[গত বছরের গাদীরে খুম উপলক্ষে এই লেখাটি পোষ্ট করা হয়েছিলো। এবারও তা শেয়ার করা হলো]
রাফেযী গোষ্ঠী আরেকটি ভুয়া দাবি উত্থাপন করে যে প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক গাদীরে খুমে প্রদত্ত ভাষণ শেষ হলে নিম্নোক্ত আয়াতে করীমাটি অবতীর্ণ হয়:
ٱلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلإِسْلٰمَ دِيناً.
অর্থ: আজ আমি (আল্লাহ) তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন মনোনীত করলাম। [আল-ক্বুর’আন, ৫/৩; নূরুল ইরফান]
শিয়াচক্র দাবি করে যে, গাদীরে খুমে হযরত আলী (কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু)-কে খেলাফতের উত্তরাধিকারী মনোনীত করে দ্বীনকে পূর্ণতাদানের খাতিরে এই আয়াতটি নাযেল হয়েছিলো। অথচ আরাফাতের পাহাড়ে প্রদত্ত বিদায়ী হজ্জ্বের ভাষণশেষে এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। যেমন –
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، سَمِعَ جَعْفَرَ بْنَ عَوْنٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعُمَيْسِ، أَخْبَرَنَا قَيْسُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الْيَهُودِ قَالَ لَهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، آيَةٌ فِي كِتَابِكُمْ تَقْرَءُونَهَا لَوْ عَلَيْنَا مَعْشَرَ الْيَهُودِ نَزَلَتْ لاَتَّخَذْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ عِيدًا. قَالَ أَىُّ آيَةٍ قَالَ (الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا). قَالَ عُمَرُ قَدْ عَرَفْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ وَالْمَكَانَ الَّذِي نَزَلَتْ فِيهِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ قَائِمٌ بِعَرَفَةَ يَوْمَ جُمُعَةٍ.
অর্থ: হাসান ইবনুুস সাব্বাহ্ (রহ.) … ’উমর ইবনুল খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করেন, এক ইয়াহূদী তাঁকে বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনাদের কিতাবে একটি আয়াত আছে যা আপনারা পাঠ করে থাকেন, তা যদি আমাদের ইয়াহূদী জাতির প্রতি নাযিল হতো, তাহলে অবশ্যই আমরা সে দিনটিকে ঈদ হিসেবে পালন করতাম। তিনি (খলীফা) বললেন, কোন্ আয়াতটি? ইহুদী উত্তর দিলেন –
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا.
“আজ আমি (আল্লাহ) তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন মনোনীত করলাম” (আল-ক্বুর’আন, ৫/৩)। খলীফা ’উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, এটি যে দিন এবং যে স্থানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি নাযিল/অবতীর্ণ হয়েছিলো তা আমরা জানি; তিনি সেদিন ’আরাফায় দাঁড়িয়েছিলেন এবং তা ছিল জুম’আর দিন। [আল-বুখারী-৪৫, মুসলিম শরীফ ও অন্যান্য গ্রন্থ; এই হাদীসের মান – সহীহ]
অতএব, স্পষ্ট প্রমাণিত হলো যে রাফেযী-চক্র ধর্ম নিয়ে তামাশায় মেতেছে। মিথ্যের বেসাতি-ই তাদের একমাত্র সম্বল।