সবোর্ত্তম ও ক্ষুদ্রতম দরূদ
মেরাজ থেকে আসার পর হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু কোরআনের এ আয়াত শুনে হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনার প্রতি সালাম পেশের বিধানতো আমরা ইতোপূর্বে শিখিয়াছি। কিন্তু আপনার উপর দরুদ পাঠের কি বিধান তাতো আমাদের জানা নেই।
তখন হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
এই রূপে পাঠ করিবে-
اَللّٰھُمَّ صَلِّ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَّعَلٰٓی اٰلِ مُحَمَّدٍ کَمَا صَلَّیْتَ عَلٰٓی اِبْرَاھِیْمَ وَعَلٰٓی اٰلِ اِبْرَاھِیْمَ اِنَّکَ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ اَللّٰھُمَّ بَارِکْ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَّعَلٰٓی اٰلِ مُحَمَّدٍ کَمَا بَارَکْتَ عَلٰٓی اِبْرَاھِیْمَ وَعَلٰٓی اٰلِ اِبْرَاھِیْمَ اِنَّکَ حَمِیْدٌ مَّجِیْدٌ
আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলাআলি মুহাম্মাঁদিন কামা বারকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।
এ দরুদ নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাক জবান হতে তৈরি। অতএব, এ দরুদ সব দরুদের সেরা দরুদ, যা দরুদে ইব্রাহীম নামে খ্যাত।
যে পবিত্র নামের উছিলায় বা বরকতে আল্লাহ্ পাক হযরত আদম এবং হাওয়া আলাইহিওছাল্লাম-এর গুনাহ মাফ করে দোয়া কবুল করেছিলেন; সেই নামের উপর দোয়া ও সালাম ভেজার ফজিলত বা মর্তবা বা সৌভাগ্য যে কত বড় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাছাড়া আল্লাহ্পাক এবং তাঁর ফেরেস্তারা যে কাজ করে থাকেন তার চাইতে অতি উত্তম ফজিলত পূর্ণ কাজ কীইবা হতে পারে!
সবোর্ত্তম ও ক্ষুদ্রতম দরূদ – সকল উলামায়ে কেরাম এতে একমত যে সবোর্ত্তম দরূদ হল দরূদে ইব্রাহীমী যা নামাযের মধ্যে পড়া হয় । কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সরাসরি সাহাবায়ে কেরাম এ দরূদ শিক্ষা দিয়েছেন যে, এভাবে আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ কর।
আল্লাহর আরশে মোয়াল্লায় আমাদের প্রিয় নবী রাহমাতালি্লল আলামীন হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের নাজাত চিন্তায় অত্যন্ত ব্যথাতুর হয়ে উঠেন। তা দর্শনে আল্লাহ্ পাক সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, প্রিয় হাবীব! আপনি এত ব্যথাতুর হচ্ছেন কেন? আপনার উম্মতের যে কোনো দোয়া আমি কবুল করে নেব যদি তারা তার সাথে দরুদ শরীফ বেঁধে দেয়। (ইবনে মাযাহা শরীফ)।
তাই আল্লাহ্ পাক পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল করে হুকুম করলেন, ইন্নাল লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউছাল্লুনা আলান নাবীই, ইয়া আইয়ুহাল লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহি ওয়াসাল্লামু তাছলীমা।