সমকামীতার অন্ধকার জগৎ থেকে ফিরে আসা একজনের মেইল! হুবহু তুলে ধরলাম। আল্লাহর ওয়াস্তে পড়ে দেখুন, কি ভয়ংকর জাহান্নামরুপী জান্নাতেই না আমরা বাস করছি! তুলছি তৃপ্তির ঢেকুর!
বাংলাদেশে সমকামিতার ভয়াবহ রূপ! বাস্তব অভিজ্ঞতা। আল্লাহর দোহাই লেখাটা পড়ুন আর সবার কাছে পৌছে দিন।
০১। ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
আমি এক অন্ধকার জগৎ থেকে বলছি। যদিও আমি ফিরেছি, চেষ্টা করছি। অনেক দিন থেকে ভাবছি আমার লেখা উচিৎ। যতটুকু পারি বুঝিয়ে লিখব ইনশাল্লাহ। ২০১২ সাল। আমি ক্লাস নাইনে। আমি ছেলে হয়েও আর একটা ক্লাসমেট ছেলেকে ভাল লাগা শুরু হয়।যদিও এর আগে আমার আর একটা মেয়েকে ভাল লাগতো। তখনো বুঝি নি এটা আমার স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সমকামি জগতে প্রবেশের প্রথম ধাপ। ওই ছেলেকে কখনো বলি নি। তবে একসময় বলার পরে ও পাত্তা দেয় নি। আমিও ওর কথা ভুলে যাই। তবে ছেলেদের প্রতি ভাললাগা বেড়ে যেতে থাকে। সেটা অবশ্যই সেক্সুয়াল ভাললাগা। ২০১৫ সালে ফেসবুক আইডি খুলি। তখন ঘাটাঘাটি করতে করতে আমার যা ইন্টারেস্ট, আমার যা ধান্দা সেটা খুজে বের করে ফেলি। আমার পূর্বের ধারনা ছিল হয়ত আমিই একটু আলাদা কিন্তু না ফেসবুকে এসে দেখি হাজার হাজার।
পর্ন সাইটে ঢুকে আমি জঘন্য এক জগতে ঢুকে যাই। আমার যা আগ্রহের জিনিস আমি তা পেয়ে যাই। তখনো Gay শব্দটা জানতাম না। বুঝতে পারলাম এরাই হল আমার মত সেই সমমনা গোত্র। ফেসবুকে সার্স দিতেই শত শত আইডি। এড দিলাম। কথা হল। কারো কাছে প্রেম নিবেদন, কারো কাছে পার্সোনাল ছবি চাইতাম। আমি আরো বেশি উদ্ধত হয়ে যাই। আরো বেশি এক্সপ্লোর করতে থাকি। ২০১৫-১৬ সালেও ফেসবুকে তেমন কোন ফিচার আসে নি। সবার কাছে এন্ড্রয়েড ছিল না। তখন ফেসবুকে আবিষ্কার করি “গে চটি” নামের বিভিন্ন পেইজ। সেখানে সমকামি যৌনতার বর্ননা থাকতো। সেসবে আমি মগ্ন হয়ে যাই। রাস্তাঘাটে সুন্দর ছেলেদের দেখলেই আমার কামনা জাগতো। ফেসবুকে আমি ফেইক আইডি খুলে ফেলি। ফেইক আইডি দিয়ে প্রাইভেট ছবি আদান প্রদান, ভিডিও কলে নষ্টামি শুরু করি। ওখানে গে গ্রুপ ছিল। পার্টনার, রঞ্জক নামের গ্রুপে প্লেস ফ্রি বলে সেক্স করার পোস্ট থাকতো, কিন্তু গ্রামে থাকায় তেমন সুযোগ হয়নি।
