فروع
عن ابن عباس رضى الله عنهما انه سمع النبى ﷺ يخطب يقول لا يخلو رجل بامرأة الاومعها ذومحرم ولاتسافر المرأة الامع ذى محرم فقام رجل فقال يا رسول الله ﷺ ان امراتى خرجت حاجة وانى اكتبتت فى غزوة كذا كذا قال انطلق فحج مع امراتك (متفق عليه)
ارأيت كيف امر رسول الله ﷺ ذلك الرجل ان يدع الجهاد فى سبيل الله تعالى حتى يكون مع امراته انّ حفظ الاعراض مقدم على الجهاد جهاد الكفاية- فما بال رجال المسلمين يأذنون لنسائهم وبناتهم بالسفردون محرم؟ بقصدر حلة اوزيارة اهل اوطلب شهادة عن طريق العلم ؟
الاانهم آثمون ومجازون ليس اليهم تقدير المصلحة- ان الدين كله لله والمصحلة هى فى تطبيق امرالله تعالى على كلّ حال .
✦ نسى المسافر القعود بعد الركعة الثانية وقام الى الركعة الثالثة والرابعة فاتمهما او احدهما بطلت صلاته لتركه القعود الاخر وهوركن .
✦ للمسافران يؤخرصلوٰة الظهر الى قريب العصر ويصلى العصر فى اوّل وقته فكأنه يجمعهما معا – ويؤخر صلوٰة المغرب الى قريب العشاء ويصلى العشاء فى اوّل وقتها فكأنه يجمعهما معا- وهو مايسمى بالجمع الصورى تخفيفًا على المسافر دفعا للحرج .
عن نافع قال خرجتُ مع عبدالله بن عمر رضى الله عنهما فى سفرٍ يريد أرضاله فاتاه اٰتٍ فقال ان صفية بنت ابى عبيد لما بهافانظران تدار كها فخرج مسرعًا ومعه رجل من قريش يسايره – وغابت الشمس فلم يصل الصلوٰة وكان عهدى به وهو محافظ على الصلوٰة – اى فى اوّل وقتها فلما ابطأ قلت الصلوٰة يرحمك الله فالتفت الى ومضى – حتى اذا كان فى آحرالشفق نزل فصلّٰى المغرب ثم اقام العشاء وقد توارى الشفق اى الابيض فصلى بنا ثم اقبل علينا – فقال ان رسول الله ﷺ كان اذا عجل به السير صنع هكذا (رواه ابوداؤد والترمذى وقال حديث صحيح حسن ) .
جاء فى صحيح مسلم عن ابن عباس رضى الله عنهما قال صلٰى رسول الله ﷺ الظهر والعصر جميعا والمغرب والعشاء جميعا فى غير خوف ولا سفر رواه مسلم (وهو من غرائب مسلم لانه يخالف المتواتر من اوقات الصلوٰة) وانفرد ابن عباس بامريراه بين الصحابة من رسول الله ﷺ دونهم امر غريب .
وقد اوّله الطحاوى على انه صلّٰى الاولٰى فى آخروقتها والثانية فى اوّل وقتها لاانه صلاهما فى وقت واحد – وقوى ذلك بحديث ابن مسعود فى الصحيحين مارأيت رسول الله ﷺ صلّٰى صلوٰة لغير وقتها الابجمع فانه جمع بين المغرب والعشاء بجمع وصلّٰى صلوٰة الصبح من غد قبل وقتها (نصب الراية صفـ ১৯৪ المجلد الثانى) .
✦ من فاتته صلوٰة رباعية فى السفر واراد قضاء هافى الاقامة قضاها ركعتين لانها وجبت فى ذمته ركعتين ومن فاتته صلوٰة رباعية فى بلدة واراد قضاءها فى السفر قضاها اربعا لانها وجبت فى ذمته اربعًا .
✦ لا يتشرط فى التابع نية السفر – كالطالب مع استاذه والزوجة مع زوجها والجندى مع ضابطه لدوام المتابعة منهم .
✦ المسافر يصلّٰى صلاته المفروضة قائما متجها الٰى القبلة – فمن كان فى باخرة اوطائرة او قطاروجب عليه استقبال القبلة فى صلوٰة واقامة الاركان من القيام والركوع ما امكن .
✦ يحسن للمسافران يتخذ بوصلة يضعها امامه فى صلوٰته فاذا انحرفت ظائرته مثلا عن القبلة اتجه بواسطة البوصلة الٰى القبلة وهكذا حتى يتم صلاته .
✦ الوتر يلحق بالفرض فصلاته كصلاة الفرض .
✦ مصلى النافلة يصليها كما شاء قائما اوقاعدا وقبلته اتجاه دابته او مركوبه- عن ابن عمر رضى الله عنهما انه كان يصلّٰى على راحلته ويوتربا لارض ويزعم ان رسول الله ﷺ كذالك كان يفعل (رواه الطحاوى باسناد صحيح) .
وعن جابر رضى الله عنه قال بعثنى رسول الله ﷺ فى حاجة فجئت وهو يصلّٰى على راحلته نحو المشرق ويجعل السجود اخفض من الركوع (رواه البخارى كتاب تقصير الصلوٰة) .
