জনস্বার্থে কাজ করে বা জনসেবা করে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর প্রিয়ভাজন হয়ে থাকে।
যেমন- হাদিস পাকে ইরশাদ হয়েছে,
عن أبي هريرة رضي الله عنه : أن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( ما من يوم يصبح العباد فيه إلا ملكان ينزلان فيقول أحدهما اللهم أعط منفقا خلفا ويقول الآخر اللهم أعط ممسكا تلفا
অর্থাৎঃ হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله و سلم) ইরশাদ করেছেন,
যখনই আল্লাহর বান্দাগণ ভোরে উঠে, আকাশ থেকে দু’জন ফেরেশতা অবতীর্ণ হন। তাঁদের একজন একজন বলেন, হে আল্লাহ! তুমি দাতাকে প্রতিদান দাও। আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! তুমি কৃপণকে দাও সর্বনাশ।
[সূত্রঃ সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৩৭৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৮৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১২২।]
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে,
عن أبي هريرة يبلغ به النبي صلى الله عليه و سلم قال قال الله تبارك وتعالى يا ابن آدم أنفق أنفق عليك
অর্থাৎঃ হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله و سلم) ইরশাদ করেছেন,
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ হে বনী আদম! তুমি দান কর, আমি তোমাকে দান করবো।
[সূত্রঃ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৯৯৩, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০৩৭।]
উপরোক্ত হাদিস মুবারাক থেকে দানের তাৎপর্য সহজেই অনুমেয়।
এখন যদি মৃত আত্মীয়-স্বজনের জন্যে কিংবা সারা পৃথিবীর ঈমানদার মৃত ব্যক্তিদের জন্যে দান খয়রাত করে বা যেকোন পূণ্যের কাজ করে ঈসালে সওয়াব করা হয় তাও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তাই এটিকে বিদআত বলার কোন সুযোগ নেই।
যে সমস্ত নামধারী আহলে হাদীসরা এটিকে বিদআত বলে, তাদের মৃত্যুর পর তাদের জন্য কুরআন পড়ে দুআ, ইস্তিগফার পড়া, দুআ করে ঈসালে সওয়াব করার কোন প্রয়োজন নেই।
বিপরীতে আমরা যারা ক্বুরআ’ন ও সুন্নাহর পথে তথা সিরাত্বল মুস্তাকিমে বিশ্বাস করি ঈসালে সাওয়াব বিশ্বাস করি, তাদের জন্য এভাবে ঈসালে সওয়াব করুন। যেন আল্লাহ তাআলা ঈসালে সওয়াবের বদৌলতে কবরবাসীকে শান্তি পৌঁছান।
প্রিয় রাসুল, নবী কারিম (صلى الله عليه و آله و سل) ইরশাদ করেন,
عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ مَالِكِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلَمَةَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَبَقِيَ مِنْ بِرِّ أَبَوَيَّ شَيْءٌ أَبَرُّهُمَا بِهِ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِمَا؟ قَالَ: «نَعَمْ، الصَّلَاةُ عَلَيْهِمَا، وَالِاسْتِغْفَارُ لَهُمَا، وَإِيفَاءٌ بِعُهُودِهِمَا مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِمَا، وَإِكْرَامُ صَدِيقِهِمَا، وَصِلَةُ الرَّحِمِ الَّتِي لَا تُوصَلُ إِلَّا بِهِمَا»
অর্থাৎঃ হযরত আবূ সাঈদ আসসায়েদী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একদা রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله و سلم এঁর কাছে ছিলাম। এমতাবস্থায় বনী সালামা গোত্রের একজন ব্যক্তি আসল। লোকটি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা মাতার ইন্তেকালের পর তাদের জন্য (আমরা ইচ্ছা করলে) কোন নেক কাজ করার কি সুযোগ আছে?
দয়া ও মায়ার আদর্শের প্রতীক নবীজী হুজুর কারিম (صلى الله عليه و آله و سلمইরশাদ করলেন, তাদের জন্য নামায পড়ে [ঈসালে সওয়াব কর] তাদের জন্য ইস্তিগফার কর। তাদের অঙ্গিকার ওয়াদাগুলো পূর্ণ কর। তাদের সম্পর্কিত আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখ। তাদের বন্ধুদের সাথে ভাল ব্যবহার কর।
[সূত্রঃ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৬৬৪, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫১৪২।]
উপরোক্ত মুবারক হাদিসে তাঁদের জন্যে নামাজ পড়ে ইস্তিগফার করার নির্দেশনা থেকে তাঁদের জন্যে যাবতীয় পূণ্যময় কাজের সাওয়াব তাঁদের রুহে ঈসাল করা প্রমাণিত হয়।
___________
▆ ইসালে সাওয়াব :
নোট ০১.
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1717010981947673
নোট ০২.
https://mobile.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1717017565280348
নোট ০৩.
https://mobile.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1717018295280275
নোট ০৪.
https://mobile.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1717020505280054
____________
▆ তাবলীগের কিতাব ফাজায়েলে আমল [Fazail-e-Amal] এর ফাজায়েলে ক্বুরআ’ন [Fazail-e-Quran] এ “ফাতিহা খানি (পাঠ)” এর ফজিলত সংক্রান্ত ঈমান ও আমলের বহুদ ফায়দা হাসিলের মুবারাক বর্ণনা।
‘‘মাশায়েখগণ লিখিয়াছেন, যদি কেহ ঈমান ও একীনের সহিত সুরা ফাতেহা পাঠ (ফাতেহা খানি) করে, সকল রোগ হইতে মুক্তি লাভ হয়। চাই দ্বীনী হউক বা দুনিয়াবী হউক, জাহেরী হউক বা বাতেনী হউক। উহা লিখিয়া লটকানো এবং চাটিয়া খাওয়াও রোগ-ব্যাধির জন্য উপকারী’’।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1846628295652607