নুরনবী (ﷺ) এর ছায়াবিহীন কায়া
সংকলক : মাসুম বিল্লাহ সানি
আজকাল ওহাবি ও আহলে হাদিসের দল রাসুলাল্লাহ (ﷺ) এর ছায়া ছিল বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এখানে নির্ভরযোগ্য হাদিস ও লক্ষ লক্ষ হাদিসের হাফিজ যারা ছিলেন তাদের আকিদা থেকে প্রমান করব রাসুল (ﷺ) এর ছায়া ছিল না।
হাদিস ১ :
🕋 ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (رحمة الله) : হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত হাদিসের ১ম সনদঃ
ইমাম বুখারী (رحمة الله) এর দাদা ও উস্তাদ ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (رحمة الله) তিনি ➡ ইবনে যুরাইয (رحمة الله) হতে তিনি ➡ হযরত নাফে (رحمة الله) হতে তিনি
➡ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন। হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন,
“রাসুলাল্লাহ (ﷺ) এর ছায়া ছিল না। তাঁর ছায়া সুর্যের আলোতে পড়তো না এবং তাঁর নুরের আলো সুর্যের আলোর উপর প্রাধান্য বিস্তাঁর করত এবং তিনি (রাতে) বাতির আলোর সামনে দাঁড়ালেও বাতির আলোর উপর তাঁর নুরের আলো প্রাধান্য বিস্তাঁর করত।
(ইমাম আব্দুর রাজ্জাক : জদউল মুফকুদ মিন মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ১/৫৬ পৃ : হাদিস ২৫)
সনদ পর্যালোচনা :
১ম রাবী : ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (رحمة الله) :
১. আহমাদ ইবন সালীহ (رحمة الله) বলেন, “আমি একবার আহমাদ বিন হাম্বল (رحمة الله) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাকের থেকে আর কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল (رحمة الله) বলেন, না”। [আসকলানী, তাহজিবুত তাহজিব ২/৩৩১]
২. আব্দুর রাজ্জাক (رحمة الله) হলে মুসলিম উম্মাহের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম বুখারী (رحمة الله) এর দাদা উস্তাদ।
২য় রাবী : হযরত ইবনে যুরাইয (رحمة الله)
তাঁর সম্পর্কে রিজালশাস্ত্রের ইমামগন বলেন,
তিনি সিকাহ (বিশ্বস্ত/নির্ভরযোগ্য) ছিলেন। তিনি একজন মর্যাদাবান বর্ননাকারী ছিলেন। তবে তিনি তাদলিস করতেন ও মুরসাল করতেন।
● ইবনে হাজর আসকালানী : তাকরিবু-তাহযীব : ১/১৪২ রাবী নং ৪১৯৩
● ইবনে হাজর আসকালানী : তাহযীবুত-তাহযীব : ২/৬১৬
● ইবনে মিযযি : তাহযীবুত – কামাল : ১৮/৩৩৮
৩য় রাবী : হযরত নাফে (رحمة الله) [ওফাত ১১৭ হি]
“তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমরের আজাদকৃত গোলাম।
তিনি একজন উচ্চস্তরের ফকিহ ছিলেন, সিকাহ তথা বিশ্বাস্ত এবং দৃঢ় বা শক্তিশালী রাবী ছিলেন।”
● ইবনে হাজর আসকালানী : তাকরিবু-তাহযীব : ২/১৮৮ রাবী নং ৭০৮৬
● ইবনে হাজর আসকালানী : তাহযীবুত-তাহযীব : ২৯/২৯ পৃ
● ইবনে মিযযি : তাহযীবুত – কামাল : ৪/২১০
৪র্থ রাবী : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)
তিনি একজন প্রসিদ্ধ সাহাবী কারো জানার বাকি রাখে না।
হাদিস ২ :
🕋 ইমাম আহমদ ইবনে আলী মাকরিজী (رحمة الله) : হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত হাদিসের ২য় সনদ :
উপরোক্ত হাদিসের মতন ও সনদের সমর্থনে অন্য একটি হাদিস রয়েছে : এ হাদিসটি ইমাম তকিউদ্দিন আহমদ ইবনে আলী মাকরীযী (رحمة الله) [ওফাত ৮৪৫ হি] তিনি উক্ত সনদটি বর্ননা করেন এভাবে,