২০১৬ সালে ঢাকায় আসি। শুরু হয় আমার অন্ধকার জগতের পদার্পনের প্রথম ধাপ। আসলে আমি যেভাবে এই জগতে আসলাম মোটামুটি অন্য সব ছেলেদেরই এ জগতে আসার প্রসেসটা এরকম। তবে একটা জিনিস অস্বীকার করা যাবে না, গ্রামে বা শহরে চাচাতো ভাই, পাশের বাসা বা বাড়ির ফ্রেন্ড, বা সিনিয়র জুনিয়রদের মাঝে খুব ছোট বয়সে সমকামিতার প্রথম শুরুটা হয়। হয়ত কেউ স্বেচ্ছায়, আগ্রহের বশবর্তী হয়ে করে, কেউ হয়ত এবিউজড হয়। এটা হয়ই। কেউ সেই রেশটা কাটিয়ে উঠতে পারে না। তার ভেতর সমকামিতার বীজ থেকে যায়, যা বড় হলে বেড়ে ওঠে। ইদানিং শোনা যায় বাসায় ডেকে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল ও হ-ত্যা, সেই ডেটিং এপ ব্লুড ও গ্রিন্ডার এর যে ভয়ানক অবস্থা সেটা শেষ এ লিখেছি।
০২। বাংলাদেশে সমকামিতার বাস্তব রূপঃ
আমি আল্লাহর কসম করে বলি, আমার অভিজ্ঞতায় আমি এটা কিছুতেই ভুল হতে পারে বলে বিশ্বাস করি না, ঢাকা শহরের প্রতিটা বিল্ডিংয়ে অন্তত ১ জন সমকামি আছে ( গড়ে নয়, আছে নিশ্চিত) যে নিয়মিত সমকামিতায় লিপ্ত হয়।গড়ে হিসাবে নয়, ঢাকা শহরে প্রতি ১০০ মিটারে একজন সমকামি আছেই। কিভাবে সেটা বুঝিয়ে বলব।
সব সমকামিদের এই জগতে প্রবেশ হয় ফেসবুকে ফেইক আইডি খোলার মাধ্যমে। ফেসবুকে এত এত গ্রুপ আছে, গুনলে অন্তত ৫০০ হবে। সমকামি জগত, সমপ্রেমিদের আড্ডা, ঢাকা গে কমিউনিটি, রংপুর গে কমিউনিটি, সমকামিদের মেলা, Partner এরকম নামের শত শত গ্রুপে ফেসবুক ছয়লাব। চটি পেজ গুলা আরো নোংরা। ওরা যে কি অসভ্য হতে পারে আমার ধারনাও ছিল না। গে চটির ওরকম অনেক পেজ আছে। নিত্য নতুন চটি লিখে উন্মাদ করে ফেলে। সেক্স করার ধান্দা আরো বেড়ে চলে, এগুলা গে কমিউনিটি গপগপ করে গিলে খায়। ওরা এত অসভ্য যে বাবা ছেলে নিয়ে যৌনতার কাহিনি লিখে, ওরা এত অসভ্য কিভাবে ছোট ভাই, ভাগনের সাথে অপকর্ম করা যায় সেই বর্ননা লিখে। আপনি হয় ভাবতে পারেন ধুর এরা আর কয়টা। তবে সত্যি বলি এরা এক বিরাট সংখ্যা। একটা স্বাভাবিক ছেলে হয়ত আরেকটা মেয়ের সাথে ব্যাভিচার করার সুযোগই পায় না, হোক গ্রাম কিংবা শহর। কিন্তু সমকামিদের সংখ্যা কোনমতেই কম নয়। আপনার অজান্তেই হয়ত আপনার বন্ধু, ছোটভাই,বড়ভাই সমকামিতায় লিপ্ত হয় প্রতিনিয়ত।
একথা কেন বলছি? কারন আমিও সবার চোখে এখনো খুব ভাল ছেলে। পড়াশুনায় ভাল, নামাজও পড়ি, ফেসবুকে ইসলামিক পোস্ট শেয়ার দেই। আমি নিজেকে ঈমানদার দাবি করি।আমি সমকামিতা সমর্থন করি না। কিন্তু নিজেই সমকামি হয়ে আছি। আমি বখে গেছি। আমার মত এরকম বখে যাওয়া অনেক দেখেছি। এমনকি বয়স্ক আছে, ৩০+,৪০+ আছে। দাড়ি পাকা মুরব্বিদের ও দেখছি। হুজুরও দেখছি, হিজরাও আছে, মেয়েলি ছেলেরাও আছে, বিবাহিতরাও আছে, ক্লাস ৯-১০ এর ছেলেরাও আছে।
০৩। ফেসবুকে যা চলেঃ
