চলুন এবার জানা যাক এই শিয়াদের কিভাবে উৎপত্তি হয়েছিল কেন হয়েছিল এবং কি তাদের আকিদা ও বিশ্বাসঃ
আরবে ইসলাম আগমনের পূর্বে সবাই ছিল ইহুদি ও মুশ্রিক।ইসলাম আগমনেরর ৪০ বছরের মধ্যে প্রায় সব ইয়াহুদি মুসলিম হয়ে যায়।অবশিষ্ট ইয়াহুদিরা এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি।তাই এরা ইসলামের ক্ষতি সাধন করার লক্ষে ইসলাম গ্রহণ করত।ভিতরে ভিতরে ইহুদিই থেকে যেত।ইসলামে এদের বলা হত মুনাফিক।তেমনি একজন মুনাফিকের নাম ছিল আবদুল্লাহ বিন সাবাহ,এ ছিল তৎকালীন ইয়াহুদীদের সর্দার।ইয়াহুদিরা দলে দলে মুসলিম হয়ে যাচ্ছে দেখে এ এক নতুন পরিকল্পনা আটল।সে এটা বুঝতে পারল মানুষকে ইসলাম গ্রহণ করা থেকে কিছুতেই বিরত করা যাবেনা তবে চেষ্টা করলে ইসলামের ইয়াহুদি ভার্সন বের করা যেতে পারে।সে পরিকল্পনা কল্পনা করল মুসলমানদের মধ্যে এমন একটি দল তৈরী করার যারা নামে হবে মুসলিম কিন্তু বিশ্বাস হবে ইহুদীদের মত।এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নিয়তে সে লোক দেখানো ইসলাম গ্রহন করল। দুহাতে দান করা থেকে শুরু করে মানুষের মন জয় করার জন্য যা যা করা দরকার তার কিছুই করতে থাকল।অল্পদিনেই কুফার অগণিত মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় তার আসন নিশ্চিত হলো।এক সময় যখন ইবন সাবাহ তার আসন সম্পর্কে নিশ্চিত হলো, তখন সে ধীরে ধীরে মানুষকে উসমান রাঃ এর বিরুদ্ধেক্ষেপিয়ে তুলতে লাগলো।তার উদ্দেশ্য ছিলা আলি (রাঃ০ কে দিয়ে উসমান (রঃ) ঘায়েল করা,এবং আলি (রাঃ)মুয়াবিয়া (রাঃ০ দিয়ে ঘায়েল করা) সর্বশেষ নিজে ক্ষমতাসীন হয়েইসলামের ইয়াহুদি ভার্সন তৈরি করা।
এরই মধ্যে সে প্রচার করতে লাগল আলি (রাঃ) খিলাফতের হকদার এবং উসমান (রাঃ) অবৈধভাবে খলিফা হয়েছে।আলি (রাঃ) তার এমন দাবি প্রত্যাখান করেন ও মজলিসে সুরায় অন্যন্য সাহাবার সাথে উসমান রাঃ কে তৎক্ষণাৎ বাহিনী পাঠিয়ে ইবন সাবাহকে শায়েস্তা করার পরামর্শ দিলেন। কোমল হৃদয় উসমান প্রত্যাখ্যান করলেন তা। অল্পদিনের ভিতরই আবদুল্লাহ বিন সাবাহ বাহিনী সশস্ত্র অবস্থায় মদীনা প্রবেশ করলো। খলিফার কাছ থেকে এবারো কোন বাধা না পেয়ে এক সময় তারা হত্যাই করে বসলো রাসুলুল্লাহ সাঃ এর দুই কন্যার স্বামী এবং পৃথিবীতে বসে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া সাহাবী উসমান রাঃ কে। মুসলিম উম্মাহ দেখতে শুরু করলো ফিতনার কদর্য রূপকে।
আলি ( রাঃ”) খিলফত পাওয়ার পর এই সাবাহ তখন আলি(রাঃ) এবং মুয়াবিয়া (রঃ) এর মধ্যে পেচ লাগানাও শুরু করল।সে আলি (রাঃ) কে হত্যা করতে নতুন এক দলের আবির্ভাব ঘটাল ইতিহাসে যারা খারেজি নামে পরিচিত।এবারো সে সফল হয়। খারেজীদের হাতে শহীদ হয়ে যান হযরত আলি (রাঃ)।চার খলিফা এবং আলি (রাঃ) এর অনুপস্থিতে সাবাহ পুরোপুরী সুযোগ পেয়ে যায়।সে এবার প্রচার করতে থাকে আসলে নব্যুয়তের দাবিদার ছিল আলি (রাঃ),জিব্রাইল (আঃ) ভুল করে মুহাম্মাদ (সঃ) এর কাছে ওহি নিয়ে যায়! সর্বশেষ আব্দুল্লাহ বিন সাবা দাবি করে হযরত আলিই হচ্ছে আল্লাহ (নাউজুবিল্লাহ)
নিজেদের কল্পনাকে ভিত্তি করে এরা হযরত আলী (রাঃ) কে অপমানিতই শুধু করেনা বরং সিজদা করে এক আল্লাহর সাথে শিকর করা শুরু করে।
