১. মুসাফিরের জন্য রোযা রাখা ও না রাখার মধ্যে নিজের স্বাধীনতা রয়েছে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০৩)
২. যদি স্বয়ং ওই মুসাফিরের জন্য এবং তার সফরসঙ্গীদের জন্য রোযা ক্ষতিকর না হয়, তবে সফরে রোযা রাখা উত্তম। আর উভয়ের কিংবা তাদের কোন একজনের জন্য ক্ষতিকারক হয়, তাহলে রোযা না রাখা উত্তম। (দুররুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০৫)
৩. মুসাফির ‘দ্বাহওয়ায়ে কুবরা* এর পূর্বক্ষণে মুকীম হিসেবে অবস্থান করলো, এখনো পর্যন্ত কিছুই খায়নি, এমতাবস্থায় রোযার নিয়্যত করে নেয়া ওয়াজিব। (আল-জাওয়াহারাতুন নাইয়েরাহ, খন্ড-১ম, পৃ-১৮৬) যেমন, আপনার ঘর বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ শহর চট্টগ্রামে। আপনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে রওনা হলেন। সকাল দশটার সময় পৌঁছে গেলেন। আর সোবহে সাদিক থেকে রাস্তায় কোন কিছু পানাহার করেননি। এমতাবস্থায় রোযার নিয়্যত করে নিন।
*দ্বাহওয়ায়ে কুবরা এর সংজ্ঞা রোজার নিয়্যতের বর্ণনার মধ্যে পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে।
৪. দিনে যদি সফর করেন, তবে ওই দিনের রোযা না রাখার জন্য আজকের সফর ওযর নয়। অবশ্য, যদি সফরের মধ্যভাগে ভঙ্গ করেন তবে কাফফারা অপরিহার্য হবে না, কিন্তু গুনাহ্ অবশ্যই হবে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১৬) আর রোযা কাযা করা ফরয হবে।
৫. যদি সফর শুরু করার পূর্বে ভেঙ্গে ফেলে, তারপর সফর করে, তাহলে (যদি কাফফারার শর্তাবলী পাওয়া যায়, তবে) কাফফারাও অপরিহার্য হবে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১৬)
৬. যদি দিনের বেলায় সফর শুরু করে, (সফরের মধ্যভাগে রোযা না ভাঙ্গে) আর ঘরে কিছু জিনিষ ভুলে ফেলে যাওয়ায়, সেটা নেয়ার জন্য ফিরে আসে, এখানে এসে যদি রোযা ভেঙ্গে ফেলে, তবে (শর্তাবলী পাওয়া গেলে) কাফফারাও ওয়াজিব হবে। যদি সফরের মাঝখানে ভেঙ্গে ফেলতো তবে শুধু কাযা ফরয হতো। যেমন, ৪ নং নিয়মাবলীতে উল্লেখ করা হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী, খন্ড-০১, পৃ-২০৭)
৭. কাউকে রোযা ভেঙ্গে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে, তাহলে রোযাতো ভাঙ্গতে পারে, কিন্তু ধৈর্যধারণ করলে সাওয়াব পাবে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০২)
৮. সাপ দংশন করেছে। আর প্রাণ বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছেছে। এমতাবস্থায় রোযা ভাঙ্গতে পারবে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০২)
৯. যেসব লোক এসব অপারগতার কারণে রোযা ভেঙ্গে ফেলে, তাদের উপর সেগুলোর কাযা দেয়া ফরয। আর এসব কাযা রোযার মধ্যে তারতীব ফরয নয়। যদি ওই রোযাগুলো কাযা করার পূর্বে নফল রোযা রাখে তাহলে সেগুলো নফলই হবে। কিন্তু বিধান হচ্ছে অপারগতা (ওযর) দূরীভূত হবার পর পরবর্তী রমযানুল মুবারক আসার পূর্বেই কাযা রোযা রেখে নেয়া। হাদীসে পাকে ইরশাদ হয়েছে, “যার উপর বিগত রমযানুল মুবারকের রোযা বাকী থেকে যায়, আর সে তা পালন না করে, তার এ রমযানুল মুবারকের রোযা কবুল হবে না।” (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১৫) যদি সময় অতিবাহিত হতে থাকে, কিন্তু কাযা রোযা রাখেনি, শেষ পর্যন্ত পরবর্তী রমযান শরীফ এসে গেছে, এমতাবস্থায় কাযা রোযা রাখার পরিবর্তে প্রথমে এ রমযানুল মুবারকের রোযা রাখবে। এমনকি রোগী নয় এমন লোক ও মুসাফির কাযার নিয়্যত করলো, তবুও তা কাযা হলো না, বরং তা ওই রমযান শরীফের রোযাই হলো। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০৫)
