শেখ সাদী (রহ.) এর ২০০ মূল্যবান উক্তি

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

সংকলকঃ ডা. মাসুম বিল্লাহ সানি

শেখ সাদী (Sheikh Saadi) ছিলেন একজন প্রখ্যাত পারস্য কবি ও দার্শনিক। ওনার কিছু উক্তি উল্লেখ করছি। শেখ সাদীর এই মূল্যবান বাণীগুলো আজও আমাদের জীবনের পথপ্রদর্শক। এগুলো অনুসরণ করলে জীবনে শান্তি, সফলতা ও কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব।

শেখ সাদী (রহ.) এর মূল্যবান কিছু উক্তি:

1. “যে ব্যক্তি অপরের দুঃখে ব্যথিত হয় না, সে মানুষ নয়।”

2. “জ্ঞানী ব্যক্তি কখনও নিজের জ্ঞান নিয়ে গর্ব করেন না।”

3. “সৎ লোকের সঙ্গেই বন্ধুত্ব করো, কারণ মন্দ লোকের সঙ্গ তোমাকে ধ্বংস করে দেবে।”

4. “ধৈর্য হলো সাফল্যের চাবিকাঠি।”

5. “অহংকার মানুষের পতনের মূল কারণ।”

6. “যে ব্যক্তি অপরের উপকার করে, সে নিজের উপকার করে।”

7. “সত্যের পথ কখনও সহজ নয়, কিন্তু তা সর্বদা সঠিক।”

8. “ক্ষমা মহানুভবতার লক্ষণ।”

9. “অল্পে তুষ্ট থাকাই হলো প্রকৃত সম্পদ।”

10. “মিথ্যা কথা বলো না, কারণ মিথ্যা তোমাকে ধ্বংস করে দেবে।”

11. “যে ব্যক্তি নিজেকে জানতে পারে না, সে কখনও অপরকে বুঝতে পারে না।”

12. “ভালোবাসা হলো হৃদয়ের ভাষা।”

13. “জ্ঞান অর্জন করো, কারণ জ্ঞানই তোমাকে মুক্তি দেবে।”

14. “যে ব্যক্তি অপরের অধিকার নষ্ট করে, সে নিজের অধিকারও হারায়।”

15. “সত্যিকারের বন্ধু কঠিন সময়েই চেনা যায়।”

16. “অল্প কথায় অনেক কিছু বলা যায়, যদি তা সঠিক হয়।”

17. “যে ব্যক্তি অপরের সাহায্য করে, সে আল্লাহর সাহায্য পায়।”

18. “ধন-সম্পদ নয়, চরিত্রই মানুষের আসল সম্পদ।”

19. “যে ব্যক্তি অপরের দোষ খোঁজে, সে নিজের দোষ দেখতে পায় না।”

20. “সৎকর্মই হলো মানুষের প্রকৃত বন্ধু।”

21. “যে ব্যক্তি অপরের অধিকার রক্ষা করে, সে নিজের অধিকারও রক্ষা করে।”

22. “সত্যের পথে চলো, যদিও তা কঠিন হয়।”

23. “যে ব্যক্তি অপরের কল্যাণ চায়, সে নিজের কল্যাণও পায়।”

24. “অহংকারী ব্যক্তি কখনও সুখী হতে পারে না।”

25. “যে ব্যক্তি অপরের দুঃখে ব্যথিত হয়, সে প্রকৃত মানুষ।”

26. “সৎ লোকের সঙ্গেই সময় কাটাও, কারণ তা তোমাকে উন্নত করবে।”

27. “যে ব্যক্তি অপরের উপকার করে, সে নিজের উপকার করে।”

28. “সত্যের পথ কখনও সহজ নয়, কিন্তু তা সর্বদা সঠিক।”

29. “ক্ষমা মহানুভবতার লক্ষণ।”

30. “অল্পে তুষ্ট থাকাই হলো প্রকৃত সম্পদ।”

31. “মিথ্যা কথা বলো না, কারণ মিথ্যা তোমাকে ধ্বংস করে দেবে।”

32. “যে ব্যক্তি নিজেকে জানতে পারে না, সে কখনও অপরকে বুঝতে পারে না।”

33. “ভালোবাসা হলো হৃদয়ের ভাষা।”

34. “জ্ঞান অর্জন করো, কারণ জ্ঞানই তোমাকে মুক্তি দেবে।”