হযরত আলি (রাঃ) এর মৃত্যুর পর তার কিছু অতিভক্তরা এই ভ্রান্ত কথা বিশ্বাস করে।এরপর পেরিয়ে গেছে বছরের পর বছর, শতাব্দীর পর শতাব্দী। মুসলিম নাম ধারণ করে আবদুল্লাহ বিন সাবাহর অনুসারী একদল লোক এইভাবে শুধু অতিরঞ্জিত কথা বলতেওই থাকে বলতেই থাকে।এই অতিরিঞ্জিত মতবাদ এক সময় এতই বেশি হয়ে যায় যে একসময় এটি একটি পূর্ণাংগ ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে ধর্মের বিশ্বাসের সাথে ইসলামের মুল বিশ্বাসের কোন মিল নাই এবং ইহুদীদের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিল।যে স্বপ্ন নিয়ে ইহুদি গুপ্তচর আব্দুল্লাহ বিন সাবাহ ইসলা মে প্রবেশ করেছিল ছিল তা অনেকটায় সফল হয়।
“বনী ইরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল, তারা দাঊদ ও ঈসা ইবন মারইয়াম কর্তৃক অভিশপ্ত হয়েছিল—এটা এই জন্য যে, তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী। তারা যেসব গর্হিত কাজ করত, তা থেকে তারা একে অন্যকে বারণ করত না। তারা যা করত, তা কতই না নিকৃষ্ট।” — (সূরা আল-মায়িদা: ৭৮-৭৯)
শিয়াদের আকিদা-বিশ্বাসঃ
• শিয়াদের মূল দল তথা ইহুদী পণ্ডীত আবদুল্লাহ ইবনে সাবার মতাদর্শীরা দাবী করে যে, খলিফা হবার অধিকারী ছিলেন হযরত আলী(রাঃ)। এটা তাঁর রাজনৈতিক অধিকার নয় , ধর্মীয় অধিকার। সাহাবায়ে কেরামের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট অংশ হযরত আলী(রাঃ) কে খলিফা রূপে মনোনীত না করে কাফের হয়ে গেছেন।
• শিয়াদের আরেক দল আরও একটু অগ্রসর হয়ে হযরত আলী(রাঃ) সম্পর্কে এরূপ ধারণা প্রচার করতে থাকে যে , প্রকৃত প্রস্তাবে হযরত আলী(রাঃ)ই নবী ছিলেন। ফিরিস্তা জীবরাঈল(আঃ) ভুলক্রমে ওহী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) র নিকট নাযিল করে ফেলেছিলেন
• শিয়াদের ‘আকিদায়ে ইমামত’ হলো- ইসলামী আকিদা মতে একজন স্বতন্ত্র শরীয়াতধারী নবীর যে অর্থ,অবস্থান ও মর্যাদা,তাদের ইমামের মর্যাদাযাদ,ফেরেস্তাদের চেয়েও বেশি।
• শিয়াদের মতে, নবী করীম(সাঃ)এর ওফাতের পর সমগ্র সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে যাঁরা হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক(রাঃ)কে খলিফা পদে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর হাতে বাইয়াত নিয়েছিলেন , তাঁরা সকলেই কাফেরে পরিণত(নাউযুবিল্লাহ)। কেননা, তাঁরা নিষ্পাপ ইমাম হযরত আলী(রাঃ)এর হাতে বাইয়াত হন নাই। এটাই হলো শিয়াদের সাহাবায়ে কিরামের প্রতি বিদ্বেষ
• শিয়াদের মতে, কোরআন মজিদ অবিকৃত থাকেনি। বর্তমান আকারে যে কোরআন মজিদ মুসলমানদের হাতে আছে , তা নির্ভেজাল কোরান নয় বরং তা হযরত উসমান(রাঃ) কর্তৃক সংকলিত কোরআন।তারা দাবি করে।রাসূলে কারীম(সাঃ)এর নিকট অবতীর্ণ হয়েছিলেন তার মধ্যে ১৭০০০(সতেরো হাজার) আয়াত ছিল। কিন্তু, বর্তমানে মুসলমানদের নিকট যে কোরআন শরীফ বিদ্যমান আছে , সে কোরআনের মধ্যে হযরত আয়শা(রাঃ) এর গণনানুযায়ী মাত্র ৬৬৬৬ (ছয় হাজার ছয়শত ছেষট্টি)টি আয়াত রয়েছে
• শিয়ারা ইসলামের কলেমায় সন্তুষ্ট নয় বরং তারা কালেমার সহিত ‘আলী ওয়ালিউল্লাহ্ অছি রাসূলুল্লাহ ( আলী(রাঃ) রাসূল(সাঃ)এর একমাত্র ওয়ারিশ ও তাঁর সরাসরি খলিফা )’ প্রভৃতি বাক্য যোগ করে
• শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়্যার মতাদর্শীদের আকিদা-বিশ্বাস হলো- তারা হযরত আলী(রাঃ)কে খোদা বলে দাবী করে। সে জন্য তারা ‘ইয়া আলী মদদ’ বলে তাঁকে সম্বোধন করে• হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর (রাঃ) সহ সকল সাহাবি কাফির মাত্র দু এক জন ছাড়া (নাউযুবিল্লাহ)