আহমদ ইবনে আব্দুল্লাহ গাদ্দাফী (رحمة الله) বলেন আমাদেরকে➡(তাবেয়ী) আমর ইবনে আবি আমর (رحمة الله) [ওফাত ১৫০ হি] তিনি বলেন আমাকে➡মুহাম্মদ ইবনুস সায়িব (رحمة الله) [ওফাত ১৪৬ হি] তিনি বলেন আমাকে ➡(তাবেয়ী) আবু সালেহ বাযাম (رحمة الله) তিনি বলেন➡ হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি (رضي الله عنه) বলেন,
“রাসুলাল্লাহ (ﷺ) এর কোন ছায়া ছিল না……..।”
● আল্লামা ইমাম মাকরিযী : ইমতাউল আসমা’আ বিমা লিন্নাবিয়্যি মিনাল আহওয়াল : ২/১৭০ পৃ : দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, লেবানন।
হাদিস ৩ :
● যুগবরন্যে ইমাম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক (رحمة الله) ও
● ইমাম হাফেজ ইবনে জাওজী (رحمة الله) হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে সহিহ সনদে বর্ননা করেন,
“রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ছায়া ছিল না। তিনি যখনই সুর্যের মুখোমুখি দন্ডায়মান হতেন তাঁর নুর সুর্যের আলোর উপর প্রবল থাকত এবং তিনি (রাতে) প্রদীপের আলোতে দন্ডায়মান হলে তাঁর নুরের দ্যুতি ওটার দীপ্তিকে ম্লান করে দিত।”
● মোল্লা আলী কারী : জামেউল ওয়াসায়িল : ১/২১৭ পৃ :
● ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ৪/২২০
● ইমাম মুনাদী : শরহে শামায়েল : ১/৪৭
● আল্লামা শফী উকাড়বী : জিকরে জামিল : ৩২৪ পৃ:
● ইমাম ইবনে জাওজী : কিতাবুল ওয়াফা
হাদিস ৪ :
● ইমাম আন-নাসাফী (رحمة الله) বিশ্ববিখ্যাত উসুলবিদ ইমাম আবুল বারাকাত নাসাফী (رحمة الله) তিনি তাঁর বিখ্যাত তফসীর গ্রন্থে একটি হাদিস উল্লেখ করেন : আমিরুল মুমেনীন হযরত উসমান ইবনে আফফান (رضي الله عنه) বলেন,
“রাসুলাল্লাহ (ﷺ) এর ছায়া জমীনে আল্লাহ ফেলেন নি কারণ যাতে কোন মানুষ ওনার ছায়ার উপর পা রাখতে না পারে।”
● নাসাফী : তফসীরে মাদারিক : ২/৪৯২ পৃ : সুরা নুর এর ব্যাখ্যায়
● আল্লামা শফী উকারবী : শামে কারবালা : ৩২৪ পৃ:
● আল্লামা শফী উকারবী : জিকরে জামিল
● আল্লামা গোলাম রাসুল সাঈদী : তাওজিহুল বয়ান : ২৪২ পৃ
● আহমদ ইয়ার খান নঈমী : রিসালায়ে নুর : ২৫ পৃ:
হাদিস ৫ :
● ইমাম হাকিম তিরমিজী (رحمة الله) ® তাবেয়ী হযরত যাকওয়ান (رضي الله عنه) বলেন,
انًّ رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يكن يرى له ظل فى شمس ولا قمر
অনুবাদঃ হুজুর (ﷺ)-এর ছায়া না সূর্যালোকে দেখা যেত না চন্দ্রালোকে।
● ইমাম হাকিম তিরমিযী : নাওয়াদিরিল উসূল : ১/২৯৮ পৃ:
● ইমাম সুয়ুতী : খাসায়েসুল কোবরা : ১/১২২ : হাদিস ৩২৮
● ইমাম কুস্তালানী : মাওয়াহিবে লাদুন্নীয়া : ২/১২০ পৃ:
● ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ৪/২২০ পৃ:
● শায়খ সুলায়মান জুমাল : ফতোয়ায়ে আহমদিয়া পৃ ১৪৮।
● শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী : মাদারেজুন নবুওয়াত : ১/১৪২ পৃ:
● ইমাম ইউসুফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/১৪২ পৃ :।
● ইমাম ইউসুফ নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : ৬৬৮ পৃ:।
