শরহে শিফা কাজী আয়াজ” কিতাবে লিখেছেন-
“মাই ইয়াকুনু ইয়াতয়ানু ফি মোয়াবিয়া – ফা যাকা মিন কিলাবিল হাবিয়া”
অর্থাৎ যে ব্যক্তি আমীরে মোয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু এর দোষারোপ করবে, সে জাহান্নামী কুকুরদের মধ্যে একটি কুকুর হিসাবে গন্য হবে।”
এটাই হচ্ছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের আক্বিদা বা বিশ্বাস
আল্লামা শেখ সিরাজুল ইসলাম আল-কাদেরী,
তারিখ- ১০/৯/২০১৯ ইংরেজী
প্রচারে: কাজী আজিজুল ইসলাম