হযরত রাসূল করীম [ﷺ]-এঁর ১৬১ পবিত্র নাম মুবারকঃ
আল্লাহর যেমন যাতি ও সিফাতি নাম আছে – তদ্রুপ নবী করীম [ﷺ]-এঁরও যাতি এবং সিফাতি নাম আছে। আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম। রাসূলে পাকেরও ৯৯ নাম। আবু বকর ইবনে আরবী (رحمة الله عليه) বলেছেন- সুফিয়ায়ে কেরামের মতে আল্লাহর এক হাজার নাম এবং রাসূলে পাকেরও এক হাজার নাম। কাযী আয়ায (رحمة الله عليه) বলেন- আল্লাহ তাঁর ৯৯ নাম থেকে ৩০ টি নবীজীকে দান করেছেন। শেখ আবদুল হক মোহাদ্দেছ দেহলভী (رحمة الله عليه) তাঁর মাদারেজ গ্রন্থে এবং আল্লামা কাসতুলানী তাঁর মাওয়াহিব গ্রন্থে বলেছেন- আল্লাহ তায়ালা ৯৯ নাম থেকে ৭০ টি নাম রাসূল [ﷺ]-কে দান করেছেন। (দেখুন আনওয়ারে মুহাম্মদীয়া)
وَسَمَّاهُ مِنْ اَسْمَائِهِ الْحُسْني بِنَحْوِ سَبْعِيْنَ اِسْمًا (اَلْاَنْوَارُ الْمُحَمَّدِيَّةُ)
ইমামে আহলে সুন্নাত ইমাম আহমদ রেযা (رضي الله عنه)- এর মতে হুযুরের ১৪০০ সিফাতি নাম রয়েছে। ঐ সব পবিত্র নাম বিভিন্ন গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া কিতাবে আল্লামা শিহাবুদ্দিন কাস্-তুলানী শারেহে বোখারী এরূপ চার শতাধিক নামের তালিকা লিখেছেন। উক্ত গ্রন্থ থেকে আল্লামা ইউসুফ নাব্-হানী (رضي الله عنه) তাঁর আনওয়ারে মুহাম্মদীয়া গ্রন্থে কতিপয় নামের উল্লেখ করেছেন। ইমামে আহ্-লে সুন্নাত শাহ আহ্-মদ রেযা খান (رضي الله عنه) তার তাফসীর “কানযুল ঈমানে” হুযুর [ﷺ]-এঁর কতিপয় নাম লিখেছেন। উক্ত দুটি গ্রন্থ হতে নিম্ন তালিকা পেশ করা হলো- লেখক।
বিঃ দ্রঃ প্রত্যেক নামের পরে দুরূদ শরীফ পড়ে নেবেন।
১। محمد ﷺ, ২। احمد (আহমদ) [ﷺ], ৩। محمود (মাহমুদ), ৪। نور (নূর)
৫। منير (মুনির), ৬। اول (আউয়াল), ৭। اخر (আখির), ৮। ظاهر (যাহির)
৯। باطن (বাত্বিন), ১০। بر (বাররুন), ১১। رؤوف (রাউফুন), ১২। رحيم (রাহিমুন)
১৩। حق (হাককুন), ১৪। بين (বাইয়েনুন), ১৫। عظيم (আযীমুম), ১৬। عزيز (আযিযুন)
১৭। جبار (জাববারুন), ১৮। عليم (আলীমুন), ১৯। حليم (হালীমুন), ২০। خبير (খাবীরুন)
২১। كريم (কারীমুন), ২২। رشيد (রাশীদুন), ২৩। بصير (বাছিরুন), ২৪। شكور (শাকুরুন)
২৫। حبيب (হাবীবুন), ২৬। حسيب (হাছীবুন), ২৭। مجيب (মুজীবুন), ২৮। مؤمن (মু’মিনুন)
২৯। امين (আমীনুন), ৩০। مامون (মা’মুনুন), ৩১। مؤتمن (মু’তামিনুন), ৩২। حافظ (হা-ফিযুন)