● ইমাম মাহদী আল-ফার্সী : মাতালিউল মুসাররাত : পৃ ৩৬৫।
● আল্লামা ইবনে সালেহ : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ২/৯০ পৃ :।
● আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান : নুরুল মোস্তফা : ৮২ পৃ:।
● আল্লামা ইমাম মুকরিযী : আল ইমতাউল আসমা : ১০/৩০৮ পৃ:।
● আল্লামা ইমাম মুকরিযী : মাকারুম বিখাসায়েসুন্নবী : ২/২৩৫ পৃ:।
● আল্লামা ইমাম শফী উকাড়বী : জিকরে জামিল : ৩২৪ পৃ:।
● আল্লামা ওমর বিন আব্দুল্লাহ সিরাজুদ্দিন : ফতোয়ায়ে সিরাজিয়া : ১/২৯৭ পৃ:
হাদিস ৬ :
® ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (رحمة الله) তাঁর কিতাব ‘খাসায়েসে কোবরায়’ হুজুর (ﷺ)-এর ছায়া ছিল না এই বিষয়ে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন এবং তাবেয়ী হযরত যাকওয়ান (رضي الله عنه) এর হাদীস বর্ণনা করে বলেন,
قال ابن سبع من خصائصه صلى الله عليه وسلم انّ ظله كان لا يقع على الارض وانه كان نورا فكان اذا مضى فى الشمس او القمر لاينظر له ظل
অনুবাদঃ ইবনে সাবা (رحمة الله) বলেছেন, এটা হুজুর (ﷺ)-এর বৈশিষ্ট্যাবলীর অন্তর্গত যে, হুজুর (ﷺ)-এর ছায়া যমীনে পড়তো না এবং তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নূর। তিনি যখন সূর্যালোক কিংবা চন্দ্রালোকে চলতেন, তাঁর ছায়া দেখা যেতো না।
● ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ৪/২০২ পৃ :
● ইমাম সুয়ুতী : খাসায়েসুল কোবরা : ১/১২২ : হাদিস ৩২৮
● শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী : মাদারেজুন নবুওয়াত : ১/১৪২ পৃ:
● ইমাম ইউসুফ নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : ৬৬৮ পৃ:
● ইমাম মাহদী আল-ফার্সী : মাতালিউল মুসাররাত : পৃ ৩৬৫
● আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা : নুরুল মোস্তফা : ৮২ পৃ:
● শিফাউস সুদুর
মুহাদ্দিসগনের আকিদাঃ
১-৬ নাম্বার হাদিস সহ ইমামগনের আকিদা একই তাই পুনরায় উল্লেখ করলাম না।
৭) ইমাম কাজী আয়াজ (رحمة الله) :
“রাসুলাল্লাহ (ﷺ) এর নবুওয়াত ও রিসালাতের প্রমানাদির মধ্যে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে তাঁর শরীর মোবারকের সুর্যালোক ও চন্দ্রালোকে কোন ছায়া হতো না কারন ছিলেন নুর। তাঁর শরীর ও পোষাকে মাছি পর্যন্ত বসত না।
● ইমাম কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ১/৪৬২ পৃ:
● ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ৮৫ পৃ: হাদিস ১২৬
এ সম্পর্কে অন্যান্য বর্ণনা
(১) এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাকীম তিরমীযি (الحمد الله) বর্ননা করেন,
— ان رسول الله صلي الله عليه و سلم لم يكن يري له ظل في شمس ولاقمر
অর্থ: নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতে হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”
● নাওয়াদেরুল উছুল।
® তাবেয়ী হযরত যাক্ওয়ান (رضي الله عنه) বলেন,
انًّ رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يكن يرى له ظل فى شمس ولا قمر
অনুবাদঃ হুজুর (ﷺ)-এর ছায়া না সূযালোকে দেখো যেতো না চন্দ্রালোকে।