কথাগুলো পড়ুন। এড়িয়ে আর যাওয়ার সময় নাই। পায়ে ধরি। আলেমরা যারা আছেন, সচেতন নাগরিক যারা আছেন, ফেসবুকে যারা লেখালেখি করেন, গুরুত্ব দিন। দীর্ঘদিন আমি দেখে এসেছি আমাদের আলেমরা বা ইসলামিক ধারার যারা লিখেন, সবাইই বাংলাদেশে সমকামিতাকে ওয়েস্টার্ন এজেন্ডা, এনজিওগুলোর ষড়যন্ত্র বলে সাধারন কিছু এস্টেটমেন্ট লিখেছেন। হ্যা ওদের এজেন্ডা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি আদায়, পাবলিক কমিউনিটি বানানো, গে ম্যারেজ বা পাবলিকলি লিভ টুগেদার এর একটা নরমালাইজ করার আইনি উদ্যোগ নেয়ার। কিন্তু সমকামিতার শিকড় যে আমাদের ছেলেরাই নিজের ঘরে পুতে রেখেছে, তার বিষয়ে তেমন কেউ বলে না, হয়ত জানেনা, অথবা জানলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না। সমকামিদের সংখ্যাটা দেশে হাজার নয়, লাখ লাখ।
মাদ্রাসায় সমকামিতা হয়, ওটাও সমকামিতা, ভার্সিটির রুমে, কিংবা ওয়াশরুমে সমকামিতা হয় ওটাও সমকামিতাই। আলেমদের কে বলব কথা বলুন, আল্লাহর ওয়াস্তে কথা বলুন। আমি নিজ চোখে দেখেছি কি ভয়াবহ অবস্থা চলছে। আপনারা একযোগে কথা বলুন, মসজিদে মসজিদে কথা বলুন, ফেসবুকে লিখুন, খুব আওয়াজের সাথেই লিখুন। হয়ত ভাবছেন যে এ নিয়ে কথা বললে আরো বাড়বে, বলা উচিৎ হবে না। জনাব, ওদিকে সর্বনাশ হয়ে গেছে। আর চুপ থাইকেন না, আল্লাহর ওয়াস্তে ওয়াজের মঞ্চে মঞ্চে কথা বলুন।
ফেসবুকে সমকামিদের গ্রুপ এ চলে প্লেস ফ্রির বিজ্ঞাপন। মূলত সমকামিরা যৌনতায় তিনটা ধরনের। কেউ শুধু পুরুষের ভূমিকা পালন করে – তারা টপ, কেউ নারীর মত – তারা বটম।কেউ দুইটাই করে- তারা ভার্সেটাইল। ফেসবুকে যখন প্লেস ফ্রির পোস্ট দেয় তখন এরকম লিখেঃ
“প্লেস ফ্রি। লোকেশনঃ মালিবাগ।
এজঃ ২৫, রোলঃ বটম।
২০-৩০ এর ভিতর টপ লাগবে।”
এই পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করে যে ইনবক্স চেক করো। তারপর ইনবক্সে এসে ছবি আদান প্রদান করে, নাম্বার দেয়। তারপর ওই ছেলের বাসায় চলে যায়। এখানে বিষয়টা হল, হয়ত যার প্লেস ফ্রি হয়েছে ওর বাবা মা বাইরে গেছে, অথবা ও মেসে থাকে, মেসের রুমমেটরা বাইরে, অথবা ও একাই থাকে, আর প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে বাসায় এনে সেক্স করে।
আমি যে জগৎ থেকে দেখে এসেছি তাতে বাস্তব দেখলাম রাস্তার মোড়ে মোড়ে সমকামী। আপনার আমার চোখে ধুলা দিয়ে তারা সমকামিতায় লিপ্ত। ভার্সিটির ছাত্র, আর মাদ্রাসা , স্কুল পড়ুয়া আর গ্যারেজবয় , ডক্টর আর টিচার – সব ধরনের লোক পাইছি। প্রতিটা এরিয়ায়, বলতে গেলে প্রতিটা গলিতে সমকামিতা হচ্ছে। একটা ছেলে হুস করে আসলো ১০ মিনিট পর চলে গেল।
দারোয়ান : কই যাবেন?- তিন তলায়।
কার কাছে? – অমুকের কাছে।
কি হয়?- বন্ধু। ওকে যান।
