প্রিয় আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিরক্ষর প্রমাণ করতে কিছু গোষ্ঠীর লোক একটি আপত্তির আশ্রয় নেয়। তারা বলে- ‘যদি তিনি লিখতে জানতেন, তবে নাস্তিকরা বলত, এটা তার লিখিত কিতাব। এজন্যই তিনি লিখতে জানতেন না। আর এটা তাঁর মু’জিজা।’ নাউজুবিল্লাহ
আমি দেখেছি কাফেররা এরকম আপত্তি অনেক আগেই তুলে রেখেছে, যা স্বয়ং কোরআন বর্ণনা করেছে ‘সূরা ফুরকানে’।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে সূরা ফুরকানে বর্ণনা করেন-
“এবং কাফিরগন বলল, এতো নয় বরং এক মিথ্যাপবাদ, যা তারা রচনা করে নিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে অন্যান্য লোকেরা তাকে সাহায্য করেছে। নিঃসন্দেহে তারা জুলুম ও মিথ্যায় উপনীত হয়েছে। এবং বললো, ‘পূর্ববর্তীদের কিচ্ছা-কাহিনী তিনি লিখে নিয়েছেন; অতঃপর সেগুলো তার নিকট সকাল সন্ধ্যায় পাঠ করা হয়।’ -সূরা ফুরকান : ৪-৫।
দেখতেই পাচ্ছেন কাফেররা এই আপত্তি করেই ফেলেছে যে, কোরআন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ব-লিখিত গ্রন্থ। এখন দেখি আল্লাহ তায়ালা তার কি জবাব দিচ্ছেন…
“আপনি বলুন, সেটা তো তিনিই অবতীর্ণ করেছেন যিনি আসমান ও যমীনের গোপন বিষয়সমূহ জানেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।” -সূরা ফুরকান : ৬
কই আল্লাহ তায়ালা তো এই আপত্তির বিপরীতে তাঁর মাহবুব কে নিরক্ষর বলে কোনো আয়াত নাযিল করেন নি? তিনি তো তাঁর এমন কোনো মু’জিজার কথা জানান নি? তবে আপনি এই দুঃসাহস কোথায় পেলেন? আর কোরআন তো তখন লিখিত আকারে ছিল না। প্রিয় আক্বার কাছ থেকে সাহাবিরা শুনে-শুনে হিফয করেছেন। তো এখন যদি নাস্তিকরা বলে যে- এটা তাঁর নিজের বর্ণনা করা তবে আপনার জবাব হবে নিশ্চয়ই, ‘তিনি তো বলতেও পারতেন না! এটা তাঁর মু’জিজা!’
সত্যিই প্রিয় নবীর গোস্তাখির করার নিয়্যত থাকলে আপনার কোনো যুক্তিই সু-শীল সমাজের কাছে ভ্যালু রাখে না। সত্যিই হাস্যকর সব যুক্তি…!