● তিরমিযী ফি নাওয়াদিরিল উসূল, যুরকানী আলাল মাওয়অহিব,খন্ড-৪,পৃষ্ঠা-২৪০
(২) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, ফক্বীউল মিল্লাত, আল্লামা হযরত মুল্লা আলী ক্বারী (الحمد الله) আরেকটি সনদে হাদীস শরীফ বর্ননা করেন
– وفي حديث ابن عباس قال لم يكن لرسول الله صلي الله عليه و سلم ظل ولم يقع مع الشمس قط الا غلب ضوءه ضوء الشمس ولم يقع مع سراج قط الا غلب ضوءه ضوء السراج
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না। আরো বর্নিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলোকে অতিক্রম করে যেত। আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা, উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত।”
● জামউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল ২১৭ পৃষ্ঠা।
(৩) প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, হাফিজে হাদীস, রঈসুল মুহাদ্দিসিন, হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী (الحمد الله) বলেন
– اخرج الحكيم الترمذي عن ذكوان في نوادر الا صول ان رسول صلي الله عليه و سلم لم يكن يراي له ظل في شمس ولا قمر
অর্থ: হযরত হাকীম তিরমীযি (الحمد الله) ” নাওয়াদিরুল উছুল” নামক কিতাবে জাকওয়ান থেকে বর্ননা করেন, নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতেও রসূলে পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”
● খাছায়েছুল কুবরা ১ম খন্ড ১২২ পৃষ্ঠা ।
® ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (رحمة الله) তাঁর কিতাব ‘খাসায়েসে কোবরায়’ হুজুর (ﷺ)-এর ছায়া ছিল না এই বিষয়ে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন এবং এই যাক্ওয়ানের হাদীস বর্ণনা করতঃ বলেন,
قال ابن سبع من خصائصه صلى الله عليه وسلم انّ ظله كان لا يقع على الارض وانه كان نورا فكان اذا مضى فى الشمس او القمر لاينظر له ظل
অনুবাদঃ ইবনে সাবা (রহ.) বলেছেন, এটা হুজুর (ﷺ)-এর বৈশিষ্ট্যাবলীর অন্তর্গত যে, হুজুর (ﷺ)-এর ছায়া যমীনে পড়তো না এবং তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নূর। তিনি যখন সূযালোক কিংবা চন্দ্রালোকে চলতেন, তাঁর ছায়া দেখা যেতো না।
● যুরকানী আলাল মাওয়াহিব,খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-২০২,
● খাসায়েসে কোবরা খন্ড-১ পৃষ্ঠা-৬৮
(৪) বিখ্যাত আলেমে দ্বীন, শায়খুল উলামা, মুহাদ্দিস , আল্লামা ইব্রাহিম বেজরী (الحمد الله) বলেন,
— وفي حديث ابن عباس قال لم يكن لرسول الله صلي الله عليه و سلم ظل ولم يقع مع الشمس قط الا غلب ضوءه ضوء الشمس ولم يقع مع سراج قط الا غلب ضوءه ضوء السراج
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না। আরো বর্নিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলোকে অতিক্রম করে যেত। আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা, উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত।”
● আল মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া আলা শামায়েলে মুহম্মদীয়া ১০৫ পৃষ্ঠা।
(৫) বিখ্যাত মুহাদ্দিস, ফক্বীহ, আল্লামা হযরত ইউছুফ নবেহানী (الحمد الله) উনার কিতাবে লিখেন,