এভাবেই সমকামিতা চলছে। পুলিশি ভয় দেখিয়ে কারো বাসায় কারো যাওয়া বন্ধ করা যাবে না। দরকার আলোচনা। বুঝানো। আল্লাহর ভয় জানানো।
আপনি হয়ত জানেন না, আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের পরিচিত কেউই হয়ত সমকামিতায় আসক্ত। হয়ত আপনার লেখাতেই সে ফিরে আসবে আল্লাহর পথে।
এই চিত্রটা ওদের ফেসবুক গ্রুপ গুলায়, ফেইক আইডি গুলায় কমন চিত্র। কিন্তু একটা ছেলে চাইলেই একটা মেয়েকে বাসায় আনতে পারে না। অথচ কোন ছেলেকে কেউ সন্দেহও করে না। এভাবেই আপনার আড়ালে আপনার ভাই বন্ধু, ছেলে, ভাতিজা ভাগনে হয়ত সমকামিতায় লিপ্ত। ভাই আমাকে বিশ্বাস করুন এরকম হচ্ছে। এটা শুধু ঢাকার চিত্র নয়, সারা বাংলাদেশে। গ্রামে গঞ্জে সবজায়গায়। আমি কতগুলা ছেলের সাথে লিপ্ত হইছি আমিই জানিনা হয়ত ১০০+। আমি পাপিষ্ঠ পাপি। আমি নিজেই নিজের ধ্বংস চাই।
ফেসবুক এখন হাতে হাতে। আর সমকামিতার চর্চা খুব ভালভাবেই বেড়ে চলছে এখানে। গে চটির অসভ্য গল্প পড়ে সবার মাথা খাচ্ছে। আর একটা পোস্টে তিনশ, চারশ লাইক।শেয়ার ১০০,২০০ টা করে। এরা ভিন গ্রহের না। আমার মতই কারো ভাই বন্ধু। ফেইক আইডিতে আমি এমন সব লোক পাইছি আমি অবাক। ভার্সিটির স্টুডেন্ট থেকে ক্লাস ৮/৯ এর। ইভেন মসজিদের হুজুরও পাইছি। তার আইডির নাম হুজুর টপ। এরকম অনেক হুজুর টপ পাইছি, তাদের পোস্ট এরকম – হুজুর লাইক করো কারা ইনবক্সে আসো। আর অনেক গুলা কমেন্ট আসে, আমি মাদ্রাসার হুজুর টপ, হুজুর বটম। আমি দাড়ি পাকা বুড়াও পাইছি। ওরা কবরে এক ঠ্যাং গেছে তাও, পোস্ট করে কচি টপ চাই। এই হল অবস্থা।
ফেসবুকে সমপ্রেমি গল্পের অনেক গুলা পেজ আছে। ওইগুলায় ওরা সমপ্রেমের রোমান্টিক গল্প লিখে। একসময় আমিও তাতে বিভোর থাকতাম। ভাবতাম একটা ছেলে আমার জীবনেও আসবে। আমি ওকে নিয়ে সারা জীবন থাকব। তখনো আমি ভাবি নাই, আমি যা করছি আর ভাবছি তা আমার ধর্মবিশ্বাস এর সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু আমার হুশ ফিরে না। এই জগতটা এভাবেই অলীক কল্পনায় মাতিয়ে রাখে সবাইকে।
ঢাকায় বাসায় বাসায় চলে গেসেক্স। অঞ্চল ভেদে এদের সংখ্যাটা বেশি কম। বিশেষ করে উত্তরা, টংগী, আব্দুল্লাহপুর, গাজীপুর, কোনাবাড়ী, সাভার এড়িয়ায় সহজেই বাসায় বাসায় কুকর্ম চলতে থাকে। কারন ওই এড়িয়ায় বাসা পাওয়া সহজ, গার্মেন্টস বা ফ্যাক্টরী কর্মী বেশি। বাসায় কে আসে কারা আসে এসব কেউ কেয়ার করে না, যাত্রাবাড়ী, কাচপুর, নারায়নগঞ্জ,চাষাড়া,নরসিংদী এরিয়ায়ও অনেক আছে। বিশেষ করে ছোট বাসা বা মেস এ এর সংখ্যাটা বেশি। ভয়ানক কথা হল এসব এড়িয়ায় ওদের কমিউনিটি থাকে। আর এই সব বাসায় ওদের