৩৩। ناصر (না-ছিরুন), ৩৪। كامل (কা-মিলুন), ৩৫। منصور (মানছুরুন), ৩৬। قريب (ক্বারীবুন)
৩৭। متين (মাতীনুন), ৩৮। شهيد (শাহীদুন), ৩৯। شاهد (শা-হিদুন), ৪০। شفيع (শাফীউন)
৪১। شافع (শা-ফিউন), ৪২। يتيم (ইয়াতিমুন), ৪৩। شارع (শা-রিউন), ৪৪। ولى (ওয়ালিয়্যুন)
৪৫। وفي (ওয়াফিয়্যুন), ৪৬। صفي (ছাফিয়্যুন), ৪৭। نقي (নাকিয়্যুন), ৪৮। قوي (ক্বাভিয়্যুন)
৪৯। حفي (হাফিয়্যুন), ৫০। امر (আ-মিরুন), ৫১। ناهي (না-হিয়ুন), ৫২। امى (উম্মিয়্যুন)
৫৩। احيد (উহীদুন), ৫৪। اولى (আওলা), ৫৫। اكرم الناس (আক্ রামুন্নাছ), ৫৬। امام الخير (ইমামুল খাইরী)
৫৭। امام المتقين (ইমামুল মুত্তাক্বীন), ৫৮। امام النبيين (ইমামুন নাবিয়্যীন), ৫৯। بشير (বাশীরুন),
৬০। نذير (নাযীরুন)
৬১। برهان (বুরহানুন), ৬২। (نارقليط বারক্বালীত), ৬৩। تهامي (তিহামিয়্যুন), ৬৪। جواد (জাওয়াদুন)
৬৫। حاشر (হা-শিরুন), ৬৬। حامد (হা-মিদুন), ৬৭। حماد (হাম্মাদুন), ৬৮। حجاذي (হিজাযিয়্যুন)
৬৯। حنيف (হানীফুন), ৭০। حمطايا (হামত্বায়া), ৭১। خليل (খালীলুন), ৭২। خاتم (খা-তামুন)
৭৩। خليفة (খালীফাতুন), ৭৪। خير البرية (খাইরুল বারিয়্যাহ), ৭৫। خيرةالله (খিয়ারাতুল্লাহ), ৭৬। خطيب الانبياء (খাতীবুল আম্বিয়া)
৭৮। (دليل الخيرات দালীলুল খাইরাত), ৭৯। دارالحكمة (দারুল হিকমাহ্), ৮০। رسول (রাছুলুন),
৮১। رسول الرحمة (রাছুলুর রাহমাত), ৮২। روح القدس (রুহুল কুদ্দুছ), ৮৩। رحمة للعالمين (রাহমাতুল্লিল আলামিন)
৮৪। سراج (ছিরাজুন), ৮৫। سعيد (ছায়ীদুন), ৮৬। مسعود (মাছউদুন), ৮৭। سيد (ছাইয়েদুন),
৮৮। شمس (শামছুন)
৮৯। قمر (ক্বামারুন), ৯০। شاف (শাফিন), ৯১। صادق (ছাদিকুন), ৯২। مسدوق (মাছদূকুন)
৯৩। صالح (ছালিহুন), ৯৪। مصلح (মুছলিহুন), ৯৫। صفوة (ছাফওয়াতুন), ৯৬। صفوح (ছাফুহুন)
৯৭। صاحب الواء (ছাহিবুল লিওয়া), ৯৮। صاحب الحوض الكوثر (ছাহিবুল হাউযিল কাউসার)
৯৯। صاحب المقام المحمود (ছাহিবুল মাক্বামিল মাহমুদ), ১০০। صاحب المعجزات (ছাহিবুল মুজিযাত)
১০১। ضحاك (দাহ্-হাকুন), ১০২। طيب (ত্বাইয়িবুন), ১০৩। طاهر (ত্বা-হিরুন), ১০৪। مطهر (মুত্বাহ্হারুন)
১০৫। طه (ত্বা-হা), ১০৬। طاب طاب (ত্বাবত্বাব), ১০৭। عادل (আ-দিলুন), ১০৮। عاقب (আ-ক্বিবুন)
১০৯। عبدالله (আবদুল্লাহ), ১১০। علم اليقين (ইলমুল ইয়াক্বীন), ১১১। عروة وثقى (উরওয়াতুন উছক্বা)
১১২। عطوف (আতূফুন), ১১৩। عفو (আফ্উন), ১১৪। فاتح (ফা-তিহুন), ১১৫। فاروق (ফা-রুকুন)
১১৬। قاسم (ক্বা-ছিমুন), ১১৭। قرشي (ক্বারশিউন), ১১৮। قثم (কুছামুন), ১১৯। مزمل (মুযাম্মিলুন)
১২০। مدثر (মুদাচ্ছিরুন), ১২১। ماحي (মা-হিয়ুন), ১২২। مصباح (মিছবাহুন), ১২৩। مخمنا (মুখমিনান)
১২৪। مشفح (মুশাফফিহুন), ১২৫। مقيم السنة (মুক্বীমুছ ছুন্নাত), ১২৬। ماذماذ (মাযমায)
১২৭। موذموذ (মুযমুয), ১২৮। مذكر (মুজাক্কিরুন), ১২৯। مبلغ (মুবাল্লিগুন), ১৩০। ميسر (মুয়াছছিরুন)
১৩১। مبشر (মুবাশশিরুন), ১৩২। منذر (মুনযিরুন), ১৩৩। مبارك (মুবারাকুন), ১৩৪। مختار (মুখতারুন)
১৩৫। مولى (মাওলা), ১৩৬। مكى (মাক্কিয়্যুন), ১৩৭। مد يي (মাদানিয়্যুন), ১৩৮। عربي (আরাবিয়্যুন)
১৩৯। مصطفى (মুস্তাফা), ১৪০। مجتبى (মুজতাবা), ১৪১। مرتضى (মুরতাদ্বা), ১৪২। مؤيد (মুআইয়িদুন)
১৪৩। مخلص (মুখলিছুন), ১৪৪। مقدس (মুক্বাদ্দাছুন), ১৪৫। معصوم (মা’ছুমুন), ১৪৬। مكين (মাকীনুন)
১৪৭। منج (মুনজিন), ১৪৮। مفتاح الجنة (মিফতাহুল জান্নাত), ১৪৯। مدينة العلم (মাদীনাতুল ইলম)
১৫০। نقيب (নাক্বীবুন), ১৫১। نبى (নাবিয়্যুন), ১৫৭। هادي (হা-দিয়ুন), ১৫৮। الهدى (আলাহুদা)
১৫৯। هدية الله (হাদ্ইয়াতুল্লাহ), ১৬০। يس (ইয়াছিন), ১৬১। حم (হা-মীম)
ইসলামের পঞ্চবেনাঃ
ইসলামের পঞ্চবেনা নাযিলের ক্রমধারা- উক্ত পঞ্চবেনার তাবলীগ করা ফরযে কেফায়াঃ
১। কলেমা বা ঈমানঃ জাবালে নূর বা গারে হেরায় ৬১০ খৃষ্টাব্দে ২৭শে রমযান সোমবারে নাযিল হয়েছে।
২। নামায বা ছালাতঃ নবুয়তের দ্বাদশ সালে রজবের ২৭ তারিখ শবে মে’রাজে লা মাকানে ফরয করা হয়েছে।
৩। রোযা বা সিয়ামঃ ২য় হিজরীর শা’বান মাসের ১৫ই শবে বরাত রাত্রে ফরয হয়েছে।
৪। যাকাতঃ ২য় হিজরীর মধ্য রমযানে ফরয হয়েছে।
৫। হজ্বঃ ৯ম হিজরীর শাওয়াল মাসে ফরয হয়েছে।
হানাফী মাযহাব মতে আল্লাহর হক্ব- ঈমান, নামায, রোযা ও হজ্ব প্রথমে এবং বান্দার হক্ব যাকাত পরে হবে। এই ক্রমানুসারেই সমন্বয় করতে হবে। (কলেমা, নামায, রোযা, হজ্জ্ব ও যাকাত)
বি দ্রঃ মোট ২২ বৎসরে ইসলামের পঞ্চবেনা নাযিল হয়েছে। ঈমানের ১২ বৎসর পর নামায, ১৫ বৎসর পর রোযা ও যাকাত এবং ২২ বৎসর পর হজ্বের আদেশ নাযিল হয়েছে। ক্রম অনুসারেই গুরুত্ব।