✦ من عجز عن النزول عن مركوبه من سيارة اوطائرة ولم يستطع الصلوٰة عليها باقامة اركانها واستقبال القبلة وخشى فوت الوقت بالتأخر اوخشى ترك الركب فى الصحراء اذا نزل عنها صلّٰى على مركوبه كيف ماكان احتراما للوقت ثم اعادها بعد على تمامها بشروطها واركانها .
+হযরত ইব্নে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি নবী করিম (ﷺ)কে খুৎবা দিতে শুনেছেন, হুযুর (ﷺ) বলেন, কোন পুরুষ কোন মহিলার মুহরিম আত্মীয় ব্যতীত যেন একাকীত্ব না হয় এবং কোন মহিলা মুহরিম ব্যতীত যেন সফর না করে। এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল আমার স্ত্রী হজ্ব করার উদ্দেশ্যে বের হচ্ছে আমি তাকে যুদ্ধের এরূপ সেরূপ বর্ণনা করে লেখেছি। রাসূলে খোদা (ﷺ) বললেন তুমি চলে যাও তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্ব করে আস। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
তুমি দেখছ? আল্লাহর রাসূল (ﷺ) কিভাবে ঐ লোককে ধর্মীয় যুদ্ধ পরিত্যাগ করে স্ত্রীর সাথে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। নিশ্চয় ফরযে কেফায়া জেহাদের চেয়ে মানুষের ইজ্জত সম্মানের হেফাযত করা অগ্রগামী। সে সব মুসলমানদের কি অবস্থা? যারা তাদের স্ত্রী ও কন্যাদের মুহরিম বিহীন সফরের অনুমতি দেয় জিয়ারতের জন্যে বা আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাত বা জ্ঞান অর্জন করে সার্টিফিকেট লাভ করার উদ্দেশ্যে? সাবধান! অবশ্যই তারা গুনাহগার ও সীমালংঘনকারী। তাদের কাছে পরিশুদ্ধির মাথা ব্যথাও নেই, সম্পূর্ণ দ্বীন আল্লাহর জন্যে। পরিশুদ্ধি বা সংশোধনী সর্বাবস্থায় আল্লাহর হুকুমের আনুগত্যের মাধ্যমে হয়। মুসাফির দ্বিতীয় রাকাতের পর বসতে ভুলে তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতের জন্য দাঁড়ালে এবং উহা সম্পন্ন করলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে। শেষ বৈঠক ছেড়ে দেয়ার কারণে, উহা নামাযের রুকন। মুসাফিরের জন্যে জোহরের নামাযকে আছরের কাছাকাছি শেষ সময়ে ও আছরের নামাযকে প্রথম সময়ে উভয় নামায একত্রিত করার ন্যায় আদায়ে ক্ষতি নেই। মাগরিবের নামাযকে এশার কাছাকাছি শেষ সময়ে ও এশাকে প্রথম সময়ে উভয় নামাযকে একত্রিত করার ন্যায় আদায়ে কোন ক্ষতি নেই। একে দৃশ্যতার একত্রিতকরণ বলা হয়। মুসাফিরের সহজাতে ও অসুবিধা দূরীকরণের জন্যে এ ধরণের করা হয়।
+হযরত নাফে (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন- আমি হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (رضي الله عنه) এর সাথে তাঁর মালিকানাধীন জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম। তখন এক বক্তি এসে তাঁকে বললেন, নিশ্চয় সাফিয়া বিনতে আবু ওবাইদ তাঁর সাথে নাই কেন? চেষ্টা করে দেখুন তাঁর কাছে পৌঁছা যায় কিনা? তখন তিনি দ্রুত গতিতে চললেন। তাঁর সাতে কোরাইশি একজন লোক ছিলেন। তাঁকে পিছনে রেখে তিনি অগ্রগামী হয়ে চললেন। এমনকি সূর্য অস্তমিত হয়ে গেল নামায পড়ল না। আমার সাথে ওয়াদাবদ্ধ ছিলেন- নামাযের ব্যাপারে সে লক্ষ্য রাখবেন অর্থাৎ যথাসময়ে নামায আদায় করবেন। পরক্ষণে সময় দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে আমি বললাম ‘‘নামায’’ আল্লাহ তায়ালা আপনার প্রতি শান্তি বর্ষণ করুক। তখন তিনি আমার দিকে দেখলেন এবং চলতে রইলেন। চলতে চলতে শফকের শেষ পর্যায়ে অবতরণ করে মাগরিবের নামায আদায করলেন। পরক্ষণে এশার ইকামত দেয়া হল এদিকে শফকও বিলীন হয়ে গেল। অত:পর তিনি আমাদেরকে নিয়ে নামায আদায় করলেন। নামাযের শেষে আমাদের দিকে ফিরে বললেন, ‘‘নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সফরে তাড়াহুড়ার এরূপই করতেন। (আবু দাউদ ও তিরমিযী শরীফ, ইমাম তিরিমিযী হাদিসটি শুদ্ধ ও হাসান বলেছেন)