গ্রুপ-সেক্স করার পার্টিও হয়!!! কেরানিগঞ্জের ওপারে একবার হয়েছিল। তখন সবাই ভাবত ওরা এলিয়েন। কিন্তু ভাই ওরা আমাদের আশেপাশেই স্বাভাবিক অন্য সব মানুষের মত, কিন্তু গোপনে সেক্স করে বেড়ায়। সারাদিন ফেক আইডিতে ঘুরে আর চটি পড়ে, প্লেস খুজে, সেক্স করে, পর্ন দেখে, অথচ ধারনাও করা যায় না যে সবার চোখে ধুলা দিয়ে এই লোক সমকামিতায় লিপ্ত। এমনকি বিয়ের পরেও আগের অভ্যাস ছাড়তে পারে না। বাসা খালি পাইলেই শুরু করে কুকর্ম।
বিষয় হল কেউ কেউ জেনে বুঝে করে। নাস্তিক মুক্তমনা, ইসলাম বিদ্বেষী টাইপের কিছু লোকই আছে যারা এই সুযোগটা নিয়ে গ্রুপগুলায় ব্যাপক প্রচারনা চালায়। ওরা ধর্ম নিয়ে সচেতন না এমন লোকদেরকে উষ্কে দেয়।
০৪।পাবলিক প্লেসে সমকামিতার বীজঃ
আরও আছে এলাকা ভিত্তিক কমিউনিটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেই শাহবাগ চত্বরে প্রতি শুক্রবার গে কমিউনিটির আড্ডা হয়। আমিও গিয়েছিলাম। ওরা আসে ঘুরে,পার্টনার খুজে, বেড শেয়ার করে।অন্তত ১০০ – ২০০ লোকজন আসে শাহবাগে।
আর রমনা পার্কে!!!! সপ্তাহের সাতটা দিনই সন্ধ্যার পরে রমনায় চলে সমকামিতার নোংরামি। যেদিন শুক্রবার আসে ওইদিন সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি হয় রমনায়। ২০০ থেকে ৩০০ সমকামি আসে সেক্স করতে। শাহবাগের দিকে যে গেট ওখান থেকে ঢুকে গোল চত্বরের উত্তর পাশে যে একটা ছাউনি আছে ওইখানে বিকালে গানের আসর বসে। আর আসর ঘিরে যারা দাড়ানো থাকে বেশিরভাগ সমকামি। আপনি একটু দাড়ালেই ওরা পাশে থেকে খোটাতে শুরু করবে। পেছনে এসে জড়াজড়ি করবে। শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে দিবে। আর এই গুলাই চলে অন্ধকার হওয়ার আগে। সন্ধার অন্ধকার নামলেই গোল চত্বরের উত্তরে জিম করার যে সরঞ্জাম থাকে ওই জায়গাটায় ওরা জটলা পাকায়। কি বলব এত অসভ্য জায়গা আর নোংরা কাজে আমি হতভাগাও গিয়ে কপাল পোড়াদের খাতায় নাম লেখাইছি। একজন দাঁড়ায় প্যান্টের চেইন খুলে তিনজন সেটা মুখে……… আর সবাই গোল হয়ে দাড়িয়ে দেখে। ভিতরের যেসব জায়গা অন্ধকার ওইখানে ওরা দাঁড়িয়ে থাকে , পাশের কেউ গেলেই ইশারা করে। পরে অন্ধকার এক গাছের গোড়ায় গিয়ে যা করার তাই করে। ওরা এত অসভ্য সবার সামনে সেক্স করে আমি নিজ চোখে দেখেছি। ওখানের গার্ডরা সব জানে। ওরা সবার কাছ থেকে ২০ টাকা করে নেয়। আর একটা কোড বলে দেয় যেমন চারটা জিরো বলতে হবে।