35. “যে ব্যক্তি অপরের অধিকার নষ্ট করে, সে নিজের অধিকারও হারায়।”

36. “সত্যিকারের বন্ধু কঠিন সময়েই চেনা যায়।”

37. “অল্প কথায় অনেক কিছু বলা যায়, যদি তা সঠিক হয়।”

38. “যে ব্যক্তি অপরের সাহায্য করে, সে আল্লাহর সাহায্য পায়।”

39. “ধন-সম্পদ নয়, চরিত্রই মানুষের আসল সম্পদ।”

40. “যে ব্যক্তি অপরের দোষ খোঁজে, সে নিজের দোষ দেখতে পায় না।”

41. “সৎকর্মই হলো মানুষের প্রকৃত বন্ধু।”

42. “যে ব্যক্তি অপরের অধিকার রক্ষা করে, সে নিজের অধিকারও রক্ষা করে।”

43. “সত্যের পথে চলো, যদিও তা কঠিন হয়।”

44. “যে ব্যক্তি অপরের কল্যাণ চায়, সে নিজের কল্যাণও পায়।”

45. “অহংকারী ব্যক্তি কখনও সুখী হতে পারে না।”

46. “যে ব্যক্তি অপরের দুঃখে ব্যথিত হয়, সে প্রকৃত মানুষ।”

47. “সৎ লোকের সঙ্গেই সময় কাটাও, কারণ তা তোমাকে উন্নত করবে।”

48. “যে ব্যক্তি অপরের উপকার করে, সে নিজের উপকার করে।”

49. “সত্যের পথ কখনও সহজ নয়, কিন্তু তা সর্বদা সঠিক।”

50. “ক্ষমা মহানুভবতার লক্ষণ।”

**বিষয়ভিত্তিক উক্তি**

১. জ্ঞান ও শিক্ষা

শিক্ষাই মানুষের প্রকৃত সম্পদ।
জ্ঞানী ব্যক্তি বিনয়ী হন, অজ্ঞরা অহংকারী।
বই মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু।
অজ্ঞের নীরবতাই তার শ্রেষ্ঠ গুণ।
জ্ঞান অর্জন কর, কারণ জ্ঞানই তোমার প্রকৃত পরিচয়।
মূর্খের চেয়ে নির্বাক থাকা ভালো।
জ্ঞানের আলো অন্ধকার দূর করে।
বিদ্যা মানুষকে সভ্য করে তোলে।
জ্ঞানই প্রকৃত শক্তি।
বইয়ের চেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু আর নেই।

২. ন্যায়নীতি ও সততা

সততা সর্বোচ্চ গুণ।
মিথ্যা কখনো টিকে না।
ন্যায়ের পথে হাঁটাই প্রকৃত সাহস।
অসৎ পথে উপার্জিত অর্থ সুখ দেয় না।
সত্যবাদীর জীবন শান্তিময়।
অন্যায়কারীর সাথে আপস করো না।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই নীতিবান মানুষের পরিচয়।
সততা হৃদয়কে পবিত্র করে।
মিথ্যার জীবন অন্ধকারময়।
অসৎ পথে সফলতা ক্ষণস্থায়ী।

৩. মানবতা ও পরোপকার

মানুষের প্রতি দয়া করাই শ্রেষ্ঠ গুণ।
দান করলে সম্পদ কমে না, বরং বাড়ে।
বিপদে সাহায্য করাই প্রকৃত মানবতা।
মানুষের উপকার করাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
পরোপকারের বিনিময়ে স্বর্গ লাভ হয়।
ভালো কাজ করলে শান্তি পাওয়া যায়।
গরীবের প্রতি সদয় হও, আল্লাহ তোমার প্রতি সদয় হবেন।
মানুষকে ভালোবাসাই ঈমানের অঙ্গ।
অসহায়ের পাশে দাঁড়ানো শ্রেষ্ঠ গুণ।
পরার্থপরায়ণতাই প্রকৃত সম্পদ।

৪. ধৈর্য ও আত্মসংযম

ধৈর্যশীল ব্যক্তিই সফল হয়।
ক্রোধ মানুষকে ধ্বংস করে।
প্রতিশোধ নয়, ক্ষমাই মহত্বের লক্ষণ।
ধৈর্য সব সমস্যার সমাধান।
হঠাৎ রাগ উঠলে নীরব থাকো।
বিপদে ধৈর্য ধরাই উত্তম।
ধৈর্যের ফল মধুর।
যারা সহ্য করতে জানে, তারা জয়ী হয়।
কষ্টের পরেই সুখ আসে।
ধৈর্যহীনতা জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।