+মুসলিম শরীফে হযরত ইবনে আব্বাস(رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জোহর ও আছর একত্রে এবং মাগরিব ও এশা একত্রে পড়েছেন অথচ সফরেও ছিলেন না ও ভয়েরও কোন কারণ ছিল না। (মুসলিম শরীফ)
ইহা ইমাম মুসলিমের গরীব হাদিসের অন্তর্ভূক্ত কেননা ইহা নামাযের সময় সম্বন্ধে বর্ণিত মুতাওয়াতের হাদীসের বিপরীত। সাহাবাদের মধ্যে একমাত্র হযরত ইবনে আব্বাস(رضي الله عنه) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে এরূপ করতে দেখেছেন অন্য কেউ নয়। বিষয়টি একেবারেই নতুন)
+ইমাম তাহাবী (رحمة الله) এর সমাধানে বলেছেন, প্রথম ওয়াক্ত শেষ সময়ে দ্বিতী ওয়াক্ত প্রথম সময়ে আদায় করেছেন। দুনো ওয়াক্ত নামায এক ওয়াক্তে আদায় করেছেন এরূপ নয়। এর সমর্থনে হযরত ইবনে মাসউদের হাদিস বুখারী ও মুসলিম শরীফে বিদ্যমান। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে দেখিনি এক ওয়াক্তের নামায অন্য ওয়াক্তে পড়তে তবে মাগরিব ও এশা একত্রিত করে পড়েছেন এবং আগামী কালের ফজরের নামায ওয়াক্তের পূর্বে পড়েছেন। (নাসবুর রায়ত দ্বিতীয় খণ্ড, ১৯৪ পৃষ্ঠা)
যে ব্যক্তির চার রাকাত বিশিষ্ট নামায সফরে অপহৃত হয়, এর কাযা মুকিম অবস্থায় আদায় করার ইচ্ছা করলে দু’রাকাতই পড়বে। কেননা তার দায়িত্বে দু’রাকাতই ওয়াজিব হয়েছে। যে ব্যক্তির চার রাকাত বিশিষ্ট নামায শহরে মুকিম অবস্থায় অপহৃত হয় সফরে উহা কাযা আদায় করার ইচ্ছা করলে চার রাকাতই পড়বে। কেননা তার দায়িত্বে চার রাকাতই ওয়াজিব।
✦ আনুগত্যকারীর জন্যে সফরের নিয়্যত শর্ত নয়। যেমন- ছাত্র শিক্ষকের সাথে, স্ত্রী স্বামীর সাথে ও সিপাহী সেনাপতির সাথে তাদের আনুগত্য সর্বদা বিদ্যমান থাকার দরুণ।
✦ মুসাফির তার ফরয নামায দন্ডায়মান অবস্থায় কিবলামুখী হয়ে আদায় করবে। যে ব্যক্তি জাহাজে বা উড়োজাহাজে বা রেল গাড়িতে তাকেও নামায ও নামাযের আরকান সমূহ কিয়াম, রুকু যতটুকু সম্ভব আদায় করতে হবে।
✦ মুসাফিরের জন্যে নামাযরত অবস্থায় বোসিলা (দিক নির্ণয় যন্ত্র) নিয়ে সামনে রাখা উত্তম। যাতে জাহাজ ফিরে গেলে নামাজিও বোসিলার মাধ্যমে কিবলার দিকে ফিরে যেতে পারে; এভাবে নামায শেষ করা পর্যন্ত।
✦বিতির নামায ফরয নামাযের সাথে সংযুক্ত হবে। তাই বিতিরের নামায ফরয নামাযের মত।
✦নফল নামায আদায়কারী স্বীয় ইচ্ছানুসারে দাঁড়িয়ে বা বসে আদায় করবে। বহনকারী যে দিকে ফিরে সে দিকই তার কিবলা। হযরত ইবনে ওমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর বহনকারীর ওপর নামায আদায় করতেন, জমিনে অবতরণ করে বিতির পড়তেন। তিনি মনে করেন হুযুর (ﷺ) এরূপই করতেন। (তাহাবী শরীফ, এর সনদ শুদ্ধ) হযরত জাবের (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে একটি কাজে পাঠালেন আমি সেখানে তাঁর বহনকারীর পূর্ব দিক হয়ে নামাযরত অবস্থায় গেলাম। তিনি সিজদাকে রুকুর থেকে নীচু করলেন। (বুখারী শরীফ, কিতাবু তাকছিরিছ সালাত)
✦ বহনকারী গাড়ি বা জাহাজ থেকে অবতরণ করতে যে, অপারগ ও কিবলামুখী হয়ে নামাযের আরকান সমূহও আদায় করতে অপারগ ও বিলম্বে নামায অপহৃত হওয়ার ভয়ও পাচ্ছে ও মরুভূমিতে নামাযের জন্য অবতরণ করলে বহনকারী হারিয়ে যাওয়ারও ভয় হচ্ছে এমন অবস্থায় বহনকারীর ওপর নামাযের ওয়াক্তের সম্মানার্থে যেভাবে সম্ভব হয় নামায পড়ে নিবে এবং পরবর্তীতে শরায়েত ও আরকান সহকারে আদায় করে নিবে।