• শিয়াদের ইমামদের উপর ঈমান আনা নবীদের উপর ঈমান আনার সমান
• শিয়াদের ইমামদের হাতে জান্নাত-জাহান্নাম, তাদের ইমামরা যাকে ইচ্ছা জান্নাত ও জাহান্নামে পাঠাতে পারবে
• হযরত আয়শা(রাঃ) জেনাকারিনী (নাউযুবিল্লাহ)
• মুতা বিয়ে (প্রতিবৃত্ততি) কে তারা অনেক্সওয়াবের কাজ মনে করে।তাদের কাছে নারীদের সাথে সমকামিতাও বৈধ
• হযরত উমর(রাঃ) রাসূল(সাঃ)এর ঘরে আগুন লাগিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)
• শিয়ারা কারবালার বাইরে সিজদা করার জন্য কারবালার বিশেষ স্থানের মাটি সংগ্রহ করে এবং সেই মাটি দ্বারা ছোট ছোট চাকতি তৈরী করে চাকতীতে কপাল ঠেকিয়ে সিজদা করে। • এমনকি পবিত্র মক্কার বাইতুল্লাহ শরীফ এবং মদীনার মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার সময়ও তারা সেই চাকতি ব্যবহার করে।
• এরা সাধারনত হাজ্জ করে না বরং ইমামদের কবরে আলী(রাঃ)এর কবরের চারপাশে তাওয়াফ করে হাজ্জ মনে করে।
• শিয়াদের আরেক দলের বিশ্বাস যে, কারবালার ঘটনার পর বিদ্রোহ ঘোষনাকারী নিখোঁজ হওয়া মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যাকে ইরাকের একটি পাহাড়ী অঞ্চলে সুরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। কেয়ামতের আগে দাজ্জালের মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদীর সহযোগী রূপে তাঁর আবির্ভাব হবে
• এরা সমগ্র বিশ্বের মানুষকে জারজ সন্তান বলে শুধু মাত্র ইরানের বা ইরাকের মাটির শিয়াদেরকে original মানুষ মনে করে
ইমাম খোমিনী ও ইরানের শিয়া বিপ্লব :
১৯৭৯ সালের বহুল আলোচিত শিয়া বিপ্লব (যাকে ইসলামী বিপ্লব বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য শিয়া জনগোষ্ঠি ও এর দোসররা কোমর বেধে নেমেছে) এর মূল হোতা ইমাম আয়াতুল্লাহ রূহুল্লাহ (?) খোমিনী সম্পর্কে কিছু না লিখলেই নয়। তার বিভিন্ন পুস্তিকা ও গ্রন্থে এটা দিবালোকের মত সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে l অসংখ্যা উক্তি থেকে উদ্ধৃতি সহ মাত্র কয়েকটি তুলে ধরা হল –
১l সৃষ্টি জগতের প্রতিটি কণার উপর ইমামগণের আধিপত্য রয়েছে l [আল হুকূমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ ৫২]
২l ইমাম গণের মর্যাদা নৈকট্যশীল ফেরেশতা,নবী, ও রাসূলগণেরও উর্ধে ! [ঐ পৃঃ ৫২]
৩l ইমামগণের শিক্ষা কূরআনের বিধানাবলী ও শিক্ষার মতই চিরস্থায়ী এবং অবশ্য পালনীয় l [আল হুকূমাতূল ইসলামীয়া পৃঃ ১১৩]
৪l আবু বকর ও উমর দিল থেকে ঈমান আনেনি বরং শুধু নেতৃত্বের লোভে বাহ্যিক ভাবে ইসলাম কবুল করেছিল এবং রাসূলে খোদা (সাঃ) এরর সাথে নিজেদেরকে লাগিয়ে রেখেছিল l [কাশফুল আসরার]
৫l কূরআনী আহকাম ও খোদায়ী ফরমানের বিরোধিতা করা ছিল এদের জন্য (হযরতআ আবু বকর,উমর,উসমান)- (রাঃ) সাধারণ ব্যাপার,তারা প্রচূর সংখ্যক কূরআনে আয়াতের বিরোধিতা করেছে এবং ফরমানে ইলাহীর কোন তোয়াক্কা করেনি ! [কাশফূল আসরার]
৬l যদি এরা নিজেদের আসল উদ্দেশ্য তথা ক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্য কূরআনের ঐ আয়াতগুলো কূরআন হতে বের করে দিতে পারতো,তবে অবশ্যই বের করে দিত l এটা তাদের জন্য খুবই সাধারণ ব্যাপার ছিল l [কাশফূল আসরার]
৭l উসমান,মুয়াবিয়া ও হয়যীদ একই ধরনের অত্যাচারী ও অপরাধী ছিল !