৫. মিতব্যয়িতা ও সম্পদ

অপচয় ধ্বংসের কারণ।
মিতব্যয়ীরা কখনো দুঃস্থ হয় না।
অর্থ ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু জ্ঞান চিরস্থায়ী।
অন্যায় পথে উপার্জিত সম্পদ শান্তি দেয় না।
দানের মাধ্যমে সম্পদের প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায়।
লোভী ব্যক্তি কখনো তৃপ্ত হয় না।
মিতব্যয়িতা সুখী জীবনের চাবিকাঠি।
অর্থের চেয়ে সততাই মূল্যবান।
উপার্জনের চেয়ে সঞ্চয় কঠিন।
ধন-সম্পদের মোহ জীবনের ভারসাম্য নষ্ট করে।

৬. বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক

প্রকৃত বন্ধু বিপদের সময় চেনা যায়।
ভালো বন্ধু জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
খারাপ বন্ধুর কারণে জীবনের ক্ষতি হয়।
বন্ধুত্বের ভিত্তি হলো বিশ্বস্ততা।
বন্ধু নির্বাচনে সাবধান হও।
মিথ্যাবাদী বন্ধুর চেয়ে শত্রু ভালো।
বন্ধুত্ব ভালোবাসা ও বিশ্বাসের উপর টিকে থাকে।
স্বার্থপর বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
বন্ধুকে প্রতারণা করা মহাপাপ।
সৎ বন্ধু জীবনকে সুন্দর করে।

৭. অহংকার ও বিনয়

অহংকার পতনের মূল।
বিনয় মানুষকে শ্রদ্ধার পাত্র করে।
অহংকারীকে সবাই ঘৃণা করে।
আত্মসম্মান রক্ষা করাই জীবনের সার্থকতা।
অহংকার ধ্বংস ডেকে আনে।
বিনয়ী মানুষই প্রকৃত জ্ঞানী।
অহংকারী ব্যক্তি একসময় একা হয়ে যায়।
অহংকার মানুষকে অন্ধ করে দেয়।
আত্মপ্রশংসা ধ্বংসের লক্ষণ।
যে নিজের ভুল স্বীকার করতে পারে, সে সত্যিকারের মহান।

৮. ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা

আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসই প্রকৃত শান্তি দেয়।
দোয়ার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হয়।
নামাজ মানুষকে পবিত্র করে।
সৎপথে চলাই পরকালীন সফলতা নিশ্চিত করে।
আল্লাহর রহমত ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।
দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, পরকাল চিরস্থায়ী।
নেক আমলই প্রকৃত সম্পদ।
আল্লাহর ওপর ভরসা করলেই সত্যিকারের সুখ পাওয়া যায়।
দোয়া মুমিনের অস্ত্র।
হারামের চেয়ে সামান্য হালাল শ্রেষ্ঠ।

৯. সফলতা ও ব্যর্থতা

কঠোর পরিশ্রমই সফলতার চাবিকাঠি।
ব্যর্থতা নতুন শিক্ষার সুযোগ।
সফলতা ধৈর্য ও পরিশ্রমের ফল।
বাধাই সফলতার সোপান।
ব্যর্থতাকে ভয় পেলে সফলতা আসবে না।
শুধু স্বপ্ন দেখলেই হবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
অলসতা ধ্বংস ডেকে আনে।
যারা চেষ্টা করে, তারাই সফল হয়।
ছোট ছোট প্রচেষ্টা বড় সফলতা আনে।
প্রতিকূলতা মোকাবিলা করলেই সফলতা আসে।

১০. সমাজ ও ন্যায়বিচার

সমাজের উন্নতি ন্যায়ের উপর নির্ভর করে।
অত্যাচারী শাসক জাতির শত্রু।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করাই সুশাসন।
দুর্নীতি সমাজকে ধ্বংস করে।
দুর্বলদের প্রতি সহানুভূতিশীল হও।
অন্যের অধিকার নষ্ট করা মহাপাপ।
অপরের প্রতি সদয় হওয়াই প্রকৃত মানবতা।
সুস্থ সমাজ গঠনে সততা অপরিহার্য।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোই প্রকৃত সাহস।
ভালো মানুষের সান্নিধ্য সমাজকে আলোকিত করে।

