প্রিয় আক্বা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন– ‘যে ব্যক্তি সফরে আল্লাহর দিকে মনযোগ রাখে এবং তাঁর যিকিরে মশগুল থাকে, তার নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ পাক একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন এবং যে অনর্থক আলাপের মধ্যে লিপ্ত থাকে, তার পেছনে একজন শয়তান লেগে যায়।’ -মু’জামে কবীর, ১৭/৩২৪, হাদীস ৮৫৯
শয়তানের ধোঁকায় আজ আমাদের অবস্থা এমন হয়ে গেছে, গাড়িতে সফরকালে গান-বাজনা সাথে না থাকলে যেন সফরে তৃপ্তি আসে না। এই সকল গান-প্রেমীরদের সতর্ক হওয়া উচিত। আল্লাহ না করুক, আপনি রাস্তায় দূর্ঘটনার কবলে পরে গেলেন। আপনি মারা গেলেন। চিন্তা করুন– এমন অবস্থায় আপনি মারা গেলেন, যখন আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত ছিলেন। আপন রবের সামনে দাঁড়াবেন কিভাবে? মালাকুল মউত আলাইহিস সালাম এর বিকট চেহারা দেখে কি অবস্থা হবে আপনার? কি করেই বা সহ্য করবেন কবরের কঠিন আজাব? সহ্য করার ক্ষমতা নেই আমাদের এতগুলো কঠিন শাস্তি। কিভাবে পার করব এতগুলো কঠিন ধাপ? তার চেয়ে বরং গুণাহটাই না হয় ছেড়ে দেই। আমরা সফরে শয়তানকে সফরসঙ্গী না বানাই।
আমাদের সফর শুরু হোক আল্লাহর যিকর দিয়ে। গাড়ির মিউজিক প্লেয়ার গুলোতে চলতে থাকুক হামদ/নাত অথবা কোরআনুল কারীম এর তিলাওয়াত। তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাথে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে একজন সম্মানিত ফিরিশতাকে নিযুক্ত করে দিবেন। আমাদের সফরও হবে বরকতময় ইনশাআল্লাহ।