কি বলব কাকরাইল মসজিদের পেছনের দিকে পার্কের যে অংশটা ওইখানে সবার চোখের আড়ালে অন্ধকার গাছের নিচে চলে অসভ্যতার চূড়ান্ত চর্চা নিকৃষ্ট সমকামিতা। অথচ প্রশাসন জেনেও নিরব। আপনি যদি ৮ টার দিকে একা দাঁড়িয়ে থাকেন কোথাও, দেখবেন গার্ড এসে বলবে এই মামা টাকা দেন। ওই যায়গায় যারা যায় তাদের জীবন এমনভাবে জড়িয়ে যায় আর ফিরতে পারে না। লোকটা নিজেই বুঝে না কুকুর শুকরের মত সে যৌনতায় রাস্তায় নেমে গেছে।
আরো কিছু কিছু পার্ক আছে, ব্রীজের নিচে, ঘাটের পিছে এরকম বহু জায়গায় ছড়িয়ে গেছে সমকামিতা। বাসে ট্রেনে লঞ্চে কিংবা হাটা পথে আমি এরকম বহু সমকামী দেখেছি যারা ইশারা ইঙ্গিতের মাধ্যমে ডাকে। যদিও সেটা সমকামী না হলে কেউ বুঝবে না।
আমি একটা পার্টিতে গেছিলাম হাতিরঝিল আবাসিক এরিয়ায়। গেছিলাম উত্তরায় আর গুলশানে। ওরা নিজেদের পরিচিত সার্কেল নিয়া নাচ গান করে পার্টি করে খাওয়া দাওয়া শেষে যারে যার ভাল্লাগে রুমে ঢুকে যায়। হ্যা এটা ইওরোপ না বাংলাদেশেই হচ্ছে। অথচ আমরা জানিনা।
০৬। ব্লুড এবং গ্রিন্ডার এপঃ
ফেসবুকে যেমন অনেক ফ্রেন্ড পাওয়া যায়, ব্লুড আর গ্রিন্ডারেও এরকম হাজার হাজার আইডি পাওয়া যায়। মানে কি দিয়ে যে শুরু করব।আমি আল্লাহর কসম করে বলছিলাম যে আমার অভিজ্ঞতায় আমি ১০০% শিওর, কিছুতেই ভুল হতে পারে না যে ঢাকা শহরের প্রতিটা বিল্ডিংয়ে অন্তত ১ জন সমকামি আছে ( গড়ে নয়, আছে নিশ্চিত) যে নিয়মিত সমকামিতায় লিপ্ত হয় সেক্স করে।
ব্লুড এখন ফেসবুকের থেকে ভয়ানক। ফেসবুকে কেউ আর সেক্স খুজে না। ব্লুডে মেসেজ করে দেখা করে সেক্স করে। এভাবেই চলছে। পুরো দেশটা ব্লুড গ্রিন্ডারে ছেয়ে গেছে। চলছে রমরমা সমকামিতার চর্চা।
ব্লুড এপে যে আইডি গুলো সব হল ফেইক আইডির মত। জাস্ট একজনের একটা ছবি থাকে। আর ডিরেক্ট মেসেজ করলেই সেক্স অফার। কারন এই এপটাই সমকামিদের। এখানে আপনি তার লোকেশনসহ দেখতে পারবেন। মানে কেউ একজন আপনার ১০০ মিটারের ভিতর আছে সেটা লোকেশনে দেখা যাবে। আর তখনই মেসেজ, অফার, সেক্স। জাস্ট মেসেজ, আর পিক শেয়ার অথবা ভিডিও কল, আর বাসা ফাকা আর তখনই সেক্স। কেউ বুঝলোই না একটা ছেলে আরেকটা ছেলের বাসায় এসে কি করল। এটাই চলছে সারা দেশে। যার যা ধান্দা। ব্লুড খুললেই ঢাকায় প্রতিটা যায়গায় আপনি ব্লুড আইডি পাবেন৷ প্রতিটা যায়গায় গ্রিন্ডার পাবেন। ব্লুড গ্রিন্ডার একই রকম। এটা শুধু ঢাকা না সারা দেশে। তাতে মনে হয় সংখ্যাটা একশ দুশো না, হাজার হাজারও না। লাখ লাখ সমকামি দেশে।