১১. জীবন ও বাস্তবতা

জীবন এক পরীক্ষার মঞ্চ, এখানে সবাই পরীক্ষার্থী।
সময়ের মূল্য বুঝতে না পারলে জীবনে সফল হওয়া অসম্ভব।
দুঃখ ছাড়া সুখের মূল্য বোঝা যায় না।
যা হারিয়েছো তা নিয়ে শোক করো না, যা পাওনি তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করো না।
সুখী হতে হলে ত্যাগ করতে শিখো।
যে জীবনে কষ্ট নেই, সে জীবন অপূর্ণ।
প্রতিটি নতুন দিন আল্লাহর দেওয়া একটি সুযোগ।
কৃতজ্ঞতাই শান্তির মূল।
ভালো কাজের প্রতিদান একদিন অবশ্যই পাওয়া যায়।
জীবনকে ছোট মনে করো না, এটাকে কাজে লাগাও।

১২. চরিত্র ও মূল্যবোধ

ভালো চরিত্রের মানুষ সব জায়গায় সম্মানিত হয়।
মানুষের আসল পরিচয় তার কর্মের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সে কখনো উন্নতি করতে পারে না।
সুন্দর চরিত্রই মানুষের আসল সৌন্দর্য।
যিনি নিজেকে ভালোবাসেন, তিনি কখনো অন্যের ক্ষতি করতে পারেন না।
মিথ্যা মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
ভালো মানুষ হতে হলে প্রথমে নিজের ভুল স্বীকার করতে হবে।
একজন সত্যিকারের মানুষ তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।
নৈতিকতা ছাড়া জ্ঞান মূল্যহীন।
একজন মহৎ ব্যক্তির সবচেয়ে বড় গুণ হলো নম্রতা।

১৩. ধনী ও দরিদ্র

ধনসম্পদের অহংকার করা বোকামি।
ধনীর প্রকৃত সম্পদ তার সদগুণ।
গরিব হওয়া পাপ নয়, কিন্তু আলস্য পাপ।
ধনী হওয়ার চেয়ে ভালো মানুষ হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যার হৃদয়ে ভালোবাসা নেই, সে সবচেয়ে গরিব।
দান করলে সম্পদ কমে না, বরং বরকত বাড়ে।
গরিবদের সাহায্য করাই প্রকৃত ধনীর পরিচয়।
টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না, কিন্তু ভালো কাজ করে শান্তি পাওয়া যায়।
অন্যের দুঃখকে নিজের মনে না আনলে তুমি মানুষ নও।
মানুষের প্রতি সহানুভূতি দানের চেয়ে বড় দান নেই।

১৪. অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা

অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শিক্ষক।
সফলতার মূল চাবিকাঠি হলো শিক্ষা ও অধ্যবসায়।
একজন জ্ঞানী তার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়।
ভুল করা দোষের নয়, কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা না নেওয়া বড় দোষ।
বই যত পড়বে, তত জানতে পারবে।
একজন জ্ঞানী লোকের কথা অল্প হলেও তার গভীরতা অনেক।
বেশি জানা নয়, জানার প্রয়োগই গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষাই একমাত্র সম্পদ, যা চুরি হয় না।
যত বেশি জানবে, তত বেশি বিনয়ী হবে।
অভিজ্ঞতা ছাড়া জ্ঞান অসম্পূর্ণ।

১৫. আত্মবিশ্বাস ও সাফল্য

যে নিজের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে, সে কখনো পরাজিত হয় না।
আত্মবিশ্বাসী মানুষই জয়ী হয়।
কষ্ট ছাড়া সফলতা আসে না।
পরিশ্রম ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না।
ব্যর্থতা মানে শেষ নয়, বরং নতুন করে শুরু করা।
যতক্ষণ চেষ্টা করবে, ততক্ষণ জয় সম্ভব।
অলস ব্যক্তিরা কখনো সাফল্য পায় না।
যে স্বপ্ন দেখে না, সে বড় হতে পারে না।
যারা চেষ্টা করতে ভয় পায়, তারা আসলে বেঁচে থাকলেও মৃত।
তোমার নিজের শক্তিই তোমার সফলতার আসল চাবিকাঠি।

