শরীয়তের দৃষ্টিতে আমীরে মুয়াবিয়া(রাঃ)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

এই পোস্ট পড়লে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পাবেন। 

মাওলা আলী রাঃ ও আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর মধ্যে কে হক্বের উপর ছিলেন?

আজকাল আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর এতো চর্চা কেনো? অথচ এর আগে কখনওই আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর এতো বেশি ফযিলত বয়ান করা হয়নি?

ইয়াযিদের জঘন্য অপরাধের জন্য আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে দোষী সাব্যস্ত করা কি ঠিক?

১২৪০০০ সাহাবীর শান বয়ান না করে শুধু আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর কেনো?

ঈমাম হাসান রাঃ কি কোনো বেঈমান এর হাতে খিলাফত ছেড়েছিলেন? 

আজকাল যেখানেই আলী রাঃ আলোচনা হয় সেখানে মুয়াবিয়া রাঃ এর আলোচনার কি দরকার? 

মাওলা আলী শেরে খোদা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুর শান ও মান নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই এবং যারা বিতর্ক করে আমরা তাদের সুন্নি মনে করি না। যেমন সূর্য পূর্ব দিকে উঠে এবিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই, ঠিক তেমনি আসাদুল্লাহিল গালিব রাঃ এর শান ও মান নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। 

মাওলা আলী রাঃ ও আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর মধ্যে কে হক্বের উপর ছিলেন? 

সর্বদাই মাওলা আলী রাঃ হক্বের উপর ছিলেন এবং তাঁর শান ও মর্যাদাও অনেক উর্ধ্বে। তবে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ ইজতিহাদি খাতার (গুনাহ নয় এমন) উপর ছিলেন। 

রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সকল সাহাবী জান্নাতি। 

কেননা আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “তারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ তাদের অপেক্ষা, যারা পরবর্তীকালে ব্যয় করেছে ও সংগ্রাম করেছে। তবে আল্লাহ সকলকেই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত।” (সুরা হাদীদ ১০)

“আল্লাহ তাদের (সাহাবাদের) প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট।” (সুরা বায়্যিনাহ ৮)। আল্লাহ যাদের উপর রাজি, যারা আল্লাহর উপর রাজি, তাঁদের ঈমান নিয়ে সন্দেহকারীর ঈমানের (বেঈমানীর) কি অবস্থা হবে আপনি নিজেই কল্পনা করুন। 

রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন -“আমার কোন সাহাবীকে মন্দ বলনা। তোমাদের কেউ যদি উহুদ পর্বততূল্য স্বর্ণও দান করে, তবুও তাঁদের সোয়া সের যব দান করার সমানও হতে পারেনা; বরং এর অর্ধেকেরও বরাবর হতে পারেনা।” [বুখারীঃ১ম খন্ড-৫১৮ পৃষ্ঠা, তিরমিযীঃ২য় খন্ড-২২৫ পৃষ্ঠা]

রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেনঃ “আমার সাহাবীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর, তাঁদেরকে ভৎর্সনা ও বিদ্রূপের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত কর না। যে আমার সাহাবীকে মোহাব্বত করলো, সে আমার মোহাব্বতে তাঁদেরকে মোহাব্বত করল এবং যে তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করল, সে আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণের কারনে তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করল”। [তিরমিযি শরীফ, ২য়-২২৫]

ভবিষ্যতের সংবাদ প্রদানকারী রাসুলে কারীম রাউফুর রাহীম ﷺ আমিরে মু’য়াবিয়া (রাঃ) এঁর জন্য দু’আ করেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে) সৎপথ দেখাও।” (তিরমিজী ৩৮৪২)

ইবনে ‘আব্বাস (রাঃ) আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে ফকীহ্ হিসেবে সম্বোধন করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাহচর্য লাভ করার কারণে উনাকে কিছু বলতেও নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারী ৩৭৬৪, ৩৭৬৫)

তাই উপরোক্ত আয়াত হাদিসগুলি সামনে রেখে ওলামায়ে আহলে সুন্নাত ১৪০০ বছর ধরে যে আইন অনুসরণ করেছেন তা হলোঃ আহলে বায়েত ও সাহাবীদের সমালোচনার উর্ধ্বে মনে করা। শুধুমাত্র তাদের শান ও মান বয়ান হবে, তাদের সমালোচনা করার কারোরই স্পর্ধা থাকা উচিৎ নয়। গালিগালাজ করাতো বহু দূরের বিষয়, কেননা তা জাহান্নামের কুকুরের আলামত। 

সাথেই ওলামায়ে কেরামদের মতে সাহাবীদের নিজস্ব মতবিরোধের বিষয়েও আমাদের সর্বদাই চুপ থাকতে হবে।

আজকাল আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর এতো চর্চা কেনো? অথচ এর আগে কখনোও তাঁর বিষয়ে এতো চর্চা হয়নি?