– وكان اذا مشي في قمر او شمس لا يظهر له ظل
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) যখন সূর্য ও চন্দ্রের আলোতে হাঠতেন তখন উনার ছায়া মুবারক পড়তো না।”
● জাওয়াহিরুল বিহার ১ম খন্ড ৪৫৩ পৃষ্ঠা।
(৬) বাহরুল উলুম, শায়খুল মাশায়েখ, আল্লামা ইবনে সাবা (الحمد الله) বলেন,
– ان ظله كان لا يقع علي الارض كان نورا فكان اذامشي في الشمس اوالقمر لا ينظر له ظل
অর্থ: নিশ্চয়ই হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক যমীনে পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন, নূর। অতঃপর তিনি যখন সূর্য ও চাঁদের আলোতে হাঁটতেন তখন তখন উনার ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতোনা।
● শেফাউছ ছুদুর।
(৭) আল্লামা সুলায়মান জামাল (الحمد الله) বলেন,
– لم يكن له صلي الله عليه و سلم ظل يظهر في شمس ولا قمر
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক ছিলনা। এমনকি চাঁদ এবং সূর্যের আলোতেও উনার ছায়া মুবারক প্রকাশ হতো না।
● ফতুহাতে আহমদিয়া শরহে হামজিয়া।
(৮) ইমামুল মুফাসসিরিন ওয়াল মুহাদ্দিসিন, হাফিজে হাদীস, আল্লামা ইবনে জাওজী (الحمد الله) বর্ননা করেন –
وفي حديث ابن عباس قال لم يكن لرسول الله صلي الله عليه و سلم ظل ولم يقع مع الشمس قط الا غلب ضوءه ضوء الشمس ولم يقع مع سراج قط الا غلب ضوءه ضوء السراج
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক ছিলো না, এবং সূর্যের আলোতেও কখনো উনার ছায়া পড়তো না। আরো বর্নিত আছে, উনার নূর সূর্যের আলোকে অতিক্রম করে যেত। আর বাতির আলোতেও কখনো উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা, উনার আলো বাতির আলোকেও ছাড়িয়ে যেত।”
১। কিতাবুল ওয়াফা
২। জুরকানি আলাল মাওয়াহিব,খন্ড৪ পৃষ্ঠা-২২০,শরহে শামায়িল লিল্ মুনাদী,খন্ড ১ পৃষ্ঠা-৪৭
(৯) হাফিজে হাদীস, মুহাদ্দিস , আল্লামা সাইয়্যিদ যুরকানী (الحمد الله) বলেন –
لم يكن له صلي عليه و سلم ظل في شمس و لاقمر لانه كان نورا
অর্থ: চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক ছিলো না। কেননা তিনি ছিলেন নূর।
● জুরকানী খন্ড-৪,পৃষ্ঠা-২২০
(১০) বিখ্যাত আলেম, হযরত আল্লামা হুসাইন দিয়ার বাকরী (الحمد الله) বলেন –
لم يقع ظله صلي الله عليه و سلم علي الارض ولايري له ظل في شمس ولا قمر
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক জমিনে পড়তো না। এবং চাঁদ এবং সূর্যের আলোতেও উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না।”
● খামীছ ফি আহওলে আনফুসে নাফীস
(১১) ইমামুল আল্লাম, জালালু মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতি (الحمد الله) বলেন –
لم يقع ظله علي الارض ولايري له ظل في شمس ولا قمر قال ابن سبع لانه كان نورا قال رزين لغلبة انواره
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক মাটিতে পড়ে নাই। চাঁদ এবং সূর্যের আলোতে উনার ছায়া মুবারক দেখা যেত না। আল্লামা ইবনে সাবা (الحمد الله) বলেন, হুজুর পাক (ﷺ) যেহেতু সম্পূর্ণ নূর ছিলেন, সেহেতু উনার ছায়া মুবারক ছিলো না। হযরত ইমান রজীন (الحمد الله) বলেন, অবশ্যই হুজুর পাক (ﷺ) উনার নূর মুবারক সমস্ত কিছুকে ছাড়িয়ে যেত।”
