৪র্থ পর্ব
মুসলিম সংসারের বউ
লেখিকাঃ বিনতে আলম
প্রমান দিলে জসনে জুলুসে যাবেন,,(আয়শা)
ইনশাআল্লাহ যাব(সাজ্জাদ)
আমার হুজুর কেবলা আওলাদে রাসূল তিনি ৪১তম বংশধর তা প্রমানিত করা হলো,
প্রান প্রিয় মুর্শিদ সৈয়্যদ তাহের শাহ( মাঃজিঃআঃ)
এর বংশীয় শাজরা মোবারক…
💚💚💚💚১)ঈমামুল আম্বিয়া,হুজুর পূর নূর,,সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কুল কায়েনাতের মূল,দোজাহানের সরদার,নুরে মোজাস্সাম, আল্লাহর প্রিয় নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম.💚💚
২)হযরত ফাতেমাতুতজাহুরা (রাঃ),সহধর্মিণী হযরত আলী (রাঃ)
৩)হযরহ ঈমাম হোসাইন রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু।
৪)হযরত ঈমাম জয়নুল আবেদীন (রাঃ)
৫)হযরত ঈমাম বাকের(রাঃ)
৬)হযরত ঈমাম মুহাম্মদ জাফর সাদেক(রাঃ)
৭)হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ ইসমাইল (রাঃ)
৮)হযরত সৈয়্যদ জালাল(রাঃ)
৯)হযরত সৈয়্যদ শাহ কায়েম(কায়েন)(রাঃ)
১০)হযরত সৈয়্যদ জাফর ক্বা’ব(রাঃ)
১১)হযরত সৈয়্যদ ওমর(রাঃ)
১২)হযরত সৈয়্যদ গাফ্ফার (রাঃ)
১৩)হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ গীসুদারাজ(রাঃ) ৪২১হি.
১৪)হযরত সৈয়্যদ মাসুদ মাসওয়ানী(রাঃ)
১৫)হযরত সৈয়্যদ তাগামুজ শাহ(রাঃ)
১৬)হযরত সৈয়্যদ ছুদুর(রাঃ)
১৭হযরত সৈয়্যদ মুছা (রাঃ)
১৮)হযরত সৈয়্যদ মাহমুদ (রাঃ)
১৯)হযরত সৈয়্যদ আবদুর রহীম(রাঃ)
২০)হযরত সৈয়্যদ আবদুল গফুর (রাঃ)
২১)হযরত সৈয়্যদ আবদুল জালাল(রা)
২২)হযরত সৈয়্যদ আবদুর রউফ (রাঃ)
২৩)হযরত সৈয়্যদ আবদুল করিম (রাঃ)
২৪)হযরত সৈয়্যদ আবদুল্লাহ (রাঃ)
২৫)হযরত সৈয়্যদ গফুর শাহ (রাঃ) (প্রকাশ কাপুর শাহ সিরিকোট)
২৬)হযরত সৈয়্যদ নাফ্ফাস্ শাহ বা তাফাহ্হুস শাহ (রাঃ)
২৭)হযরত সৈয়্যদ আবী শাহ মুরাদ (রাঃ)
২৮)হযরত সৈয়্যদ ইউসুফ শাহ (রাঃ)
২৯)হযরত সৈয়্যদ হোসাইন শাহ,(হোসাইন খিল শাহ) (রাঃ)
৩০)হযরত সৈয়্যদ হাজী হাসেম (রাঃ)
৩১)হযরত সৈয়্যদ আবদুল করীম (রাঃ)
৩২)হযরত সৈয়্যদ ঈসা (রাঃ)
৩৩)হযরত সৈয়্যদ ইলিয়াছ (রাঃ)
৩৪)হযরত সৈয়্যদ খোশহাল্ (রাঃ)
৩৫)হযরত সৈয়্যদ শা্হ খাঁন (রাঃ)
৩৬)হযরত সৈয়্যদ কাজেম (রাঃ)
৩৭)হযরত সৈয়্যদ খানী জামান শাহ (রাঃ)
৩৮)হযরত সৈয়্যদ ছদুর শাহ (রাঃ)
৩৯)হযরত সৈয়্যদ আহম্মেদ শাহ সিরিকোটি(রাঃ)
৪০)হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রাঃ)
৪১) (ক)হযরত সৈয়্যদ তাহের শাহ (মাঃজিঃআঃ)
(১) সৈয়্যদ কাশেম শাহ (ম.)
(২)সৈয়্যদ মাশহুদ শাহ (ম.)
(৩) সৈয়্যদ মামুন শাহ (ম.)
(খ) হযরত সৈয়্যদ মুহাম্মদ ছাবের শাহ(মাঃজিঃআঃ)
(১) সৈয়্যদ মাহমুদ শাহ(ম.)
(২) সৈয়্যদ আকিব শাহ (ম.)
এটাই হচ্ছে আহলে বায়াত সত্য এটার সর্বশ্রেষ্ঠ দলীল!
আর কি লাগবে..,,,,,?(আয়শা)
আপনি এতো বোকা যানতামনা তো(আয়শা)
মানে?(আয়শা)
আওলাদ,,মানে বংশধর নির্ধারিত হয় ছেলে সন্তানের মাধ্যমে,,আর মা ফাতেমা(রাঃ) তো কন্যা সন্তান তাহলে কি ভাবে আওলাদ সাব্যস্ত হয়???
আমি যানতাম ওহাবীর বাচ্চা এটা বলবেন(চুপিচুপি আয়শা)
আয়শাঃসেটাও ঠিক, আচ্ছা আপনারা কই ভাই-বোন??
সাজ্জাদঃদুই বোন এক ভাই!
আপনার বাবার সম্পত্তি,,আছে কি? থাকলে তা কি শুধুই আপনি পাবেন??(আয়শা)
বাবার ঔরসজাত সন্তান যখন সবাই অংশীদার তবে মেয়েরা ৩ভাগের ১ভাগ ছেলেরা ২ভাগের এক ভাগ!(সাজ্জাদ)
বুঝলে তো ভালো..
তো যার একটা মেয়ে সে কি করবে??(আয়শা)
তাহলে সব তো তার আর কেউ তো অংশীদার নেই(সাজ্জাদ)
আওলাদ মেয়ের মাধ্যমে ও হতে পারে মানছেন তো,, তাছাড়া তিনি কোন সাধারণ মেয়ে নই??(আয়শা)
আচ্ছা যান,,,মানলাম এখন বলুন আওলাদ রাসূল(দরুদ) হলে ওনাদের তো মদিনায় থাকার কথা তিনি পাকিস্তান কেন???(সাজ্জাদ)
এটা তো একদম সহজ,,রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো মক্কা শরীফে জন্মগ্রহণ করেছেন তাহলে রাসূল (দরুদ)
মদিনায় কেন??(আয়শা)
মক্কার মানুষ গন খারাফ ছিল তাই,,(সাজ্জাদ)
মদিনার মানুষ তো খারাফ ছিলেননা তাহলে ঈমাম হোসাইন রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু স্বপরিবার নিয়ে কুফা নগরে গিয়েছিলান কেন??(আয়শা)
তারাই তো বায়াত গ্রহণ করবে বলে চিঠি পাঠিয়েছেন আসার জন্য তাই ….!(সাজ্জাদ)
জ্বি ঠিক তাই,,আমার মনিব হুজুর কেবলাও দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে দিতে পাকিস্তান গিয়েই পাকিস্তান বাসিন্দা হয়ে যায় জন্ম সূত্রে তিনি ও মদিনাবাসী,(আয়শা)
এটাও মানলাম,,তো তিনি পাকিস্তান জসনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী(দরুদ) পালন না করে বাংলাদেশে কেন আসেন,,নিশ্চয় টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য তাইনা???(সাজ্জাদ).
খবরদার,,ইসলামের জন্মসূত্র মক্কা-মদিনা শরীফে,,সেটা বাংলাদেশে কিভাবে আসলো,,??
যানেন সেটা যানেন??
আর আপনি না বলছেন উনি টাকার জন্য আসেন,,শুনুন তাহলে আমার হুজুর কেবলা যদি টাকা নিতেন তাহলে ওই টাকা দিয়ে রাজমহল বানাতে পারতেন,,কেননা আমরা হোসাইনী মুসলমান,,এই হোসাইনী মুসলমানরা তাদের জীবন ও বাজী রাখতে পারে আহলে বায়াতের প্রেমে…
সো সাবধান অবলম্বন করে কথা বলবেন….
আর,বাংলাদেশের আসেকরা যদি পারতো তাহলে আহলে বায়াতদের মাথার তাজ বানিয়ে রাখতো,,আর বাংলাদেশের আসেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামদের ভালবাসায় আওলাদে রাসূল(দরুদ) বাংলাদেশে আসেন নবী আগমনের জুলুস করারা জন্য…….(আয়শা)
আরেকটা জিনিস এই জসনে জুলুস তো শুধুই বাংলাদেশে পালন করা হয়, আর কোথাও তো পালন করেনা(সাজ্জাদ)
এখন ভার্চুয়াল জগত চোখ-কান খুলা রাখুন সব দেখতে পাবেন,,১২ই রবিউল আওয়াল সারা পৃথিবীতে জসনে জুলুস অত্যন্ত আনন্দের সাথে উদযাপিত হয়…(আয়শা)
এতো প্রশ্ন করছি মেয়েটা ক্লান্তও হচ্ছেনা(মনে মনে সাজ্জাদ)
আপনি বুঝতেছেন বলেই উত্তর দিচ্ছি স্যার(মনে মনে আয়শা)
আচ্ছা সারাদিন যে সারা শহর শ্লোগান দিয়ে দিয়ে আনন্দ পালন করা হয়,,সেখানে নামাজ কাযা হয়ে যায় এটা কি ঠিক??? (সাজ্জাদ)
আহলে বায়েতের ভালবাসা,,রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,,যিনি না সৃজিলে তামাম-জাহানের কিছুই সৃষ্টি হতনা সে নবীজির মিলাদ বা যিনি ঈমান,,সে ঈমান আগে নাকি নামাজ আগে(আয়শা)
এটা মেয়ে নাকি কথার ঝুড়ি মনে হচ্ছে সব রেডি করা(সাজ্জাদ মনে মনে)
যানিনা…….(সাজ্জাদ)
শুশুন আমল কম হলেও জান্নাত পাবেন যদি ঈমান থাকে,,আর ঈমান বিহীন আমলের কোনো মূল্যেই নেই মহান রবের কাছে,,,
চলবে….!
নিজের ভিতরে যা আছে তাই প্রকাশ করার চেষ্টা করছি,,তেমন কিছু যানিনা, যা যানি তাই মানার চেষ্টা,,
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,
আর শুধরে দিবেন