❏ হাদিস ১ :
রাসুল (ﷺ) হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)’র জন্য দোয়া করেছেনএ বলে,
হে আল্লাহ, তুমি তাকে (মুয়াবিয়া) পথ প্রদর্শক এবং সঠিকপথ প্রাপ্ত বানিয়ে দাও এবং তার দ্বারা (অন্যদেরকে) হেদায়াত কর।
[সুনানুত তিরমিযি- ৩৮৪২, হাদীসটি সহীহ]
❏ হাদিস ২ :
হযরত ইরবাদ বিন সারিয়াহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, হে আল্লাহ, তুমি মুয়াবিয়াকে কোর’আন এবং হিসাব নিকাশের শিক্ষা দাও এবং তাকে (জাহান্নামের) আযাব থেকে রক্ষা কর।
[মুসনাদ আহমাদ-১৭২০২, হাদীসটি সহীহ]
❏ প্রমাণ ৩ :
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস আব্দুল্লাহ বিন মুবারক (رحمة الله) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, মুয়াবিয়া বিন আবী সুফিয়ান (রাঃ) এবং উমার বিন আব্দুল আযীয (رحمة الله) এর মধ্যে কে উত্তম? তিনি জবাবে বললেন,
আল্লাহর কসম, রাসুল (ﷺ) এর সাথে চলতে গিয়ে হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)’র নাকের ভিতর যে ধুলা ঢুকেছিল, সে ধুলা উমার বিন আব্দিল আযীয থেকে হাজার বার উত্তম। এই সেই মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) যিনি রাসুল (ﷺ) এর পিছনে সালাত আদায় করেছিলেন। যখন রাসুল (ﷺ) বলেছিলেন, সামি’ আল্লাহুলিমান হামিদাহ, তখন মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) (পেছন থেকে) বলেছিলেন, রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ। এরপর আরকী কথা থাকতে পারে?
[ওয়াফায়াতুল আ’ইয়ান লি ইবনি খাল্লিকান-৩/৩৩]
❏ প্রমাণ ৪ :
জাররাহ আল মুসিলী বলেন, আমি এক লোককে বিশ্ববিখ্যাত ইমাম হাফিযুল হাদীস মু’আফী বিন ইমরান (رحمة الله)কে জিজ্ঞাসা করতে শুনেছি, মুয়াবিয়া বিন আবী সুফিয়ানের তুলনায় উমার বিন আব্দিল আযীযের অবস্থান কোথায়?
আমি তখন মুয়াফী বিন ইমরান (رحمة الله)কে প্রচন্ডভাবে রেগে উঠতে দেখেছি। তিনি রাগতঃস্বরে বলেছিলেন, মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সাহাবীদের সাথে কারো তুলনা করা যাবে না। মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) ছিলেন তাঁর [রাসুল (ﷺ) এর] লেখক, সাহাবী এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা ওহীর আমানতদার।
[আশ শারী’আহ লিল আজিরী – ৫/২৪৬৬-২৪৬৭]