১০. গর্ভবর্তী কিংবা স্তনের দুধ পান করায় এমন নারী, নিজের কিংবা শিশুর প্রাণ নাশের সম্ভাবনা থাকে, তবে রোযা রাখবে না। যদি মা গর্ভবতী হোক কিংবা দুধ পানকারীনী মা যদিও রমজানুল মুবারকের মধ্যে দুধপান করানোর চাকুরী করুক। (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০৩)
১১. ক্ষুধা কিংবা পিপাসা এতোই তীব্র হলো যে, প্রাণ নাশের ভয় নিশ্চিত হয়ে গেছে, কিংবা বিবেকশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবার আশংকা করা হয়, তাহলে রোযা রাখবে না। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০২)
১২. রোগীর রোগ বেড়ে যাওয়ার বা রোগ আরোগ্য হবার, অথবা সুস্থ লোক রোগী হয়ে পড়ার অধিকাংশ ধারণা হয়ে যায়, তবে সেদিনের রোযা না রাখার অনুমতি রয়েছে। (তবে পরবর্তীতে কাযা রেখে নেবে।) (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০৩)
১৩. এসব অবস্থায় ‘অধিকাংশ ধারণার’ শর্তারোপ করা হয়েছে, নিছক সন্দেহ যথেষ্ট নয়। ‘অধিকাংশ ধারণার তিনটি ধরণ রয়েছে: ১. যদি তার প্রকাশ্য চিহ্ন পাওয়া যায়, ২. যদি ওই লোকটির নিজস্ব অভিজ্ঞতা থাকে এবং ৩. কোন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মুসলমান ফাসিক নয় এমন চিকিৎসক তাকে বলে আর যদি এমন হয় যে, কোন চিহ্ন নেই, অভিজ্ঞতাও নেই, আর না এ ধরণের চিকিৎসক তাকে বলেছে, বরং কোন কাফির কিংবা ফাসিক চিকিৎসকের কথায় রোযা ভেঙ্গে ফেলেছে তাহলে (শর্তাবলী পাওয়া গেলে) কাযার সাথে কাফফারাও অপরিহার্য হবে। (রদ্দে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪০৪)
১৪. হায়েয কিংবা নিফাসের (যথাক্রমে মাসিক ঋতুস্রাব ও প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণ) অবস্থায় নামায ও রোযা পালন করা হারাম। কুরআনের তিলাওয়াত কিংবা কুরআনে পাকের পবিত্র আয়াত অথবা সেগুলোর তরজমা স্পর্শ করা সবই হারাম। (বাহারে শরীয়ত, খন্ড-২য়, পৃ-৮৮ ও ৮৯)
১৫. ‘হায়েয’ ও ‘নিফাস’ সম্পন্ন নারীর জন্য স্বাধীনতা রয়েছে গোপনে খাবে কিংবা প্রকাশ্যে। রোযাদারের মতো থাকা তার জন্য জরুরী নয়। (আল জাওহারাতুন নাইয়ারাহ, খন্ড-১ম, পৃ-১৮৬)
১৬. কিন্তু গোপনে খাওয়া উত্তম। বিশেষ করে হায়যসম্পন্নার জন্য। (বাহারে শরীয়ত, খন্ড-৫ম, পৃ-১৩৫)
১৭. ‘শায়খে ফানী’ অর্থাৎ ওই বয়োবৃদ্ধ লোক, যার বয়স এতোই ভারী হয়েছে যে, এখন ওই বেচারা দিন দিন দূর্বলই হতে চলেছে, যখন সে একেবারেই রোযা রাখতে অক্ষম হয়ে যায়, অর্থাৎ না এখন রোযা রাখতে পারছে, না ভবিষ্যতে রোযা রাখার শক্তি আসার আশা আছে, এমতাবস্থায় তার জন্য রোযা না রাখার অনুমতি রয়েছে। সুতরাং প্রতিটি রোযার পরিবর্তে (ফিদিয়া স্বরূপ) এক ‘সদকায়ে ফিতর’* পরিমাণ মিসকিনকে দিয়ে দেবে। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১০)
* ‘সাদকায়ে ফিতর’ হচ্ছে সোয়া দুই সের অর্থাৎ প্রায় দুই কিলো পঞ্চাশ গ্রামের সমান আটা, অথবা তার মূল্য পরিমাণ টাকা।
১৮. যদি এমন বয়স্ক হয় যে গরম অবস্থায় রোযা রাখতে অপারগ, তাহলে রাখবে না। কিন্তু শীতে রাখা ফরয। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪৭২)
১৯. যদি ফিদিয়া দেয়ার পর রোযা রাখার শক্তি এসে যায়, তবে প্রদত্ত ফিদিয়া নফল সদকা হয়ে গেলো, কিন্তু ওই রোযাগুলোর কাযা রেখে নেবেন। (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৭)
২০. এ স্বাধীনতা রয়েছে যে, চাই রমযানের শুরুতে পুরো রমযানের ফিদিয়া এক সাথে দিয়ে দিক কিংবা শেষ ভাগে দিক। (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৭)
২১. ফিদিয়া দেয়ার সময় এটা জরুরী নয় যে, যতোটা ফিদিয়া হবে ততোটা মিসকিনকে আলাদা আলাদাভাবে দেবে, বরং একই মিসকিনকে কয়েকদিনের ফিদিয়াও দেয়া যাবে। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ- ৪১০)
২২. নফল রোযা ইচ্ছাকৃতভাবে শুরু করার পর পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। ভেঙ্গে ফেললে কাযা ওয়াজিব হবে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১১)
২৩. যদি আপনি এ ধারণা করে রোযা রাখলেন যে, আপনার দায়িত্বে কোন কাযা রোযা রয়ে গেছে, কিন্তু রোযা শুরু করার পর জানতে পারলেন যে, আপনার উপর কোন প্রকারের কোন রোযা কাযা নেই। এখন যদি তাৎক্ষণিকভাবে ভেঙ্গে ফেলেন, তবে কোন কিছুই নেই। আর যদি একথা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে না ভাঙ্গেন, তবে পরে ভাঙ্গতে পারবেন না। ভাঙ্গলে কাযা ওয়াজিব হবে। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১১)
২৪. নফল রোযা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভাঙ্গেনি, বরং অনিচ্ছাকৃত ভাবে ভেঙ্গে গেছে। যেমন- রোযা পালন কালে মহিলাদের হায়েয এসে গেলো, তবুও কাযা ওয়াজীব। (দুররে মুখতার, খন্ড-৩, পৃঃ-৪১২)
২৫. ঈদুল ফিতরের একদিন কিংবা ঈদুল আযহার চারদিন, অর্থাৎ ১০, ১১, ১২ ও ১৩ ই যিলহাজ্জ থেকে কোন একটি দিনের নফল রোযা রাখলে, এ রোযাটি পূর্ণ করা ওয়াজিব নয় কেননা এ পাঁচ দিনে রোযা রাখা হারাম ভঙ্গ করলে কাযা
ওয়াজিব হবে না; বরং সেটা ভেঙ্গে ফেলাই ওয়াজিব। যদি এ দিনগুলোতে রোযা রাখার মান্নত মানেন, তাহলে মান্নত পূরণ করা ওয়াজিব। কিন্তু ওই দিনগুলোতে নয়, বরং অন্যান্য দিনে। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১২)
২৬. নফল রোযা বিনা ওযরে ভেঙ্গে ফেলা না জায়িয। মেহমানের সাথে যদি না খায় তবে তার খারাপ লাগবে, অনুরূপভাবে, মেহমান না খেলে মেহমান মনে কষ্ট পাবেন। সুতরাং নফল রোযা ভাঙ্গার জন্য এটা একটা ওযর। سُبْحٰنَ الله عَزَّوَجَلّ শরীয়তে মুসলমানের সম্মান করার ব্যাপারে কতই গুরুত্ব রয়েছে) এ শর্তে যে, তার পূর্ণ ভরসা আছে যে, সে তা পুনরায় রেখে নেবে। আর দ্বি-প্রহর এর পূর্বে ভাঙ্গতে পারবে, পরে নয়। (আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৮)
২৭. দা’ওয়াতের কারণে “দ্বাহওয়ায়ে কুবরা” এর পূর্বে রোযা ভেঙ্গে ফেলা যাবে যখন মেহমান শুধুমাত্র তার উপস্থিতিতে রাজী না হন বরং তার না খাওয়ার কারণে নারাজ হন। তবে শর্ত হচ্ছে তার পূর্ণ ভরসা আছে যে, সে তা পুনরায় রেখে নেবে, এমতাবস্থায় রোযা ভাঙ্গতে পারবে এবং এটার কাযা আদায় করবে। কিন্তুু যদি দা’ওয়াতকারী তার শুধুমাত্র উপস্থিতিতে রাজী হয়ে যান এবং তার না খাওয়াতে নারাজ না হন তবে রোযা ভঙ্গ করার অনুমতি নেই।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী, খন্ড-১ম, পৃ-২০৮, কুয়েটা)
২৮. নফল রোযা সূর্য পশ্চিম দিকে হেলার পর মাতাপিতা নারায হলে ভাঙ্গতে পারে। এমতাবস্থায় আসরের পূর্ব পর্যন্ত ভাঙ্গতে পারে, আসরের পরে পারবে না। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১৪)
২৯. নারী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া নফল, মান্নত ও শপথের কাফফারার রোযা রাখবে না। রেখে নিলে স্বামী ভাঙ্গিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ভাঙ্গলে কাযা ওয়াজিব হবে। আর সেটার কাযা করার সময়ও স্বামীর অনুমতির দরকার হবে। কিংবা স্বামী ও তার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে, অর্থাৎ তালাকে বাইন* দিয়ে দিলে, কিংবা মৃত্যু হয়ে গেলে, অথবা রোযা রাখলে স্বামীর কোন ক্ষতি না হলে, যেমন সে সফরে গেলে কিংবা অসুস্থ থাকলে, অথবা ইহরাম অবস্থায় থাকলে, এসব অবস্থায় অনুমতি ছাড়াও ক্বাযা রাখতে পারবে; এমনকি সে নিষেধ করলেও স্ত্রী রেখে দিতে পারবে। অবশ্য ওই দিনগুলোতে নফল রোযা স্বামীর অনুমতি ছাড়া রাখতে পারে না। (রদ্দে মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১৫)
(*তালাকে বাইন ওই তালাককে বলে, যার কারণে স্ত্রী বিবাহ বন্ধন থেকে বেরিয়ে যায়। এখন স্ত্রী পুনরায় স্বামীকে গ্রহণ করতে পারে না। এখন স্বামী তার স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহণ করতে পারবে না।)
৩০. রমযানুল মুবারক ও রমযানুল মুবারকের কাযার জন্য স্বামীর অনুমতির কোন প্রয়োজন নেই, বরং সে নিষেধ করলেও রাখবে। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১৫)
৩১. আপনি যদি কারো কর্মচারী হোন, কিংবা তার নিকট শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন, তাহলে তার অনুমতি ছাড়া নফল রোযা রাখতে পারেন না। কেননা, রোযার কারণে কাজে অলসতা আসবে। অবশ্য, রোযা রাখা সত্ত্বেও যদি আপনি নিয়ম-মাফিক কাজ করতে পারেন, তার কাজে কোনরূপ ত্রুটি না হয়, তাহলে নফল রোযার জন্য অনুমতির দরকার নেই। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১৬)
৩২. নফল রোযার জন্য মেয়ে পিতা থেকে, মা পুত্র থেকে এবং বোন ভাই থেকে অনুমতি নেয়ার দরকার নেই। (রদ্দুল মুহতার, খন্ড-৩য়, পৃ-৪১৬)
৩৩. মাতা-পিতা যদি মেয়েকে নফল রোযা রাখতে নিষেধ করে এ কারণে যে, তার রোগের আশঙ্কা আছে, তবে মাতাপিতার কথা মানবে। (রদ্দুল মুখতার, খন্ড-৩য়, পৃ- ৪১৬)
__________________________
লিখাটি আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত মাওলানা ইলয়াস আত্তার কাদেরী রযভী কর্তৃক লিখিত রযমান মাসের বিস্তারিত মাসাইল সম্পর্কিত “রমযানের ফযিলত” নামক কিতাবের ১৮১-১৮৮ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। কিতাবটি নিজে কিনুন, অন্যকে উপহার দিন।