১৬. সময় ও ধৈর্য

সময়ের সদ্ব্যবহার করো, কারণ এটি কখনো ফিরে আসে না।
সময়ের অপচয় জীবন নষ্ট করে।
ধৈর্যহীন মানুষ কখনো সফল হতে পারে না।
যেকোনো ভালো কাজের জন্য ধৈর্য প্রয়োজন।
সময় হলো সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।
দেরিতে হলেও ন্যায়বিচার একদিন আসবেই।
দ্রুত সিদ্ধান্ত ভুলের কারণ হতে পারে।
সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করো, সব কিছু তখনই সহজ হবে।
ধৈর্যধারণ করো, কারণ সব কিছু সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়।
যে তার সময়কে গুরুত্ব দেয়, সে জীবনে বড় কিছু অর্জন করতে পারে।

১৭. সৌন্দর্য ও প্রকৃতি

প্রকৃতির সৌন্দর্যই আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।
বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে অন্তরের সৌন্দর্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ফুল যেমন সুগন্ধ ছড়ায়, ভালো মানুষ তেমনি ন্যায়ের আলো ছড়ায়।
প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা মানুষকে পরিশুদ্ধ করে।
সত্যিকারের সৌন্দর্য হলো মানুষের ভালো ব্যবহার।
প্রকৃতি আমাদের শেখায় বিনয়ী হতে।
সূর্য যেমন অন্ধকার দূর করে, ভালো মানুষ তেমনি সমাজ আলোকিত করে।
যিনি প্রকৃতিকে ভালোবাসেন, তিনি শান্তির সন্ধান পান।
জ্ঞানী ব্যক্তি প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা নেয়।
হৃদয়ের সৌন্দর্যই প্রকৃত সৌন্দর্য।

১৮. ন্যায়বিচার ও সমাজ

অন্যায়কারীর শাস্তি একদিন আসবেই।
যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে না, সে অন্যায়কারীর সহযোগী।
ভালো শাসকই ভালো সমাজ গড়তে পারে।
ন্যায়ের পথে হাঁটলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই প্রকৃত সাহস।
অপরকে ছোট মনে করা নিজের ছোট মনের পরিচয়।
সত্য ও ন্যায়ের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।
ন্যায়ের পথ কখনো সহজ নয়, কিন্তু এটিই সঠিক।
অন্যকে সম্মান করো, তাহলেই সমাজে শান্তি আসবে।
সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিই প্রকৃত নেতা।

১৯. আত্মশুদ্ধি ও আত্মউন্নয়ন

নিজেকে চিনতে পারলেই তুমি সাফল্যের পথে থাকো।
নিজের ভুল খুঁজে বের করাই আত্মউন্নয়নের প্রথম ধাপ।
নিজেকে বদলালেই পৃথিবী বদলে যাবে।
আত্মউন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করো।
নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগাও, অলস বসে থেকো না।
সফল হতে চাইলে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো।
নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করাই প্রকৃত উন্নতি।
গুণী ব্যক্তিরা সব সময় নিজের উন্নতির চেষ্টা করে।
দুনিয়ার সুখের চেয়ে আত্মার প্রশান্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করো এবং তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করো।

২০. সুখ ও শান্তি

সত্যিকারের সুখ আসে মানুষের উপকার করার মাধ্যমে।
শান্তি চাও? তবে অন্যকে কষ্ট দিও না।
সুখের মূল হলো সন্তুষ্টি।
অল্পতেই তুষ্ট থাকাই প্রকৃত সুখ।
নিজের ভালো কাজে তৃপ্ত হও।
পরোপকারের মধ্যেই আসল সুখ।
ভালোবাসা ও দয়ার মাধ্যমে শান্তি পাওয়া যায়।
যিনি কম প্রত্যাশা করেন, তিনিই বেশি সুখী।
যে আল্লাহকে ভয় করে, সে-ই প্রকৃত সুখী।
সুখী হতে চাইলে অহংকার ত্যাগ করো।

এই উক্তিগুলো শেখ সাদীর দর্শন ও জীবনবোধের প্রতিফলন। তাঁর রচনাগুলো মূলত “গুলিস্তা” (Gulistan) এবং “বুস্তা” (Bustan) নামক গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। এই বইগুলোতে নৈতিকতা, মানবতা, এবং জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা রয়েছে।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!