শিয়াদের পরিচয় হলো তারা খোলাফায়ে রাশেদীন উম্মুল মু’মিনিন সহ কাতিবে ওহী জলীল ও ক্বদর জান্নাতি সাহাবী আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর ব্যাপারে জঘন্যতম কটুক্তি করে থাকে। এ ফিৎনা ওলামায়ে আহলুস সুন্নাহ হাজার বছর ধরে কঠোরভাবে দমন করে আসছেন এবং করতে থাকবেন ইন শা আল্লাহ। 

তবে সমস্যা হচ্ছে আজকাল সুন্নি ছদ্মবেশী কিছু পীর, গদ্দীনশীনরা ইরানের অর্থে নিজের ঈমান বিক্রি করে এই আহলুস সুন্নাহের মধ্যে শিয়াবাদের ভ্রান্তি পুরোদমে ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। যা গত ১৪০০ বছরের আহলুস সুন্নাহের ইতিহাসে আর কখনোও হয়নি, তাই এবিষয়ে এতো আলোচনাও আগে হয়নি। শিয়াবাদ শুরু হয় আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে গালিগালাজ করে, পরে আবু বাকার রাঃ উমার রাঃ উসমান রাঃ থেকে উম্মুল মু’মিনিন আয়েশা রাঃ কে জঘন্য অপবাদ দেয়া পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। এক্ষেত্রে এই সুন্নি ছদ্মবেশী শিয়া কাঠমোল্লারা শিয়াদের বর্নিত জাল হাদিস গুলি ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রসার করে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে এমন এমন জঘন্য গালিগালাজ করে যা শুনলে পায়ের রক্ত মাথায় উঠার উপক্রম হয়। 

তাই এবিষয়ে ভারত উপমহাদেশের সকল হক্ক্বানী ওলামা একমত হয়েছেন যেহেতু এই ফিৎনা সমাজকে পথভ্রষ্ট করছে, সেই পথভ্রষ্টতা থেকে সাধারণ মানুষদের বাঁচানোর জন্য ওলামায়ে কেরাম শানে সাহাবা ও শানে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ বারবার প্রচার করবেন এবং করতেই থাকবেন ইন শা আল্লাহ। যতদিন আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর কটুক্তি বন্ধ হবে না, ততদিন আল্লাহ তাঁর হাবীবের এই সাহাবির আলোচনা আমার মতো অধমের দ্বারা করাতেই থাকবেন ইন শা আল্লাহ। 

১২৪০০০ সাহাবীর শান বয়ান না করে শুধু আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর কেনো?

কারন এযুগে অন্যান্য সাহাবীর শানে কটুক্তি করা হচ্ছে না, তাই তাঁদের বিষয়ে কম আলোচনা হচ্ছে। অন্যান্য সাহাবীর শানে কটুক্তি হলে, সেই সাহাবীর শান ও মান নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা হবে ইন শা আল্লাহ। 

ইয়াযিদের অপরাধের জন্য আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে দোষী সাব্যস্ত করা কি ঠিক?

এটা সত্য যে, ইয়াযিদ একজন লম্পট, জালেম, ফাসেক, মদ্যপ ছিল। এমনকি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল রাঃ ইয়াজিদকে কাফের বলে ফতেয়া দিয়েছেন তবে ঈমামে আযাম রাঃ এবিষয়ে নিরবতা পালন করেছেন। কিন্তু ছেলের অপরাধে কি কখনো বাবা শাস্তিযোগ্য হয়? আল্লাহ কি এমন কোনো আইন বানিয়েছেন? না, বানাননি। তাই ইয়াযিদের অপরাধের দোষ আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর কাধে কখনই চাপানো যাবে না। 

ঈমাম হাসান রাঃ কি কোনো বেঈমান (নাউযুবিল্লাহ) এর হাতে খিলাফত ছেড়েছিলেন? 

আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। (তিনি বলেন) আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি, ঐ সময় হাসান (রাঃ) তাঁর পার্শ্বে ছিলেন। তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে আবার হাসান (রাঃ)-এঁর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমার এ সন্তান (নাতি) হচ্ছে সাইয়্যিদ (সর্দার)। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর মাধ্যমে বিবাদমান দু’দল #মুসলমানের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দিবেন। (সহীহ বুখারী ৩৭৪৬, ৩৬২৯, ২৭০৪)

স্বয়ং নবীজি ﷺ যাঁর জন্য দু’আ করেছেন, যাঁর ঈমানের সার্টিফিকেট দিয়েছেন, ঈমাম হাসান রাঃ যার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন, ঐ পথভ্রষ্টরা আহলে বাইতপ্রেমিক দাবী করেও সেই আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কে মুনাফিক-কাফের ডাকে, গালমন্দ করে (নাউযুবিল্লাহ)। ঈমাম হাসান রাঃ কি তাহলে একজন অযোগ্য ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন!! তাহলে এটা তো ঈমাম হাসান রাঃ এঁর নামে অপবাদও হয়ে যাবে। নাউযুবিল্লাহ! 

আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা (কোন বিষয়ে) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।” (সূরা হুজরাতঃ ১)

আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ মুমিন তথা হক্ব ছিলেন বলেই ঈমাম হাসান রাঃ তাঁকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। অন্যদিকে ইয়াযিদ অযোগ্য পাপিষ্ঠ ছিলো বলেই ঈমাম হুসাইন রাঃ নিজ পরিবারের ৭২জনের শাহাদাত মেনে নিয়েছেন কিন্তু পাপিষ্ঠ ইয়াযিদের ক্ষমতাকে মেনে নেননি। 

আলী রাঃ তথা আহলে বায়তের প্রেমের নামে কিছুলোক বাড়াবাড়ি করে যে পথভ্রষ্ট হবে এবিষয়ে অদৃশ্যের সংবাদদাতা রাসুলুল্লাহ ﷺ অনেক আগেই উম্মতকে সতর্ক করেছেন। আহলে বায়তের প্রেমের নামে শিয়াবাদ প্রচারকারীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেনঃ “হে আলি! তোমার উপমা ঈসা আলাইহিস সালামের মত। ঈসা আলাইহিস সালামকে ভালোবেসে অতিরঞ্জিত করে একদল পথভ্রষ্ট হয়েছে তারা হলো খ্রীষ্টান, আর তাঁকে হিংসা করেও একদল পথভ্রষ্ট হয়েছে তারা ইহুদী। অনুরুপ তুমি আলির সাথেও হবে। একদল তোমার ভালোবাসাতে অতিরঞ্জিত করে পথভ্রষ্ট হবে, আরেক দল তোমার সাথে হিংসা বিদ্বেষ রেখে পথভ্রষ্ট হবে।” (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, খন্ড-১, পৃষ্ঠা নং-১৬০; ফাজায়েলে সাহাবা, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল, খন্ডঃ ২, পৃষ্ঠা নং-৬৩৯, হাদিস নং-১০৮৭)

যেখানেই আলী রাঃ আলোচনা হয় সেখানে মুয়াবিয়া রাঃ এর আলোচনা কেনো? 

ওলামায়ে কেরাম যখন শাবে বারাতের ফযিলত বর্ননা করেন সাথেই শাবে বারাতকে বিদয়াত বলা কাঠমোল্লাদের গোমরাহির কথাও তারা তুলে ধরেন। যখন আশুরার আলোচনা হয়, ঈমাম হুসাইনের রাঃ আলোচনা হয় সাথেই ইয়াযিদের জঘন্য কার্যকলাপের বিষয়েও উম্মতকে অবহিত করা হয়। যখন ঈসা আঃ এর আলোচনা হয় তখন তাঁকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে পথভ্রষ্ট হওয়া খ্রিস্টানদের আলোচনা হয়

এভাবেই যখন মাওলা আলী রাঃ ও আহলে বায়তের আলোচনা হয় সাথেই হক্ক্বানী ওলামা জনগণের ঈমানের হিফাযত করতে তাদেরকে সতর্ক করেন যে আলী রাঃ এর মোহাব্বত মানে আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ বা অন্য সাহাবীর ব্যাপারে কটুক্তি বা গালাগালি নয়। সকল সাহাবীকে সম্মান করেই আহলে বায়তের শান ও মান বর্ণনা করা ওলামায়ে আহলে সুন্নাতের অভ্যাস। 

সর্বোপরি এবিষয়ে নতুনভাবে আলোচনা করার প্রয়োজনই বা কেনো আছে? যেখানে প্রসিদ্ধ তাবেঈন, যুগশ্রেষ্ঠ ঈমামগণ এ বিষয়ে বই লিখে এ ব্যাপারে সকল ভ্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। স্বয়ং ঈমামে আহলে সুন্নাত মুজাদ্দিদে দ্বীনো মিল্লাত ঈমাম আহমাদ রাযা খান রাঃ যে বিষয়ে ছোট বড় ৫টি বই লিখে শিয়াবাদের কবর খনন করেছেন সে বিষয়ে আহলে সুন্নাতের কেউ বিতর্ক করতেই পারে না। 

ঈমামে আহলে সুন্নাত আলা হাযরাত রাঃ বলেন: মাওলা আলী রাঃ আমাদের মাথার তাজ, আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ সহ সকল সাহাবায়ে কেরামই আমাদের সরদার এবং আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী জাহান্নামের কুকুর।

অবশেষে শিয়াদের বই পড়ে পথভ্রষ্ট হওয়া অল্পজ্ঞানীদের জিজ্ঞেস করবোঃ

রাসুলুল্লাহ ﷺ আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ এর জন্য কি দোয়া করেননি? 

আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ কি কাতিবে ওহী ছিলেন না? 

ঈমাম হাসান রাঃ কি মুমিন ভেবেই তাঁর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি?

ঈমাম বুখারী সহ সিহাহ সিত্তার ঈমামগন কি আমীরে মুয়াবিয়া রাঃ বর্নিত হাদিস বর্ণনা করেননি? তাঁরা কি মুয়াবিয়া লিখার পর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু লিখেননি? 

তাঁর আমলে কি ইসলামি শাসন বিস্তার লাভ করেনি?

আল্লাহ আখেরী যামানায় নতুন নতুন ফিৎনা থেকে আমাদের ঈমানের হিফাযত করুন। 

উপকৃত হলে শেয়ার বা কপি করুন

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment