ইমাম হাসান (رضي الله عنه) বর্ণনা করছেন, নবী-পাক (ﷺ) বলেছেন, “তােমরা আমার কবরে আমার চাদরখানি বিছিয়ে দিও। নিশ্চয় মাটি নবীগণের শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে না।”
১. ইবনু সাআদ, আত তাবাকাতুল কুবরা। ২: ২৯৯।
২. হিন্দী, কানযুল ওম্মাল। ১৫: ৫৭৭। হাদিস নম্বর: ৪২২৪৫।
৩. সুয়ূতী, শরহুন আলা সুনানিন নাসাঈ । ৪: ৮৪।
৪. সুয়ূতী, আল খাসায়িসুল কুবরা। ২: ২৭৮।
৫. সুন্দী, হাশিয়াতুন আলা সুনানিন নাসাঈ । ৪: ৮২, ৮৪।
ইমাম হাসান (رضي الله عنه) বর্ণনা করছেন, নবী-পাক (ﷺ) এরশাদ করেন,
যার সাথে রূহুল-কুদস (জিবরাঈল আলাইহিস্ সালাম) কথা বলেছেন, তাঁর দেহকে মাটিতে ভক্ষণ করতে পারবে না।
১. ইবনু ইসহাক এজদী, ফদ্বল্স সালাতি আলান নবিয়্যি (ﷺ) ৩৯। হাদিস নম্বর: ২৩।
২. ইবনু কাইয়িম, জালাউল আহাম। ৪১। হাদিস নম্বর: ৫৯।
৩. ইবনু কছীর, তাফসীরুল কুরআন। ৩; ৫১৪।
৪. সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ১৬৯।
ইমাম হাসান (رضي الله عنه) বর্ণনা করছেন, নবী-পাক (ﷺ) এরশাদ করছেন,
“রূহুল-কুদস (জিবরাঈল আলাইহিস সালাম) যার সাথে কথা বলেছেন, তার দেহের মাংস ভক্ষণ করার জন্য মাটিকে কখনাে অনুমতি দেওয়া হবে না।”
১.মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১০: ৩০৬।
২. সুয়ূতী, আল খাসায়িসুল কুবরা। ২: ২৮০।
৩. সুয়ূতী, আদ দুররুল মনছুর ফিত তাফসীরি বিল মাছুর। ১: ৮৭।
আবুল আলীয়া (رحمة الله) বলছেন,
“নবীগণের দেহ মােবরককে মাটিও খেতে পারে না, হিংস্র জন্তুরাও খেতে পারে না।”
(সুয়ূতী আল খাসায়িসুল কুবরায় (২: ২৮০) লিখেছেন, ইবনু বুকার ‘আখবারুল মদীনা’ কিতাবে এই উক্তটি ব্যক্ত করেছেন।)
আল্লামা তকিউদ্দীন সুবকী (رحمة الله) এই রেওয়াতগুলাে সম্পর্কে বলেছেন, (দুরুদ পেশ সংক্রান্ত) হাদিসটি দ্বারা বুঝা যায়, হুজুর-পাক (ﷺ) এর রূহ মােবারক তারই দেহ মােবারকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় আর নিঃসন্দেহে তিনি উম্মতিদের সালামও শােনেন এবং জবাবও দেন।
(সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম। ১৩৩)
হযরত ইবরাহীম বিন শায়বান (رحمة الله) বলছেন, হজ্ব শেষ করে আমি মদীনা-শরীফ চলে এলাম। রওজায়ে আতহারের নিকটে গিয়ে সালাম আরজ করলাম। সাথে সাথে হুজরা শরীফের ভেতর থেকে শুনতে পেলাম- (তােমার উপরও শাস্তি হােক)।
১. সাখাবী, আল কওসুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী । ১৬০।
২. মুকরিযী, ইমতাউল আসমা । ১৪: ৬১৬।
৩. সুবকী শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম (পৃ: ৩৮) কিতাবে উক্তিটি ইবরাহীম বিন বিশারের বলে উল্লেখ করেছেন।
সােলায়মান বিন তামীম বলছেন, নবী-পাক (ﷺ) কে আমি স্বপ্নে দেখি। আমি তাঁকে আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্(ﷺ)! এরা সবাই তাে আপনার দরবারে এসে আপনাকে সালাম জানায়। আপনি কি তাদের সালামের কথা বুঝতে পারেন? হুজুর-পাক (ﷺ) বললেন, হাঁ, (বুঝতে পারি) এবং আমি (তাদের সালামের) জাবাবও দিয়ে থাকি।
১. বায়হাকী, শুআবুল ঈমান। ৩: ৪৯১। হাদিস নম্বর: ৪১৬৫।
২. সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারতি আইরিল আনাম । ৩৮।
৩. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১০: ৩০৮।
৪. সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী। ১৬০।