● আনমুযাজুল লবীব ফী খাছায়েছিল হাবীব- দ্বিতীয় বাব- চতুর্থ অধ্যায় ।
(১২) ইমামুল মুহাদ্দিসিন, শায়খুল উলামা, শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী (الحمد الله) বলেন,
ونبود مر أنحضرت را صلي الله عليه و سلم سايه نه در افتاب ونه قمر
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক চাঁদ ও সূর্যের আলোতে দেখা যেত না।”
● মাদারেজুন নবুওয়াত- ১ম খন্ড- ১ম অধ্যায় ।
(১৩) ইমামুল জলীল, মুহাদ্দিসুশ শহীর, আল্লামা ইমাম কাজী আয়াজ (الحمد الله) বলেন,
– وما ذكر من انه لا ظل تشخصه في شمس ولاقمر لانه كان نورا
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার নূরের দেহ মুবারকের ছায়া মুবারক সূর্য ও চাঁদের আলোতেও পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন সম্পূর্ন নূর।”
● শিফা শরীফ।
® ইমাম কাযী আয়ায (رحمة الله) বলেন,
وما ذكر من انه كان لا ظل لشخصه فى شمس ولا قمر لانه كان نورا وان الذباب كان لايقع على جسده ولا ثيابه
অনুবাদঃ তাঁর নবুওয়াত ও রিসালাতের প্রমাণাদির মধ্যে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাঁর শরীর মোবারকের ছায়া হতো না, না সূর্যালোকে না চন্দ্রালোকে। কারণ তিনি ছিলেন নূর । তাঁর শরীর ও পোষাকে মাছি বসত না।
● শিফা শরীফ ,খন্ড-১,পৃষ্ঠা-২৪২
(১৪) ইমামুল আইম্মা, হাফিজে হাদীস, আহমদ বিন মুহম্মদ খতীব কুস্তালানী (الحمد الله) বলেন
– رسول الله صلي الله عليه و سلم كي ليءے سايه نه تها دهوپ مين نه چاندني مين
অর্থ: চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক ছিলো না।”
● মাওয়াহেবু লাদুন্নিয়া ১ম খন্ড
(১৫) তাজুল মুফাসসীরিন, ফক্বীহুল আছর, আল্লামা শাহ আব্দুল আযীজ মুহাদ্দিস দেহলবী (الحمد الله) বলেন
– سايه ايشان بر زمين نمي افتاد
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক মাটিতে পড়তো না।”
● তাফসীরে আযীযি-৩০ পারা- সূরা আদ দ্বুহা উনার তাফসীর।
(১৬) ইমামুল জলীল, সাইয়্যিদুল মুফাসসীরিন, আল্লামা মাহমূদ নাসাফী (الحمد الله) বলেন,
– قال عشمان رضي الله غنه ان الله ما اوقع ظلك علي الارض لءلا يضع انسن ان قدمه علي ذالك الظل
অর্থ: আমীরুল মু’মিনিন, হযরত উসমান (رضي الله عنه) হুজুর পাক (ﷺ) উনাকে বলেছিলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক আপনার ছায়া মুবারক মাটিতে পড়তে দেন নাই। যাতে মানুষ আপনার ঐ ছায়া মুবারকে পা রাখতে না পারে।”
● তাফসীরে মাদারিকুত তানযীল-সূরা নূরের তাফসীর ( তাফসীরে মাদারিক,পৃষ্ঠা-৩২১)
(১৭) ইমামুল আইম্মা, কাইয়ুমে আউয়াল, মুজাদ্দিদে আলফে সানী (الحمد الله) বলেন,
– اورا صلي الله عليه و سلم سايه نبود در عالم شهادت سايه هر شخص ازشخص لطيف تراست چون لطيف تري ازوي صلي الله عليه و سلم در عالم نباشد او را سايه چه صورت وارد
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক ছিলো না। প্রত্যেক লোকের ছায়া তার দেহ থেকে সুক্ষ্ম। যখন হুজুর পাক (ﷺ) উনার চাইতে আর কোন কিছু সুক্ষ্ম নয়, তখন উনার ছায়া মুবারক কি আকার ধারন করতে পারে ?”