আর বাসায় ডেকে সমকামিতার ফাদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল ও মারধর এমনকি হ-ত্যা ও হচ্ছে, যা কেউ মুখ খুলে না সম্মানের ভয়ে। এ ক্ষেত্রে অনেকেই হয়ত জানেন না যে সমকামি ব্ল্যাকমেইল গ্রুপ আসলে কারা। মূলত সমকামী গ্রুপের ব্ল্যাকমেইলার রা কতি টাইপের অথবা ম্যানলি স্মার্ট ছেলেদের দিয়ে কাজ করায়। কতি হল দেখতে কিউট, স্বাভাবিক ছেলেদের মত কিন্তু কথায় কাজে মনে মনে মেয়েলি। হিজরারা হল ওদের বস বা গুরু। কতিরা আনে পুরুষালী ছেলেদের। আর ম্যানলিরা আনে মেয়েলি দের। ওরা কাজ করে কমিশনে। শাহবাগে বা রমনায় গেলেই দেখা যায় হিজরারা কন্ট্রাক্ট করতে আসে। তারপর বাসায় নিয়ে কাজ করা অবস্থায় হিজরারা ভিডিও করে আর ফাসিয়ে দেয়। সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন স্থপতি ইমতিয়াজ কে বাসায় নিয়ে ব্ল্যাক মেইল করা হয়। এবং টাকা না পেয়ে তাকে হ-ত্যা করে। কিন্তু সেতো সবার চোখে ভাল মানুষ ছিল। তার ৩ টা বাচ্চাও আছে। অথচ সবার অন্তরালে সে এই কাজে জড়িত ছিল। আপনি কি জানেন আপনারই পরিচিত কেউ ভাই বন্ধু হয়ত গোপনে সমকামিতায় লিপ্ত হয়!
বড় কথা হল এই অনাচার তো অবশ্যই বন্ধ হওয়া চাই। কি বলব কি করব আমি বুঝতেছি না। আমি যে জগতে ছিলাম সেটা অন্ধকার, স্বেচ্ছায় কেউ ফিরতে পারে না। ফিরতে দরকার একটা উসিলা আর আল্লাহর হেদায়াত। কেউ ব্ল্যাকমেইল এর শিকার হয়ে হয়ত মিট করা থেকে ফিরে কিন্তু মন থেকে দূর করতে পারে না। সুযোগের সন্ধানে থাকে। অথচ একজন মুসলিম কোন অবস্থায় নিজেকে সমকামি বলতে পারে না।তাদের কাছে একটা বার্তা দেয়া আমার দায়িত্ব হয়ে গেছে। কিন্তু আমি একা কোন পন্থায় কি করব আমি জানিনা। এখন সেই উদ্যোগ আমি কাকে নিতে বলব আমি হয়রান হয়ে গেছি। আল্লাহ যেন আমার এই মেসেজ অন্তত কয়েকজন আলেমের কাছে পৌছায় যারা দায়িত্ব মনে করে এই সব মানুষ গুলোকে একটা বার ফিরে আসার দাওয়াতটা দিবে।
০৭। সকলরের প্রতি উদাত্ত আহ্বান
এই লেখাটা যে যেখান থেকে দেখছেন, আল্লাহর ওয়াস্তে একটু শুনুন। দেশে সমকামিতার যে ভয়াবহ অবস্থা সেটা আপনি বুঝতে পারছেন না। অথচ আমি নিজ চোখে দেখেছি। ওই রমনায় যারা আসে ওরা সব বয়সে ২০-৩০ এর ভিতর বেশি। কাজ করে ইনকাম করে। ওরাও সবার মতই সাধারন মানুষের মত চলে। কিন্তু সবার চোখের আড়ালে ওরা যে এক অসভ্য অসুস্থ জগতের বাসিন্দা সেটা কেউ জানে না। আমি দেখেছি রমনায় যেই না গার্ড বাশি সিটি দেয়, ওরা দৌড়ে পশ্চিম মাথা থেকে থেকে পূর্ব দিকে দৌড় দেয়। আবার ওদিকে তাড়ালে এদিক আসে। শুধু সমকামিতা করতে কি রকম কুকুর শুকরের মত দৌড়ানো যায়! আমি নিজেই যে কপালপোড়া ছিলাম ওদের মত। কি সমাধান? কাকে বলব? তবে দায়িত্ববান আমার ওস্তাদ আলেমদের কাছে দাবি রেখে গেলাম, আপনারা কথা বলুন। হয়ত আমাদের পরিচিত আমাদের ভাই বন্ধুদের কেউই জড়িত সমকামিতায়।।