৮l আমাদের ইমামগণ এ জগৎ সৃষ্টির পূর্বে নূর ও তাজ্জালীর আকৃতিতে ছিলেন,যা আল্লাহ’র আরশকে বেষ্টন করে রেখেছিল,তাদের মর্যাদা ও নৈকট্যপ্রাপ্তির কথা আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ জানেনা l [আল বিলায়াতুত তাকবীনিয়্যাহ শিরোনামে ‘আল হুকূমাতুল ইসলামীয়াহ’ গ্রন্থে:পৃঃ৫২]
৯l আমাদের ইমামগণ ভূল ও গাফলত হতে মুক্ত-পবিত্র l [আল হিকমাতুল ইসলামিয়্যাহ পৃঃ৯১]
১০l মিঃ খোমিনী তার কুখ্যাত [কাশফুল আসরার] গ্রন্থে ‘আল্লাহ’র কূরআনের সাথে উমরের বিরোধিতা’ শিরোনামে যে আলোচনা করেছে তাতে হযরত উমর ফারুক (রাঃ) কে অত্যন্ত কর্কশ ভাষায় কাফির ও যিন্দিক আখ্যায়িত করেছে ! [পৃঃ ১১৯]
১১l আমরা এমন আল্লাহ’রই ইবাদত করি এবং তাকেই মানি যার সকল কাজ বিবেক ও প্রজ্ঞা অনুযায়ী হয়,আমরা এমন আল্লাহ’র ইবাদত করি না যিনি খোদা পুরুস্তী,আদালত ও দ্বীনদারীর এক বিশাল সৌধ নির্মান করিয়ে নিজেই তা ধ্বংসের চেষ্টা করেন যে-ইয়াযীদ,মুয়াববিয়া এবং উসমানের ন্যায় জালিম ও বদমাশদেরকে ইমারাত ও হুকুমাত সোপর্দ করে দেন l [কাশফুল আসরার পৃঃ১০৭]শিয়ারা কাফের কেন?
শিয়ার কাফের কেনো?
১.. শিয়া কালিমা ও মুসলমানদের কালিমা ভিন্ন।
মুসলিমদের কালিমা-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদু রাসূল্লাহ।অর্থ- আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, হযরত মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহ তাআলার রাসূল।
শিয়া কালিমা- লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদু রাসূল্লাহ, আলীয়্যুন ওয়ালীউল্লাহ ওয়াসিয়্যু রাসূলিল্লাহ, খলীফাতুহু বিলাফসল। {আকায়েদ দ্বীনিয়াত, বুক নং-১, ঈমামিয়া দ্বীনিয়াত, বাচ্চু কি দ্বীনী আওর আখলাকী কিতাব, পহলী কিতাব, প্রকাশক-ইমামিয়া এডুকেশন এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট, নম্বর-৬৮, শিবাজী রোড,শিবাজী নগর ব্যাঙ্গালোর-৫৬০০৫১
২. মুসলিমদের কুরআন শিয়াদের কুরান আলাদা
মুসলিমদের কুরানে 6236 টি আয়াত রয়েছে।শিয়াদের দাবি মতে তাদের কুরানে ১৭০০০ আয়াত রয়েছে।
এছাড়াও সাহাবাদের গালা গালি করা ছাড়াও অনেক কারন রয়েছে যেগুলি শিয়াদের কাফের প্রমাণ করে যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।যদি শিয়া ধর্ম সত্যা হয় তবে ইসলাম ধর্ম মিথ্যা আর যদি ইসলাম ধর্ম সত্য হয় তবে শিয়া ধর্ম মিথ্যা।
তোমরা যখন তাদেরকে দেখবে, যারা আমার সাহাবীদেরকে গালি দেয়, তখন তোমরা বলবে: তোমাদের নিকৃষ্টদের উপর আল্লাহর লানত (অভিশাপ)”। —
(তিরমিযী, মানাকিব, হাদিস নং- ৩৮৬৬)