● মকতুবাত শরীফ-৩য় খন্ড- ১০০ নং মকতুব।
(১৮) বাহরুল উলুম, হযরত শায়েখ মুহম্মদ তাহের (الحمد الله) বলেন,
– من اسماءه صلي الله علي و سلم النو ر قبل من خصاءصه صلي الله عليه و سلم انه اذا مشي في ااشمس والقمر لا يظهر له ظل
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার নাম মুবারক সমূহ থেকে একটি নাম মুবারক হলো, নূর। বলা হয়, হুজুর পাক (ﷺ) উনার বৈশিষ্ট্য সমূহ থেকে একটি বৈশিষ্ট্য হলো যে, নিশ্চয়ই হুজুর পাক (ﷺ) যখন সূর্য ও চাঁদের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার কোন ছায়া মুবারক প্রকাশ পেত না।”
● মাজমাউল বিহার
(১৯) শায়খুল উলামা, হযরতুল আল্লামা, মুহম্মদ ইউসুফ শামী (الحمد الله) উল্লেখ করেন,
– الامام الحيم قال معناه لءلا يطأ عليه كافر فيكون مذلة له
অর্থ: ইমাম হযরত হাকিম (الحمد الله) বলেছেন, হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক না থাকার হিকমত এই যে, যাতে কোন বিধর্মী কাফেরেরা উনার ছায়া মুবারকের উপর পা রাখতে না পারে।
● সুবহুল হুদা ওয়ার রশীদ আল মারুফ বিহী ” সীরাতে শামী” ২য় খন্ড ১২৩ পৃষ্ঠা।
(২০) হাফিজে হাদীস,ওলীয়ে কামিল, হযরত ইবনে হাজর মক্কী (الحمد الله) উল্লেখ করেন,
انه صلي الله عليه و سلم صار نورا انه كان اذا مشي في الشمس و لا يظهر له ظل
অর্থ: নিশ্চয়ই হুজুর পাক (ﷺ) নূর ছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি যখন চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক প্রকাশ পেতো না।”
● আফদ্বালুল ক্বোরা।
তিনি উক্ত কিতাবে আরো বলেন, ইমাম ইবনে হাজার মাক্কী (رحمة الله) বলেন,
ومما يؤيد انه صلى الله عليه وسلم ضاء نورا انه كان اذا مشى فى الشمس و القمر لا يظهر له ظل لانه لا يظهر الا الكثيف وهو صلى الله عليه وسلم قد خلصه الله من سائر الكثا فات الجسمانية وسيره نورا صرفا لا يظهر له ظل اصلا
অনুবাদঃ হুজুর (ﷺ) সম্পূর্ণ নূর হওয়ার সমর্থন এ থেকে হয় যে, সূযালোকে কিংবা চন্দ্রালোকে তাঁর ছাঁয়া হতো না। কারণ ছাঁয়া তো হয় জড় দেহের আর হুজুর (ﷺ)ককে আল্লাহ তা’আলা সকল শারীরিক জড়তা থেকে নিখুঁত করতঃ সম্পূর্ণ নূরে পরিপূর্ণ করেছিলেন। অতএব হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন ছাঁয়া ছিল না।
● আফদ্বালুল ক্বোরা
(২১) আমজাদী (الحمد الله) উল্লেখ করেন –
بيشك حضور پرنور سر كار اقدس صلي الله عليه و سلم كي جسم اقدس كا سايه نهين پرتا تها جيسا كه حديث شريف ميت هي لم يكن له ظل لا في الشمس ولا في القمر يعني سورج اور چاندكي روشني مين حضور كا سايه نهين پرتا تها
অর্থ: নিশ্চয়ই হুজুর পাক (ﷺ) উনার পবিত্র শরীর মুবারক উনার ছায়া মুবারক (জমিনে) পড়তো না । যেমন, হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও হুজুর পাক (ﷺ) উনার ছায়া মুবারক পড়তো না।”
● ফতোয়ায়ে ফয়জুর রসূল ২৭ পৃষ্ঠা।
(২২) বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা শিহাবুদ্দীন খাফফাজী (الحمد الله) বলেন,
من دلاءل نبوته صلي الله عليه و سلم ماذكر من انه لا ظل لشخصه لشخصه اي جسده الشريف اللطيف اذاكان في شممس او قمر لانه صلي الله عليه و سلم نور
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার নবুওয়াত মুবারকের প্রমানের মধ্যে একটি প্রমান যে, উনার শরীর মুবারকের ছায়া মুবারক ছিলো না। যখন তিনি চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হাঁটতেন তখন উনার ছায়া মুবারক পড়তো না। কেননা তিনি (আপাদমস্তক) নূর।”
● নাসীমুর রিয়াজ।
(২৩) ওলীউল কামিল, আল্লামা মুহম্মদ বিন ছিবান (الحمد الله) বলেন,
– وانه لا فييء له
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার খাছ বৈশিষ্ট্য এই যে, উনার ছায়া মুবারক ছিলো না।”
● ইসআফুর রাগেবীন।
(২৪) বিখ্যাত সুফী সাধক, আল্লামা জালালুদ্দীন রুমী (الحمد الله) বলেন –
چو فناشي از فقر. پيرا يه او محمد. وار بے سايه بود
অর্থ: যে ব্যক্তি হুজুর পাক (ﷺ) উনার জাত মুবারকে ফানা হবে, সে ব্যক্তিও উনার মত ছায়াহীন হয়ে যাবে।
● মসনবী শরীফ
(২৫) আল্লামা ইমাম রাগিব ইস্পাহানী (الحمد الله) বলেন – ومن اسماءه صلي الله عليه و سلم النور قبل من خصاءصه صلي الله عليه و سلم انه اذا مشي في الشمس لاينظر له ظل
অর্থ: হুজুর পাক (ﷺ) উনার নাম মুবারক উনাদের মধ্যে একটি নাম মুবারক হলো নূর। বলা হয়েছে, উনার বৈশিষ্ট্য সমূহের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য এই, উনি রোদে গেলে উনার ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতো না।”
● মুফরাদাত ৩১৭ পৃষ্ঠা ।
এছাড়া আরো হাজার হাজার কিতাব মুবারকে বর্নিত আছে যে, হুজুর পাক (ﷺ) উনার শরীর মুবারকের ছায়া মুবারক ছিলো না।
(২৬) নূরুল আবছার ফী মানাক্বেবে নাবিয়্যিল আতহার।
(২৭) শরহে মছনবী শরীফ।
(২৮) ফতহুল আজীজ।
(২৯) আনওয়ারে মুহম্মদীয়া
(৩০) মিনহাজে মুহম্মদীয়া
(৩১) মুতাউলিউল মুসাররাত
(৩২) সীরাতে হলবীয়া
(৩৩) আল ইকতেবাছ
(৩৪) কিতাবুল হামছীন ফি আহওয়ালিল নাফসিন নাফিস। ইত্যাদি..
শুধুতাই নয় , এত বিপুল পরিমান বর্ননার কারনে ওহাবী দেওবন্দী দের প্রধান মুরুব্বী রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী এই বর্ননাকে মুতাওয়াতির বর্ননা মেনে নিয়েছে।
মৌলবী রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী লিখেছে,
— بتواتر ثابت ثد كه انحضرت صلي الله عليه و سسلم سايه ند اثتند- وظاهر است كه بجز نور همه اجسام ظل مي دارند
অর্থ– একথা মুতাওয়াতির বর্ননা দ্বারা প্রমানিত যে, হুজুর পাক (ﷺ) উনার শরীর মোবারকের ছায়া ছিলো না। প্রকাশ থাকে যে নূরের দেহ ছাড়া সকল দেহের ছায়া থাকে।”
● ইমদাদুস সুলুক ৮৬ পৃষ্ঠা |
এমনকি দেওবন্দী গুরু মৌলবী আশরাফ আলী থানবী বর্ননা করেছে,
— يه بات مثهور ھے كه ھمارے حضرت صلي عليه و سلم كے سایه نهيی تها ( اسلءے كه) همارے حضرت صلي الله عليه و سلم صرتاپا نور هي نور تہے
অর্থ — একথা প্রসিদ্ধ যে , হুজুর পাক (ﷺ) উনার শরীর মোবারকের ছায়া ছিলো না।কেননা হুজুর পাক (ﷺ) আপাদমস্তক নূর তথা নূরে মুজাসসাম !”
● শুকরুন নি’মাহ ৩৯ পৃষ্ঠা ।