প্রিয় আলেমে দ্বীন ও রাহবার, দায়িত্ব নিন আল্লাহর ওয়াস্তে। জুমার আলোচনায় সমকামিতার বিরিদ্ধে বলুন। আর চুপ করে থাকার সময় নাই। ওদিকে সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। সেই ২০০৮/৯ সালে আমার যখন সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া তখন যদি কোন আলেমের মুখে শুনতাম এ যে মহা অন্যায়, তবে হয়ত আগেই ফিরতাম। আর চুপ করে নয় ওয়াল্লয়াহি।
মাহফিলের ময়দানে শক্ত কন্ঠে বলুন।ওই যে যুবকটা এসেছে ও হয়ত আমার মতই পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, মিথ্যা বলে না, চুরি করে না, মেয়ে বন্ধু নাই, মেয়েদের দিকে তাকায় না,অথচ ও হয়ত আমার মতই গোপনে গোপনে সমকামিতায় লিপ্ত। কথা বলুন। সতর্ক করুন।
তবে এখন দরকার এই লোকগুলোকে দাওয়াত দেয়া।সকল আলেমদের উচিৎ এই বিষয় নিয়ে সতর্ক করা, নসীহত করা। সাংবাদিক ও প্রশাসন এর কাছে এই খবরটা পৌছে দিবেন সবাই আশা করি। ওদের ভিতরে আল্লাহর ভয় ঢুকে গেলে, ভুলটা বুঝতে পারলে সবাই ফিরে আসবে।
প্রিয় ছাত্র ভাইয়েরা শুক্রবার সন্ধ্যায় রমনায় গিয়ে একসাথে একটা লড়ানি দিলে ওরা আর আসতে সাহস পাবে না। দরকার প্রতিরোধ, আর দরকার সম্মিলিতভাবে একটা প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া। আলেমরা কথা বললে এই অন্যায় পাপাচার নিকৃষ্ট সমকামিতা দূর হবে এই দেশ থেকে।
ইয়া আল্লাহ তুমি হেফাজত কইরো মালিক।
পুনঃ সংযোজন- সম্প্রতি ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে এই লেখাটা প্রাসঙ্গিক এজন্য যে স্বাভাবিকভাবে যারা সমকামিতায় জড়িয়ে যায় তাদেরকে ব্রেইনওয়াশ করতে সমকামি গ্রুপ গুলায় ওদের এজেন্ট রা প্ররোচনা দিয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই।অন্য পুরুষের গল্প পেজের এডমিন নিজেই সমকামি, সে নাকি আবার বইয়ের লেখক। ওদের কথা হল নিজেদের অধিকার আদায়। অথচ বেশিরভাগ সমকামিরা, নিজেই সমকামিতাকে সাপোর্ট করে না, ঠিক যেমন চোর চুরিকে সাপোর্ট করে না। কিন্তু ওরা এই সুযোগ নিয়ে বিষয়টা যতটা না প্রকাশ পেয়েছে, তার থেকে গোপনে ওদের ভিত মজবুত করেছে। হিজরা নাম দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার তথা সমকামিতার প্রচার করছে।
আলেম ওলামা শিক্ষিত ভাইয়েরা সমকামিতার শাস্তি, পরকালের আজাব, আল্লাহর ভয়, সমকামিতার প্রকৃতি বিরুদ্ধ বিকৃত রুচির কথা আলোচনা করুন। আপনি ভাবছেন কেউ হয়ত এসব জানে না,অথচ ওই সেভেনের বাচ্চাটা ফেসবুকে অলরেডি সমকামি গ্রুপে এড হয়ে গেছে।
ট্রান্সজেন্ডার,সমকামিতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন।